বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সকাল ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
এরপর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সাড়ে নয় মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের শ্রদ্ধা
‘মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শক্তিশালী’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের শ্রদ্ধা
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ডিক্যাব লাউঞ্জে’ বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৬ মার্চ ডিক্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
প্রথমবারের মতো ডিকাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থাপন
পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টার ইতিহাস জানতে জয়ের আহ্বান
বঙ্গবন্ধুর জেল মুক্ত দিবসের ৫০তম বার্ষিকীকে সামনে রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পাকিস্তানের কারাগারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই ইতিহাস জানতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘একদিকে ত্রিশ লাখ শহীদের লাশের স্তূপ, চার লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনের আহাজারি; অন্যদিকে পাকিস্তানি দানবদের হাত থেকে বাংলার মাটি ও সাত কোটি মানুষের চির মুক্তি; হাজার বছরের শৃঙ্খলভাঙার উল্লাসে যখন ঢাকা পড়ে যাচ্ছিলো স্বজন হারানোর বেদনা; ঠিক তখনই পাকিস্তানের কারাগারে হত্যার চেষ্টা করা হয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্য এটাই প্রথম অপচেষ্টা নয়, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ফলাও করে প্রচারিত হতে থাকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। এর মধ্যেই বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়ে চারপাশ থেকে গুলি চালানো হয় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে, গ্রেপ্তার করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর সংসদ ভবন এলাকা, আদমজী ক্যান্টমেন্ট স্কুল, ঢাকা সেনিনাবাসের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখা হয় বাঙালি জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। অবশেষে ১ এপ্রিল তাকে কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে পাঠানো হয় পশ্চিম পাকিস্তানের অন্ধকার কারাগারে।’
আরও পড়ুন: সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
জয় লেখেন, ‘করাচি, লাহোর হয়ে তাকে পাঠানো হয় উষ্ণতম অঞ্চল লায়ালপুর শহরের এক নির্জন কারাগারে।
পাকিস্তানি বর্বর শাসকগোষ্ঠী কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে, কি ছিল তাদের পরিকল্পনা সেই ঘটনাগুলো জানতে পড়ুন এই আর্টিকেলটি। https://www.albd.org/bn/articles/news/38179
নিজে জানুন আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে জানাতে উদ্বুদ্ধ করুন সঠিক ইতিহাস। অনেক অজানা ইতিহাস নিয়ে মাঝে মাঝেই আমার ফেসবুকে কিছু আর্টিকেল শেয়ার করতে থাকবো। সবাই কমেন্ট বক্সে জানাবেন আপনার মন্তব্য।’
তার পোস্টের শেষে তিনি সত্য ইতিহাস শেখার এবং ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে অনাবিষ্কৃত ইতিহাসের আরও নিবন্ধ ভাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রথমবারের মতো ডিকাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থাপন
প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর প্রথমবারের মতো ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিকাব লাউঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি টাঙিয়েছে।
নতুন কমিটি গঠনের পর বৃহস্পতিবার ডিকাবের প্রথম বৈঠকে সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত ডিকাব কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে ‘ডিক্যাব লাউঞ্জে’ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনেস্টটিউটে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হায়েনার দল যাতে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনকে (আওয়ামী লীগ) সজাগ থাকতে হবে।
আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ মসৃণে শিগগিরই জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন: প্রধানমন্ত্রী
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টের গণহত্যা, ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্থাপিত মাতৃভূমি গ্রন্থাগার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুর রহমান।
সংগ্রাম ও সাফল্যের গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরামর্শে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ছাত্রলীগ মিশে আছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এদেশে গণতান্ত্রিক যতগুলো আন্দোলন হয়েছে তার সূতিকাগার ছাত্রলীগ নামের প্রতিষ্ঠান। মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে অবদান বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে তা বলে গেছেন।’
মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মের শুরু থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সততা-নিষ্ঠা ও অন্যায়কে প্রতিরোধ করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রিজভী, সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউলসহ জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
পাঁচ প্রতিবন্ধী সদস্য নিয়ে এক হতদরিদ্র পরিবারের করুণ কাহিনী
গাছ থেকে পড়ে গিয়ে কোমড় ভেঙে যাওয়ার পর প্রতিরাতেই হাড় ভাঙার তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করেন জিয়া শেখ (৪০)। তীব্র ব্যাথায় তার গোঙানির শব্দ শুনে ফ্যালফ্যাল করে অসহায়ের মতো মুখের দিকে চেয়ে থাকে ঘরের বৃদ্ধা মা, অসহায় স্ত্রী ও চারটি শিশু সন্তান। যাদের মধ্যে তিনজন জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী।
ফরিদপুরের মধুখালীর এক হতদরিদ্র জিয়া শেখের পরিবারের করুণ কাহিনী এটি। মাত্র ছয় মাস আগে একটি তাল গাছ ঝুড়তে যেয়ে গাছ থেকে পড়ে চলাচলের শক্তি হারান জিয়া। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করাতে। কিন্তু অপারেশন করানোর সামর্থ্য নেই তার পরিবারের।
মধুখালী উপজেলার মেগচামী গ্রামের প্রতিবন্ধী জিয়া শেখের বাবা করিম শেখ ছিলেন একজন হতদরিদ্র গৃহকর্তা। বাসাবাড়িতে ভিক্ষা করে যা পেতেন তাই দিয়েই কোনমতে দিন কাটতো পরিবারের। ভূমিহীন এই পরিবারের মাথা গোঁজার কোন ঠাই ছিল না। এই অবস্থায় সাত বছর আগে তিন ছেলে ও স্ত্রী রেখে মারা যান করিম শেখ। ছোট ছেলে জিয়া নিজেও একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক প্রভাবে কক্সবাজারে পর্যটনে ভাটা
জিয়া শেখ জানান, দিনমজুরির পাশাপাশি তালগাছ ও নারকেল গাছ ঝুড়ে (গাছের ডগা পরিচর্যা) চলতো তার সংসার। তার স্ত্রী আরজিনা শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে বড় ছেলে আকাশ (১৫) জন্ম থেকে শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। ছয় বছর বয়সী ছোট মেয়ে ইয়াসমিন বাবা-মায়ের মতোই শ্রবণ প্রতিবন্ধী। শারিরীক কোন প্রতিবন্ধকতা নেই ১৪ বছর বয়সী বড় মেয়ে হেলেনার। সে এখন মেগচামী স্কুল এন্ড কলেজ আদর্শ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের আরেক ছেলে রয়েছে আট বছর বয়সী তামিম। সে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সামর্থ্যহীন পরিবারের ঘানি টানতে স্ত্রী আরজিনা বেগম) স্থানীয় একটি মিলে মজুরের কাজ করতেন। আরজিনা নিজেও প্রতিবন্ধী হওয়ায় মিলে কাজ করতে যেয়ে তিনি অসুস্থ্ হয়ে পড়েন।
‘মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শক্তিশালী’
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শক্তিশালী। বিচারপতিরা বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে রেখে তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
শনিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সেখানে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
পরে দুপুরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শ্রদ্ধা জানানোর সময় তার সঙ্গে ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান নোনী ও বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরসহ সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন প্রধান বিচারপতি।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয় ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বটে, তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন মানুষের মধ্যে এবং বাংলার আনাচে কানাচে আমরা বঙ্গবন্ধুকে অনুভব করি। মৃত বঙ্গবন্ধু এখন জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।’
আরও পড়ুন: ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ১৫ আগস্টে আমরা সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠান করেছি। প্রত্যেকটা বিচারপতি উনাকে (বঙ্গবন্ধু) শ্রদ্ধা নিবেদন করে কথা বলেছেন। এখান থেকে আমার মনে হয় জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু মরেননি; আমাদের মনে জীবিত আছেন।’
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
জানা যায়, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ১৯৭২ সালে তিনি খোকসা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর সাতক্ষীরার আচার্য্য প্রফুল্ল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৪ সালে তিনি ওই কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৭৮ সালে এমএ করেন। তারপর তিনি ধানমন্ডি ল কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
১৯৮১ সালে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে একজন আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন। তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে তাকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে বাদ দেন। পরে আদালতের রায়ে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি তাকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। সর্বশেষ গত বছরের ৩ মে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পুননিয়োগ পান তিনি। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তার কর্মজীবনে অনেকগুলো জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেন। একজন সফল বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে নব-নিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
গাজীপুরে দু’ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু রেললাইনে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম জানান, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি জয়দেবপুর জংশন হয়ে কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক স্টেশন ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর স্টেশনের মাঝামাঝি গিয়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এতে ঢাকার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলের দুই দিকে আটকা পড়ে কয়েকটি ট্রেন।
বিকল ইঞ্জিন মেরামত করে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৪ শিশু নিহত
৫ ঘণ্টা বন্ধের পর নাটোরের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ শুরু
পঁচাত্তরের পর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতির উপর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় সংস্কৃতি চর্চাও বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিশ্ব ভরা প্রাণ’ এর চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আমরা পরাজিত করেছিলাম ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, সেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাদের ওপর বারবার আঘাত করেছে। এটা আমাদের মীমাংসিত একটি বিষয় ছিল, আর এই মীমাংসা করতে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে; আমাদের লাখ লাখ মা-বোনকে তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এ মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে আমদের আবার লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি আমাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় দিয়েছিলেন; সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আমাদের উপর যে জিনিসটি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। মীমাংসিত বিষয়টিকে আবার চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় এটা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে শিক্ষা সংস্কৃতি সবক্ষেত্রে। এখন সে জায়গাটায় আমরা সবাই লড়াই করছি।
তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কারণে একাত্তরে মীমাংসিত বিষয়গুলো আবার আমাদের উপর চেপে বসেছে। তারা ধীরে ধীরে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। কারণ, তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিকে সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারি। বীরত্বগাঁথা রচনা করা বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে নিজেদের পরিচয় দেয়ার ক্ষেত্রে একটা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ছিল। আজকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সেই সম্মান দিয়েছেন। তারা রাষ্ট্রীয় সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন। রাষ্ট্র তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যেটা পঁচাত্তর পরবর্তীতে ছিলনা।
তিনি আরও বলেন, যে জাতি তার নিজের সৃষ্টির ইতিহাসকে ভুলে যায়, সে জাতি অন্ধকারে তলিয়ে যায়। সে রকম একটি অন্ধকারে আমরা তলিয়ে যাচ্ছিলাম। সংস্কৃতি চর্চাও যেমন- রবীন্দ্রনাথ-নজরুল চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বর্তমানে সরকার সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, বরাদ্দ বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
জিয়া ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি: খালিদ মাহমুদ
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কবি ইমরোজ সোহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী, সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, নাট্যজন টুটুল চৌধুরী, সংগঠনের সভাপতি জাহান বশির, সাধারণ সম্পাদক নিপা মোনালিসা।