শিক্ষক
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলে, নিয়োগ জুলাইতে
আগামী এপ্রিলের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং জুলাইয়ে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।বুধবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২,৫৭৭ (বত্রিশ হাজার পাঁচশ সাতাত্তর) টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও দশহাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে করে বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে; যা পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এ সমস্যা নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে রিট
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, রুহুল আমিন, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার বিকল্প নেই, এবং প্রাথমিক শিক্ষা জাতির ভিত নির্মাণ করে, তাই সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ
কুড়িগ্রামে কলেজ শিক্ষকের আত্মহত্যা!
কুড়িগ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কলেজ শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে জেলা শহরের হিঙ্গন রায় গোরস্থান পাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আবু তাহের (৫২) একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রামের উলিপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কলেজ শিক্ষকের আত্মহত্যা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত আবু তাহের ২০১৯ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রামের উলিপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে শহীদ বেদীতে জুতা পায়ে উঠেন। সেই সময় স্থানীয় জনতা বিক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে মারধর করেন। পরে কলেজের কর্মচারীরা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। দীর্ঘদিনের আত্মসম্মান হানি ও হতাশাগ্রস্ত থেকে তিনি সকালে নিজ বাসার দ্বিতীয় তলায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার স্ত্রী সকালে স্বামীকে সিলিং ফ্যানের রডে ঝুলতে দেখে চিৎকার করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতের ঝুলন্ত লাশটি নিচে নামান।
মৃতের স্ত্রী নাদিরা বেগম বলেন, 'আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে কলেজের শিক্ষকতা করে। তিনি ভালো মানুষ। মামলা নিয়ে তিনি মানসিক দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
আরও পড়ুন: এনজিওর দেনার চাপ সইতে না পেরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যার অভিযোগ
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কলেজ শিক্ষকের আত্মহত্যার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের সদস্যরা রয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় খুবি শিক্ষক কারাগারে
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।
অভিসাধন চন্দ্র স্বর্ণকার খুবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। সমন পেয়ে আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো.আবু হুরায়রা সোহেল জানান, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের অলোক স্বর্ণকারের মেয়ে পূজা স্বর্ণকারের সঙ্গে ২০২০ সালের ৮ জুন একই এলাকার যুগল কৃষ্ণ স্বর্ণকারের ছেলে সাধন চন্দ্র কর্মকারের রেজিস্ট্রিকৃতভাবে বিয়ে হয়। এরপর একই বছরের ২৭ নভেম্বর ধর্মীয়ভাবে উভয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে খরচ বাবদ, সাধন চন্দ্রকে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। এছাড়া বিয়ের সময় তাকে ঘরের ফার্নিচার ও মোটরসাইকেল দেয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন পরই পাঁচ লাখ টাকার জন্য পূজাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন সাধন। এতে কাজ না হওয়ায় প্রায়ই তাকে মারধর করতে থাকেন। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি আরও জানান, গত ৩১ জানুয়ারি পূজা বাদী হয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলা করেন। মামলাটি ওই আদালতের বিচারক আমলে নেন। আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য খুবির ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে সমন জারি করে তার ঠিকানায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার জামিন নেয়ার জন্য সাধন চন্দ্র উপস্থিত হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
কাশিমপুর কারাগারে চিকিৎসাধীন নারী হাজতির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে প্রদীপ ও লিয়াকত
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু
গাজীপুরের কালীগঞ্জে গাড়িচাপায় এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে কালীগঞ্জের দালান বাজার-বক্তারপুর সড়কের চুপাইর মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আফলাতুন কাউসার খাঁন (৫০) স্থানীয় ব্রাহ্মণগাঁও বালিকা দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার ও আরবি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসলাম মিয়া জানান, মাদরাসায় যাওয়ার উদ্দেশে সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হন কাউসার। পথে চুপাইর মধ্যপাড়া এলাকায় পৌঁছালে সড়কে থাকা একটি ইটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলসহ তিনি সড়কে পড়ে যান। সে সময় পেছন থেকে আসা অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ঘাতক গাড়িটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিহত শিক্ষকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত
ঢাবির 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের ক্ষোভ: আদালতে যাওয়ার হুমকি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করার প্রস্তাবিত পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের দাবি, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি।
অনুষদের অধ্যাপক সাদেকা হালিমের মতে, ২০২০ সালে ডিন কমিটির এক সভায় উপাচার্য ও অন্যান্য অনুষদের প্রধানরা এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে কমছে ভর্তির আসন সংখ্যা, থাকছে না ‘ঘ’ ইউনিটও
তিনি বলেন, আমি জানি না আলোচনা কখন সিদ্ধান্তে পরিণত হয়েছে। আমি এটাও জানি না কখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
তৎকালীন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম ২০২০ সালে অনুষদের ১৬ টি বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন এবং পরীক্ষা বাতিল করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির বৈঠকের পর হঠাৎ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যার অর্থ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে 'ডি' ইউনিট থাকবে না।
তবে ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এ দাবি অস্বীকার করে বলেন, ‘ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নেয়া হয়েছিল।
ইউএনবি দ্বারা প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি থেকে জানা যায় যে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর ডিন কমিটির বৈঠকের পরে ভর্তি কমিটি পরবর্তীতে 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরের ক্লাস বন্ধ
পরবর্তীতে, ওই বছরের ১৬ আগস্ট একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষাগুলো সম্পূর্ণ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
তবে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলছেন, 'একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমাদের অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘এর আগে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বিভাগগুলোর প্রধানদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল, যেখানে পরীক্ষা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।’
অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, 'ডি' ইউনিট রাখতে তিনি ‘প্রয়োজনে’ আদালতে যাবেন।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের প্রধান তৌহিদা জাহান বলেন, ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করা হলে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ কমে যাবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, অগণতান্ত্রিক উপায়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের মতামত বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বিক্ষোভে নেমেছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, যদি 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করা হয়, তবে শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।
পাউরুটি কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন: মুক্ত দুই শিক্ষককে বঙ্গবন্ধুর বই পড়ার আদেশ
পাউরুটি কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালন এবং সেই ভিডিও লাইভের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় দু’জন মাদ্রাসা শিক্ষককে প্রবেশন আইনে সাজা দিয়ে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর নয় আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো.জিয়াউর রহমান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বৈরতলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহা. আব্দুস সালাম ও একই মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক গোলাম কবির।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রাত ৮ টার পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইসমত আরা বলেন, এ মামলায় সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১/৩১ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাদের সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা আদালত বিবেচনায় এনে শাস্তির পরিবর্তে শর্তের ভিত্তিতে প্রবেশন মঞ্জুর করে তাদের মুক্তি দেন। এছাড়াও মামলার অপর নয় আসামির দোষ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
ইসমত আরা বলেন, ‘প্রবেশনকালীন সময়ে আসামিরা এক বছরের জন্য আদালতের নিয়োগ করা একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। এই সময়কালে ‘বাঙালি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এই তিনটি বই পড়বেন।
সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের উপর জাহানার ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ ও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের লেখা ‘একাত্তরের চিঠি’ এই দুটি বইসহ পাঁচটি বই পড়বেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জানাবেন। প্রবেশনে মুক্তি প্রাপ্ত আসামিদের ১০টি বনজ ও ১০টি ফলজ গাছ রোপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এডভোকেট ইসমত আরা বেগম আরও বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুাল আদালতগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম প্রবেশন। আসামিরা আপাত দৃষ্টিতে মুক্তি পেলেও আগামী এক বছর আদালতের নজরদারীতে থাকবেন। আদালতের শর্ত ভঙ্গ করলে ও আচরণ সন্তোষজনক না হলে তাদের প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং শাস্তি হিসেবে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১/৩১ ধারার প্রত্যেক অপরাধের জন্য এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে রেলওয়ে কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শারমীন কানিজ বলেন, ফৌজদারী মামলার বাইরে প্রবেশনের বিধান একটি যুগউপযোগী উদ্যোগ। আমি আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট। আশাকরি প্রবেশনপ্রাপ্ত আমার দুইজন মক্কেল আদালতের শর্ত সঠিকভাবে পালন করে মামলা থেকে মুক্তি পাবে।
উল্লেখ, গত বছরের ১৭ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বৈরতলা দাখিল মাদ্রাসায় দশ টাকা দামের পাউরুটি কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করা হয়। এ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে আইনশৃংখলা অবনতির আশঙ্কায় জনস্বার্থে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ইউনুস আলী মাদ্রাসা সুপারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত করে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এবার ইউপি নির্বাচনে আব্দুল হাই মাস্টার
জনগণের সেবক হওয়ার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার ইউপি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন আব্দুল হাই মাস্টার। তিনি কুড়িগ্রামের চর ভূরুঙ্গামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন, পাথরডুবি ও শিলখুড়ি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল মার্কা নিয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল হাই মাস্টার।
এর আগে আব্দুল হাই মাস্টার উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তারপর ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাকের পার্টির ব্যানারে ভূরুঙ্গামারী নাগেশ্বরী তিন আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হন। সেই থেকে প্রতিটি নির্বাচনে হারলেও অংশ গ্রহণ করতে পিছপা হননি আব্দুল হাই মাস্টার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এবারেও তিনি চেয়ারম্যান পদে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও অনান্যদের চেয়ে ভিন্ন রকম।
এই নির্বাচনে তার কোনো কর্মী নেই, নেই কোন শোডাউন। নেই কোন মিটিং মিছিল। প্রার্থী নিজেই মাউথপিস হাতে নিয়ে অটোরিকশায় করে তার মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন।
সরকারকে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান শিক্ষক সমিতির
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি।সভায় চলমান সংকট নিরসনে চার দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। দাবির মধ্যে রয়েছে-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে সরকার কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি, উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এক্ষেত্রে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কোন ধরনের সহিংসতায় সম্পৃক্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হলো।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’: ঢাবিতে বিক্ষোভ
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
কালীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বাড়ি থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে স্কটল্যান্ডপ্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বাড়ি থেকে এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কাকিনা বাজার এলাকায় প্রবাসী শিক্ষক ড. মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত গৃহকর্মী শাহিনুর বেগম টাঙ্গাইলের মধুপুরের রাধাপাল গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, বাড়ির মালিক স্কটল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে কর্মরত। তিনি কাকিনা উত্তরবাংলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান। বর্তমানে কাকিনার বাড়িতেই অবকাশ যাপন করছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ২০ বছর ধরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরের অধিবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্থনীতিবিদ ড. মোজাম্মেল হকের কাকিনাস্থ বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন ওই নারী। তিনি প্রতিদিনের মতো গত শনিবার রাতের কাজ শেষ করে নিজের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। রবিবার সকালে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অন্য গৃহকর্মীরা জানালা ভেঙে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দুপুরে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, মৃত গৃহকর্মীর শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তাই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুলনায় কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি কলেজের এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি কলেজের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী অধ্যক্ষ ও সভাপতিসহ বিভিন্ন জনের কাছে সৌমিত্র সাধু নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত সৌমিত্র সাধু উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের সুনীল সাধুর ছেলে এবং কপিলমুনি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক।
এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, ডাকযোগে অভিযোগপত্রটি পাওয়ার পর সৌমিত্র সাধুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠানো হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি পাঠানো ওই নোটিশে তাকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের ব্যাপারে তার বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ, ফরিদপুরে হাসপাতাল বন্ধ
অভিযোগে জানানো হয়, সৌমিত্র সাধু শিক্ষকতার পাশাপাশি স্থানীয় মটরসাইকেল স্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ, সে তার কাছে গত প্রায় চার বছর ধরে কোচিং করছে। গত মাস ছ’য়েক আগে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সে কপিলমুনি কলেজে পড়ালেখা ও কোচিংয়ের সুবিধার্থে পার্শ্ববর্তী তার এক মাসীর বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে। সম্প্রতি একদিন কোচিংয়ে সকলের অনুপস্থিতে ওই শিক্ষক তার শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ ঘটনায় সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এমনকি তার এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় ঝামেলা এড়াতে কিছুদিন সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়নি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনার পর প্রথমে সে বিষয়টি কলেজের উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মণ্ডলকে জানায়। এরপর তিনি অভিযুক্ত শিক্ষকসহ কলেজের আরও এক শিক্ষক পরিমল সাধুকে সঙ্গে নিয়ে তার মাসীর বাড়িতে যান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য। এই ঘটনায় সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাসহ ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, এমনকি উপাধ্যক্ষ এ ঘটনায় তার যথোপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়ে অভিযুক্তকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। তবে এখন পর্যন্ত উপাধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন নি, এমনকি তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করেন।
এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার অভিযোগ
এ ব্যাপারে কলেজের উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মণ্ডল জানান, খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে নতুন করে এ নিয়ে অভিযোগপত্র উত্থাপিত হওয়ার ব্যাপারে জানা নেই তার।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্ল্যাহ বাহার অভিযোগপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তার কাছে ডাকযোগে একটি অভিযোগপত্র এসেছে। এরপর গত ১৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত সৌমিত্র সাধুকে তার স্বপক্ষে কারণ দর্শাতে সাত দিনের সময় দিয়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। এর জবাব পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কপিলমুনি কলেজের সভাপতি ও পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, তাকেও এরকম একটি অভিযোপত্র পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কলেজ অধ্যক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করেছেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৪