বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনে ও জাপানে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চীন ও জাপানে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ দেখে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন।
আরও পড়ুন: দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভর্তুকি মূল্যে ৩টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১০টি পাওয়ার থ্রেশার বিতরণ করা হয়।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এখন আর কৃষকরা গরু দিয়ে হাল চাষ ও মাড়াই করেন না। তারা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাল চাষ ও মাড়াই করছেন। এজন্য বর্তমান সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করছে।
উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী হাকালুকি হাওরে কৃষকের উৎপাদিত বোরো ধান দেখতে যান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ফরেন সার্ভিস দিবস ২০২৩ উদযাপিত
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকারের মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস দিবস উদযাপিত হয়েছে।
ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা সারাবিশ্বে বাংলাদেশের স্বার্থ সম্মুন্নত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম।
সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিদেশের মাটিতে অসীম সাহসিকতায় বাংলাদেশি কূটনীতিকগণ দেশকে স্বাধীন করার প্রত্যয়ে যে কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, তা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি কূটনীতিকগণের জন্য দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত এবং নতুন প্রজন্মের কূটনীতিকদের জন্য দেশ সেবার বিশেষ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কূটনীতিকগণের গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বিদেশের মাটিতে কূটনৈতিক সার্ভিসের লোভনীয় চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাদ দিয়ে, জীবন, জীবিকা ও পরিবারের কথা চিন্তা না করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন এ দেশের কূটনীতিকদের দেশ, দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অমূল্য জাতীয় সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ।
বঙ্গবন্ধু ও তার ভাষণ নিয়ে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) প্রতিটি ভাষণে বাংলাদেশকে কীভাবে পরিচালনা করতে হবে তার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাই, এই ভাষণগুলো আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ।’
বাংলাদেশ সংসদের ৫০ বছর (সুবর্ণ জয়ন্তী) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বিশেষ অধিবেশনের ঠিক আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
দুটি বইয়ের একটি হল বঙ্গবন্ধুর সংসদে দেওয়া ভাষণের সংকলন এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে পালিত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আইন প্রণেতাদের দেওয়া বক্তৃতার সংকলন।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বই সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ সদস্য, জনগণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ ও এর জনগণকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশকে বোঝার, বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি জানার সুযোগ পাবে (বইটিতে)।’
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের দেওয়া বক্তৃতার সংকলনেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি এ ব্যাপারে স্পিকার, সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংবিধান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান কারণ এতে সকল স্তরের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ (গণপরিষদ) গঠন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত যে বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে বাঙালি জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এটিকে সমগ্র বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এর কারণ হলো সংবিধানে প্রতিটি দৃষ্টিকোণ থেকে দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানে সুবিধাবঞ্চিতসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের অধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেই সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সে নির্বাচনে সাতটি আসন ছাড়া সবকটিতেই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
কার্য উপদেষ্টা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মে কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানি চিত্রকলা (গ্রাফিক্স নোবেল জাপানিজ ‘মাঙ্গা’ ফর্মে) একটি কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু’ নামের বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বইটি যৌথভাবে লিখেছেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম এবং শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। বইটি প্রকাশ করেছে এনআরবি স্কলার্স পাবলিশার্স লিমিটেড।
জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি ধরন হচ্ছে ‘মাঙ্গা’।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রাম এ মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবিতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে একই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্মের কথা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। মূল প্রবন্ধ উপাস্থপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ফখরুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, এম ই চৌধুরী শামীম ও ইওয়ামোটো কেইটা যৌথভাবে রচনা করেছেন শিশু-কিশোরদের উপযোগী বই ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’। বইটিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় অবদানের ফলে বাংলাদেশ যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে সে কথাও বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ফখরুল আলম বলেন, বাংলা, ইংরেজি ও জাপানি-এই তিন ভাষায় বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। জাপানের জনপ্রিয় মাঙ্গা ফর্মে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই প্রকাশের ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
সার্ক লেখক ও সাহিত্যিকদের ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধুকে প্রদান করল সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩
মর্যাদাপূর্ণ দিল্লি-ভিত্তিক সাহিত্য প্ল্যাটফর্ম সার্ক লেখক ও সাহিত্যের ফাউন্ডেশন ৬৩তম সাহিত্য উৎসবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করেছে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শতাধিক শীর্ষস্থানীয় গবেষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে নয়াদিল্লিতে চলতি বছরের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হাই-প্রোফাইল সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে, ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত অজিত কোর বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক মফিদুল হকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার ও কাউন্সেলর (রাজনৈতিক)।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর জনগণের কাছে পরিচিত ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জাতীয় মুক্তির এক সুউচ্চ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং আমেরিকার নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং-এর মতো, বঙ্গবন্ধুকে অশুভ শক্তি নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, কিন্তু পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে পারেনি। তার জীবনের একটি নতুন মাত্রা উন্মোচিত হয় যখন তার দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া জেলখানার ডায়েরি এবং নোটবুক প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়।
ফোসওয়াল উল্লেখ করেছেন যে ট্রিলজির একটি রাজনৈতিক দলিল এবং একটি মানবিক সনদ রয়েছে যা প্রেম ও সহানুভূতির সঙ্গে লেখা, একজন ব্যক্তি যিনি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছেন এবং তার জনগণকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছেন।
তার বক্তৃতায়, ফোসওয়াল অজিত কোর-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিবার স্বাধীনতা দিবস সারা বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে এবং এটি ফোসওয়াল -এর জন্য তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান জানানোর জন্য একটি মহান সম্মান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন এবং তার জনগণকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে চালিত করেছিলেন।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অনুসারে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিন্ন এবং অনন্য ছিল। কারণ, এটি ছিল 'মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা' সংরক্ষণের জন্য যা শুধুমাত্র নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে।
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ব্যতিক্রমী একটি প্রতিযোগিতা। বিদেশি সাতটি ভাষায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থান করা হয়েছে। এই ভাষণ উৎসবের বিজয়ীদের পুরস্কার ও বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুর কাদের।
প্রতিযোগিতার বিদেশি ভাষাগুলো হলো- ইংরেজি, স্পানিশ, ফরাসি, জাপানিজ, চাইনিজ,হিন্দি ও আরবি।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েক হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দেখতে সমবেত হন।
৭ মার্চ এর ভাষণ ৭টি বিদেশি ভাষায় উপস্থাপনকারী শিশুদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের শিশুরা যেভাবে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে গেলেন; আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি আজকে চলে যাবো। কিন্তু, এ স্মৃতি কোনোদিন ভুলব না। আমি ১৪ মাস ফরিদপুর কারাগারে জেল খেটেছিলাম; আর এখান থেকেই আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলাম।’
কাদের বলেন, ‘তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস, তবে দুর্নীতিকে ঘৃণা করো। তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস তবে সন্ত্রাসীকে ঘৃণা করো। তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাস তবে খাদ্যে ভেজাল দেয়াকে ঘৃণা করো, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদকে ঘৃণা করো।
জাতীয় সংগীতের পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই উৎসবে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবু, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন,ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি)।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
সেদিন জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে নানা বয়সী শিশুরাও অংশ নেয়। পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে এআরএফবির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
এআরএফবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মো. ফসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পদকে ভূষিত চিকিৎসক এআরএফবির সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক, এআরএফবির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-গবেষক ড. জহির বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিম, কারিতাস বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. থিওফিল নকরেক, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লি. এর সাবেক ডিজিএম সেলিনা বানু, চিত্রশিল্পী দেলোয়ার হোসেন, মেটাডোর গ্রুপের কোম্পানি সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন ও সংগীত গবেষক ড. এবিএম রেজাউল রিপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, পদোন্নতিতে অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পাওয়ায় আনিকা সুবাহ্ আহমেদকে সন্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে শিশু-কিশোর আনন্দমেলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ পালনের অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দিনব্যপী শিশু-কিশোর আনন্দমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে এই আনন্দমেলা শুরু হয়।
পরবর্তীতে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
শিশু-কিশোর আনন্দমেলায় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরেরা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ দৃশ্য ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ’- বিষয়ে শিশু কিশোরদের জন্য বয়সভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এসকল প্রতিযোগিতায় অর্ধ শতাধিকেরও বেশি শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বক্তব্য দেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপনে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং নিপীড়িত-বঞ্চিত শোষিত মানুষের অধিকার আদায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও নেতৃত্বের বিষয়সমূহ বিস্তারিত বর্ননা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন যে ‘শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। একদিন শিশুরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ সে ভালোবাসা থেকেই জাতিসংঘে শিশু সনদ গৃহীত হওয়ার প্রায় ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম স্নেহ ও ভালোবাসাকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৭ সাল হতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত মুহিত এ বছরের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য– ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ -এর ওপর আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে পরবর্তীতে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদশের শিশুদের উন্নয়ন ও সমান অধিকার রক্ষায় যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলছেন। এসময় তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা একটি চলমান দর্শন এবং এই সোনার বাংলা দর্শনের ধারাবাহিকতার একটি অংশ হলো আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: লস এঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত মুহিত নতুন প্রজন্মকে, প্রবাসে থেকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জানা ও ধারণ করার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের গড়ে তোলায় অবদান রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত মুহিতের বক্তব্যের আগে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় আয়োজনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বসবাসরত শিশু-কিশোরগণ ও তাদের অভিভাবকেরা, স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা, বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা এবং স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং সার্বিক আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর পণ্য নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ 'এম ভি এভার চ্যাম্পিয়ন'। রবিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি।
জাহাজে এক হাজার ৪১১ মেট্রিকটন পণ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্দেশ উপেক্ষা করে মংলা বন্দরে ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ: দুর্ঘটনার আশংকা
এর আগে গেল ৭ মার্চ ভিয়েতনামের হাই ফং বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে মোংলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে জাহাজটি।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হক অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের অপারেশন ব্যবস্থাপক শওকত আলী বলেন, দুপুরে এক হাজার ৪১১ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভীড়েছে। জাহাজের পণ্য খালাস চলছে। দুই দিনের মধ্যে খালাস শেষে নৌপথে সেগুলো যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
এর আগে এই সেতুর এক হাজার ৫৫৬ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে গত ৫ মার্চ মোংলা বন্দরে আসে হাইডং-৯ নামের জাহাজ।
সেগুলোও ইতোমধ্যে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: ৩ দিনের সফরে মংলায় এসেছে ভারতের যুদ্ধজাহাজ
মংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্প: ১০ বছরেও কাজ শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়েছে ১২১ শতাংশ
মুন্সীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) দিবাগত ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে ষোলঘর এলাকায় এক পথচারীকে দ্রুতগামী একটি গাড়ি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহত উজ্জ্বল মৃধা (৩৫) শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া গ্রামের মানিক মৃধার ছেলে।
অন্যদিকে, রাত সাড়ে ৪টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার উমপাড়া এলাকায় এক ট্রাকচালক চাকা মেরামত করার সময় পেছন থেকে অপর একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত হোসেন আলীর (৩৮) বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ষোলদাগে।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডে গোপালগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে কয়েকজন যাত্রী নামার সময় বিপরীতমুখী আরেকটি বাস তাদেরকে চাপা দেয়।
ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
হাবিবুর রহমান (৬৫) নামে আহত আরেকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাবিবুরের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির মোল্লা জানান, অজ্ঞাতপরিচয় এক জনের লাশ থানায় রয়েছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঝালকাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ নিহত ২