সংসদ
৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
এটি অর্থমন্ত্রীর টানা পঞ্চম এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট।
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারের সঙ্গে মিল রেখে একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক-প্রবৃদ্ধির দিকে দেশকে চালিত করার এবং ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।
মোট প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয়ের জন্য এবং বাকি ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে।
মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল আনুমানিক ৫ লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংগ্রহ করবে ৪ দশমিক ৩০ লাখ কোটি টাকা এবং বাকিটা সংগ্রহ করবে অন্যান্য উৎস থেকে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
প্রস্তাবিত বাজেটে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি হবে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ যদিও বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের দর ১০৮.৫ টাকা, রপ্তানির জন্য ১০৭ টাকা
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার বিকালে সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বড় ৭ দশমিক ৬১ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এটি হবে অর্থমন্ত্রীর টানা পঞ্চম এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট।
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারের সঙ্গে মিল রেখে একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক-প্রবৃদ্ধির পথে দেশকে চালিত করা এবং ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের ওপর এই বাজেটে জোর দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা এবং বাজেট কর্মকর্তারা বলছেন, যদিও সরকার রাজস্ব সংগ্রহ এবং সরকারি ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে এবং কৃচ্ছ্রতা সাধনের কৌশল গ্রহণ করেছে। তবে রাজস্ব ঘাটতির প্রেক্ষাপটে সরকারের বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, বাজেটে ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ৬১ লাখ কোটি টাকা ঘাটতিসহ রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে। যার মধ্যে ১ দশমিক ০২ লাখ কোটি টাকা ঋণ করা হবে বাহ্যিক উৎস থেকে এবং ১ দশমিক ৫৫ লাখ কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে।
অর্থমন্ত্রী ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ১ দশমিক ৩২ লাখ কোটি টাকা, সঞ্চয় প্রশংসাপত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা, নন-ব্যাংক উৎস থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছেন।
আরও পড়ুন: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
এছাড়া সরকারের পরিচালন ব্যয় ৪ দশমকি ৭৫ লাখ কোটি টাকা এবং মোট উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যতিক্রমী হতে পারে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব যা অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকেও সমস্যায় ফেলেছে।
অর্থমন্ত্রী উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য ২ দশমকি ৭৭ লাখ কোটি টাকা প্রাক্কলন করেছেন। আগামী অর্থবছরে দেশীয় সুদ পরিশোধে সরকার ব্যয় করবে ৮২ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।
প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা মূলধন ব্যয় হিসাবে ব্যয় করা হবে, ৫০২ কোটি টাকা খাদ্য খাতে ব্যয় করা হবে এবং ৮ হাজার ৪০২ কোটি টাকা ঋণ ও অগ্রিম হিসাবে রাখা হবে।
২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নের জন্য ২ দশমিক ৬৩ লাখ কোটি টাকা, নন-এডিপি বিশেষ প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা, নন-এডিপি কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং স্থানান্তর হিসাবে ২ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা এবং স্কিম হিসাবে ৩ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা যা কিছু উন্নয়ন কর্মসূচী অন্তর্ভুক্ত করে যা নিজস্ব উৎস থেকে অর্থায়ন করা হয় কিন্তু এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত নয়।
আসন্ন অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা যার মধ্যে ৪ দশমিক ৫ লাখ কোটি টাকা আসবে কর-রাজস্ব হিসেবে এবং ৫০ হাজার কোটি টাকা অ-কর রাজস্ব হিসেবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ দশমিক ৩ লাখ কোটি টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে যেখানে এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা।
বৈদেশিক অনুদান হিসেবে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আসবে বলে অনুমান করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: সংসদের ২৩তম অধিবেশনের জন্য ৫ সদস্যের প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত
নির্বাচনকালীন সরকার বিরোধী দলের এমপিদের সংসদে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতিতে দেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ওয়েস্টমিনস্টার টাইপের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। ব্রিটেনের মতো আমরা নির্বাচন করব। হ্যাঁ, আমরা উদারতা (নমনীয়তা) দেখাতে পারি যে সংসদে এমপিদের (অন্যান্য বিরোধী দল) মধ্য থেকে কেউ যদি নির্বাচনকালীন সরকারে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে, আমরা তাদের নিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
একথায় তিনি সংসদের বিরোধী দলের এমপিদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে বিরোধী দল বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যই সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন তারা (বিএনপি) সংসদে নেই। সুতরাং, তাদের সম্পর্কে চিন্তা করার কিছু নেই।’
গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৯ মে মাস পর্যন্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে তার সাম্প্রতিক ত্রিদেশীয় সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন সরকার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
হাসিনা বলেন, তার সরকার ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের উদারতা দেখিয়েছিল এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ওই নির্বাচনকালীন সরকারে তার দলের প্রতিনিধিত্ব করতে বলেছিলেন, কিন্তু তিনি তা করেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তারা (বিএনপি) সংসদে নেই। সুতরাং, তাদের সম্পর্কে চিন্তা করার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: শুধু ঢাকাতেই দিনের বেলায় ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং
লিখিত পরীক্ষার পরে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও বঙ্গবাজারের দোকান মালিকরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি: সংসদে এনামুর
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বৃহস্পতিবার বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির কথা জানিয়ে নিয়ে ১০ বার সতর্কতামূলক নোটিশ দিলেও বঙ্গবাজারের দোকান মালিক সমিতি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বৃহস্পতিবার সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ ধারায় এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এছাড়া আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে সরকারও মার্কেট উচ্ছেদ বা ভাঙতে পারেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৫ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে বঙ্গবাজার মার্কেটের প্রায় ১ দশমিক ৬৯৭ একর জমি পায়। ১৯৯৫ সালে বাজার সমিতি নিজস্ব খরচে তিনতলা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স নির্মাণ করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট সেখানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। কর্তৃপক্ষ ১৪১টি গাড়ি পার্কিং সুবিধা এবং ৪ হাজার ৪১৩টি দোকানসহ প্রতি ফ্লোরে ৬৭ হাজার ৩৩২ দশমিক ৫৩ বর্গফুটসহ একটি স্টিলের কাঠামোর বহুতল ভবন অনুমোদন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
এনামুর বলেন, ২০১৯ সালে কর কর্মকর্তা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতিকে ৩০ দিনের মধ্যে মার্কেট খালি করার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছিলেন।
কিন্তু দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তিনটি মামলা করা হয় এবং হাইকোর্ট স্থগিতাদেশের আদেশ দেন; যা বারবার বর্ধিত করে আজ পর্যন্ত বহাল রয়েছে।
বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠির মাধ্যমে ছয়বার অবহিত করা হয়েছে যে কোন সময় আগুন লাগতে পারে এবং মার্কেটটি পুরাতন টিন, কাঠের তৈরি ও জরাজীর্ণ, ব্যবহারের অযোগ্য ও বিপজ্জনক। তাই বাজারটি খালি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এনামুর বলেন, ‘কিন্তু মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খালি করেনি, বরং সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আদালতের আদেশের কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে মার্কেট ভাঙা বা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরও বলেন যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ২০১৯ সালের এপ্রিলে এটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করেছিল এবং বাজারে ব্যানার ঝুলিয়ে সতর্ক করেছিল।
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতিকে বারবার নোটিশ জারি করে তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: ব্যবসায় টিকে থাকতে সুদমুক্ত ঋণ চান বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে বৃহস্পতিবার
আইনসভার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একাদশ সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে বৃহস্পতিবার। এটি বর্তমান সংসদ বা জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনও হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ এপ্রিল সংসদে দেশের অর্জন ও আইনসভার ভূমিকা তুলে ধরে স্মারক ভাষণ দেবেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বিশেষ অধিবেশন চার কার্যদিবস চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ: জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী
সংসদ সদস্যদের আলোচনা সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর একটি প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গৃহীত বছরব্যাপী কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন।
১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের অধিবেশনের দিনটির কথা স্মরণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০২৩ সালে সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি। সেজন্য ৭ এপ্রিল সংসদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।’
তিনি বলেন, সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং স্পিকার সবাই নারী।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, এই কার্যক্রমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সংসদের বিশেষ অধিবেশন।
এদিন বেলা ১১টায় হাউস অধিবেশনে যাওয়ার আগে সংসদের ব্যবসায় উপদেষ্টা কমিটি তার সময়কাল এবং ব্যবসা নির্ধারণের জন্য স্পিকারের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে বসতে পারে।
বিশেষ অধিবেশন ছাড়াও জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণে বছরব্যাপী কিছু অনুষ্ঠান থাকবে।
স্পিকার বলেন, ‘আমরা সিনিয়র সংসদ সদস্য এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময়ের কথা ভাবছি। সিনিয়র সংসদ সদস্যরা সেখানে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনও করতে চাই। সেটা হতে পারে বাজেট অধিবেশনের পর। সেখানে আমরা অন্যান্য দেশের কয়েকজন বক্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাব। আশা করি এটি সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হবে। এটি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সংসদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিইআরসি আইনের সংশোধনী পাস
হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজ রাষ্ট্রে মানবাধিকার নাই, ভোটাধিকার নাই, কথা বলার স্বাধীনতা নাই, জীবনের নিরাপত্তা নাই। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য সংবিধানকে দলীয় দলিলে পরিণত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হওয়ার পর দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তখন নতুন সরকারকে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পরে বিএনপি কোন নীতিতে দেশ পরিচালনা করবে, এ বিষয়কে সামনে রেখেই দীর্ঘ গবেষণার পর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের এই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ থাকবে।
মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর একটি হোটেলে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’- শীর্ষক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
তিনি বলেন, সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন করলে নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। এই পদ্ধতিতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হবে না। তাই জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া অপরিহার্য। কিন্তু সংবিধান থেকে এটিকে বাদ দেয়া হয়েছে। জনবান্ধব সংবিধান প্রণয়ন করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ক্ষমতা দখল করে আছে তা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই এটিকে সরকার বলা যায় না। সরকার হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছে। এছাড়া ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়েছে। বিএনপি তার পরেও শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। কারণ বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা চায় না, বিএনপি শান্তি চায়।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে বিচার বিভাগে কি হচ্ছে, তা সবাই দেখছেন। যেখানে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়, সেখানে সুবিচার পাওয়ার স্বপ্নও দেখা যায় না। আমরা বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার জন্য একটি জুডিশিয়ারি কমিশন গঠনের কথা বলেছি। তারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করবে, অন্যায় ভাবে দেশ চালাবে। এর নামই আওয়ামী লীগ।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির।
জেলা বিএনপির সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জাহেদ আহমদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সূচিত সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল পাস
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল- ২০২৩ মঙ্গলবার সংসদে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোটোটাইপ।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য একটি বিজনেস ইনকিউবেটর থাকবে।
এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সকল সহযোগিতা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনও উদ্ভাবন, মেধাস্বত্ব, আবিষ্কার বা প্রক্রিয়া, বাজারজাত এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সহযোগিতা দেবে।
আরও পড়ুন: নালিয়ার দোলায় হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বিলে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা কমিটি যৌন হয়রানি, সহিংসতা ও র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিন্ডিকেটকে প্রস্তাব দেবে।
এতে বলা হয়, দেশের রাষ্ট্রপতি হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেবেন। তবে দুই মেয়াদে কাউকে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেয়া হবে না।
চ্যান্সেলর চার বছর মেয়াদে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করবেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পেশ
সংসদে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস
এমপি মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু আওয়ামী লীগের জন্য এক বিরাট ক্ষতি।
সংসদে শোক প্রস্তাবে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, দলের প্রতি তার আন্তরিকতা ও কর্তব্যপরায়ণতা এবং দেশের প্রতি দায়িত্ব ছিল, এটা আওয়ামী লীগের জন্য বড় ক্ষতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতি তাকে চিরকাল মনে রাখবে। কারণ তিনি দল ও দেশের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন।
৭৫ বছর বয়সী এই সংসদ সদস্য রবিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মশিউর রহমান রাঙ্গা বক্তব্য দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তিনি মোসলেম উদ্দিনকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছেন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জের আ.লীগ নেতা এমদাদুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির মধ্য দিয়ে উঠে এসেছেন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বা তার আগের আন্দোলনে তিনি সবসময় সক্রিয় ছিলেন। তিনি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।’
তিনি স্মরণ করেন, ১৯৭১ সালে অভিযানে মোসলেম উদ্দিন ও মহিউদ্দিন চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে যারা আন্দোলন করেছিল তাদের সঙ্গে ছিলেন মোসলেম উদ্দিন। তিনি সব আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
অধিবেশনের শুরুতে সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।
পরবর্তীতে সংসদ সদস্যের মৃত্যুর কারণে প্রথা অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তানজিম আনোয়ারের বাবার মৃত্যুতে ডিকাবের শোক
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বড়বোন আয়েশা মোজাক্কির মারা গেছেন
সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: দুদু’র মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
সোমবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছালেম উদ্দিন ১৯৬৯ সালে সরকারি কমার্স কলেজের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭০ থেকে ১৮২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তানজিম আনোয়ারের বাবার মৃত্যুতে ডিকাবের শোক
চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন মারা গেছেন
চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসন (চাঁন্দগাও- বোয়ালখালি) সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ কন্যা, একমাত্র ভাই, আত্মীয়স্বজন ও বহু রাজনৈতিক শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন
মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির ব্যক্তিগত সহকারী মো. মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। গত দুই বছর ধরে তিনি মরণব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। দিন দিন তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান।
চট্টগ্রাম ৮ আসনের এমপি ও জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচন করে তিনি এমপি হয়েছিলেন।
প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে শোক নেমে এসেছে। তাৎক্ষণিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
সরকারি তথ্য মতে, মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম শাখার সহ-সভাপতি হন। পরবর্তীতে, তিনি চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তিনি ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন মারা গেছেন
তিনি ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।