নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২
নারায়ণগঞ্জের বন্দর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের সময় ছুরিকাঘাতে অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ দুইজন আহত হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বের) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডে উপজেলার সোনাচোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা উপপরিদর্শক হাবিব ও কনস্টেবল শরীফ হোসেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সোনাচোরা এলাকায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম। এ সময় সোনাচোরা পুদলীপাড়া এলাকার মাদক সম্রাট হুমায়ূনসহ তার সহযোগী কবির, কালু, মনসুর বাবুকে মাদকসহ আটক করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী হুমায়ুন ও তার সহযোগীরা এস আই হাবিব এবং সিপাহী শরীফকে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযানের সময় স্থানীয়রা দুই মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের কারো নাম জানা যায়নি।
ছুরিকাঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সাদিক বলেন, আহত দুইজনের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ঢাকা মেডিকেলে তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, বুধবার সোনাচোরা এলাকায় অভিযান চালানোর সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সিপাহীকে ছুরিকাঘাত করে মাদক ব্যবসায়ীরা। আহতদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিকালে ঢাকা মেডিকেল থেকে ফোন করে আমাকে একজন জানিয়েছে। পরে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেন নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক মো. মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন
পাবনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
নারায়ণগঞ্জে পাটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড, ফায়ার সার্ভিস কর্মী আহত
নারায়ণগঞ্জে একটি পাটের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় শহরের শীতলক্ষ্যা কদমতলা এলাকায় সুলতান গিয়াসউদ্দিন রোডে ‘শারমিন জুট বেলার্স’- এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তির নাম সেলিম।
শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফকরুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: অটোরিকশা-ভটভটির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
তিনি জানান, এখানে বিভিন্ন মালিকের পাটের গোডাউন ছিল। গত বৃহস্পতিবার ২টা ১৫ মিনিটের সময় শারমিন জুট বেলার্সে আগুন লাগার সংবাদ পাই। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের নারায়ণগঞ্জের ফায়ার ইউনিটি তিনটা গাড়ি নিয়ে আগে পৌঁছায়। আগুন বেশি থাকার কারণে পরবর্তীতে হাজীগঞ্জ ও ফতুল্লার ফায়ার সার্ভিস থেকে আরও দুইটা করে চারটা গাড়ি আসে। পরে প্রাথমিক অবস্থায় মোট সাতটা গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার কাজ করে। প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে অর্থাৎ আনুমানিক ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফকরুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে কোন আহত কিংবা নিহত পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের একজন ফায়ার ফাইটার লিডার সেলিম পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে আছেন।
তিনি আরও জানান, আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত কমিটি করা হবে। তারপর আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
গোডাউনের থাকা শ্রমিকরা জানান, রাতে হঠাৎ বের হয়ে দেখি আগুন। মূলত সামনের গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
শারমিন জুট বেলার্সের গোডাউনটি চারজন ব্যবসায়ী ভাড়া নিয়ে পাট মজুদ ও রপ্তানি করে।
মালিকপক্ষের দাবি, গোডাউনে থাকা পাট ও মেশিনারিজসহ প্রায় শত কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৪, আটক ১০
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে মা-ছেলে আহত
সোনারগাঁ থেকে ২ হাজার৭৯০ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে দুই হাজার৭৯০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এসময় একজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব। শুক্রবার দিবাগত রাতে সোনারগাঁ থানাধীন আষাড়িয়ারচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার মো. বেলাল হোসেন (৪৫) গাইবান্ধার সাঘাটা থানার জুম্মার বাড়ি এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাড়ে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর আষাড়িয়ারচর এলাকায় বিসমিল্লাহ ফিলিং স্টেশন এর সামনে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১। ওই অভিযানে কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী গণপরিবহনে তল্লাশি করে প্লাস্টিকের ব্যাগে চালের ভেতর থেকে দুই হাজার সাতশত নব্বই পিস ইয়াবা জব্দ করে।
র্যাব আরও জানায়, বেলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব দাবি করে, গ্রেপ্তার বেলাল দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় ইয়াবা কেনা-বেচা করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাব জানায়।
আরও পড়ুন: কোস্টগার্ডের অভিযানে ১০ হাজার কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
দুই লাখ টাকা মূল্যের কষ্টিপাথর জব্দ, আটক ১
আড়াইহাজারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ শিক্ষার্থীসহ দু’জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টায় উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাল্লা এলাকায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাফিজ রূপগঞ্জের নাইম মিয়ার ছেলে ও আড়াইহাজারের সরকারি সফর আলী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বাঁধন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নরসিংদীর দিকে যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাল্লা এলাকায় নরসিংদী থেকে আসা একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির দুই যাত্রী নিহত হন। আহত হন চারজন।
এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৪, আহত ১৫
ফতুল্লায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইমন (২২) নামে এক যুবককে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ফতুল্লার নিউ হাজীগঞ্জস্থ জনৈক আজাদ বক্সের পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ইমনের বাবা ইব্রাহিম হোসেন ইবু। ইমন হাজীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের দেলোয়ার হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
জানা যায়, নিহত ইমনের গলায় লোহার শিকল ও দড়ি পেঁচানো ছিল। সেই সঙ্গে শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘নারীর ছদ্মবেশে থাকা যুবক’ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
নিহতের বাবা ইব্রাহিম হোসেন ইবু জানান, ইমন মাদকাসক্ত ছিলো। স্থানীয় কিছু মাদকাসক্তদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। তাকে মাদকমুক্ত করতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু মাদক ছাড়েনি।
তার ধারণা, মাদক নিয়ে বিরোধের জের ধরে অন্যান্য মাদকাসক্তরাই ইমনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। তার পিঠেও আঘাতের রক্তাক্ত জখম রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (আইসিপি) কাজী মাসুদ রানা জানান, নিহতের গলায় পেঁচানো লোহার চেইন ও দড়ি পেয়েছে পুলিশ। তাছাড়া শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাদক নিয়েই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে যেকোন সময় হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জোড়া খুন: গ্রেপ্তার ৪
ভাইকে খুনের দায়ে ভাইয়ের যাবজ্জীবন
সোনারগাঁওয়ে মনির হত্যা: ৪ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আলোচিত মনির হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদেও আপিলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে রবিবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম মো: গোলাম সারোয়ার পায়েল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও এম মাসুদ রানা।
জানা যায়, সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে আসামিরা মনির হোসেনকে ডেকে নিয়ে একটি মাঠে ছুরিকাঘাত করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর কচুরিপানা দিয়ে লাশ ঢেকে রাখে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার চার জনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোলজার হোসেন ও শাহীন। এর মধ্যে আসামি শাহীন পলাতক।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। আজ আদালত চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই কিশোর কায়েসকে হত্যা!
অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কিশোর অটোচালক কায়েসকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, শনিবার রাতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নিহত কায়েসের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছে- বন্দর উপজেলার পদুঘর এলাকার কাওছার, কামরুজ্জামান শ্যামল ও ফাহিম ওরফে জিকো।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সেটি ভাড়া করে সাবদি এলাকায় যায়। সেখানে তারা মদপান করে পার্শ্ববর্তী নরপদি এলাকার গিয়ে চালক কায়েসের হাত-পা ও মুখ বেঁধে জবাই করে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে দেয়। পরে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তারা। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও একজন পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
এর আগে গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে কায়েস। ঘটনার চারদিন পর শনিবার দুপুরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদি এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ কায়েসের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তার মা শারমিন বেগম অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করে ওইদিনই বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লু লেস এই হত্যাকাণ্ডের তিনজনকে ১২ ঘন্টার মধ্যে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!
হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে ডোবা থেকে অটোরিকশা চালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের চারদিন পর ডোবা থেকে অটোরিকশা চালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার গলা কাটাসহ হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিল।
অটোরিকশা চালক কায়েস (১৫) বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার বাসচালক কাশেম মিয়ার ছেলে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে এলাকার পরিবেশ। ছেলে হারানোর শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা শারমিন বেগম।
স্বজনরা জানান, বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে কায়েস। রাতে বাসায় ফিরে না আসায় পরদিন বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তার মা শারমিন বেগম বাদি হয়ে বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করলেও কায়েসের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।
এদিকে শনিবার দুপুরে বন্দর থানা পুলিশ কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদি এলাকায় ডোবা থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় কায়েসের লাশ উদ্ধার করলে তার স্বজনরা গিয়ে শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের সাব স্টেশন থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্বজনরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই নির্জন এলাকাটি ছিনতাইকারী ও অপরাধীরা নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
প্রায় সময় অটো ছিনতাই ও চালককে হত্যা করে লাশ ফেলে যাওয়া হয়। এছাড়া এলাকায় আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবিও করেন তারা।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব আহমেদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানসহ নানা তৎপরতা ও মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তিন ভাইয়ের মধ্যে কায়েস দ্বিতীয়। গত পাঁচ বছর আগে বাবা কাশেম মিয়া আরেক বিয়ে করে ভারতে চলে গেলে মা শারমিন পরিবারের খরচ চালাতে গার্মেন্টস কারখানায় কাজ নেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে একই ঘর থেকে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার!
মায়ের সঙ্গে বাড়তি উপার্জন করতে হোসিয়ারি কারখানায় কাজ নেয় কায়েস ও তার বড় ভাই সায়মন।
তবে দু’মাস ধরে কারখানায় কাজ না থাকায় মাঝে মাঝে অটোরিকশা চালাতে শুরু করে কিশোর কায়েস।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নদীতে পড়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
বিদ্যুতের সাব স্টেশন থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে নদীতে পড়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জ সদর থেকে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার দেওভোগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
শুক্রবার র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার মো. শিপন (৩৮) একই এলাকার মৃত আফসারের ছেলে।
আরও পড়ুন: উত্তরা থেকে সিরিয়াল রেপিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদরের স্থানীয় একটি এলাকায় ১০ বছরের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে শিশুটি বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার আসামিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ১১ বছরে ধরে পলাতক মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
মামলার জাহার সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিযুক্ত আসামির বাড়ির ৪র্থ তলার একটি ফ্লাটে ভাড়ায় থাকত। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বাথরুমের প্রয়োজনে বাহিরে গেলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা অভিযুক্ত আসামি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটির চিৎকার শুনে মা এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত আসামি পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে মানবপাচার চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আসামিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকমর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিজ বাড়ির টয়লেটে মিলল দলিল লেখকের বিবস্ত্র লাশ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিজ বাড়ির টয়লেট থেকে মোশারফ হোসেন নামে এক দলিল লেখকের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার কাঁচপুর চেঙ্গাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে শাহিনুর বেগম পুলিশকে জানান, তার স্বামী প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত তিনটার দিকে একদল ডাকাত তার বাড়িতে হানা দেয়। এসময় ডাকাতরা তার পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে মোশারফকে বাথরুমে আটকে পিটিয়ে আহত করে। পরে ডাকাতরা চলে গেলে বাড়ির সবাইকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন মোশারফকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
তবে দলিল লেখক মোশারফ হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি পুলিশের।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ডাকাতির অভিযোগ উঠলেও ওই বাড়ি থেকে কোন কিছুই খোয়া যায়নি। এমন কি বাড়িটির কোন অংশ ভাঙাও নেই।
তিনি বলেন, আমরা ডাকাতির কোন আলামত পাইনি। তাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করছি।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়কের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে পৃথক স্থান থেকে ২জনের লাশ উদ্ধার