সরকার
সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা: বিএনপি
সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আরও বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গতরাতে (শুক্রবার রাত) জ্বালানি তেলের মূল্য একধাপে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা ছাড়া কিছুই নয়।’
শনিবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ভোলা জেলা শাখার ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়।
শনিবার সড়কে গণপরিবহনের কমতির বিষয়টি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কারণ যাতায়াতের ভাড়া বাড়বে; এছাড়া চাল, ডাল, লবণ ও ভোজ্য তেলসহ সকল প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো দেশে এর প্রভাব পড়বে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে জনগণকে সরকার ভুল তথ্য দিয়েছে। কিন্তু রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ায় তারা (সরকার) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
তিনি বলেন, ঋণ মঞ্জুর করার জন্য আইএমএফ কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে। যেখানে বিভিন্ন পণ্য ও খাতে সরকারের ভর্তুকি উঠিয়ে নেয়ার কথাও আছে। তাই সরকার এখন এসব করছে (লোন পাওয়ার জন্য)।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের কিছুটা মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তা অসহনীয় মাত্রায় বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেল, গ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষকে মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলেছে। কাঁচামরিচের দাম এখন ৩০০ টাকা। এধরনের নিপীড়নে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সরকার ‘অতিকায় দানব’ এ পরিণত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই অত্যাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা দেশপ্রেমিকদের এখন একমাত্র দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ
সরকার জ্বালানির দাম বাড়ানোর ফলে শনিবার রাজধানীতে তীব্র পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এদিন সকালে অধিকাংশ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সরকার ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ ও ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকারের এই ঘোষণার পর পরিবহন মালিকরা রাজধানীতে গণপরিবহন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
গুলশান-১ এ অবস্থিত একটি বেসরকারি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত মাসুমা নাসরিন রিমি নামের এক নারী মিরপুর-১২ এর পূরবী বাসস্ট্যান্ডের সামনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি। অবশেষে তিনি অন্য যাত্রীদের সঙ্গে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় মহাখালী ওয়্যারলেস গেট এলাকায় যান।
রিমি বলেন, ‘আমি যে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেছিলাম, তা মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের কারণে বেশিদূর যেতে পারেনি। অবশেষে, রিকশা নিয়ে কিছুদূর এবং হেঁটে কিছুদূর গিয়ে অফিসে পৌঁছলাম।’
বৈশাখী পরিবহনের কর্মচারী হাফিজুর রহমান জানান, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা মহাখালী-গুলশান-১ সড়ক অবরোধ করে।
হাফিজুর বলেন, ‘জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, তবে আমরা যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারি না। কারণ আমরা এখনও এই বিষয়ে কোনও নির্দেশনা পাইনি, যা অগ্রহণযোগ্য। আমরা যাত্রীদের সঙ্গে বিতণ্ডা এড়াতে আমাদের বাস চালাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: চট্টগ্রামে বাস চলাচল বন্ধ
শনিবার সরকারি ছুটির দিন হলেও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণত এই দিনে তাদের অফিস খোলা রাখে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন বাস স্টপেজে প্রাইভেট সার্ভিসধারীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
অনেক অফিসগামীকে বাস না পেয়ে নিজ নিজ অফিসের দিকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে রবিবার কাজের দিন হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়বে।
আ.লীগ নেতারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না: ফখরুল
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ারও সুযোগ পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) বিএনপি নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়ার কথা বলছে। কিন্তু সময় এসেছে তাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়ার। এমনকি আপনারা হারিকেন ধরার এবং পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না।’
সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় বিএনপির এই নেতা মনে করিয়ে দেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী গোতাবায়া পালাতে যেয়ে মালদ্বীপে আছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষ পালাতে দেয় না। আপনাদের সেটা মাথায় রাখা উচিত।’
ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন।
ফাখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে দমন ও অপশাসনে দেশটিকে শ্মশান বানিয়েছে। তিনি এর সাথে যুক্ত করেন যে, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।
আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে দলটির সকল নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার থেকে পর্যায়ক্রমে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন বলে ফখরুল জানিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের নেতৃত্বে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।
পড়ুন: জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করবে সরকার: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, জাকার্তায় বাংলাদেশি মিশনের ডেপুটি চিফ কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে সরকার।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তদন্তে তার সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযাযী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী মাদকের সঙ্গে একজন কূটনীতিকের সম্পৃক্ততার অভিযোগককে ‘বিব্রতকর ও দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
শাহরিয়ার আরও বলেন, ইতোমধ্যে ওই কূটনীতিককে দেশে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প এড়িয়ে চলুন: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সরকারের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
যে কোনো প্রকল্পের প্রভাব ও ফলাফল বিশ্লেষণ করে বাস্তবায়ন করার আহ্বানও জানান তিনি।
রবিবার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব হিসেবে পরিচিত এবং আমরা এটাকে দেশের একটি আইডল সিটিতে পরিণত করতে পারি। সে জন্য চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে তা দেখার প্রয়োজন। যাচাই বাছাই না করে গ্রহণ করা হলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
খাল ও ড্রেনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কেউ কেউ খাল দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং বানিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছেন। কিছু মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ট হতে পারে না,সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এসময় মন্ত্রী সকল খাল দখলমুক্ত করারও নির্দেশ দেন।
আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে আমাদের আগামী প্রজন্ম একটি সমৃদ্ধ ও সুন্দর দেশ পাবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামে একটি বড় সমস্যা। অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশনা অনুযায়ী এই সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।রবিবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তার রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সে কৌশলে তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু রাস্তাঘাট বন্ধ করবে জানমালের ক্ষতি করবে এটা আমরা করতে দেবো না। তারা প্রেসক্লাবে রোজ মিটিং করছে আমরা বাঁধা দিচ্ছি না।তিনি বলেন, ‘তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে সভা বা প্রচার করবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখনই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বা জানমালে আঘাত করবে, সেখানে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চুপ থাকবে না; তাদের কাজ তারা করবে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ আন্দোলনে নামবে কিনা এটা জনগণের ওপর। জনগণ নামলে তো নামবে। তার এটা নিশ্চিত যে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আলোকিত হচ্ছে, সেখানে এদেশের মানুষ আর কখনই অন্ধকারে ফিরে যাবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সভায় ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হবে। ধানমন্ডি লেকেও নৌপুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। ওই এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপির নির্দেশনায় হবে। বিদেশি মিশনের কূটনীতিবিদরা ধানমন্ডি ও বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য যাওয়া আসার জন্য তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শ্রদ্ধা নিবদেনস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোপালগঞ্জে জাতির পিতার সমাধিতে সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা থাকবে। সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সারাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। কেউ যাতে কোনো রকমের নাশকতা না করতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে, যতগুলো নাশকতা হয়েছে এই ১৫ আগস্টের পরে। ২১ আগস্ট নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই বা ১৭ আগস্টের কথাও নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই। সেটা মাথায় রেখে যাতে এ ধরনের নাশকতা না হয় আমাদের গোয়েন্দারা সেই দিকে নজর রাখবে।অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে। কেউ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে এ জন্য আমরা লক্ষ্য রাখবো। এ ব্যাপারে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো যাতে কোনো প্রচেষ্টা ফলপ্রসু না হয়।’তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগ রুলস যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। যারা পতাকা উড়াবেন তাদের নিয়ম মেনে উড়াবেন এবং যথাসময়েই নামাবেন। সব অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে আমরা অনুরোধ করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।’
আরও পড়ুন: মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দেশবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এখন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখন কেন লোডশেডিং হচ্ছে? এর পেছনের কারণ হলো মেগা দুর্নীতি ও চুরি।’
এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি অভিযোগ করেন যে সরকার কুইক-রেন্টাল এবং অন্যান্য পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে এই জাতীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার পর থেকে ১০টি কোম্পানিকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে যদিও তারা কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
ফখরুল বলেন, অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। ‘এটি আরেকটি প্রতারণা ও ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। এটি আরেকটি প্রতারণা এবং ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার দেশের পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দামী স্যুট পরে সুন্দরভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যা করছে, তা অতীতে কখনো হয়নি। কিন্তু আপনি তো পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।’
শনিবার চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ‘আমরা দেখেছি যে গতকাল মাইক্রোবাসে করে ১১ জন শিক্ষার্থী যাচ্ছিল, ট্রেন সবাইকে হত্যা করেছে। এমন অসংখ্য নজির আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি।’
সরকার দেশের জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নকে নস্যাৎ করছে বলে এসময় অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার চুরি, ডাকাতি ও লোভের কারণে গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করেছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন,‘বাংলা সাহিত্যে একটি কথা আছে যে রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট হয়, কিন্তু জনগণ কষ্ট পায়।আমরা যে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী।’
তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের এক দফা দাবিতে ‘দানব’ ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারকে উৎখাতের শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্ব বিএনপির। জনগণের আন্দোলনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে অবশ্যই সকল সমস্যার সমাধান করে এদেশকে সত্যিকারের জনগণের রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন, শুধু মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার সদ্য প্রকাশিত '৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২'-এ দেশে জনসংখ্যা কম দেখিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য (প্রকৃত চিত্রের চেয়ে) জনসংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। আমরা সাধারণত আমাদের দেশে ১৮ কোটি লোক গণনা করি। কিন্তু জনসংখ্যা ১৬ কোটি গণনা করা হলে মাথাপিছু আয় আরও অনেক বেশি দেখানো সহজ হবে।’
দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুমারির প্রাথমিক ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন আদমশুমারির হিসাব সঠিক না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হয়নি।
এর আগে বুধবার ষষ্ঠ আদমশুমারির অস্থায়ী তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যা হল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬, আগের ১.৩৭ শতাংশের জায়গায় ১.২২ শতাংশ বৃদ্ধির হার।
ফখরুল বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ি থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয় জনগণনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে।
কিন্তু সরকার ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করছে। পুরো সরকারই প্রতারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া সরকার।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, সরকার গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করায় দেশ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। ‘নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রধান পথ বা প্রবেশদ্বার। সারা দেশের মানুষ এখন জোর গলায় বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
ফখরুল বলেন, ‘এমনকি নির্বাচন কমিশন বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, বড় দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে, সরকার জনগণের চাহিদাকে বাইপাস করে বিষয়টিকে অন্য দিকে মোড় নেয়ার কৌশল গ্রহণ শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে আয়ের চেয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি খরচ করেছে বিএনপি
বিদ্যুৎ বিভ্রাট: ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
চলমান জ্বালানি সংকটের মধ্যে সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য কিছু কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, সারা দেশে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রয়েছে; যার কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি আরও বাড়ছে।
জেলার পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ জেলার বাসিন্দাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে এমন ব্যাপক লোডশেডিংয়ের জন্য কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা একটি শীর্ষস্থানীয় কারণ বলে মনে করছে তারা।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার তথ্যমতে, পৌরসভায় নিবন্ধিত ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা দুই হাজার ৪০০ হলেও বাস্তবে এ ধরনের প্রায় চার হাজার রিকশা রাস্তায় চলাচল করছে।
এতে বলা হয়েছে, এই যানবাহনগুলো প্রতিদিন গড়ে ৩৩ হাজার ইউনিট এবং প্রতি মাসে ৯লাখ ৯০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।
এতে আরও বলা হয়, একটি পরিবার প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার মানে মোট তিন হাজার ৩০০ পরিবার এই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারে; যা ব্যাটারি চালিত রিকশা চার্জ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চার্জার স্টেশনের মালিকরা জানান, রিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে তারা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা নেন। এছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশার চালককে দৈনিক ৩০০ টাকা দিতে হয় মালিককে।
তারা আরও জানান,‘একটি সম্পূর্ণ চার্জযুক্ত ব্যাটারি চালিত রিকশা ২০০ কিলোমিটার যেতে পারে। কখনও কখনও দীর্ঘ দূরত্ব চালানোর জন্য বিকালের মধ্যে চার্জ কমে যায়। ’
জেলার ইজিবাইক চালক মো. কালাম বলেন, এই ধরনের রিকশার একজন চালক প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করেন।
ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, চার্জিং স্টেশনের জন্য আলাদা বিদ্যুতের দর রয়েছে। ‘ব্যাটারি চালিত রিকশা চার্জ করার জন্য ফ্ল্যাট রেট ৭ টাকা ৬৪ পয়সা, অফ পিক রেট ৬টাকা ৮৮ পয়সা এবং পিক রেট ৯ টাকা ৫৫ পয়সা।
মামুনুর বলেন, যারা ডবল ট্যারিফ মিটার ব্যবহার করেন তারা পিক এবং অফ পিক রেট অনুযায়ী তাদের বিল পরিশোধ করেন; আর যাদের একক ট্যারিফ মিটার, তারা ফ্ল্যাট রেট হারে তাদের বিল পরিশোধ করে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রভাবিত করে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় দৈনিক দুই ঘণ্টা লোডশেডিং এর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পরে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সংশোধিত সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘এলাকা অনুযায়ী, আমরা সারা দেশে প্রতিদিন এক ঘণ্টার লোডশেডিং শুরু করব। প্রয়োজন হলে, সিদ্ধান্তটি এক সপ্তাহ পরে পুনর্বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার দেশে মোট ১৯১৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লোডশেডিং অধিকাংশ বিতরণ সংস্থার
সরকার রাত ৮ টার মধ্যে শপিং মল বন্ধ, এয়ার কুলারের সীমাবদ্ধ ব্যবহার সহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। এছাড়া অফিসের সময় সীমিত করার এবং সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার পরিকল্পনাও চলছে।