সরকার
তারেকের বিরুদ্ধে রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব্ সবই করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব যথা সময়ে সরকার সবই করবে।
তিনি বলেন, 'প্রত্যেক দণ্ডিত ব্যক্তির রায় কার্যকর নিশ্চিত করতে চায় আমাদের সরকার। তারেক রহমানের ইস্যুতে সরকার উপযুক্ত সময়ে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আদালতের রায় বাস্তবায়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
আদালতের রায় কার্যকর করতে সরকার বিএনপির দণ্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তবে সবকিছুই নির্ভর করছে যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর ওয়াশিংটনে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘তিনি সেখানে (যুক্তরাজ্য) আছেন। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে ফিরিয়ে এনে তাদের সাজা কার্যকর করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে এখন বিষয়টি পুরোপুরি ব্রিটিশ সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তারা কি তাকে সেখানে রাখবে নাকি শাস্তি কার্যকর করতে দেবে? এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, অস্ত্র চোরাচালান, দুর্নীতি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারিবারিক পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে অনেকে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, এই প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন: ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি স্বীকার করেন, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করছেন এমন অনেকে আছেন।
সুপেয় পানি নিশ্চিতে এনজিও’র সঙ্গে কাজ করবে সরকার: সাবের হোসেন
পানি সম্পদ রক্ষা এবং সবার জন্য পানির অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সংশ্লিষ্ট এনজিও’র সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে আমরা পানির সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। সবার জন্য পানি নিশ্চিতে এবং সুরক্ষিত বিশ্বের জন্য আমাদের সবাইকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে ‘ওয়াটার, রিভারস, অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ ক্রিয়েটিং স্পেস ফর রেজিলেন্স’ প্রতিপাদ্যে অ্যাকশনএইড আয়োজিত নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সুপেয় পানির সংকট একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কিন্তু এটি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে হবে। সরকার এজন্য পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সমাজের সব শ্রেণির ব্যক্তিদের একযোগে কাজ করে প্রত্যেকের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি যাতে পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণদের নদী রক্ষা ও পানির অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেরা কাজ করব: সাবের হোসেন চৌধুরী
পানি সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
'জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতির মোকাবিলা' শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত’ নিযুক্ত
এলএনজি, সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) প্রথম বৈঠকে বেশ কয়েকটি পাইকারি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজির এলএনজি কার্গো আমদানি করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা।
কমিটি সার আমদানির জন্য আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে
এর মধ্যে চারটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চারটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করবে।
বিএডিসি সৌদি আরবের মা’দেন থেকে ২৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকায় প্রতি টন ৫৮৯ ডলারে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার, মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ১১২ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় প্রতি টন ৩৮৬ ডলার মূল্যে, মরক্কোর একই কোম্পানি থেকে ২৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকায় আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার প্রতি টন ৫৪৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে এবং রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন প্রোডিনটর্গ থেকে ৩০ হাজার এমওপি সার প্রতি টন ৩০২ ডলার দরে ৯৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় আমদানি করবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক চারটি প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) মোট ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
এর মধ্যে কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া ১০৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় এবং প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলারে ইউরিয়া আমদানি করা হবে। কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় প্রতি মেট্রিক টন ৩১৬ দশমিক ৬২ ডলারে আমদানি করা হবে। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১০৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় ৩০ হাজার বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ ডলার এবং একই সৌদি কোম্পানি থেকে ১০২ কোটি ৪২ লাখ ডলার দরে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক উত্থাপিত তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজি ১০১ টাকা ১৩ পয়সায় ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকায়এসব ডাল কেনা হবে। এ ছাড়া আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন বগুড়ার রায় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ঢাকার নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড থেকে প্রতি কেজি ১০৫ দশমিক ৪৫ টাকা দরে ১০৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকায় কেনা হবে। মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল; (২) মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেড ও আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় প্রতি লিটার মূল্য ১৫৮ টাকা দরে কেনা হবে।
টিসিবি খোলাবাজারে বিক্রয়ের মাধ্যমে ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: ঈশা খাঁ'র জঙ্গলবাড়ি দুর্গ ভ্রমণ গাইড, আনুষঙ্গিক খরচ
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর বর্তমান সরকারের অধীনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সিদ্ধান্ত জানান।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনোই শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে না। তাই তার অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি এখনো সেই সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার এবং দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি কী করবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘আমরা বলছি, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমরা এখনও শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি, কারণ তার অধীনে কখনো কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা শুরু এবং মার্চে রোজার মাস বিবেচনায় নিয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ জানে কীভাবে শেখ হাসিনার অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের ফলাফল ও প্রকৃতি কী ছিল।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেও প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোনোভাবেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, তিনি যে বক্তব্যই দিন না কেন। তিনি জনগণের ক্ষমতায়, জনগণের ইচ্ছায় বিশ্বাস করেন না।’
তিনি বলেন, সরকার তার প্রভুদের সমর্থন নিয়ে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী একটি অদ্ভুত ও প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনা করেছে, কারণ তারা গণতন্ত্র ও জনমতের তোয়াক্কা করে না।
আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা যদি এরকম চিঠি দেন, তাহলে এটা সরকারকে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ করতে বলা: হাছান মাহমুদ
মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা যদি এরকম চিঠি দেন, তাহলে এটা সরকারকে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ করতে বলা: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মীদের দায়ের করা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার আদালতকে নির্দেশ দিতে পারে না। ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলতে চাই, সরকার এ মামলায় কোনো পক্ষ নয়। তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মচারীরা এ মামলা করেছে।’
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয়, দেশের নাগরিক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন বিএনপির মাথা খারাপ করে দিচ্ছে: হাছান মাহমুদ
এর আগে ড. ইউনূস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের একটি চিঠির বিষয়ে একজন টিভি সাংবাদিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা এ ধরনের কোনো চিঠি লিখে থাকলে তারা সরকারকে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করতে বলছেন। সরকার কি তা করতে পারে? এটা কি যৌক্তিক?’
তবে ইউএনবি স্বাধীনভাবে চিঠির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, আপনি বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে: হাছান মাহমুদ
আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দুকের জোরে’ সরকারের ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণ তাদের সঙ্গে না থাকায় এই সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। সরকার নিজেও জানে না কখন তারা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
বন্দুকের জোর জনগণের ঐক্য ও ন্যায়বিচারের শক্তির সামনে দাঁড়াতে পারে না উল্লেখ করে তিনি সরকারকে গণতন্ত্রের পথে এসে নতুন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
ড. মঈন বলেন, ‘তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না। গুলি, বন্দুক ও কাঁদানে গ্যাস দিয়ে জনগণকে পরাজিত করা যায়। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যা বিশ্বের সব গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া বর্তমান সরকার ক্ষমতা দখল করায় গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্বীকার করেছে বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। তারা বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তাদের এ প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নতুন বাকশাল নির্মূলে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রীয় দর্শন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে না, তারা একদলীয় শাসন ও লগি-বইঠার রাজনীতি করে। তারা দেশের সব প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে রেখেছে। তারা সংবিধানের কথা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’
তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শিক্ষকসহ সব পেশাজীবীদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র না থাকলে কেউ বসে থাকতে পারে না। আমরা নতুন বাকশাল-২ প্রথার অবসান চাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার চায় এ দেশে কেউ তাদের সমালোচনা না করুক, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলুক, কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতার লিপ্সায় অন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণসহ একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সরকারের বিরুদ্ধে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছি। কিন্তু হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমরা যদি কালো পতাকা মিছিল করি, তাহলে ২৮ অক্টোবরের মতো আবারও আমাদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হবে।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো ‘ভিত্তি’ ও জনসমর্থন নেই বলেই যেকোনো মুহূর্তে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কৃত্রিম উপস্থিতি দেখাতে চায়: মঈন খান
আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, অনেকে তাকে প্রশ্ন করেন এমন একটি নির্বাচন করার পর এই সরকার আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে কি না।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলতে চাই- ১৯৯০ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার একদিন আগেও এরশাদ সরকার জানত না তাদের এভাবে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, জনগণই একটি দেশের সরকারের ভিত্তি। এই ভিত আস্তে আস্তে সরে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ এখন শূন্যতার উপর দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার চলে যেতে বাধ্য হবে।
ড. মঈন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল করতে দেশবাসী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের একটা কথা বলতে চাই- হ্যাঁ, আমরা রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরও দিতে হবে। আমরা রাজপথে আন্দোলন করছি এবং আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। তবে এই আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে তারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারোর স্বীকৃতি পেতে মরিয়া হয়ে আছে- এমন ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, কারো স্বীকৃতির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দল বিএনপির আচরণেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন বিএনপি হতাশা ও ঘৃণায় জ্বলছে, কারণ তাদের দল নির্বাচন বর্জন করার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এখন তারা ঈর্ষান্বিত।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ স্বপ্রণোদিতভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা করছে।’ বিক্ষোভের বিষয়ে বিএনপির আচরণের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিবাদের নামে সহিংসতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও কাদের বলেন, 'বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন অস্পষ্ট এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের এই কর্মকাণ্ডকে আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে দুর্বল করার চেষ্টা বলে মনে করি।’
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অধিকার আছে। তবে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা বিশৃঙ্খলা করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকার একটি কার্যকর কাঠামো বিবেচনা করছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক্সের (টুইটার) এক পোস্টে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'যারা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ায় তাদের কীভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় তার একটি কাঠামো বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, অপপ্রচার রোধে মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করছে সরকার।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমসহ আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে মার্কিন বিশ্লেষক যা বললেন
গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি উদারতা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে জাতিসংঘ গভীরভাবে মূল্য দেয়।
জাতিসংঘ প্রধান বলেছেন, 'আমি গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপে আপনার অংশগ্রহণের প্রশংসা করছি এবং বিশ্বাস করি যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনসহ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আমি আপনার সমর্থনের উপর নির্ভর করা অব্যাহত রাখতে পারি।’
আরও পড়ুন:ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী