সরকার
খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি পরিবারের
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে তার পরিবার।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির বলেন, রবিবার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, বিএনপি প্রধানের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও তার ব্যক্তিগত সচিব আব্দুস সাত্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।
শায়রুল বলেন, আবেদনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়েছেন শামীম ইস্কান্দার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা আবেদনটি গ্রহণ করেছি এবং আইনি মতামতের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, এরপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশসহ আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
এর আগে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ পাঁচবার বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৩ মার্চ।
এর আগে শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যদি খালেদা জিয়ার পরিবার সাজা স্থগিতের আবেদন করেন, তাহলে বিএনপি প্রধানের দুর্নীতির দু’টি মামলার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হবে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে গুলশানে তার বাসভবনে থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না এই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে ছয়মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানহানির ২ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের’ দুর্নীতির মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। এরপর তিনি আরও একটি মামলায় দণ্ডিত হন।
কারাগার থেকে মুক্তির পর ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি প্রধান তার গুলশানের বাসভবন থাকছেন। এরপর বেশ কয়েকবার তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল তার চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
আরও পড়ুন: ফের খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ফখরুলের
খেলাপি ঋণ এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার ‘অর্থনীতির শত্রু’ হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণ-এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়। কারণ ঋণ খেলাপি মামলাজট দেশের অর্থনীতির ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।
শনিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ/সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৪৭তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
তিনি বলন, গত প্রায় সাড়ে ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটেছে। এছাড়া বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে আমাদের অবশ্যই ঋণ খেলাপি মামলাজট খুলতে হবে এবং এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে খেলাপি ঋণ বাড়ার লাগাম টানতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ সংশোধন করে আদালতের বাইরে এডিআর বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মামলার পক্ষগণের অনাগ্রহের কারণে এডিআর পদ্ধতির সফল প্রয়োগ হচ্ছে না। ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে-এডিআর পদ্ধতিকে আরও কার্যকরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপন রোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচারের সঙ্গে সামাজিক অপরাধ, রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা ও নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো নিবিড়ভাবে জড়িত। তাছাড়া ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন ব্যতিত রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায় না।
মামলাজটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, দেশের আদালতগুলোতে দায়েরকৃত সিভিল মামলার অর্ধেকেরও বেশি ভূমি সম্পর্কিত। অনেক ফৌজদারি মামলার মূলেও রয়েছে ভূমি বিরোধ। এসব মামলার বিচার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে ধরা দিতে হয়। এতে যে কেবল তাদের সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে তা নয়, মূল্যবান কর্মঘণ্টাও নষ্ট হচ্ছে। যেসময়ে তাদের উৎপাদনের কাজে থাকার কথা, সেসময় আদালতের বারান্দায় ঘুরেঘুরে বিচার পাওয়ার প্রহর গুণতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
তিনি আশা প্রকাশ করেন বিচারকগণ, বিচারকগণ এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিবেন এবং জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে তাদের বিচার পাওয়ার দুর্ভোগ লাঘব করবেন।
প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারা জীবনের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এমন এক স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গতিশীল বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন-যেখানে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত এবং অসহায় মানুষ স্বল্প খরচে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবে। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন- বিচারক হিসেবে আপনাদের ওপরই নির্ভর করে। এই নির্ভরতা আপনাদেরকে যেমন দায়িত্বশীল করেছে, তেমনি মর্যাদাবানও করে তুলেছে।
তিনি বলেন, আপনাদের দায়িত্ব পালনে আমরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি মাত্র। আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, দক্ষতার সঙ্গে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের দাপ্তরিক সমস্যার যুক্তিসঙ্গত সমাধানসহ পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোটাও অপরিহার্য। আর পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। সেকারণে আমরা দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করে যাচ্ছি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয় এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, তালিকাভূক্ত গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিতে এরই মধ্যে কাজ করছে সরকার।
বুধবার কক্সবাজারে একটি হোটেলে আয়োজিত ইউকে ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংগঠন হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাংলাদেশ দা রোল মডেল ফর ইনক্লুসিভ ডেভলপমেন্ট শীর্ষক অভিজ্ঞতা ও অর্জন বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কয়েক ধাপে তুলে দেয়া হয়েছে দুই লাখের বেশি ঘরের চাবি, বাকী সাত লাখ গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। যা দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নেয়া শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করতে সরকারের পাশাপশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মাণ করা কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় ৩৪৫ টি সেমি পাকা ঘরের চাবি তুলে দেন হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে।
ঘরের চাবি পেয়ে উপস্থিত পরিবারগুলোর মাঝে আনন্দ বিরাজ করে। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনকে। তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তারা।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, জেলার আটটি উপজেলায় অসহায় ও আবাসনে পিছিয়ে পড়া পরিবারের জন্য তৈরি করা হয় ৩৪৫টি ঘর। চারপাশের ইটের দেয়াল আর চালে ব্যবহার করা হয় টিন। রাখা হয়েছে দুটি কক্ষ, বাথরুম ও রান্নাঘরের জন্য আলাদা স্থান।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ দৌজা এবং হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ওবায়দুর রহমান।
এছাড়াও হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন এর সহযোগী এনজিও প্রতিষ্ঠান ইসপা, একতা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থা'র চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মীরা ছাড়াও সমাজের বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করেছে, দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্মম হামলা করছে সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে আমাদের কর্মসূচি চলছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আমাদের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে নির্দয়ভাবে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।
আরও পড়ুন: ঈদ আসলেই আওয়ামী পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে: রিজভী
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবগঠিত কমিটির নেতাদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, হামলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, এমনকি অনেকে চোখ হারিয়েছেন ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে আমাদের তিনজন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক এলাকার নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, তারা কি অপরাধ করেছে? সভা সমাবেশ করা একটি চিরস্থায়ী গণতান্ত্রিক অধিকার।’
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি নিয়ে জিএম কাদের ও রিজভীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা তথ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সারাদেশে বিএনপির মিছিলে বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে। ‘গতকাল নাটোরের লালপুরে আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আপনি প্রতিদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও রক্তক্ষরণের ঘটনা দেখবেন।’
রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকতে মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে তখন তিনি ভারত সফরে গেছেন। ‘কিন্ত আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের অভিন্ন নদীর পানির সুষম বন্টন এবং তিস্তা চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে আর্শীবাদ নিতে ভারত সফরে গেছেন কিনা তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: পুলিশের বিরুদ্ধে রিজভীর মামলার আবেদন খারিজ
২০৩০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার
কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর বর্তমান সংখ্যা ১৭ শতাংশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
একটি সরকারি নথি অনুসারে, সেই লক্ষ্যে সরকার স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিষয় পড়ানোকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং পাঠ্যক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবি-তে বাজেট বরাদ্দ করছে।
এছাড়া দক্ষ আইটি জনবল তৈরির লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ইতোমধ্যে ৩৬ হাজারের বেশি লোককে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) আয়োজিত প্রকল্পটি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার লোককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এবং তাদের বেশিরভাগই দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন আইসিটি কোম্পানি-প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।
উদ্দীপিত বাস্তবতা এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটিসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে নথিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে এবং এ ধরনের ৫৭টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে।
৬৪টি জেলায় এবং ১৬টি ডিজিটাল ভিলেজে শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে যাতে তরুণদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া যায়।
পাশাপাশি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক-চেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ লোক চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এই বিশাল জনশক্তিকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে সঠিকভাবে গড়ে তোলা গেলে তা দেশের জন্য বিরাট সুফল বয়ে আনবে।
তিনি আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্সূচিতে মনোযোগ দেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সরকারি নথি অনুযায়ী, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ১২ বছর আগে ছিল ১ দশমিক শুন্য শতাংশের কম, বর্তমানে এখন ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
কারিগরি শিক্ষার তালিকাভুক্তির হার হল শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিসহ কারিগরি-বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমে নথিভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের শতকরা হার।
২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৪৬ জন শিক্ষার্থী প্রাক-ভোকেশনাল কোর্সে নথিভুক্ত হয়েছে এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৪টি কারিগরি স্কুল ও কলেজের ৯ম শ্রেণির ২০ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিতের সুপারিশ কারিগরি কমিটির
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি কমিটির ৫ সুপারিশ
প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বোরো মৌসুমে ডিজেলে কৃষকদের ভর্তুকি দেয়ার বিষয়টি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম না কমলে ডিজেলেও আমাদের কিছু একটা করতে হবে, যাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে। বর্তমানে ডিজেলের দাম অনেক বেশি। এতে বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। আমরা সারে যেমন ভর্তুকি দেই, তেমনি বোরোতে প্রয়োজনে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়া হবে। সরকার গভীরভাবে এ বিষয়টি বিবেচনা করছে।’
আরও পড়ুন: সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে 'খাদ্য নিরাপত্তায় ভূগর্ভস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের উপর কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন এর সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, অনাবৃষ্টির জন্য আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। এখন বৃষ্টির মৌসুম, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার কথা, কিন্তু হচ্ছে না, এটাই আমাদের জন্যে কনসার্ন। প্রত্যেক দিনই আমরা ভাবছি বৃষ্টি হবে, কিন্তু হচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে হয়তো আমনের উৎপাদন কম হবে। অন্যদিকে আমনের টাকা দিয়ে কৃষকেরা অনেক সময় বোরোতে বিনিয়োগ করে। সার, ডিজেল কিনে ও সেচ খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটায়। কাজেই, বৃষ্টি না হওয়ার জন্য আমন উৎপাদন ব্যাহত হলে কৃষকের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তায় ‘টেকসই সেচ ব্যবস্থাপনা’ গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভূগর্ভস্থ ও ভূউপরিস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছি। একদিকে সেচকাজে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে কাজ চলছে, অন্যদিকে বারিড পাইপ (ভূগর্ভস্থ পাইপ) ব্যবহার করে সেচদক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার নাদরিয়া সিম্পসন। গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিএসআইআরও বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান। এসময় ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেশকিছু মেডিকেল পরীক্ষা শেষে আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন।
বিএনপি মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সব পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করবে।
শায়রুল জানান, বিকাল ৫টার দিকে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, রবিবার রাতে খালেদা জিয়াকে আরও কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করে মেডিকেল বোর্ড।
পড়ুন: ফের খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ফখরুলের
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ র্শীষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তলাবিহীন ও ভিক্ষুকের দেশ খ্যাত বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। উন্নয়নের এই ধারা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের চিহ্নিত করতে অবশ্যই কমিশন হওয়া দরকার। এদের চিহ্নিত করতে না পারলে আবারও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে যেতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর সকলকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, কোন বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, খুনিরা জানতো যে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে শেষ করতে পারলে বাংলাদেশকে হত্যা করা সম্ভব। এছাড়া প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের নৃসংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই রাজাকার ও আইয়ুব খানের মন্ত্রী সভার সদস্যদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। খুনিদের কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটা প্রমাণ করতে রকেট সায়েন্স লাগে না।
এছাড়া ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন না করলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শেষ হতো না। কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। সাতজন বিচারপতি এই মামলার আপিল শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবরকম পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর জীবনটাই ছিল বাংলাদেশের মানুষকে নিজের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করার কাজে। সেজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে সবসময় চরমশত্রু মনে করতো এবং তাঁকে বারবার কারাগারে পাঠায়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য নেন।
আরও পড়ুন: জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
সরকারের পতনই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতনই এখন বিরোধী দলের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার বাস্তবতা হলো ফ্যাসিস্ট একনায়কতান্ত্রিক শাসক আওয়ামী লীগ আমাদের যা ছিল তা সব ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্যই হলো সরকারের পতন ঘটানো।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা বিদ্রোহী কবির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা নজরুলকে নতুনভাবে স্মরণ করি এবং তার চেতনাকে ধারণ করে সামনে অগ্রসর হই। তার মৃত্যুর এই দিনে এটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিৎ।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নজরুলের রাজনীতি-বাংলাদেশের রাজনীতি’ শিরোনামে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুলকে ‘বিশ্বমানবতার কবি’ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তার সকল কবিতা নিপীড়িত মানুষকে জেগে উঠার অনুপ্রেরণা দিত।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান বিএনপির
তিনি বলেন, ‘আজকের এই সময়ে অবিচার, স্বৈরাচার, নির্যাতন ও নিষ্পেষনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষকে উজ্জীবিত করতে কাজী নজরুল ইসলাম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যখন ভোলায় আমার ভাই নূর-এ- আলম গুলিতে নিহত হন, যখন আমার ভাই ইলিয়াস আলী গুম হন এবং আমাদের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হন, যখন দেখি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে তখন আমি নজরুলকে আরও বেশি অনুভব করি।’
আজকে বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে নজরুলকে উপেক্ষা করা দেখে ফখরুল মর্মাহত হওয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তার কবিতা ও রচনাসমূহ বাংলা সাহিত্যর শিক্ষাক্রমে অন্তভুর্ক্ত নাই। আমি নজরুলের গানগুলোকে খুব বেশি বেশি ইলেকট্রনিক চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, পত্রিকাগুলো আর নজরুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মৃত্যুবার্ষিকী বা জন্মদিনে বিশেষ সংখ্যা ছাপায় না। ‘আমি এরকম সংকীর্ণতা। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভুলপথে চালিত করার নির্দেশনা।’
আগামী শনিবার কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হবে।
এরমধ্যে বিদ্রোহী কবির রাজনৈতিক সামাজিক কাজকে মূল্যায়নে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ। তিনি বাংলা ১৩৮৩ সনের ১২ ভাদ্র (২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে) ঢাকায় মারা যান। রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
নজরুল প্রেম, মানবতা, নাস্তিকতা, ধর্মীয় নীতি এবং সকল প্রকার জুলুমের বিরুদ্ধে আধ্যাত্মিক বিদ্রোহের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিএনপির সমাবেশস্থলে আ.লীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান বিএনপির
ইমরান খানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান সরকার
পাকিস্তানের বর্তমান সরকার দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার ইসলামাবাদের একটি আদালত গত সপ্তাহে বিচারক জেবা চৌধুরীকে ইমরান খানের দেয়া মৌখিক হুমকির বিষয়ে অবমাননার মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
চৌধুরীকে অপমান করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কয়েক মাস থেকে ১৪ বছরের জেল হতে পারে, যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সমতুল্য।
শনিবার আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি তাকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেন। ইমরান খান পুলিশ কর্মকর্তাদের ও দেশটির নারী বিচারক জেবা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে চলতি মাসের শুরুতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহবাজ গিলকে প্রথমবার গ্রেপ্তারের পর শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
সমাবেশে তার দেয়া বক্তব্যের জেরে দেশটির কর্তৃপক্ষ খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে, পুলিশ আবারও শাহবাজ গিলের ইসলামাবাদের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার জেরে দেশটিতে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসা ইমরান খান গত এপ্রিল মাসে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।
দেশটির বেসরকারি টিভি চ্যানেল এআরওয়াই টিভিতে একটি শো চলাকালীন তার সাম্প্রতিক সেনা বিরোধী মন্তব্যের জন্য গিলকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে খান অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চক্রান্ত করেছিল।
তবে ওয়াশিংটন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং খানের পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শাহবাজ শরিফের সরকার; সবাই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এছাড়া তার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই খান আগাম নির্বাচনের দাবিও করেছেন এবং ‘জনগণের চাপের’ মাধ্যমে শাহবাজ শরীফের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সর্বশেষ গত শনিবারের সমাবেশে খান ওই নারী বিচারপতির সমালোচনা করে বলেন ‘আপনিও এর জন্য প্রস্তুত হন, আমরাও আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আপনাদের সকলের অবশ্যই লজ্জিত হতে হবে।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে জ্বালানিবাহী ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ২০
খানের হুমকির কারণে শরীফের সরকার তার ওপর অসন্তুষ্ট হয় এবং বিচারককে অপমান করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন।
খান মঙ্গলবার আদালতের শুনানিতে যোগ দেবেন নাকি তার আইনজীবী পাঠাবেন তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান একজন আইনজীবী আহসান ভুন বলেন, ‘কাউকেই বিচারকের অবমাননা বা বিচার বিভাগের সুনাম নষ্ট করার সুযোগ দেয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন:‘ঝাড়ুর লাঠি’তে পতাকা: পাকিস্তানি ‘হাবিব ব্যাংকে’র বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ
‘বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষা নিতে পারে পাকিস্তানের নেতৃত্ব’