কিশোরী
চট্টগ্রাম থেকে পাচার হওয়া কিশোরী ঢাকায় উদ্ধার, আটক ৩
চট্টগ্রাম থেকে পাচার হওয়া এক কিশোরীকে ঢাকার ফকিরাপুল থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এসময় মাদক পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ২টায় ঢাকার ফকিরাপুল ও গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।আটক ব্যক্তিরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার সুখান দিঘী গ্রামের মৃত ওসমানের ছেলে মো. নাঈম (২২), রংপুর জেলার পীরগঞ্জের জয়েন্তীপুর গ্রামের ওয়াজেদ মন্ডলের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান নূর (২৭), কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ধোলা গ্রামের মো. সামছু মিয়ার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩০)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে অপহৃত আরেক ছাত্র উদ্ধার, আটক আরও ২ রোহিঙ্গার্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ফটিকছড়ির ভূজপুর এলাকার মো. আলম নামের এক ব্যক্তি র্যাব-৭ কার্যালয়ে তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করে। মো. আলম র্যাবকে জানায়, মেয়ে বাড়ি থেকে হাটহাজারীর একটি বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করতে বের হয়ে বাড়িতে আর ফিরে যায়নি। অনেক খোঁজ নেয়ার পর কোনো খবর না পেয়ে হাটহাজারী থানায়ও একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৭ গোয়েন্দা বুধবার (১৫ডিসেম্বর) রাত ৮টায় ঢাকার ফকিরাপুল হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে পরদিন (১৬ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে ঢাকার গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই জনকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও এক নারীকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: রামুতে অপহৃত ৩ স্কুলছাত্র উদ্ধার, আটক ৭ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরীকে আশ্বাস দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ উর্পাজনের জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। তারা মানবপাচারকারীর দলের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সহায়তায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের সরলতা, দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে তাদের পাচার করে আসছে।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
বরগুনা ১২ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী আবাসনে বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার বাবুল খন্দকার (৬০) পেশায় একজন দিনমজুর।
আবাসনের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বাবুল খন্দকার এর আগেও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে। বুধবার বাবুলের স্ত্রী বাবার বাড়ি যাওয়ায় কিশোরীকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরীর চিৎকার শুনে এ সময় প্রতিবেশী নারীরা প্রথমে ঘরে ঢুকে। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত বাবুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে তারা।
বরগুনা থানার ওসি (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, বাবুলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অনেক অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কিশোরীর মা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রামে যুবক গ্রেপ্তার
৯৯৯ এ কল: কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন গ্রেপ্তার
৯৯৯ এ কল: নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত কিশোরী ফরিদপুরে উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক নারী কলারের ফোন কলে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিখোঁজ তার কিশোরী ভাগ্নীকে চলন্ত বাস থেকে উদ্ধার ও অপহরণের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার পুলিশ।
অপহরণের অভিযোগে আটক নারী বরগুনার কলাতলা গ্রামের ছবেদ আলীর স্ত্রী মাজেদা আক্তার (৪০)।
বুধবার ভোর সোয়া ৩টায় ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. সাজ্জাদুর রহমান একটি কল রিসিভ করেন। একজন নারী কলার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ফোন করে জানান, তার ১৫ বছর বয়সী ভাগনি বাসা থেকে রাগ করে ২৬ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে বের হয়ে যায়। এরপর তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন কিন্তু কোন সন্ধান পাননি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পূর্বে তার ভাগনি তাদের কল করে জানায় যে, সে বর্তমানে একটি বাসে আছে বাসটি সকাল ৬টায় বরগুনা গিয়ে পৌঁছাবে। কলার অনুমান করছিলেন তার ভাগনি হয়তো কোন অপহরণ কারীর কবলে পড়েছে। এরপর তিনি তার ভাগনিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
৯৯৯ কলটেকার সাজ্জাদুর রহমান ভুক্তভোগী কিশোরীর নম্বরে ফোন করেন কিন্তু তখন সে ঠিকমত কথা বলতে পারছিল না। এরপর এক অজ্ঞাত এক নারী ফোন নিয়ে কিছু অস্পষ্ট কথা বলে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ৯৯৯ থেকে পুনরায় ভুক্তভোগীর নাম্বারের ফোন করে বাসের সুপারভাইজারকে ফোন দিতে বলা হয়, সুপারভাইজারের কাছ থেকে বাসের নাম্বার ও অবস্থান জানা যায়, একই সাথে ৯৯৯ তাকে অনুরোধ করে পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা পর্যন্ত তার দিকে নজর রাখার জন্য। সে অনুযায়ী ৯৯৯ ফরিদপুর জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানিয়ে কিশোরীকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়।
পরে ভাঙ্গা থানার সাব ইন্সপেক্টর (উপপরিদর্শক) জয়ন্ত কুমার ৯৯৯ কে ফোন জানান, ভাঙ্গা থানাধীন পুকুরিয়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় ও তাকে অপহরণের অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কথিত ছিনতাইকারী দম্পতি আটক
ভুক্তভোগী কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে বাসা থেকে বের হওয়ার পর অভিযুক্ত নারীর সাথে তার দেখা হয়, সে তার কাছে ভিক্ষা চাইলে ভুক্তভোগী কিশোরী তাকে ভিক্ষা দেয়। এরপর অভিযুক্ত নারী কিশোরীকে আদর করে চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খেয়ে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে কিশোরী দেখতে পায় সে মিরপুর চিড়িয়াখানার সামনে, এরপর তাকে গাবতলী বাস টার্মিনালে এনে বাসযোগে বরগুনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এ সংক্রান্তে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কাশবনে ছবি তোলার কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
ছবি তোলার কথা বলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের কাশবনে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে শুক্রবারই মাহবুব ও পলাশ নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলী জানায়, গাইবান্ধা শহরের ওই কিশোরীর সঙ্গে সাঘাটার মাহবুবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার দুপুরে মাহবুব ও তার বন্ধু পলাশকে নিয়ে সাঘাটা থেকে গাইবান্ধায় আসে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে বিকেলে ওই ভুক্তভোগীকে নিয়ে ভ্যানে করে ফুলছড়িতে যায়। যমুনা নদী পার হয়ে কাশবনে ছবি তোলার কথা বলে ফুলছড়ির চরে নিয়ে যায়।
ওসি জানান, নির্জন স্থানে কাশবনে নিয়ে মাহবুব এবং পরে পলাশ ভুক্তভোগী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এসময় তারা একে অপরের ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে মোবাইলে। এরপর তাকে কাশবনে রেখে তারা যমুনা নদী পার হয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এসময় সে তাদের কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে তাদের সহায়তায় সে তার বাড়িতে যায় এবং তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ফুলছড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ করে।
ওসি বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে মাহবুব ও পলাশকে গ্রেপ্তার করে । শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ফুলছড়ি থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পার্লার কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
বিয়ের আশ্বাসে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত কারাগারে
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে
মোবাইলে মেসেজে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার, আটক ২
নওগাঁয় অপহরণের পর পুলিশ সুপারের মোবাইলে মেসেজ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি সদস্যরা। এসময় অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকিকে আটক করতে না পারলেও তারা বাবা-মাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার সকালে জেলা ডিবির কার্যালয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উদ্ধার কিশোরীর বাড়ি জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯: জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন, কিশোরী উদ্ধার
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান রকির সাথে পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রকি বিভিন্ন ছেলেকে ডেকে এনে জিম্মি করতে বললে ওই কিশোরী রাজি হয় না। এরই এক পর্যায়ে চলতি মাসের ৩ অক্টোবর বিকালে মেস থেকে বাড়ির উদ্দেশে বের হলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কদমতলী এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান রকি ওই কিশোরীকে অপহরণ করে সদর উপজেলার গাংজোয়ারতার নিজ বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর তাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে রেখে ৯ দিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। গতকাল রাতে ওই কিশোরী অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকির মোবাইল থেকে পুলিশ সুপারের মোবাইল মেসেজ করে তাকে উদ্ধারের কথা জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ৩ যুবক গ্রেপ্তার
এরপর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় রাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এসময় অপহরণকারী মাহমুদুল হাসান রকি পালিয়ে যায়। তবে মাহমুদুল হাসান রকির বাবা মোজাম্মেল হক এবং মা তাছলিমা বেগমকে আটক করা হয়। আটকের পর মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামসুদ্দিনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের স্কুলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়া সোহরাব আলী মারফত (৫৩) ওই গ্রামের মৃত সমেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর (১৫) নানী বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সোহরাব আলী ও আপন মিয়ার ছেলে এনামুল হক ওরফে আদু মিয়াকে (৩৫) অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওইদিনই পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সোহরাব আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই কিশোরীর নানী বিভিন্ন মানুষের বাসায় কাজ করেন। তিনি বাড়িতে না থাকার সুবাদে ২ সেপ্টেম্বর আদু মিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এর আগে ২৫ মে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টা খেতে নিয়ে সোহরাব আলী মারফত ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী তার নানীকে বিষয়টি জানায়। কিশোরীর নানী ধর্ষণের বিষয়টি প্রতিবেশী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিদের জানালে সোহরাব আলী মারফতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সোহরাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। অপর আসামি আদু মিয়া পলাতক রয়েছে।
চট্টগ্রামে কিশোরীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ৩ যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে তুলে নিয়ে সীতাকুণ্ড এলাকায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে সীতাকুণ্ড থানার বেড়িবাঁধ এলাকা ও ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে গণমাধ্যমকে এ ঘটনা জানায় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন গাড়ি চালক মো. মেহেদী হাসান ওরফে মুন্না (১৯), মো. হাসান তারেক রনি (২৯), মো. মাকিব (২২)।
এর আগে ভুক্তভোগী কিশোরীর বড়বোন বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে ‘ধর্ষণ’: সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
পুলিশ জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী তার এক ভাবীর সাথে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাসা থেকে বের হয়। পথে একটি লেগুনা গাড়িতে ভুক্তভোগী ও তার ভাবী উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু অসর্তকতাবশত কিশোরী গাড়িতে উঠতে না পারলে গাড়িটি তাকে পথে রেখেই গন্তব্যের দিকে ছুটে যায়। পরে কিশোরী আগ্রাবাদ সিএন্ডএফ টাওয়ারের সামনে কান্নাকাটি করতে থাকলে গাড়ি চালক মেহেদী বিষয়টি লক্ষ করে তার কাছ থেকে ঘটনা জেনে তাকে বাসায় পৌঁছে দিবে বলে তার গাড়িতে উঠায়। ওই কিশোরী মেহেদীর গাড়িতে উঠলে তাকে সীতাকুণ্ডের কালুশাহ মাজার এলাকায় গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে আটকে রেখে মেহেদী তার অপর দুই বন্ধুকে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে আসামি মেহেদী কিশোরীকে তার মনসুরাবাদের ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। কিশোরী এই ঘটনা অনেকদিন পরিবারের কাছ থেকে গোপন রাখে।
ঘটনার কিছুদিন পর কিশোরীর শারীরিক অসুস্থতাসহ নানা লক্ষণ দেখা দিলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সে তার সাথে পাশবিক ঘটনার বর্ণনা দেয়। বুধবার কিশোরীকে তার পরিবার ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে মনসুরাবাদ এলাকায় পৌঁছালে ঘটনাচক্রে মূল আসামি মেহেদীকে দেখতে পায়। পরে কিশোরীর বোন ও তার স্বজনরা মেহেদীকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন করলে ডবলমুরিং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল আরও দুই অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি দেয়ার নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ
ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
চাকরি দেয়ার নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ
বরিশালে চাকরি দেয়ার কথা বলে কিশোরীকে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই সোমবার রাতে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন।মামলায় অভিযুক্ত মাসুম হাওলাদার বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানাধীন পাংশা এলাকার আ. ছালাম হাওলারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাঅভিযোগ ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোবহান পাড়া গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে (১৭)। বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে রবিবার বরিশালে আসে সে এবং চাকরির খোঁজে এক বান্ধবীর কাছে যায়। বান্ধবী ওই দিন সন্ধ্যায় উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজারের ব্রিজের পাশে স্বপন মন্ডলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুম হাওলাদারের কাছে চাকরি দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায় ভুক্তভোগীকে। ওই রাতে মাসুম কিশোরীকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। সোমবার সকালে মাসুমের দ্বিতীয় স্ত্রী রুমানা ধর্ষণের বিষয় জানতে পারেন এবং তিনি ওই কিশোরীকে দুই হাজার টাকা দিয়ে তার বাড়ি বরগুনাতে চলে যাওয়ার জন্য বলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তারকিশোরী বাড়িতে না গিয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি সেখান থেকে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদকে জানানো হয়। এরপর ওসির নির্দেশে পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মাসুম হাওলাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।মামলার পরির্দশক (তদন্ত) জসিম উদ্দিন জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবনওসি আলী আর্শাদ জানান, মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি মাসুমকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যা: আসামি শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বাসায় ঢুকে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরী ও তার মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি মো. শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আরেক আসামি আবু রায়হান মারা যাওয়ায় তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত। আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় আলোচিত ফোর মার্ডার মামলার একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড
পরে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো সাংবাদিকদের বলেন, আসামি শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি আবু রায়হান মারা যাওয়ায় আদালত তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।
২০১৪ সালের ২৪ মার্চ আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ১২৯ নম্বর বাড়ি ‘পদ্মা-যমুনা’য় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রেজাউল করিমের স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৪৯) ও তার মেয়ে সাইমা আক্তারকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ওই বাসা থেকে রক্তমাখা একটি ছোরা, জিন্সের প্যান্ট, শার্ট, একটি ব্যাগে থাকা দুই বোতল পেট্রোল, সাতটি মোবাইল সিম, টেঁটা ও তোয়ালে উদ্ধার করে। নিহত রেজিয়া খাতুনের স্বামী রেজাউল করিম ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ঘটনার পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ খুলশী থেকে শহীদ এবং ঢাকার ফকিরাপুলের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্ত্রী সন্তানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
তদন্ত শেষে গত বছরের ২৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর দুই আসামির ফাঁসির রায় দেন আদালত। চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিতুল হক এনাম চৌধুরী চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাবিলদার আবুল বাশারের ছেলে আবু রায়হান (২৭) ও নগরীর খুলশী এলাকার একটি রেস্টহাউসের গাড়ি চালক মো. শহীদ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ নারীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এছাড়া আসামিরা মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল দায়ের করেন। জেল আপিল দায়েরের পর আসামি আবু রায়হান মারা যান।
রূপসায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
খুলনার রূপসায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মানিক নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মানিক রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা পূর্বপাড়া এলাকার শেখ সাকেব আলীর ছেলে।
১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক আলিফ রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মানিক রূপসা উপজেলার বাগমারা এলারকার জনৈক জুয়েলের মুদি দোকানের কর্মচারী। গত শুক্রবার দুপুরে ওই এলাকার এক ভাড়াটিয়ার ১৩ বছরের কিশোরী মালামাল ক্রয় করতে যায় ওই দোকানে। নামাজের সময় হওয়ায় রাস্তায় লোকজন কম থাকার সুযোগে দোকান কর্মচারী মানিক ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই দোকানের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে। আর তার সহযোগি এনামুল মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও করেন। বাড়ি ফিরে না আসায় কিশোরীর মা দোকানে আসে। সেখানে মেয়েকে কান্না করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনাটি মায়ের কাছে খুলে বলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুই জনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের পর মানিক পালিয়ে যায়। পরে র্যাবের সহযোগিতায় রূপসা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে নানা গ্রেপ্তার
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হোসেন জানান, দোকান কর্মচারী পালিয়ে রামপাল চলে যায়। র্যাবের সহযোগিতায় সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তবে অপর আসামি এনামুলকে এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।