করোনা সংক্রমণ
নাটোরের ৮ পৌরসভায় ২৯ জুন পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় নাটোরে লকডাউনের সময় আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৮ পৌরসভায় সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: শেরপুরের সাথে ৭ জেলার বাস চলচল বন্ধ
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়ার পর রাতে মন্ত্রীপরিষদ সচিবের সাথে বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় তৃতীয় দফায় লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ল
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার সকাল ৬ টা থেকে ২৯ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নাটোর জেলার ৮টি পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ করা হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এর আগে ৯ জুন থেকে দু দফায় নাটোর সদর ও সিংড়া পৌর এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: লকডাউন: খুলনায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে
লকডাউন: শেরপুরের সাথে ৭ জেলার বাস চলচল বন্ধ
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি জেলায় লকডাউনের কারণে ওইসব জেলার সাথে শেরপুরে বাস চলাচলা এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার মধ্যরাতে শহরে এ সংক্রান্ত মাইকিং করা হয়।
এদিকে, লকডাউনের কারণে হঠাৎ করে শেরপুর থেকে সোমবার রাতের নাইট কোচ বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
সোমবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরোপ করা হয়েছে। এই সাত জেলায় সব কিছু বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র মালবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোন কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লক রেইড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, অত্যাধিক কোভিড আক্রান্ত কয়েকটি জেলা হতে শেরপুরে চলাচলকারী বাস এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। রাতেই শহরে মাইকিং করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কিছু নির্দেশনাসহ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় তৃতীয় দফায় লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ল
শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম জানান, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থত্যাগ বা ত্যাগ স্বীকার একান্তভাবে কাম্য। হার্ড ইমিউনিটির মূল্য অনেক প্রাণের বিনিময়ে দেয়া লাগতে পারে। কাজেই রিজনাল লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়ানো, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, এটাই এই মুহূর্তে বেস্ট সলুউশন।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ জুন থেকে শেরপুর পৌর এলাকায় দুই সপ্তাহের বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। গত মে মাসে জেলায় করোনার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ৬৮ জন। অথচ জুন মাসের শুরু থেকে ২১ জুন পর্যন্ত তিন সপ্তাহেই জেলায় ৩৭৩ জনের দেহে করোনা ভাইরানের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন পার করছে সাতক্ষীরা
সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ জানান, শেরপুর এখন` ইয়োলো জোন’ থেকে করোনা সংক্রমণের `অরেঞ্জ জোনে’ রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটা ‘রেড জোনে’ পরিণত হতে পারে।
দামুড়হুদা উপজেলায় ১৪ দিনের লকডাউন
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলায় লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের এ লকডাউন কার্যকর হবে।
সোমবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
আরও পড়ুন: মোংলা পোর্ট পৌরসভায় ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৫ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত পুরো উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এ সময়ে জনসাধারনকে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে জরুরি পরিসেবা ছাড়া সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী ১০ গ্রামে লকডাউন শুরু
ওই উপজেলা এলাকায় যেকোন ধরনের জনসমাগম এড়াতে এবং বিধি নিষেধ প্রতিপালনে নিয়মিত তদারকি করবে প্রশাসন।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দিলারা রহমানে সভাপতিত্বে জরুরি সভায় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালা লকডাউন, করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
এর আগে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় একই উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ১৬টি গ্রাম লকডাউনের আওতায় আনা হয়। সেই লকডাউন চলমান। এর মধ্যে নতুন করে গোটা উপজেলাকে লকডাউনের আওতায় আনা হলো।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ২৭৯ জন। মারা গেছেন ৭১ জন।
নড়াইলে ৭ দিনের লকডাউন
নড়াইলে জেলার তিন পৌর এলাকাসহ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ইউনিয়নগুলোতে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোংলা পোর্ট পৌরসভায় ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ
সভায় জানানো হয়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নড়াইল পৌর, লোহাগড়া পৌর ও কালিয়া পৌর এলাকায় আগামী ৭ দিন এ লকডাউন চলবে। এছাড়া সদর উপজেলার কলোড়া, শিংগাশোলপুর ও বিছালি ইউনিয়নেরও লকডাউন কঠোরভাবে চলবে।
স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্য এবং বিট পুলিশিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা লকডাউনে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী ১০ গ্রামে লকডাউন শুরু
এছাড়া লোহাগড়া উপজেলা প্রশাসন ও কালিয়া উপজেলা প্রশাসন করোনার সংক্রমন বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালা লকডাউন, করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ মাস্ক নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ পুলিশের পক্ষ থেকেও কঠোর অবস্থান নেয়া হবে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন সাছিমা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা তথ্য অফিসার ইব্রাহিম আল-মামুন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা. মশিউর রহমান বাবু, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শওকত কবির, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামূল কবীর টুকু, সমাজ সেবক গোলাম মর্তুজা স্বপন, জেলা বাস ও মিনিবাস মালিত সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরুল হক জহির প্রমুখ।
নাটোরে হাসপাতালে রোগীর চাপ, করোনা আক্রান্তের হার ৬২ শতাংশ
নাটোর সদরসহ পৌর এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনো রয়েছে ৬২ শতাংশের ওপরে।
তবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাবে করোনা সংক্রমণের সার্বিক হার বেড়ে ৫৩ শতাংশে গিয়ে দাড়িয়েছে। অর্থাৎ ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এদিকে স্থান সংকুলান হচ্ছেনা হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: মতলবের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত
সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার রায় জানান, নাটোর সদর হাসপাতালের ৩১ শয্যার করোনা ইউনিটকে ইয়োলো জোন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করে ৩৯ জন রোগীকে সেখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর সিংড়ায় সংক্রমণের হার মাত্র ১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
নাটোরে সংক্রমণের ভয়াবহতা রোধে ৭ দিনের চলমান লকডাউনের তৃতীয় দিনেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণে টহলের পাশাপাশি নাটোর শহরের ১২টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। তবে থামানো যাচ্ছেনা বাজার কেন্দ্রীক মানুষের উপস্থিতি।
আরও পড়ুন: করোনায় রামেকে আরও ১২ জনের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রতিদিন করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত এক বছরের মধ্যে মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা শনাক্ত হয়েছে একদিনে। এদিন ৩০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে ৪৪ প্রাণহানি, শনাক্ত ২৩২২
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন করে ৩০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ (পিসিআর টেস্ট) দিনাজপুর, সিডিসি (জিন এক্সপার্ট টেস্ট), ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা হাসপাতালগুলো (এন্টিজেন টেস্ট) থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১২ জন, বালিয়াডাঙ্গী ৬ জন, রানীশংকৈল ৭ জন, হরিপুর ২ জন এবং পীরগঞ্জ ৩ জন। মোট ১০৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্তের হার ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সুশাসনের ঘাটতি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণকে দীর্ঘায়িত করছে: টিআইবি
মঙ্গলবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নিবাসী ৮০ বছর বয়সী একজন করোনা সংক্রমিত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসাপাতালে মারা যান।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮১২ জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫৮৫ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন ৪১ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: রামেক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু
এদিকে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর পাঠানো হয়েছে।
নাটোরের দুই পৌর এলাকায় ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নাটোর সদর পৌরসভা ও সিংড়া পৌরসভায় বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন।
লকডাউন কার্যকরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে বুধবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় পুলিশ। বন্ধ করে দেয়া হয় সকল সড়ক ও গলিপথ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী ১০ গ্রামে লকডাউন শুরু
৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে ওষুধের দোকান ব্যতীত বন্ধ রয়েছে হোটেল, রেস্তোরাসহ সব ধরনের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জরুরি পণ্যবাহী যান ছাড়া বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ সব ধরনের যান চলাচল। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালা লকডাউন, করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শনাক্ত বিবেচনায় আগের তুলনায় সংক্রমণের হার সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রায় অর্ধেকে নেমে শতকরা ২৬ ভাগে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টা এই হার ছিল ৬২ ভাগ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ, লকডাউন বাড়ছে না
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি, স্থানীয় আম ব্যবসায়ী ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বিবেচনা করে বিশেষ লকডাউন বাড়ছে না। তবে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত ১১ দফার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ১১ দফা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী ১০ গ্রামে লকডাউন শুরু
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ১১ দফা কঠোর বিধিনিধেষ আরোপ করে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরণের দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। তবে হাট বন্ধ থাকবে। আম পরিবহন ব্যতীত সকল আন্তজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে জেলার মধ্যে গনপরিবহন গুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থবিধি মেনে চলাচল করতে পারবে। জনসমাবেশ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ২০ জন মুসল্লি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেন নামাজ আদায় করবেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালা লকডাউন, করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
এসময় সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাকিউল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলায় করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি হওয়ায় গত ২৫ মে বিষেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয় যা সোমবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ছিলো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমছে করোনা সংক্রমণের হার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার কমলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে গেছে বলা যাবে না, এজন্য আরও কয়েকদিন দেখতে হবে।
জাহিদ নজরুল জানান, গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহীর পিসিআর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার সংক্রমণ হার ৫৯ শতাংশ।
সিভিল সার্জন জানান, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই নমুনাগুলো রাশাহীর ল্যাবে পাঠনো হয়েছিল। আর গতকাল শনিবার জেলায় র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে ৪৫৩ জনের, এতে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার শনাক্তের হার ১২ শতাংশ। আর এই দুয়ের গড় সংক্রমণ হার ২৫ শতাংশ।
জেলায় চলমান এক সপ্তাহের লকডাউন আরও বাডানো হবে কিনা তা জেলা করোনা
প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ঈদের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশের উপরে হলে জেলা জুড়ে মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও ৪ মৃত্যু, লকডাউন চলছে
এদিকে, লকডাউনের আজ ষষ্ঠ দিন চলছে। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
শহরে পুলিশের ২৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আজ সকাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। ওষুধ, মুদি দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
খুলনা বিভাগে ঈদের পরে বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত
খুলনায় ঈদের আগের সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে গেলেও পরের সপ্তাহে তা বেড়েছে। মৃত্যুর হার বেড়ে তিনগুণে দাড়িয়েছে যা নিয়ে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
খুলনা বিভাগে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৪ জন। এই নিয়ে বিভাগের ১০ জেলায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ৩২ হাজার ৯৭০ জন। এই সময়ে বিভাগে ৪ জন করোনায় মারা যান। এ নিয়ে মোট মারা যান ৬১৪ জন।
আরও পড়ুন: টিকা পেতে কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় ৪৫ জন, বাগেরহাটে ১ জন, যশোরে ১ জন, ঝিনাইদহে ৭ জন, কুষ্টিয়ায় ২৩ জন, মেহেরপুরে ৪ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১০ জন এবং সাতক্ষীরায় ১৩ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৬ কোটি ৫৮ লাখ ছাড়াল
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঈদের পর গত এক সপ্তাহে ১৫ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ৫৯৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়েছে। এ সময় বিভাগে করোনায় মারা গেছেন ১৬ জন। এর মধ্যে শুধু ২১ মে মারা যায় ১০ জন। ঐ দিনে ঢাকা বিভাগে মারা যায় ৩ জন। আর চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, ঢাকা বিভাগে ৩ জন মারা গেছেন। অথচ ঈদের আগের সপ্তাহে ৮ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত খুলনা বিভাগে করোনায় সংক্রমিত হয় ৪৮৪ জন। ঐ সময় করোনায় মারা যান ৫ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়কারী ডা. মেহেদি নেওয়াজ বলেন, ঈদের পরেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এটা উদ্বেগজনক। এ সংক্রমণ মোকাবিলায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্ধিত আইসিইউ ও শয্যার কার্যক্রম শুরু করতে এক সপ্তাহ লাগবে আমাদের। আশা করা যায় এক সপ্তাহ পরেই চালু করতে পারবো বর্ধিত আইসিইউ ও শয্যা।