মৃত্যুবার্ষিকী
আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা: বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের কাছে মানববন্ধন করেছে স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার (এসএটি) সদস্যরা।
এসএটি সদস্যরা 'সাধারণ ছাত্রদের' ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। যেখানে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী যোগ দেয়।
এসএটি’র আহ্বায়ক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘আমরা হামলার বিচার ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি, যাদের কোনো অন্যায় করা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের একচোখা আচরণ আবারও প্রকাশ পেয়েছে, কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় অন্য দলের সদস্যরা গুরুতর আহত হয়।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এসএটি’র সদস্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘কারাগারে থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেননি ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন কর্মী।’
ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাবির উর্দু বিভাগের ছাত্র ও এসএটি’র সদস্য আহনাফ সাঈদ খান বলেন, ‘আবরার এমন একজন যিনি দেশকে ভালোবাসতেন এবং দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার স্মৃতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলার অর্থ সরাসরি দেশের প্রতি অসম্মান।’
৭ অক্টোবর নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত কর্মসূচিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মীরা।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর আরেকবার হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
হামলায় আহত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ কর্মীকে পরবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলে তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটে চান্স পেয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোটভাই
ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ সদস্য আদালতে হাজির
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী লেখক খ্যাত সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। আবহমান বাংলা ও বাঙালির অন্যতম সেরা এই ভাষাশিল্পী ২০১৬ সালের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে শায়িত কবির সমাধিতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ মির্জা নাসির উদ্দীন, অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জন্মভূমি ও দেশের মানুষের টানে ক্যান্সারে আক্রান্ত কবি নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে লন্ডন থেকে ছুটে আসেন। ঠিক কয়েকদিন পর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান। কবির শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী জন্মের শহর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে সমাধিত করা হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার আরও ৩
সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ার পৈত্রিক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড়। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।
বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়। তিনি একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ১৯৬৬ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়াও সাহিত্যে তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল স্বর্ণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৫০-এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’। এছাড়াও তার লেখা অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে খেলারাম খেলে যা, নিষিদ্ধ লোবান, সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন, বারো দিনের জীবন, তুমি সেই তরবারী, কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন ও নির্বাসিতা।
তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা, পরানের গহীন ভিতর, অপর পুরুষ, অগ্নি ও জলের কবিতা। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় ও নুরুলদীনের সারা জীবন সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য।
সৈয়দ শামসুল হক মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বেশ কিছু সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে সুনাম কুড়িয়েছেন। যেমন- মাটির পাহাড়, তোমার আমার, কাঁচ কাটা হীরে, বড় ভালো লোক ছিল ইত্যাদি। তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন।
১৯৭১ সালের নভেম্বরে তিনি লন্ডন চলে যান। সেখানে বিবিসি’র বাংলা খবর পাঠক হিসেবে চাকরি করেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসর্মপণের খবর পাঠ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পশু চোরদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন!
তিস্তার ভাঙন: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে শতাধিক পরিবার গৃহহীন
ভাঙ্গায় তারেক মাসুদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পৌরসদরের নুরপুর গ্রামে তারেক মাসুদ ও বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে গুণী এই নির্মাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধায় জানায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
এর আগে তারেক মাসুদের সমাধিতে তার মা নুরুন্নাহার মাসুদ, স্ত্রী ক্যাথিরিন মাসুদসহ ঢাকা চলচ্চিত্র সভা, এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সভা, বাংলাদেশ শর্ট ফ্লিম ফোরাম, ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে এ উপলক্ষে আয়োজিক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রখ্যাত নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন বাচ্চু, জহিরুল ইসলাম কচি, রাশেদ চৌধুরী, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রয়াত এ নির্মাতা সস্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন তারেক মাসুদের ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক ঢালী আল মামুন, তারেকের সহধর্মিণী ক্যাথিরিন মাসুদ, শর্ট ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, লেখক মফিজ ইমাম মিলন।
কবি চঞ্চল আশরাফের সঞ্চালনায় এ সময় তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন ঢালী,বাবুল আশরাফ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুধীন সরকার মঙ্গল, সাইদ মাসুদ প্রমুখ আরও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তারেক মাসুদ এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জুকা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
পড়ুন: তাজউদ্দীন আহমদ দেশের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন: সিআরআই
নিউইয়র্কে প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটকে তাসনুভা আনান
এরশাদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে দলের সকল কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
এরশাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকালে কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুর-জুরাইন রেলগেটে জনসভা করবে জাতীয় পার্টি।
অনুষ্ঠান শেষে তিন হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরে এরশাদের কবরে ফাতেহা পাঠ করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
সেখানে দোয়া-মাহফিল-কাম আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর বারিধারায় প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদ ট্রাস্ট স্মরণ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জিয়া-এরশাদ-খালেদা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
জেনারেল এরশাদ, যিনি তার নয় বছরের স্বৈর শাসনের পর ১৯৯০ সালের ১৪ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০১৮ সালে ৮৯ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক (সিএমএলএ) হিসাবে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৮৬ সালে 'জাতীয় পার্টি' গঠন করেন এবং একই বছর তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, যা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদের সূত্রপাত করে।
বিরোধী দলগুলির একটি সম্মিলিত আন্দোলনের মধ্যে অবশেষে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে নেয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
বিএনপি’র বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও এ সময় জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালে ৩০ মে কিছু বিদ্রোহী সেনা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার আয়োজনে এদিন রাজধানীর ৭০টি পয়েন্টে মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দুস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করেন।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বিএনপির নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করে। ক্যাম্পে দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেয়া হয়।
দলের সকল জেলা, মহানগর ও থানা ইউনিটও দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে।
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় মৃত্যুবার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। আগামী ৭ জুন এই কর্মসূচি শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি
সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ দেশব্যাপী ১০ দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।
আজ (রবিবার) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে ৭ জুন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতারা মাথা নত করে দেশ ছাড়বেন: ফখরুল
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কালো ব্যাজ ধারণ, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।
১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন।
দিবসটি পালনে সোমবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দল ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতারা সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭ জুন পর্যন্ত জিয়ার কর্মজীবন নিয়ে আলোচনার আয়োজন করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির নেতারা রাজধানীর বিভিন্নস্থানে দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন।
দলের সকল জেলা, মহানগর ও থানা শাখাও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অংশগ্রহণে আলোচনাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
গাজীপুরের প্রয়াত জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা ও সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী শনিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আয়োজিত স্মরণসভায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, যুবলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিলসহ নেতারা বক্তব্য দেন। এছাড়াও ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমানা আলী টুসি, উপজেলা চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাদী শামীম, কাজী ইলিয়াস, জামিল হাসান দুর্জয়, উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভিন, মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, মহিলা নেত্রী নীলিমা আক্তার লিলি, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তাক আহমেদ কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়: মন্ত্রী
গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকায় জন্ম নেয়া জনপ্রিয় নেতা আহসান উলাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের সময় টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের পর তার ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এই হত্যা মামলার রায় হয়। এতে মোট ৩০ আসামির মধ্যে দুইজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ অপর ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রত্যাশা করা হয় আগামী মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।
২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার আদালতে দেয়া রায়ে ছয়জনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনকে খালাস দেয়া হয়। এ হত্যা মামলাটি হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের করা আলাদা লিভ টু আপিলের বিচারাধীন আছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যানজটে দুর্ভোগ
সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ারের মৃত্যুবার্ষিকী ১০ এপ্রিল
আগামী রবিবার (১০ এপ্রিল) আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রখ্যাত সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২১ সালের এইদিনে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তার পরিবার ঘরোয়া পরিবেশে মৃত্যুবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল ঢাকায় তার সেগুনবাগিচার অ্যাপার্টমেন্ট এবং সুনামগঞ্জের হাছননগরের বাসভবনে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
হাসান শাহরিয়ার সুনামগঞ্জ থেকেই তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু করেন। তিনি সুনামগঞ্জে তৎকালীন দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদদাতা ও কচিকাঁচা মেলার সফল সংগঠক ছিলেন।
তিনি ১৯৬৪ সালে করাচিতে চলে যান এবং সাংবাদিকতায় আত্মনিয়োগ করেন। সেই সঙ্গে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় বিএ অনার্স ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি করাচির প্রখ্যাত দৈনিক ‘ডন’ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের ‘খালিজ টাইমস, ভারতের ‘ডেক্কান হেরাল্ড’ পত্রিকা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউজ উইক’ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি করাচী প্রেসক্লাবে যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দিলারা হাশেমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বৈদেশিক সাংবাদিক সংস্থা ‘ওকাব’ এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। তিনি কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিজেএ) আন্তর্জাতিক সভাপতি ছিলেন।
সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি তাকে ফেলোশীপ প্রদান করে। তিনি ‘অতীত অতীত নয়’, ‘শেষ ভাল যার সব ভাল তার’, ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’ এবং ‘নিউজ উইক এ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় এবং অতঃপর’ ও শীর্ষক বই লিখেছেন।
তিনি বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় সাংবাদিকতায় দক্ষ ও পারদর্শী ছিলেন। মহান জাতীয় সংসদে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল তাকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করেছেন। তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ও সুনামগঞ্জ শহীদ জগৎ জ্যোতি পাঠাগারের আজীবন সদস্য ছিলেন।
হাসান শাহরিয়ার প্রখ্যাত পথিকৃত সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ মরহুম মকবুল হোসেন চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র এবং কলামিস্ট হোসেন তওফিক চৌধুরীর অনুজ।
আরও পড়ুন: বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
যথাযোগ্য মর্যাদায় রবিবার সারাদেশে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এই নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ এবং এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সোহরাওয়ার্দীর অবদানকে জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সারাজীবন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশে কাজ করেছেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং একজন আইনজীবী। তিনি ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরে একটি সম্ভ্রান্ত বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতায় পড়াশোনা শেষ করে তিনি অক্সফোর্ডে ব্যারিস্টারি পড়তে যান। সেখানে তিনি গ্রেট ব্রিটেনের গ্রে'স ইনে আইন চর্চা করেন।
তিনি ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে মারা যান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বসবে লালন ‘স্মরণোৎসব’ ও সাধু মেলার ৩১তম আসর
ক্যানবেরায় বাঙালি জাতির মুক্তির নায়ককে স্মরণ
মাওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার
দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বুধবার মাওলানা ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। ‘মজলুম জননেতা’ (দরিদ্রদের নেতা) নামে পরিচিত এই জনপ্রিয় নেতা ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে। যেখানে এই মহান নেতাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ভাসানীকন্যার অবস্থান কর্মসূচি
বিএনপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), গণসংহতি আন্দোলন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী ফাউন্ডেশন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মহান নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা করবেন।
বুধবার সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টাঙ্গাইলে ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করবে দলটি।
এ উপলক্ষে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে মাওলানা ভাসানীর ভূমিকার কথা স্মরণ করে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
এদিকে ভাসানীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গঙ্গা নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে তিনি ১৯৭৬ সালে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন যা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ হয়। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নামে একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনও গঠন করেছিলেন।