কিশোরী
চাঁদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ১৬ বছর বয়সী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তাদের আদালতে চালান দেয়া হয়। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে চাঁদপুর কারাগারে পাঠায় থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন - উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাস (২৪), মমিন (৩২), মামুন (৩০) ও মো. মিজান (৪৫)।
এ খবর নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়ের সৈয়দ জানান, সোমবার দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর গন্ধ্যর্বপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাস লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রাম থেকে এক কিশোরীকে তার গ্রামে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
গন্ধর্ব্যপুর ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদ হীরা বলেন, একজন হিন্দু ছেলে মুসলিম মেয়েকে নিয়ে এলাকায় আসায় একে অপরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয় কিছু যুবক মিলে রাতভর ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনায় বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই কিশোরী।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ওসি জুবায়ের ইউএনবি কে বলেন, কিশোরীর ভাষ্যমতে তাকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় কিছু যুবক। পরে সে রাতভর ধর্ষণের শিকার হয়। ওই কিশোরীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলেও ওসি জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
সীতাকুণ্ডে মহাসড়কে ট্রাক উল্টে কিশোরীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক উল্টে পড়ে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মহাসড়কের বাইপাস এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত প্রিয়া রানী ঋষি (১৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং এলাকার বাসিন্দা। তিনি সীতাকুণ্ড রেলস্টেশন এলাকায় জনৈক মফিজের বাসায় মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন এবং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে একটি জুতা তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানান, রাতে কারখানায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বাইপাস এলাকায় চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় ঢাকামুখী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে তার নীচে চাপা পড়ে প্রিয়া রানী ঋষিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১
যশোরে ট্রাকের চাপায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ২
রাজধানীতে খারাপ ফলাফলে কিশোরীর আত্মহত্যা!
রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় বার্ষিক পরীক্ষায় খারাপ ফলাফলের কারণে সোমবার দশতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে এক কিশোরীর আত্মহত্যা করেছে।
নিহত ফারজানা আক্তার মৌ (১৪) সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও আবু মুসার মেয়ে। তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকার মৌচাক এলাকায় থাকতেন।
শাহজাহানপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. নাজমুল হক বলেন, তার পরিবার জানিয়েছে যে তিনি তিনটি বিষয়ে খুব খারাপ ফলাফল করায় হতাশা থেকে দুপুর দেড়টার দিকে তার অ্যাপার্টমেন্টের ছাদ থেকে লাফ দেন।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এএসআই।
আরও পড়ুন: ফারদিন আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে: বাবার দাবি
অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।
আসামিরা হলো-গঙ্গাচড়া উপজেলার নরসিংহ মর্ণেয়া গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আবুজার রহমান (২৮), মো. হান্নানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৭), মতিয়ার রহমান মুন্সির ছেলে নাজির হোসেন (৩২), আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (২৯) এবং আমিনুর রহমান (২৯)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ডাকাতি মামলা ৪ আসামিকে ৬ বছর করে কারাদণ্ড
তাদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পলাতক।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রধান অভিযুক্ত আবুজার রহমানের সঙ্গে শাহীনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে অস্বীকৃতি জানায় আবুজার। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১৪ মে আইয়ুব আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে লালমনিরহাটে একটি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। এসময় বাড়িতে শাহীনা ও তার ১২ বছর বয়সী ভাগ্নি শান্তনা বাড়িতে ছিলেন।
বিষয়টি জানাজানির ভয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত আবুজার রহমান তার অপর সহযোগিদের নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহীনার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে এনে পাশ্ববর্তী একটি ধইঞ্চা খেতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করেন।
ওইদিন রাতে আইয়ুব আলী বাড়িতে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর নেন। পরদিন সকালে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ধইঞ্চা খেত থেকে শাহীনার লাশ উদ্ধার করেন আইয়ুব আলী।
পরবর্তীতে শান্তনা ও তার স্ত্রীর মুখে বিস্তারিত শুনে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আইয়ুব আলী।
প্রায় সাত বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত পাঁচ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বান্দরবানে আটকে থাকা লিফট থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাট বাড়ির লিফট থেকে সাবেকুর নাহার (১৩) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া একই সময় লিফটে আটকে থাকা নুরুল ইসলাম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দারোয়ানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় এ উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
বান্দরবান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মির্জা এরশাদ বলেন, নিহত সাবেকুর নাহার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। বুধবার থেকে সে নিখোঁজ ছিল বলে গৃহকর্ত্রী সাথী জানায়।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ঠিকানা বিহীন গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
এদিকে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ওমর ফারুক রুবেল জানান, লিফটটি ফ্ল্যাট বাড়ির বাসিন্দারা ব্যবহার করতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে দারোয়ান লিফট চালু করলে ওপর থেকে এক কিশোরী লিফটের ওপরে পড়ে এবং তৃতীয় তলায় গিয়ে লিফটি আটকে যায়। পরে দারোয়ানের ফোন পেয়ে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, দুপুরে লিফটে মানুষ আটকে আছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ভাবে ফায়ারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করে। এরপর প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টার পর দেয়াল কেটে লিফটের ওপর থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়।
পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. লুৎফুর রহমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কমলাপুরে ট্রেনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আন্তজেলা ট্রেনের বগিতে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ভোরে এ ঘটনায় পাঁচ যুবককে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ বলেছেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজন ঢাকার আদালতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তবে ঘটনার পর থেকে ইমরান নামে আরেক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের শিশুধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলো-নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০), নাইম (২৫), সুমন (২১) ও রুমান ওরফে কালু (২২)।
১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নেত্রকোণার একটি গ্রাম থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি আন্তজেলা ট্রেনে করে কমলাপুর থানায় পৌঁছায়।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ জানান, বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর গ্রামের বাড়ি ছেড়ে সে ঢাকায় আসে।
তার কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য না থাকায় প্ল্যাটফর্ম নং-২ এ অপেক্ষা করছিল। পলাতক ইমরান তার সঙ্গে কথোপকথন শুরু করে এবং তাকে প্ল্যাটফর্ম নং-১ এর একটি ট্রেনের বগির ভিতরে থাকতে বলে যে এটি তার জন্য নিরাপদ হবে।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইমরানসহ চার থেকে পাঁচজন মিলে বগিতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। রেলওয়ের একজন নিরাপত্তারক্ষী বগির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সকালে নিরাপত্তারক্ষী মেয়েটিকে উদ্ধার করে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে ভুক্তভোগীর দেয়া বিবরণে থানা এলাকা থেকে ওই পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা করেছে।
শনিবার বিকালে গ্রেপ্তার পাঁচ যুবককে ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদের মধ্যে নাইম ও সুমন নামে দুজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ওসি।
অভিযুক্তদের সবাইকে জেলে পাঠানো হয়েছে, পুলিশ এখনও পলাতক ইমরানকে খুঁজছে।
আরও পড়ুন: ভিডিও ধারণ করে গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ, থানায় মামলা
মাদারীপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
আড়াই বছর আগে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন-সোহেল বেপারী (৩৮), রানা বেপারী (৩২) ও আকতার আলী (৩৮)। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়ছে। অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
সজল নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, রাজধানীর কদমতলী থানাধীন নোয়াখালী পট্টিস্থ গেসুর বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রাজ্জাক মাদবরের বাড়িতে আসামি ও দুই ভিকটিম পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন।
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে আসামিরা সুযোগ বুঝে ভাড়া থাকা দুই ভুক্তভোগীর বাসার দরজায় নক করেন। বাসার দরজা খুললে আসামিরা বাসায় ঢুকে দরজা লাগিয়ে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
ওই ঘটনায় ওই দুই তরুণী থানায় হাজির হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে।
২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!
লিঙ্গ অসমতা ও সামাজিক বিধিনিষেধ জয় করা কিশোরীদের গল্প নিয়ে ‘ইচ্ছে ডানা’
লিঙ্গভিত্তিক প্রচলিত ধ্যানধারণা ও সামাজিক বিধিনিষেধ জয় করা বাংলাদেশি কিশোরীদের একটি ফুটবল দলকে নিয়ে নির্মিত বহু-প্রত্যাশিত সিরিজ নাটক ‘ইচ্ছে ডানা’ আবারও ছোট পর্দায় ফিরছে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে।
নাটকটির তৃতীয় সিজনে তানজিলা, মেয়েদের নিয়ে গঠিত তার ফুটবল দল এবং তাদের কমিউনিটির গল্প থাকছে। যেখানে বাল্য বিয়ে এড়াতে এবং নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে তাদের নিজেদের পথ তৈরি করে নিতে দেখা যাবে। ‘ইচ্ছে ডানা’ নাটকটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়ে ও নারীদের সমাজে অবদান রাখার মতো অনেক কিছু আছে। তা সত্ত্বেও বৈষম্য ও সমাজের ক্ষতিকর চর্চার কারণে তারা পিছিয়ে পড়ছে। ইচ্ছে ডানা সমাজের ইতিবাচক চর্চাগুলোকে তুলে ধরে এবং কিশোরী মেয়েদের উন্নতি করতে এবং তাদেরকে জীবনে পূর্ণ অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করা এবং লিঙ্গ সমতা বাস্তবে পরিণত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ইচ্ছে ডানায় কাল্পনিক গ্রাম হাতমাথালির কিশোরী মেয়েরা বাল্যবিয়ের চাপ কাটিয়ে ওঠে, যৌন হয়রানির মোকাবিলা করে এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে তাদের মাসিক ব্যবস্থাপনার উপায় খুঁজে বের করে।
আরও পড়ুন:ফের আলেচনায় ব্রিটিশ রাজা চার্লসকে পদ্মিনীর চুমু
তৃতীয় সিজনের গল্পে মানসিক স্বাস্থ্য, উৎপীড়ন বা হয়রানিমূলক আচরণ এবং কিশোর-কিশোরীদের ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবকে তুলে ধরা হয়েছে।
সিরিজটি মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে এমন নীতিমালার বিষয়ে কথা বলতে তাদের উৎসাহিত করার গুরুত্বও তুলে ধরে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক মেয়ে ও নারী নেতিবাচক সামাজিক রীতিনীতির কারণে বৈষম্য, নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়। তবে পরিবর্তন সম্ভব। ইচ্ছে ডানা হল মেয়েরা যা অর্জন করতে পারে তার একটি উদযাপন এবং লিঙ্গ সমতার লড়াইয়ে যোগদানের জন্য প্রত্যেকের প্রতি একটি আহ্বান।’
বাংলাদেশের মেয়েরা তাদের মধ্যে থাকা সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়। এদেশের ৫১ শতাংশ নারীর বিয়ে হয়ে যায় তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। বিবাহিত মেয়েদের স্কুলে না যাওয়ার আশঙ্কা অবিবাহিত মেয়েদের তুলনায় চারগুণ, যা তাদের স্বাস্থ্য, সার্বিক মঙ্গল, শিক্ষা ও কর্মজীবনের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শিশু বধূরা ঘরে সহিংসতার শিকার হওয়ার অধিক ঝুঁকিতে থাকে এবং তাদের সন্তানদের ভালভাবে বেড়ে ওঠার সম্ভাবনাও কমে যায়।
তানজিলা চরিত্রে অভিনয়কারী অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা যাতে নিজেরদের সঙ্গে সহজে মেলাতে পারে এমন একটি ইতিবাচক রোল মডেল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তানজিলা দেখায় যে পরিবর্তন আনা সম্ভব এবং প্রতিকূলতা কাটিয়ে সম্মান ও সমমর্যাদা আদায় করা সম্ভব, বিশেষ করে যদি আমরা একত্রিত হই এবং একে অপরকে সমর্থন করি ও উৎসাহ দেই।’
চার্জারের ভূমিকায় অভিনয়কারী আরোশ খান বলেন, ‘মেয়ে ও ছেলেদের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয় বা আমাদের যে সুযোগ দেয়া হয়, তাতে কোনও পার্থক্য থাকা উচিত নয়। ইচ্ছে ডানা দেখায় যে, মেয়েদের ক্ষমতায়ন ছেলেদের জন্যও ভালো–পরস্পরকে সহায়তা করার মাধ্যমে আমরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে মিত্রে পরিণত হই।’
আরও পড়ুন:ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে ৯০ শতাংশ বিদেশি শিল্পীই ‘অবৈধ অভিবাসী’
মা হচ্ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি
খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনার খালিশপুরে কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
এ সময় দুই আসামি উপস্থিত থাকলেও তিনজন পলাতক রয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলী আকবর ওরফে হৃদয়, মেহেদী হাসান ওরফে ইবু, সোহেল (পলতক), আব্দুল্লাহ (পলাতক), মোহন (পলাতক)।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিম ১ নং ক্ষ্যামা বিহারী ক্যাম্পের একটি টিউবওয়েলে হাত মুখ ধুচ্ছিল। এ সময় একই ক্যাম্পের মো. মোহন খাবার কিনে দেয়ার কথা বলে শিয়া মসজিদের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষারত মো. আলী আকবর তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চরেরহাট বাবুল কাউন্সিলরের ভেড়িবাধ কলা বাগানে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
এ সময় উপস্থিত অন্য আসামিরা ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সাড়ে ৯টায় আসামি আলী আকবর ১ নং ক্ষ্যামা বিহারী কলোনীর পাশে আরাবিয়া মসজিদের সামনে রাস্তার ওপর ফেলে যায়। এ সময় আসামি আলী আকবর কিশোরীকে ঘটনাটি কাউকে না জানানো জন্য হুমকি দেয়। কিশোরী বাড়ি এসে মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। পরবর্তীতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেন।
একই বছরের ২০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী রেজাউল করিম পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন আদালতে ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, কিশোরী বাংলাদেশে আটকে থাকা পাকিস্তানি বিহারীর ক্যাম্পের একজন সদস্যের মেয়ে। একটি ঐতিহাসিক রায় হয়েছে। উচ্চ আদালত যেন নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রাখে সেই প্রত্যাশা করি।
বহাল থাকলে দেশে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ইনস্টাগ্রাম: আইরিশ সংস্থার কিশোরদের তথ্য অপব্যবহারে বড় আকারের জরিমানা
আইরিশ এক নিয়ন্ত্রক সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামকে বড় আকারের জরিমানা করেছে। তদন্ত করে সংস্থাটি জানতে পারে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর তথ্য গোপনীয়তা নিয়ম লঙ্ঘন করে মাধ্যমটি কিশোর-কিশোরীদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করেছে।
আয়ারল্যান্ডের ডেটা সুরক্ষা কমিশন সোমবার ই-মেইলের মাধ্যমে বলেছে, কোম্পানিটিকে ৪০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো জরিমানা করার জন্য গত সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ বিবরণ আগামী সপ্তাহের আগে প্রকাশ করা হবে না।
লুক্সেমবার্গের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত বছর অ্যামাজনকে ৭৪ কোটি ৬০ লাখ ইউরো জরিমানা করার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর গোপনীয়তা নিয়মের অধীনে জারি করা বর্তমান জরিমানাটি দ্বিতীয় বৃহত্তম।
ইনস্টাগ্রামের প্রধান কোম্পানি মেটা বলেছে যে যেহেতু তদন্তটির সাথে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জড়িত ছিল তাই ‘এই জরিমানা কীভাবে গণনা করা হয়েছে তার সাথে আমরা একমত নই এবং এর বিরুদ্ধে আমরা আপিল করতে চাই।’
আইরিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্ত ই-মেইল ঠিকানা এবং ফোন নম্বরসহ ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বিবরণ কীভাবে ইনস্টাগ্রাম প্রদর্শন করে তার ওপর কেন্দ্র করে করা হয়। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের সর্বনিম্ন বয়স ১৩ বছর।
একজন ডেটা বিজ্ঞানীর ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টকে বিজনেস অ্যাকাউন্টে পরিবর্তিত করছে বিষয়টি নজরে আসে। তিনি দেখতে পান, এই ব্যবহারকারীদের যোগাযোগ তথ্য তাদের প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা আপাতদৃষ্টিতে তাদের প্রোফাইলে কতগুলো লাইক পড়েছে তা দেখার জন্য এমনটা করে থাকতে পারে। তবে পূর্বেই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ইনস্টাগ্রাম এই সেবাটি কিছু দেশে বন্ধ করে দিয়েছে।
ইনস্টাগ্রাম বলেছে যে তদন্তটি এক বছরেরও বেশি আগে হালনাগাদ করা পুরানো সেটিংসের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এবং এরপর থেকে মাধ্যমটিতে কিশোর-কিশোরীদের জন্য বেশকিছু গোপনীয়তার সেবা চালু করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে- অ্যাকাউন্ট খোলার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের সেটিং প্রাইভেট অপশনে থাকবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ‘আমরা সাবধানে বাকি সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেটা গোপনীয়তা নিয়মের অধীনে আইরিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নিয়ন্ত্রক। যাদের ইউরোপীয় সদর দপ্তর ডাবলিনে অবস্থিত।
গত বছর সংস্থাটি হোয়াটসঅ্যাপকে ২২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে। অন্যান্য মেটা কোম্পানির সাথে ব্যবহারকারীদের তথ্য ভাগাভাগি করায় স্বচ্ছতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক