জ্বালানি তেল
বাস-ট্রাকের পর এবার লঞ্চ বন্ধ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী চলমান পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে লঞ্চের ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবিতে শনিবার দেশের লঞ্চ মালিকরা তাদের সমস্ত পরিসেবা স্থগিত করেছে।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল জানিয়েছেন, শুক্রবার বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি বর্তমানের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে।
সমিতির সভাপতি মাহবুবউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, সরকার ২০১৪ সালে লঞ্চের যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে এক দশমিক ৭০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে। গত কয়েক বছরে ইস্পাত ও জ্বালানির দাম কয়েকগুণ বাড়লেও লঞ্চের ভাড়া আগের মতোই রয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য সরবরাহ বন্ধ
চিঠিতে আরও বলা হয়, সমিতি দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে।
সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায় উন্নীত করেছে যা সমিতিকে সরকার লঞ্চ ভাড়া দ্বিগুণ এবং প্রতি কিলোমিটার ৩.৪০ টাকা নির্ধারণের দাবি করতে বাধ্য করেছে।
চিঠিতে অ্যাসোসিয়েশন শনিবারের মধ্যে সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে এবং সরকারের কাছ থেকে কোনও উত্তর না পাওয়ায় আজ বিকেল ৩টায় লঞ্চ পরিসেবা স্থগিত করেছে বলে জানান বদিউজ্জামান।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সচিব ওয়াকিল নেওয়াজ জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় লঞ্চ মালিক সমিতির সাথে বৈঠকে চলমান সংকটের অবসান হবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: সমাধান ছাড়াই শেষ হলো মন্ত্রীর সাথে পরিবহন মালিকদের বৈঠক: ধর্মঘট অব্যাহত
রবিবার থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলবে বাস
চট্টগ্রাম মহানগরীতে রবিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে বাস চলাচল করবে। শনিবার সন্ধ্যায় পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির নেতারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘আমরা মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের সমিতির অধীন যে বাসগুলো আছে তা রবিবার সকাল থেকে আবারও চলাচল করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছিলাম জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে। আমরা দাবি দিয়েছিলাম জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর জন্য অথবা আমাদের গাড়ির ভাড়া বাড়ানোর জন্য। গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি বন্ধ রেখেছি। আজকেও আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। কিন্তু কিছু কিছু শ্রমিক নামধারী রাস্তায় পিকিটিং করছে। শ্রমিক নাম দিয়ে তাদের সাথে কিছু অবাঞ্চিত লোক গিয়ে রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেবে এটা হতে পারে না। তারা বিভিন্ন মিল কারখানার গাড়িও বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা মানুষকে বিপর্যস্ত আবস্থায় ফেলতে চাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা আগমীকাল সকাল থেকে গাড়ি চালাবো।’
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য সরবরাহ বন্ধ
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি কোনো ধরনের পিকিটিংয়ে যাব না। আমাদের পরিবহন মালিকদের ধর্মঘটের কারণে সরকার বা জনগণের যেন কোনো ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, আমরা তা চাই। সেকারণে আগামীকাল সকাল থেকে আমরা গাড়ি চালাবো।’
এর আগে শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে নগরীর টাইগারপাস মোড়ে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টাইগারপাস এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজি আটকে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এরপর সব ধরনের গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বর্ধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপরেই বৃহস্পতিবার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান মালিকরা।
সমাধান ছাড়াই শেষ হলো মন্ত্রীর সাথে পরিবহন মালিকদের বৈঠক: ধর্মঘট অব্যাহত
দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে পরিবহন শ্রমিক-মালিকদের একাংশের নেতারা শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাথে দেখা করলেও বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি।
ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যানের অতিরিক্ত মহাসচিব আবদুল মোতালেব বলেন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বা পরিবহন ভাড়া পুনর্বিন্যাস না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দাবির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বর্ধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ও পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
মোতালেব বলেন, মন্ত্রী যে কোনো সময় আমাদেরকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীতে আন্তজেলার সকল বাস ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ ও অফিসগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইউএনবি দেখতে পেয়েছে, মানুষজন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রাইড শেয়ারিং ক্যাব ও অটোর জন্য সড়কে উদ্গ্রীবভাবে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের যুক্তি ‘অগ্রহণযোগ্য’: ফখরুল
অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অটো ও রিকশাচালকারা তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।
এক অফিসগামী যাত্রী বলেন,‘অটোচালকরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছেন। এটা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন।’
ট্রাফিক পরিদর্শক (উত্তরা রাজলক্ষ্মী) আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সকাল থেকে সড়কে আমি একটি বাসও দেখিনি। শুধু ক্যাব, ব্যক্তিগত যানবাহন ও অটো চলছে।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, ট্যাঙ্ক লরি এবং প্রাইম মুভার্স মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় দিনে পরিবহন ধর্মঘট, যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীতে অন্ত ও আন্তজেলার সকল বাস ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ ও অফিসগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইউএনবি দেখতে পেয়েছে, মানুষজন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রাইড শেয়ারিং ক্যাব ও অটোর জন্য সড়কে উদ্গ্রীবভাবে অপেক্ষা করছেন।
অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অটো ও রিকশাচালকারা তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: সারাদেশে শুক্রবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট
এক অফিসগামী যাত্রী বলেন, ‘অটোচালকরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছেন। এটা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন।’
ট্রাফিক পরিদর্শক (উত্তরা রাজলক্ষ্মী) আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সকাল থেকে সড়কে আমি একটি বাসও দেখিনি। শুধু ক্যাব, ব্যক্তিগত যানবাহন ও অটো চলছে।’
ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে ডিজেলের মূল্য প্রতিবেশী দেশের চেয়ে কম এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। আর এই অজুহাতে অন্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিরও সুযোগ নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে সম্প্রতি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহল থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে দেশে ডিজেলের মূল্য ছিল লিটার প্রতি ৬৮ টাকা, পরবর্তীতে ২০১৬ সালে লিটার প্রতি তিন টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়। এরপর সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: সারাদেশে শুক্রবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট
চলতি অর্থ বছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন-বিপিসি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয় উল্লেখ করে ড. হাছান এ সময় তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি জানান, এ বছরের জুন মাসে লিটার প্রতি ২.৯৭ টাকা, জুলাই মাসে ৩.৭০ টাকা, আগস্ট মাসে ১.৫৮ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৫.৬২ টাকা এবং অক্টোবর মাসে ১৩.০১ টাকা ভর্তুকি দিয়ে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলের জন্য বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১১৪৭.৬০কোটি টাকা। একইসাথে ১ ডলারের মূল্য ২০১৬ সালে ৭৯ টাকা থেকে চলতি মাসে ৮৫.৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও জানান, ভারতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও পশ্চিমবঙ্গে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯০ রুপি বা ১০৪ টাকা, দিল্লিতে ৯৮.৪২ রুপি বা ১১৪ টাকার সমান। নেপালেও এই মূল্য ১১২.৩৯ রুপি বা ৮১ টাকা। প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে আমাদের মূল্য কম রয়েছে। এ কারণে আবার চোরাকারবারীরা এখান থেকে প্রতিবেশী দেশে ডিজেল পাচার করছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেল চোর সিন্ডিকেটের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার ক্রমাগতভাবে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে এবং এদেশে দাম কম থাকায় বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা রোধকল্পে এই মূল্যবৃদ্ধি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। বাস্তবতার নিরিখে কথা বলা, সাধারণ মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় এবং এই অজুহাতে অন্য পণ্যের যেন মূল্যবৃদ্ধি না ঘটে সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে, অন্যথায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় জ্বালানি তেলের মূল্য ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য-উপাত্ত দেখে মন্তব্য করার জন্য মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সবসময় খানিক উত্তেজনা দেখা যায়। এরপরও আশেপাশের দেশের তুলনায় এখনও আমাদের দেশের নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণই বলতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘আত্মসাৎ’ করতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: বিএনপি
‘লুটেরাদের’ সুবিধা দিতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: বিএনপি
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের লুটেরাদের’ সুবিধা দিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি করেছে যা সকল পণ্যসহ বাস ও ট্রাক ভাড়াও বাড়াবে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির এই সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়ার ফলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে এবং এতে তারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) দ্রব্যের দাম, ডিজেলের দাম ও বিদ্যুতের শুল্ক বারবার বাড়িয়ে লুটপাট করছে। যারা লুটপাটের সাথে সরাসরি জড়িত তাদের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সুবিধা দেবে।’
খসরু বলেন, ‘ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে এবং এ টাকা সাধারণ জনগণের পকেট থেকে নেয়া হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় সরকার সব পণ্য ও ইউটিলিটি সার্ভিসের শুল্ক একের পর এক বাড়িয়ে যাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) লুটপাটের মাধ্যমে টাকা বানায় এবং তা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে।’
এর আগে বুধবার গ্রাহক পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। এছাড়া ১২ কেজি ওজনের এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৩১৩ টাকা করা হয়েছে যা বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন: শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে: বিএনপি
সরকারের সাথে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই: বিএনপি
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: সারাদেশে শুক্রবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিকরা।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, ট্যাঙ্ক লরি ও প্রাইম মুভার্স মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী বৃহস্পতিবার সংগঠনের জরুরি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সংগঠনের নেতারা বলেন, সরকার গত ২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোল ‘অযৌক্তিক’ ভাবে ২৫৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ শতাংশ করে এবং তারপর জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দেয়।
তারা জানান, গত দুই বছরে করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরিবহন মালিকরা যখন করোনার লকডাউনের কারণে সৃষ্ট তাদের বিশাল ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, তখন সেতুর টোল ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজেল, কেরোসিনের দাম বেড়ে লিটার প্রতি ৮০ টাকা
ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে তাদের পরিসেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আর্ন্তজাতিকভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দাম পুণনির্ধারণের দাবি জানান তারা।
সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে। বুধবার বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,নতুন মূল্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকে ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকায় বিক্রি হবে। তবে, অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে সারা দেশের সাথে রাজশাহীর বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) তাদের আমদানি করা দামের চেয়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১৩ দশমিক ০১ টাকায় ও ফার্নেস অয়েল ৬ দশমিক ২১ টাকায় বিক্রি করায় প্রতিদিন সরকারের ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
তাই, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানো হয়েছে।
সিলেটে তেল ও গ্যাস পাম্পে ধর্মঘটের ডাক
সিলেট বিভাগের জ্বালানি তেলের পাম্পগুলোতে নিম্নমানের তেল সরবরাহের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
পরিমাপে কারচুপির অপরাধে ২ পেট্রোল পাম্পকে জরিমানা
রাজধানীতে পরিমাপে কারচুপির অপরাধে সোমবার দুই পেট্রোল পাম্পকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।
জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের ‘সুযোগ নিতে ব্যর্থ হতে পারে’ বাংলাদেশ
অতিরিক্ত সংরক্ষণাগারের অভাবে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসের ‘সুযোগ নিতে ব্যর্থ' হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।