চুরি
ধানমন্ডির মেট্রো শপিংমল থেকে ২ কোটি টাকার হীরার গয়না চুরি
ধানমন্ডির মেট্রো শপিং মলে অবস্থিত একটি দোকান থেকে রবিবার (৩১ জুলাই) দুই কোটি টাকার বেশি মূল্যের হীরার গহনা চুরি করেছে ডাকাতরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন সকাল ১০টার কিছু পরে মেট্রো শপিং মলের তৃতীয় তলায় অবস্থিত 'ট্রাস্ট ডায়মন্ড' শোরুমে অন্তত পাঁচজন ডাকাত দোকানের শাটার ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর তারা ২ কোটি টাকার বেশি হীরার অলঙ্কার লুট করে পালিয়ে যায়।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম জানান, শোরুমের শাটার ভেঙ্গে প্রায় দুই কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিভিন্ন হীরার গহনা চুরি হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বোমা সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ২
ওসি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পাঁচজনের একটি দল দোকানে ঢুকছে এবং কিছুক্ষণ পর তারা লুটপাট নিয়ে চলে গেছে।’
ট্রাস্ট ডায়মন্ডের মালিকের বরাত দিয়ে ওসি পারভেজ জানান, তিনি জানতে পারেন মেট্রো শপিং মলের নিচতলায় একটি নতুন শোরুম সংস্কারের কাজ করছেন ট্রাস্ট ডায়মন্ডের মালিক। তাই তিনি ৩য় তলায় একটি দোকান ভাড়া নেন এবং সেখানে হীরার গয়না রাখেন।
সিআইডি, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজশিক্ষার্থী নিহত
ধানমন্ডি লেক থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ‘চুরির সময়’ মালামালসহ ৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পু্লিশ। সোমবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টার সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিএফসিএল এর নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের উত্তর কোনায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে পারভেজ শেখ (২৪), আবু জাফরের ছেলে সালাম শেখ (৩৫) এবং মো. ইয়ামিন শেখের ছেলে ধলু শেখ (২৪)।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টার সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিএফসিএল এর নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের উত্তর কোনায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশে কয়েকজন ব্যক্তি তামার তারসহ মালামাল নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় ৪০ কেজি তামার তার, বিভিন্ন প্রকারের পাইপ ও লোহার ২০০ কেজি মালামাল উদ্ধার করা হয় এবং এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার ৬
দিনাজপুরে ‘চুরি করতে গিয়ে’ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দিনাজপুরের বিরামপুরে ‘চুরির করতে গিয়ে’ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১ জুলাই) রাতে উপজেলার প্রফেসর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েল (৩৫) বিরামপুর পৌর শহরের কৃষ্ণচাঁদপুর মহল্লার দবিরুলের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ৩টার দিকে পৌর শহরের প্রফেসর পাড়ার বাসিন্দা আজিজার রহমানের ভবনের দোতলার বারান্দায় ওঠার সময় বৈদ্যুতিক পিলারের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় জুয়েল।
বিরামপুর থানার ইনচার্জ সুমন কুমার মহন্ত জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জুয়েলের বিরুদ্ধে একাধিক চুরিসহ মাদকের মামলা রয়েছে। তিনি একজন তালিকাভুক্ত আসামি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা ও কোলে থাকা মেয়ের মৃত্যু
বগুড়ায় হালখাতার মাইক টানাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
কুমিল্লায় রেললাইনের সিগন্যাল পয়েন্টের ৪ কোটি টাকা মূল্যের ২৫টি মোটর চুরি
কুমিল্লায় রেললাইনের সিগন্যাল পয়েন্ট মেশিনের ২৫ টি মোটর চুরির অভিযোগ উঠেছে। যেগুলোর বাজারমূল্য ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
কুমিল্লার ৬৭টি পয়েন্ট মেশিনের মধ্যে ২৫টি পয়েন্টের মোটর চুরি হয়েছে। যার মাঝে রয়েছে আলীশহর, লালমাই, ময়নামতি, কুমিল্লা ও রাজাপুর স্টেশন।
নাগরিকরা মনে করেন, চুরিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসূত্র থাকতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রেনের এক লাইনের সঙ্গে অন্য লাইনের সংযোগ ও বিচ্ছিন্নকরণের জন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির যে মেশিন ব্যবহৃত হয় তা কুমিল্লার বিভিন্ন স্টেশন এলাকা থেকে সেই মেশিনের মোটর চুরি হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে লোকাল লাইনগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কুমিল্লা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মে মাসে দুর্বৃত্তরা একের পর এক কুমিল্লা অঞ্চলের কয়েকটি স্টেশনের মোটর চুরি করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নবজাতক চুরির দায়ে স্ত্রীর-স্বামীর কারাদণ্ড
যার মাঝে আলীশহর, লালমাই, ময়নামতি, কুমিল্লা ও রাজাপুর স্টেশন এলাকা থেকে চুরি করেছে ২৫টি সিগন্যাল পয়েন্টের মেশিনের মোটর।
এতে ওই রেল স্টেশনগুলোতে বন্ধ রয়েছে লুপ লাইনে ট্রেন চলাচল এবং অতিগুরুত্বপূর্ণ ও দ্রুতগতির ট্রেন পাস।
এ অঞ্চলের পাঁচটি স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ৬৭টি পয়েন্ট মেশিনের মধ্যে ২৫টি পয়েন্ট মোটর চুরি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চুরির ঘটনা ঘটে লালমাই ও ময়নামতি স্টেশনে। লালমাইতে ১২টির মধ্যে আটটি এবং ময়নামতিতে ১০টির মধ্যে ১০টিই চুরি হয়।
এ ঘটনায় রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সংকেত আহমদ আলী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা অঞ্চলের রেলের সম্পদে বেড়েছে ঝুঁকি।
তিনি আরও বলেন, গেল দুই সপ্তাহেই আখাউড়া ও লাকসাম ডাবল লাইনের ২৫টি পয়েন্টে চুরি হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা মূল্যের মোটর।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, চুরির পেছনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দায় রয়েছে রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তারও।
আরও পড়ুন: নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার
বাগেরহাটে চুরি হওয়া শিশু খুলনা থেকে উদ্ধার
বাগেরহাটের ফকিরহাটে নিঁখোজের একদিন পর চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) গভীর রাতে খুলনা শহরের মিয়াপাড়া এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
পরে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে খুলনা সদর থানা পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া আড়াই মাস বয়সী শিশু সাজিদ ফারাজী বাগেরহাটের ফকিরহাটের জাড়িয়া-মাইট কুমড়া এলাকার কৃষক আবু সাঈদ ফারাজী ও সুমি খাতুন দম্পতির সন্তান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ইজিবাইকের চাপায় শিশু নিহত
জানা যায়, শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফারাজী ও সুমি দম্পতির ঘর থেকে চুরি হয় শিশু সাজিদ ফারাজী।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, শিশু চুরির খবর পাওয়ার পর থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করে। পুলিশের কঠোর তৎপরতায় অপরাধীরা শিশুটিকে ব্যাগের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে শিশুর মৃত্যু
করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
ভোলায় চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতন: ইউপি সদস্যসহ আটক ২
ভোলায় গরু চুরির অপবাদে এক যুবককে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটলেও ৪ দিন পর নির্যাতনের একটি ভিডিওচিত্র বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ তাদের আটক করে।
ভুক্তভোগী যুবকের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ফেনুয়া গ্রামে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম খালাসি এবং তার সহযোগী জাহাঙ্গীর কান্টু।
দুই মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক লোক ওই যুবকের ডান হাতে রশি দিয়ে বেঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেধরক মারধর করছে। এ সময় ওই যুবক চিৎকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বারবার তাকে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানান। এসময় সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েকজন কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ নির্যাতিত যুবককে না বাঁচিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভুক্তভোগী যুবক সাংবাদিকদের জানান, বালুর বাল্কহেডের কাজ করার জন্য গত সোমবার তিনি বরিশালের শ্রীপুর থেকে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আসেন। সকাল ৭টা দিকে তিনি বান্দের পাড় এলাকায় নাস্তা করছিলেন। এ সময় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসি পরিচয়ে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবককে প্রথমে পানির পাম্প চুরির অভিযোগে চড়-থাপ্পর মারে। পরে কান্টু নামে অপর এক ব্যক্তি চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে।
পরে ওই দিন দুপুরে ভুক্তভোগী যুবকের পরিবার ও বরিশালের শ্রীপুর এলাকার ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ হাজার টাকা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসির একুটি সেচ পাম্প চুরির ঘটনায় তিনি ভোলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু কোন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতনের ঘটনায় আমরা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসি ও জাহাঙ্গীর কান্টু নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি, আটক ১৪
সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা নষ্ট ও চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চুরির ঘটনায় সাতক্ষীরা আদালতে দায়ের করা দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন– জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই সাতক্ষীরার শ্যামনগর এবং খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: অবৈধ পথে ভারত যাওয়ার সময় বেনাপোলে আটক ১৪
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো গত ১ জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু করে বন বিভাগ। বাঘ গণনার জন্য পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে ৩৭৬টি ক্যামেরা বসানো হয়। প্রথম দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে দুষ্কৃতিকারীরা বাঘ গণনার কাজে ব্যবহৃত ৮টি ক্যামেরা নামিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে এবং মেমোরি কার্ড নিয়ে চলে যায়।
সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে আটটি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।
অন্যদিকে, ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন দাবি করেছেন, তার ছেলে অন্যদের সঙ্গে অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে গিয়ে আটক হন। পরে তাকে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা সুন্দরবনে বাঘ–হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসিএফ আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা হোক সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি দাবি করেন।
ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় আটক ১৪
ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট: র্যাবের হাতে আটক ১৪
শাহরাস্তিতে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। রবিবার উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের আহম্মদনগর গ্রামের মোক্তার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত সৈকত হোসেন (২৫) ওই গ্রামের আনিস মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের আহম্মদনগর গ্রামের হাসেম মোক্তার বাড়ির আনিস মিয়ার ছেলে সৈকত হোসেন বাড়ির পাশে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। শ্বশুরবাড়িতে আসা-যাওয়ার সময় স্থানীয় মনির ও সাগর নামের দুই যুবক তাকে ‘চোর’ বলে খেপাত।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ট্রাক চাপায় শিশু নিহত
এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে শনিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কীটনাশক পান করেন।
ওই দিন তার স্ত্রী ও শ্বশুর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরের দিন রবিবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মৃতের মা রেহানা বেগম শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।
শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, আটক ২
চাঁদপুরে ডোবায় পড়ে শিশুর মৃত্যু
সরকারের গণতন্ত্র হচ্ছে চুরি, লুট, টাকা পাচার ও মানুষ হত্যা করার গণতন্ত্র: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখেছেন, কেউ কি ভোট দিতে পেরেছিল, তারা নিজেরাই ভোট দিয়েছে। এবার আমরা ঠিক করছি, হারিয়ে দেয়ার নির্বাচনে আমরা আর যাচ্ছি না। পাবলিক যাকে ভোট দিবে সে নির্বাচিত হবে। সে কারণে পরিষ্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছি যে, সরকারের এ সমস্ত প্রতারণা, ছলনা আর চলবে না।
তিনি বলেন, সরকারের গণতন্ত্র হচ্ছে চুরি করার, লুট করার গণতন্ত্র, টাকা পাচার করবার গণতন্ত্র, মানুষকে হত্যা করার গণতন্ত্র।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ফখরুলের
তিনি বলেন, প্রতিটি দ্রব্যের দাম বাড়ছে। তেলের দাম, গ্যাসের দাম বাড়ছে। তেল ও গ্যাস এর দাম বাড়লে সবকিছুর দাম বাড়তে থাকবে। বর্তমান সরকার ১৪ বছর ধরে আমাদের দেশের ওপরে, আমাদের বুকের ওপরে বসে আছে। এরা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই।
ফখরুল বলেন, রাস্তাগুলো ভেঙ্গে শেষ হয়ে গেছে। কেউ ভোট দিতে পারে না। সরকারি দলের নেতারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। এটা ফুলছে, শুধু ফুলেই যাচ্ছে। যারা একতলা বাড়ি ছিল না, তারা ১০ তলা বাড়ি করেছে। যারা স্যান্ডেল পরে বেড়াতে পারতো না, তারা আজ গাড়ি চালাচ্ছে। সারা দেশের চিত্র এটা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গরীব মানুষ আরও গরীব হচ্ছে, আর এরা ফুলে ফেপে বড়লোক হচ্ছে। এরা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে নিয়ে পাচার করে দিচ্ছে। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে।এর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তার বিরুদ্ধে মামলা। কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না, কথা বলা যাবে না, করলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তাহলে এ দেশটা স্বাধীন করার কি দরকার ছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন রাস্তাতে দুর্ঘটনায় ১৫, ২০, একশ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন। নাশকতা ও সন্ত্রাস করে তারা দেশকে একটা শ্মশানে পরিণত করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। ফখরুল বলেন, মানুষ আজ জেগে উঠেছে। আমার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, আমার ভোট আমি দিতে চাই।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যিনি দেশের জন্য, সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন, সংগ্রাম করে গেছেন অথচ তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িতে আটক করে রেখে দিয়েছেন। তার সঙ্গে সাধারণ কর্মীর মত আচরণ করেছেন, আজ তার জামিন হয় না। আর দেখেন হাজী সেলিমের, ক্যাসিনো সম্রাটের জামিন হয়েছে। জনগণের মূল্য তাদের কাছে নেই। আমরাও নির্বাচন চাই, তবে নির্বাচনের আগে এই শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যদি আমরা জয়লাভ করতে পারি তাহলে আমরা একটা জাতীয় সরকার গঠন করবো। সেখানে সব দলগুলোর প্রতিনিধি থাকবে। সেখানে আমরা ২৭টি প্রস্তাব দিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা গরীবদের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করবো। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কমিশন গঠন করবো।
জেলা বিএনপি অফিসের সামনে মির্জা ফখরুল এসময় দুস্থ, অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ, পৌর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনানসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ঢাকা সফরে ডোনাল্ড লুর বক্তব্য নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
নতুন পাঠ্যপুস্তকে চুরির অভিযোগ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ জাফর ইকবালের
প্রখ্যাত লেখক ও শিক্ষাবিদ মো. জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক হাসিনা খান নিজেদের সম্পাদিত ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে চুরির বিষয়বস্তু পাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বইটির সম্পাদনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেখকরাও তাদের দায়িত্ব স্বীকার করেছেন।
এ বছর থেকে নতুন পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক 'অনুসন্ধানী পথ' হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাপিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক শিক্ষামূলক সাইট থেকে এই বইটির কিছু অংশ অনুলিপি করার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তারা বিবৃতিতে বলেছে, ‘বইয়ের এই বিশেষ অংশ এবং ওয়েবসাইটের একই লেখার তুলনা করলে আমাদের কাছে অভিযোগটি সত্য বলে মনে হচ্ছে।
‘যদিও আমরা অধ্যায়ের সেই অংশটি লেখার জন্য দায়ী নই, আমরা স্বীকার করি যে দায়িত্বটি সম্পাদক হিসাবে আমাদের ওপর রয়েছে।’
একটি পাঠ্যপুস্তক লেখার সঙ্গে অনেক লেখক জড়িত যাদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার ফলে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষ করে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে এসব লেখকের কাছ থেকে এক ধরনের দায়িত্ব প্রত্যাশা করা হয় বলে জানান শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো ২৭ শিক্ষার্থী পাচ্ছে ডিনস অ্যাওয়ার্ড
‘যে কোনো লেখকের কাজ সম্পর্কে যদি এই ধরনের অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয় তবে এটি আমাদের পুরো দলের জন্য হতাশা ও হতাশার বিষয়।’
শিক্ষকরা আশ্বস্ত করেছেন যে আগামী সংস্করণে অবশ্যই বইটির প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
বইটির একটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ এই বছর প্রকাশিত হয়েছে এবং আসছে শিক্ষাবর্ষ থেকে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে।
বইটির সম্পাদক বলেছেন, ‘উল্লিখিত অভিযোগের পাশে যেকোনো যুক্তিসঙ্গত মতামতকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে এবং পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।’
আরও পড়ুন: এখন থেকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হবে না