কিশোরী
চাঁদপুরে হাসপাতালে ভর্তির সময় কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় চিকিৎসা নিতে আসা ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী রোগীকে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২৭ আগষ্ট সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ঘটে বলে জানা যায়।
ওই হাসপাতালে কর্মরত ক্লিনার আকাশ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী। পরে ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
হয়রানির শিকার উপজেলার বদরপুর মোল্লাকান্দি গ্রামের ওই রোগী গত ২৭ আগস্ট অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।
রবিবার সকালে ওই স্কুলছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচার চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোনাস তাকে বাড়িতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে যৌন কাজে বাধ্য করা নারী কাউন্সিলর রিমান্ডে
এদিকে ঘটনার পর থেকে ক্লিনার আকাশকে হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না । তার ব্যবহরিত মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
ওই ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বড় বোন রত্না বেগম বলেন, ‘গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার বোন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ডাক্তার তাকে ভর্তি করান। পরে আমার বোনকে ট্রলিতে করে দোতলায় ওয়ার্ডে নেওয়ার সময় সিড়িতে রেখে শ্রীলতাহানি করে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোনাস বলেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার অনুমতি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দেননি। আপনারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলুন।
আরও পড়ুন: বরিশালে রিমান্ডে নারী আসামিকে যৌন নির্যাতন: ওসি-পরিদর্শক প্রত্যাহার
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুশরাত জাহান মিথেন এর সাথে কথা বলার জন্য তার অফিসে গেলে ওই সময় তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনেও বহুবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দেবিদ্বারে কিশোরীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৪
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় এক কিশোরী ও তার মা-বাবাকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে। এই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মো. নুরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, নারগিছ আক্তার ও কুলছুম আক্তার।
আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্সে অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ, গ্রেপ্তার ২
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ পূর্বপাড়ায় প্রকাশ্যে লাঠিপেটার ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা করেন কিশোরীর বাবা জামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতনের ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তুমুল সমালোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: অভয় অ্যাপ: কিশোরীদের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ কিশোরী
চাঁদপুর শহরে বান্ধবীদেরকে নিয়ে বাড়ির ছাদে সময় কাটাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শরীর ঝলসে গেছে এক কিশোরীর। শহরের ওয়ারলেস বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন মৃধা বাড়ির ছাদে মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
আহত রেবা আক্তার (১৫) ওই বাড়ির লিটন মৃধার মেয়ে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে রেবা আক্তার তার দুই সহপাঠীসহ তাদের বাড়ির তৃতীয় তলার ছাদে ওঠে। ওই ভবনের ওপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎতের লাইন গেছে।
রেবা বিকেলে ছাদে বান্ধবীদের সাথে সময় কাটানোর সময় অসাবধানতা বশত ওই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এসময় তার শরীরে আগুন ধরে ঝলসে গেলে গুরুতর ভাবে আহত হয় সে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৩
খবর পেয়ে তার স্বজন এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠায়।
চাঁদপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা নাজমুল হক ইউএনবি কে জানান, ‘ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অগ্নিদগ্ধ রেবা আক্তারের শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ ঝলসে গেছে। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বার্ণ ইউনিটে রেফার করেছি।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই বোনের মৃত্যু
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ওয়্যারলেস সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন ১১ হাজার ভোল্টের তার ঘেঁষে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনটিতে এর পূর্বেও আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বনানীতে ফের আগুন, ২ কিশোরী নিহত
রাজধানীর বনানী এলাকার একটি দশতলা আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই কিশোরী নিহত ও একজন নারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার ভোরে বনানাীর ৩ নং সড়কের ‘এফ’ ব্লকের ৭৯ নাম্বার বাড়িটির তৃতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডে তিনজন গৃহকর্মীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। পরে তাদের আহত অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মিম (১৬) ও শপ্নাকে (১৪) মৃত ঘোষণা করেন। অপর গৃহকর্মী রিনতা (৩০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বনানীর ছয়তলা ভবনে আগুন
ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টারের স্টেশন কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মোঃ রায়হানুল ইউএনবিকে জানান, রাত ১টা ৫৬ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনা স্থলে পৌঁছে রাত ২টা ৪০ মিনিটে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের দগ্ধ ৫
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে বনানী এলাকার চেয়ারম্যান বাড়িতে একটি ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটিতে আনন্দ টিভির অফিসও অবস্থিত।
চাঁদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত চাচা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে তার চাচা ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুখিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে সন্তোষপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম সন্তোষপুর গ্রামের মৃত সুলতান বেপারীর পুত্র।
আরও পড়ুন: রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
কিশোরীর মা ইতোমধ্যেই বাদী হয়ে নুরুল ইসলাম বেপারীসহ চারজনকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদ হোসেন ইউএনবি কে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, অভিযুক্তরা পলাতক আছে, আমরা তাদের ধরার জন্য অভিযানে নেমেছি ।
বাদী তার রুজু করা মামলায় বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে প্রতিবন্ধী মেয়ে বাইরে থেকে ঘরে আসার পথে দূর সম্পর্কের চাচা নুরুল ইসলাম বেপারী মেয়েকে জোর পূর্বক তার ঘরে নিয়ে যায়। এসময় নুরুল ইসলাম ওই কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। বেশ কিছুক্ষণ তার ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের পর তাকে বাইরে বের করে দিলে ওই কিশোরী এসে ঘটনাটি তার মাকে জানায়।
ধর্ষণের ঘটনা নজরুল ইসলামের স্ত্রীকে জানালে তাৎক্ষণিক নিজের ভুল স্বীকার করে হাতে পায়ে ধরে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সহকর্মীর
বাদী আরো জানান, এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ধর্ষণকারী নজরুল ইসলামের ছেলে হান্নান ও তার ভাই কালু বেপারী ঘটনাটি কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মোহাম্মদ কাজল ইউএনবি কে জানান, প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় তাকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল চেকআপ করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নৌকাডুবি: শাল্লায় নিখোঁজ ২ কিশোরীর লাশ উদ্ধার
সুনামগঞ্জের শাল্লায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজের একদিন পর দুই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চাপ্টা বিল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই বিলে তারা নিখোঁজ হয়।
নিহত দুজন হলো, বাহাড়া ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামের শিশু মিয়ার মেয়ে চাদনী বেগম(১৬) ও ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে ছাবিনা বেগম (১৭)।
আরও পড়ুনঃ কর্ণফুলী নদীতে নৌকাডুবি: নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার গজারিয়ায় আত্মীয় বাড়ি ফিরছিল। পথে ভেড়ামোহনা হাওরের চাপ্টা নামক গভীর জলাশয়ে ধমকা ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে নৌকায় থাকা আপন মিয়া, লিটন মিয়া, সোহাগ মিয়া ও সালমা বেগমকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করলেও চাদনী ও ছাবিনাকে খোঁজে পায়নি।
আরও পড়ুনঃ বিছনাকান্দিতে পানিতে ডুবে ২ কিশোরের মৃত্যু
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এলাকাবাসী আবারও অভিযান চালায়। অভিযানে চাদনী ও ছাবিনাকে চাপ্টা বিল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। বেলা ১১টায় ঘটনার খবর পেয়ে শাল্লা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে মৃত দুই কিশোরীর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
বিয়ানীবাজারে কীটনাশক পানে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
সিলেটের বিয়ানীবাজারে এক কিশোরী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে চাকরি হারিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
নিহত কিশোরী জুলেখা বেগম (১৬) ওই গ্রামের ইউনুছ আলী মুছআলা মিয়ার মেয়ে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীর লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সিলেটে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের কানাইঘাটে ১৮ বছরের শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের জন্তীপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের ছেলে সুহেল আহমদ (২৫) ও রাধানগর গ্রামের ইয়ারীছ আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ(২০)।
আরও পড়ুনঃ মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী
শুক্রবার ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবন্ধী কিশোরীর স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পথে রিয়াজ উদ্দিন কিশোরীকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এসময় রিয়াজসহ সুহেল, ফয়ছল ও গিয়াস আহমদ (২৭) তাকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জের নারীকে সিলেটে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে প্রতিবন্ধী কিশোরী তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলে কানাইঘাট থানার পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে সুহেল ও ফয়ছলকে গ্রেপ্তার করে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে বিয়ে করার কথাও বলেছিল রিয়াজ। ঘটনার পর থেকে রিয়াজ পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরীএ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে সিওমেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
গাইবান্ধা সদরে মায়ের সাথে অভিমান করে এক কিশোরী (১৬) বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ঘটনার শিকার কিশোরীর মা।
অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার পারবর্তীপুর গ্রামের কসাই লাল মিয়া ও একই উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের বকুল প্রধান।এদের মধ্যে লাল মিয়া পেশায় মাংস বিক্রেতা (কসাই) ও বকুল বাসের কাউন্টার মাস্টার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চলন্তবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
মামলায় বলা হয়, গত ১২ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই কিশোরী মায়ের সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সদর উপজেলার বালুয়া বাজারে যায়। ঢাকা যাওয়ার জন্য মেয়েটি বাজারের শাওন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস কাউন্টারের সামনে পায়চারি করছিল। এ সময় কাউন্টার মাস্টার বকুল প্রধান ও কসাই লাল মিয়া মেয়েটির কাছে যান। পরে জানতে চাইলে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে মেয়েটি। লকডাউনে বাস বন্ধ, তবে মাইক্রোবাসে ঢাকা যাওয়ার যাবে বলায় মেয়েটি রাজি হয়। রাত ৮টার দিকে তারা মেয়েটিকে বাথরুম সেরে নেয়ার কথা বলে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। পরে এলাকাবাসী মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মোবাইলে ডেকে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কিশোরীকে বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যানের বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
সালিশে প্রভাবিত করে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে (১৪) বিয়ে করায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারকে (৬০) সাময়িক বরখাস্তের আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
ওই চেয়ারম্যানের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে শাহীন হাওলাদারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: সালিশে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ে: সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার মামলা
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একই ইউনিয়নে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। গত ২৪ জুন রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপর চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেয়ার কথা বলে ২৫ জুন কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের দুই পরিবারকে যেতে বলেন।
সেই অনুযায়ী ২৫ জুন সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। পরে ওইদিনই দুপর ১টায় স্থানীয় কাজি মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। বিয়ের পর তা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। পরের দিন ২৬ জুন ওুই কিশোরী একই কাজীর মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে তালক দেন।
আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্ক: আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এলেন মার্কিন নারী
এদিকে গত ২৮ চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪ বছর ২ মাস ১৪ দিন) কিশোরীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না পত্রপ্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ
পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের এই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। রিট আবেদনে বলা হয়, মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং তার আগের স্বামীকে তালাক দেয়ার পরই তাকে বিয়ে করা হয়। এ সক্রান্ত কাগজপত্রও আবেদনের সাথে দাখিল করা হয়। রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছন শাহিন হাওলাদার। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার প্রথম স্ত্রী রয়েছে। সেই সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।