দুর্যোগ
অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করুন, দুর্যোগ এড়ান: ফারাক্কা কমিটি
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি) রবিবার এক বিবৃতিতে এই অঞ্চলের সমস্ত অভিন্ন নদী থেকে নিরবচ্ছিন্ন জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে যে কোনো আসন্ন পরিবেশগত বিপর্যয় এড়াতে সকল অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ অপরিহার্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর জনগণের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কোনো ইঙ্গিত না থাকলেও হঠাৎ করেই কুশিয়ারাকে সামনে আনা হয়েছে।
আইএফসি বলেছে, শুষ্ক মৌসুমে অভিন্ন নদীর পানি থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করার সুস্পষ্ট পদক্ষেপ দৃশ্যমান। ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে ৫২টি নদীর পানির প্রবাহ ইতোমধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়েছে।
লীন মৌসুমে এখন শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীতে পানির প্রবাহ পাওয়া যায়, সেগুলো বা তাদের উপনদীর উজানে অসংখ্য ব্যারেজ থাকা সত্ত্বেও। কুশিয়ারা ও সুরমা বরাক নদীর শাখা নদী, যা ভারত সীমান্তের কাছে দুই ভাগে ভাগ হয়েছে।
ইতোমধ্যে আসামের ফুলেরতলে বরাকের ওপর একটি ব্যারেজ নির্মাণ করে ১০ হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহার করেছে। কুশিয়ারা ও সুরমার পানি প্রত্যাহারে মেঘনা ও সিলেটের হাওরগুলো শুকিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিহারে বন্যা সামাল দিতে ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত
উল্লেখ্য, ফারাক্কা ব্যারাজ চালু হওয়ার পর থেকে গঙ্গার বার্ষিক জলপ্রবাহ ৫০০ বিলিয়ন বিসিএম থেকে ৫০ বিলিয়ন বিসিএমে নেমে এসেছে।
এর ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পরিবেশগত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
সুপেয় পানির প্রবাহের অভাবে ইউনেস্কো বলেছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পানিতে অত্যধিক লবণাক্ততার জন্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন। সাগর থেকে দেশের গভীরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট পর্যন্ত লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়েছে।
তিস্তা চুক্তি এখনও নিশ্চয়তার পর্যায়ে রয়েছে-পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য উদ্ধৃত করে আইএফসি আরও বলেছে, প্রায় দুই দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারাজ থেকে পুরো তিস্তার পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
আইএফসি বলেছে, দেশের অন্যতম প্রধান এই নদীর পানি প্রবাহের অভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল মরুকরণের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
একসময় যে গোমতিকে কুমিল্লার দুঃখ বলা হতো, এখন বর্ষা মৌসুমেও সে নদীতে পানি থাকে না।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার প্রভাবে ভাঙছে নবগঙ্গা-মধুমতি
এতে বলা হয়েছে, সহস্রাব্দ বছর ধরে অভিন্ন নদী দ্বারা সৃষ্ট বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়েছে, কেননা এটি প্রাকৃতিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নদীমাতৃক এ দেশের পরিবেশ, বাস্তুসংস্থান, বাস্তুতন্ত্র, জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আইএফসি বলেছে, মানবসৃষ্ট কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত বিপর্যয় থেকে দেশকে বাঁচাতে অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- আইএফসির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালু, মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান, আইএফসি নিউইয়র্ক শাখার সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমদ,
সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. এসআই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী এবং আইএফসি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও আইএফসি সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল মজুমদার।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় নাটোরে পানি ক্রমশ বাড়ছে
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সারাবিশ্বে এক নম্বর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গরীবের বন্ধু, আর দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সারাবিশ্বে এক নম্বর। দেশের যেকোন দুর্যোগে শেখ হাসিনার সরকার সবসময় জনগণের পাশেই রয়েছে।’
শনিবার (১৩ আগস্ট) সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বিগত বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যাতে সহায়তা নিশ্চিত করা যায় সেজন্য তথ্য দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাদের প্রতিনিধি। আপনারা যদি আমাকে তথ্য দেন, তাহলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা প্রদান করা সহজ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আকস্মিক বন্যায় যখন সিলেট প্লাবিত হলো, তখন মানুষের অসহায়ত্বের কথা জানামাত্রই আমি ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সরকার সবধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমরাও সাথে সাথেই সরকারি সহযোগিতা নিয়ে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
ড. মোমেন বলেন, তবে বন্যায় আমাদের রাস্তাঘাটসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং এগুলোর উন্নয়নেও সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ড সিলেট সদরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৫০ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক, সর্বমোট ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবে সরকার খুব চেষ্টা করছে জিনিসপত্রের দাম যেন সহনীয় মাত্রায় রাখা যায়। গরীব মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেজন্য এক কোটি পরিবারকে সরকারের পক্ষ হতে সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আগামীতে সিলেটে বন্যার প্রকোপ কমানোর লক্ষ্যে এবং সিলেটে নদী ভাঙন ঠেকাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী নভেম্বরেই এ কাজ শুরু হবে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে জনগণের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বক্তব্য দেন।
পড়ুন: উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার ঝুঁকিতে
বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিনিয়োগে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে সুইজারল্যান্ড।
বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসএম রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড এ আগ্রহের কথা জানান।
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে তার দেশ ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে কাজ করতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ ও প্রভাব মোকাবিলায় কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে চায়। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে অভিযোজন করতে এবং এর থেকে ঝুঁকি কমাতে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিনিয়োগ করতে চাই।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। সুইজারল্যান্ড এখানে অবদান রাখতে চায়। কিছু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা দুর্যোগপ্রবণ দ্বীপে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থে যে কোনো ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে। তিনি সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০ বছরের উন্নয়নের জন্য ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছেন এবং তিনি ইতিমধ্যে ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল গঠন করেছেন। আমরা দেশের উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করছি এবং খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছি। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন করেছে।
পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ খুবই দুর্যোগপ্রবণ দেশ। নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই ফসলের ক্ষতি হয়। এ অবস্থায়, কৃষি উৎপাদন ধরে রাখতে হলে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার বা অভিযোজনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, খরা প্রভৃতি বাড়বে। এসব বিরূপ পরিবেশে চাষযোগ্য ফসলের জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।বুধবার ‘সাউথ এশিয়া নাইট্রোজেন ফ্রেমওয়ার্ক পলিসি বিষয়ক' সাব রিজিওনাল ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় বড় ক্ষতি হবেনা, মোকাবিলার ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদশে নাইট্রোজেনের ইফিসিয়েন্সি খুবই কম, মাত্র ৩০-৩৫ ভাগ। নাইট্রোজেনের বাকী ৬০-৭০ ভাগ অপচয় হয়ে যায়। এ অবস্থায়, ইফিসিয়েন্সি বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন।আঞ্চলিক পলিসি রিপোর্ট প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কৃষি হলো প্রধান জীবিকা যেখানে ফসল উৎপাদন এবং পরিবেশ দূষণ রোধে নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এই অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য টেকসই নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনার বিকাশে এখনই পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা আনতে আর্থিক ও ব্যয় নিরীক্ষা বাস্তবায়নের দাবি আইসিএমএবির
অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা আনতে আর্থিক নিরীক্ষার পাশাপাশি ব্যয় নিরীক্ষা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
আইসিএমএবি সভাপতি মো. মামুনুর রশীদ বলেন, প্রতিবেশী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শনিবার বাজেট পরবর্তী সংস্থাটির প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বছর ভ্যাট আইনে অনেক বাস্তব ও ব্যবসা-বান্ধব পদক্ষেপ নেয়া হলেও ব্যবসা সহজ, স্বচ্ছ ও রাজস্ব বাড়াতে সিএমএ অন্তর্ভুক্ত করে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
একটি সঠিক ও স্বচ্ছ অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের জন্য এবং রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য, অ্যাকাউন্টিং স্টেটমেন্টে সিএমএ দ্বারা প্রত্যয়িত পণ্য বিক্রির মূল্য থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মামুনুর রশীদ।
আইসিএমএবি সভাপতি বলেন, যদি ইনপুট আউটপুট সহগ (মুসক ৪.৩)সিএমএ দ্বারা প্রত্যয়িত হয়, তাহলে সঠিক মূল্যে ভ্যাট সংগ্রহ করা হবে। সিএমএ-এর সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করবে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র ছাড়া পণ্যের মূল্যের পুনঃনিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে এই বিশাল বাজেট অর্জন করা সরকারের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, তবে এটি অসম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা দরকার: ড. আতিউর
সভাপতি বলেন, প্রবীণ নাগরিক যাদের আয়ের একমাত্র উৎস হলো পেনশন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ তাদের রিটার্ন দাখিল থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত।
তিনি খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্পায়ন, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন, গার্মেন্টস খাতের বিশেষ সুবিধা, পরিবহন শিল্প ও বিমান শিল্পের বিশেষ সুবিধার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
আইসিএমএবি সভাপতি বলেন, সবাই শেয়ার বাজার বোঝে না, তাই ডিপিএসের সীমা ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ ২০ হাজার টাকা করা উচিত।
আরও পড়ুন: বাজেট অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে: অর্থমন্ত্রী
ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি বাংলাদেশ
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী বোর্ডে ২০২২ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম নিয়মিত অধিবেশনে ২০২২ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।
ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং রোমস্থ এফএও, ইফাদ ও ডব্লিউএফপিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ২ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন: জাতিসংঘ
প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ এখন থেকে নির্বাহী বোর্ডে নেতৃত্বের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং বিদ্যমান কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ করে সংঘাত-পীড়িত দেশগুলোতে ডব্লিউএফপির সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ পাবে।
রাষ্ট্রদূত আহসান তার সূচনা বক্তব্যে বিশ্বের বিপুল সংখ্যক নাজুক জনগোষ্ঠীকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডব্লিউএফপি’র ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানে বোর্ড সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রগুলোর এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দেড় লাখ ইউক্রেনীয় প্রতিবেশি দেশে আশ্রয় নিয়েছে: জাতিসংঘ
দুর্যোগ সহনীয় দেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই দেশ গড়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাজ করছে সরকার। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকেও রক্ষা করতে পারবেন।প্রতিমন্ত্রী শনিবার ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় মুজিবনগর প্রধান সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তিস্তায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোলাসহ উপকূলীয় সকল জেলায় পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ভোলার চরফ্যাশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ব্রিজ, কালভার্ট কাঁচা রাস্তা নির্মাণ ও এইচবিবি করণের ব্যবস্থা করে দিবে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ঢেউটিন বরাদ্দের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ক্রয় করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ১৯ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন ‘রাই’ এর আঘাতে কমপক্ষে ১৯ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানননি।
শুক্রবার রাতে টাইফুনটি দক্ষিণ ও মধ্য দ্বীপ প্রদেশের মধ্য দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর অতিক্রম করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ব অনুমোদিত ব্যবস্থা হিসেবে তিন লাখেরও বেশি মানুষকে আগে থেকেই নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। এর ফলে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তারা।
শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ টাইফুনের কারণে পুরো প্রদেশে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং দেশটির কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দেশটির জাতীয় পুলিশ ১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও সরকারের প্রধান দুর্যোগ সাড়াদান সংস্থা ১২ জনের কম মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চীনে কয়লা খনিতে আটকে পড়া ২০ শ্রমিক উদ্ধার
জাপানে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
বজ্রপাত ঠেকাতে হাওরে হবে এক হাজার ছাউনি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে তালগাছ লাগানোর পাশাপাশি এবার ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি (শেল্টার) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের হাওরাঞ্চলসহ বজ্রপাতপ্রবণ ২৩ জেলায় এসব ছাউনি নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত ‘বজ্রপাতজনিত জাতীয় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে জানমাল রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১০ বছরে বজ্রপাতে দুই হাজার ৮০০ মৃত্যু: মো. এনামুর
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, এনামুল হক এমপি, সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড ঠান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. কবিরুল বাশার এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের আদর্শ: প্রধানমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আদর্শ দেশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। কাজেই আজ এতটুকুই বলব জাতির পিতা আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন সেই পদাংক অনুসরণ করে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর এবং দুর্যোগ হ্রাসের আন্তর্জাতিক দিবস ২০২১ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এসময় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ মাঠ থেকে দর্শকরা সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন যাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘আদর্শ দেশ’ হিসেবে যে সম্মান বাংলাদেশ অর্জন করেছে তা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, আমরা ২১০০ সালের ডেল্টা পরিকল্পনা করেছি এবং সে অনুয়ায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী