সুইজারল্যান্ড
ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার জেনেভা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডে আগামী ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে।
স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় ফ্লাইটটি জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত
১৪ জুন ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনের একটি কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
কল-অনের পর বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’-এর প্লেনারিতে ভাষণ দেবেন।
সেখানে পৌঁছনোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন এডিজি এবং আইএলওর আঞ্চলিক পরিচালক। এছাড়া গেট থেকে সভাস্থল পর্যন্ত লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার থাকবে।
তিনি মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সদর দপ্তরে ডিজি আইএলও কর্তৃক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজে যোগ দিবেন।
১৫ জুন তিনি ডব্লিউইএফ’র অফিসে ডব্লিউইএফ’র এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একটি বৈঠকের পরে 'এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ'-এ যোগ দেবেন।
সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: মাথা উঁচু করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: প্রধানমন্ত্রী
সন্ধ্যায়, ডব্লিউটিও ডিজি ড. ওকোনজো-ইওয়ালা হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় জেনেভা ত্যাগ করবেন এবং ১৭ জুন ভোরে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত ও সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলার জন্য বিশ্বনেতাদের আলোচনার জন্য একটি উচ্চ-স্তরের ফোরাম।
এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দিবে। আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি যেটি গঠন করে।
ফ্রান্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, পানামার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জুয়ান কার্লোস ভারেলা এবং ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী এবং বেশ কয়েকজন উচ্চ-পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।
দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন আরও টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকাকে তুলে ধরবে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে এবং নীতির সুসংগততা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত এবং যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে।
এটি অংশগ্রহণকারীদের সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য এবং তারা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে তা প্রদর্শন করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করবে।
এছাড়া তারা সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আশা করা হচ্ছে যে শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলগুলো বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয়তা এবং কৌশলগুলোর অন্যান্য বহুপাক্ষিক ফোরামে আলোচনাকে অবহিত করবে।
যেমন ২০২৩ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য শীর্ষ সম্মেলন জি২০ এবং ব্রিকস দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন।
শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, জাতিসংঘমহাসচিব, আইএলও মহাপরিচালক এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ভাষণ দিবেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় খেলাধুলার আরও ব্যাপক প্রসার করুন: প্রধানমন্ত্রী
জুনে সুইজারল্যান্ডে সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ১৪-১৫ জুন জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুইজারল্যান্ড যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩: সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়’ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত এবং সংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলার জন্য বিশ্বব্যাপী ভয়েসের জন্য একটি উচ্চ-স্তরের ফোরাম।
এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দিবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
যা আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি স্বাগত জানিয়েছে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ১৩-১৬ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভা সফর করবেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ, পানামার প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভারেলা এবং ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, সেইসঙ্গে নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধি সহ বেশ কয়েকজন উচ্চ-পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে বক্তব্য দিবেন।
দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনটি আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকা তুলে ধরবে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে এবং নীতির সুসংগততা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত এবং ভাল ও ধারাবাহিক যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে।
এটি অংশগ্রহণকারীদের সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য এবং তারা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে তা প্রদর্শন করার জন্য একটি ফোরাম প্রদান করবে।
এছাড়া তারা সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আশা করা হচ্ছে যে শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলগুলো বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয়তা এবং কৌশলগুলোর অন্যান্য বহুপক্ষীয় ফোরামে আলোচনাকে অবহিত করবে।
যেমন, ২০২৩ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য শীর্ষ সম্মেলন, জিটুও এবং বিআরআইসিএস দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন।
শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘের মহাসচিব, আইএলও মহাপরিচালক এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ভাষণ দিবেন।
বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা জুড়ে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত ও সম্প্রসারিত করতে, একটি যৌথ, সুসংগত এবং সমন্বিত সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য সরকার ও নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের সংগঠন, জাতিসংঘের সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচ্চ-স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চারটি প্যানেল আলোচনা করবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে ফারুকের ভূমিকা অবিস্মরণীয়: প্রধানমন্ত্রী
আইসিটি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও সুইডেনের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দরিদ্র দেশে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে
দরিদ্র দেশগুলোর জনগণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাপী রোগীদের চিকিৎসা নিরাপত্তার ওপর ৫ম আন্তর্জাতিক মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এইচ. ই মি. এলিয়ান বারসেত এই সম্মেললের উদ্বোধন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস সভাপতিত্ব করেন।
শুক্রবার সকালে সম্মেলনের শেষ দিবসের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। দরিদ্র দেশগুলো নানারকম খাদ্য সমস্যায় ভোগার পাশাপাশি খুব একটা মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পায় না। এজন্য উন্নত দেশগুলোর উচিৎ অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আরও বেশি ও কার্যকর ভূমিকা রাখা। দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র দেশগুলোর হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা ও প্রশিক্ষণ সেবা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্মেলনে আগত ৮০টি দেশের মন্ত্রীসহ বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এইচ. ই. এলিয়ান বারসেটের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করেছিল ১০ লাখের মত। এখন সেই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে সেখানে। এত বড় শরণার্থী শিবিরের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া দুরূহ কাজ। এই শরণার্থীরা দিন দিন স্থানীয় লোকজনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। যা সামলাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাঁদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের সহযোগিতা একান্ত জরুরি।’
বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে রোগীদের সেবা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল, জবাবদিহিপূর্ণ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, তথ্যের আদান-প্রদান করার ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের কোভিড-১৯ এর করণীয় পরবর্তী বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং ২০২১-২০৩০ সাল ভিত্তিক একশন প্লান বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব, ইতালি, সিংগাপুর, মালেয়েশিয়া, হাঙ্গেরী, শ্রীলঙ্কা, ইরাক, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, লিবিয়া, নামিবিয়া, পর্তুগাল, আরব আমিরাতসহ ৮০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, বৈঠকে রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সুইজারল্যান্ডের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে হামিদ বলেন, এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড একসঙ্গে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু সম্পর্কে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পাচ্ছে, তবে এই মানুষদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এই সংকট অবসানে সুইজারল্যান্ডের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার মেয়াদকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ
রাষ্ট্রপতি হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত
সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্কের আশাবাদ বাংলাদেশের
সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে অবস্থিত ফেডারেল প্রাসাদে সুইস ফেডারেল কাউন্সিলের এর প্রেসিডেন্ট এ্যালেন বারসেটের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান মঙ্গলবার বিকালে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রদূতের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ডের মধ্যে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়।
সুফিউর রহমান সুইস প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূতকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাঁকে রাষ্ট্রাচার প্রথা অনুযায়ী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
বৈঠকে সুইস প্রেসিডেন্ট তাঁর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জেনেভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন মুস্তাফিজুর
তিনি মিয়ানমার থেকে আগত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মিয়ানমারে তাঁদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষত সুইস সরকারের জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত রহমান বাংলাদেশের বিগত দশকগুলোর উন্নয়ন অভিযাত্রায় সুইজারল্যান্ডের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পূর্ণ অংশীদারিত্বে রূপান্তরের সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলা এবং পেশাগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরালো করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে সুইজারল্যান্ডের উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।
রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুইস বিনিয়োগের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সুইস ব্যবসায়ীদের গভীর আগ্রহ রয়েছে বলে সুইস রাষ্ট্রপতি জানান।
রাষ্ট্রপতি বারসেট দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল ক্ষেত্রে বিশেষত অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।
সুইস প্রেসিডেন্ট এ্যালেন বারসেট বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে সুইজারল্যান্ডে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন এবং এ সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত সুফিউর বুধবার অপরাহ্নে বার্নে সুইস প্রেসিডেন্ট কর্তৃক প্রদত্ত নববর্ষের অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন এবং সুইস পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: জেনেভায় গ্লোবাল ফান্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বিশ্বকাপ ছাড়ার হুমকি দেননি রোনালদো: পর্তুগাল কোচ
পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস শুক্রবার বলেছেন, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ রাউন্ডে খেলার জন্য শুরুর লাইনআপ থেকে বাদ পড়ার পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিশ্বকাপ ছাড়ার হুমকি দেননি।
সান্তোস স্বীকার করেছেন যে তার তারকা খেলোয়াড় ‘খুশি নন’ বলে জানানো হয়েছিল যে তিনি মঙ্গলবার দুপুরের খাবারের পরে খেলার কয়েক ঘন্টা আগে একটি ব্যক্তিগত বৈঠকের শুরুতে ছিলেন না।
রোনালদোর বদলি গনসালো রামোস ৬-১ গোলের জয়ে তিনটি গোল করেন। ৭৪তম মিনিটে পর্তুগালের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা বেঞ্চ থেকে নেমে আসেন।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২: ট্রাইব্রেকারের ৪-৩ স্কোরে ডাচদের হারিয়ে মেসিরা সেমিফাইনালে
কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর মুখোমুখি হওয়ার একদিন আগে সান্তোস বলেছিলেন , ‘ক্রিস্টিয়ানো স্পষ্টতই এটি নিয়ে খুব খুশি ছিলেন না। তিনি আমাকে বলেছিলেন, 'আপনি কি সত্যিই মনে করেন এটি একটি ভাল ধারণা?’
পর্তুগিজ মিডিয়ার প্রতিবেদন খারিজ করে অনূদিত মন্তব্যে সান্তোস বলেছেন, ‘তিনি আমাকে কখনও বলেননি যে তিনি জাতীয় দল ছাড়তে চান।’ ‘এখন আমাদের এই
কথোপকথন এবং বিতর্কগুলো বন্ধ করার সময় এসেছে। আমরা যে সব গোল করেছি সে সব সেলিব্রেট করেছে।’
কোচ বলেন, ‘পর্তুগিজ ফুটবলের জন্য রোনালদো যা করেছেন তার স্বীকৃতি দিয়ে তাকে একা ছেড়ে দেয়ার সময় এসেছে।’
সান্তোস বলতে রাজি হননি যে তিনি দল পরিবর্তন করবেন এবং মরক্কোর মুখোমুখি হতে রোনালদোকে পুনরুদ্ধার করবেন কিনা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া লাইভ স্ট্রিমিং: কোথায় দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২ কোয়ার্টার ফাইনাল, সম্ভাব্য একাদশ ও পরিসংখ্যান
ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া লাইভ স্ট্রিমিং: কোথায় দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২, সম্ভাব্য একাদশ
ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড লাইভ স্ট্রিমিং: কোথায়, কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
প্রথম খেলায় সার্বিয়ার বিপক্ষে দারুণ খেলে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। যদিও এই ম্যাচে দলের প্রাণ ভোমরা নেইমার ও ডিফেন্ডার দানিলো গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে থেকে ছিটকে গিয়েছেন। সার্বিয়ার বিপক্ষে হলুদ জার্সির আধিপত্য দেখেছে ফুটবলবিশ্ব। নেইমার-রিচার্লিসন-ভিনিসিয়াস-রাফিনহারা খেলেছেন দুরন্ত ফুটবল।
আজ কাতারের রাজধানী দোহার ৯৭৪ নামক স্টেডিয়ামে জি গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের। জিতলেই নকআউট পর্ব প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে ব্রাজিলের। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ১-০ গোলে হারিয়েছে ক্যামেরুনকে। নকআউট পর্বে পথে এগিয়ে যেতে খেলবে সুইসরাও। সুইজারল্যান্ড সহজ দল নয় ব্রাজিলের জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোথায় দেখা যাবে ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং?
বাংলাদেশ থেকে কিভাবে দেখবেন ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড ফুটবল বিশ্বকাপ ম্যাচ লাইভ
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ দেখা যাবে টিভিতে, অনলাইনে, এবং ধারাভাষ্য শোনা যাবে রেডিওতে ও ইউটিউব চ্যানেলেও । চলুন জেনে নেওয়া যাক উল্লেখিত মাধ্যমগুলো থেকে কিভাবে খেলার খবর রাখবেন।
টফি অ্যাপে লাইভ ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপ
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জ্বরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় বিভক্ত কুষ্টিয়া!
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার: ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড ম্যাচ কোন চ্যানেলে দেখা যাবে?
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড লাইভ ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্পোর্টস ১৮ এবং স্পোর্টস ১৮ এইচডি চ্যানেলে। এ ছাড়া কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিও সিনেমা অ্যাপ্লিকেশনে।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কাতার ২০২২ এর লাইসেন্সড মোবাইল ব্রডকাস্টার হিসেবে স্বত্ব পেয়েছে বাংলালিংকের টফি অ্যাপ। কে স্পোর্টস এর সঙ্গে সাব-লাইসেন্সিং এগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে এই সুবিধা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলালিংক। সুতরাং টফি অ্যাপ এবং টফি ওয়েবসাইটে বিশ্বকাপ ফুটবল লাইভ দেখতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে টফিতে ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ বিনামূল্যে দেখতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড ম্যাচ দেখা যাবে টি স্পোর্টস চ্যানেল থেকে। গাজী টিভিও (জিটিভি) ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশন চ্যানেল, বিটিভি ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করছে।
এছাড়া বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে লাইভ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড ম্যাচ।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে ব্রাজিলের জয়
বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড সম্ভাব্য একাদশ
ব্রাজিল সম্ভাব্য একাদশ
ব্রাজিল : ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসন, রাফিনিয়া, ফ্রেড, লুকাস পাকেতা, ক্যাসেমিরো, অ্যালেক্স সান্দ্রো, থিয়াগো সিলভা, মারকিনিয়োস, এডার মিলিতাও, অ্যালিসন বেকার
সুইজারল্যান্ড সম্ভাব্য একাদশ
সুইজারল্যান্ড: (৪-২-৩-১): সোমার (গোলরক্ষক), আকানজি, এলভেদি, রদ্রিগেজ, উইডমার, জাকা, ফ্রেউলার, শাকিরি, সো, ভার্গাস, এমবোলো
ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড : মুখোমুখি পরিসংখ্যান
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেবার কটিনহোর গোলে এগিয়ে থাকার পরও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে। সুইসরা আটকে দিয়েছিল সিলেকাওদের। এর আগে ২০১৩ সালে এক প্রীতিম্যাচে ব্রাজিলকে হারিয়ে দেয় সুইজারল্যান্ড (১-০)। দু'দলের গত চারটা লড়াইয়ে পরিসংখ্যান সুইজারল্যান্ডেরই পক্ষে। দুই ম্যাচে জয়, একটিতে ড্র। ব্রাজিল জয় পেয়েছে এক ম্যাচে।
সবমিলিয়ে অবশ্য ব্রাজিলই এগিয়ে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ম্যাচ খেলে ৩টিতে জিতেছে ব্রাজিল। হেরেছে দুটিতে। ড্র করেছে চার ম্যাচে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ব্রাজিল সমর্থকদের মোটর শোভযাত্রা
সুইস ব্যাংকের কাছে ৬৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ
সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ৬৭ জনের অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ।
সবশেষ দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউয়ের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ।
রবিবার হাইকোর্টে আসা বিএফআইউ’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসীকাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ আন্তর্জাতিক আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউ'র সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। তবে বিশ্বব্যাপী এসব তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হলো এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)। ২০১৩ সালের জুলাইতে ইএসডব্লিউ’র সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ইএসডব্লিউ’র মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে এ তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু একজন ছাড়া অন্যদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানায় সুইজারল্যান্ড। আর এই একজনের তথ্য দুদককে দিয়েছে বিএফআইইউ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন এগমন্ড সিকিউর ওয়েবের (ইএসডব্লিউ) মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে অনুরোধ করা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানাতে সর্বশেষ গত ১৭ জুনও চিঠি দিয়েছিল বিএফআইইউ।
এর আগে গত ১১ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ জমা নিয়ে নির্দিষ্ট করে দেশটির সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার কোনো তথ্য কেন চায়নি, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট বলেন, আমরা সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পড়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে প্রকাশিত সংবাদ কপি জমা দিতে বলা হয়েছে। এই সময় দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শোনেন আদালত।
ওইদিন আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১০ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত বিষয়ে রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবির) ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫.৭০ টাকা হিসাবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছে, ওই তথ্য প্রতি বছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিয়ে থাকে। ওই অর্থ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় পরিণত হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার বলেছেন,একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী আতঙ্ক তৈরির জন্য ‘ভিত্তিহীন’ ভাবে বলে বেড়াচ্ছে যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো সংকটে পড়বে। বাস্তবে এর কোন ভিত্তি নেই। তবে হ্যাঁ আমরা এই মুহুর্তে চ্যালেঞ্জে আছি। বৈশ্বিক মন্দার কারণে আমরাও কিছুটা সংকটে।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ‘ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক’- মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মোমেন বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ সুখে আছেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যাপ্ত ডলারের রিজার্ভ রয়েছে এবং ভবিষ্যৎ সংকটের কথা বিবেচনা করে আমরা কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুইস ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের তথ্য শেয়ার করতে চায় না।
আরও পড়ুন: আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ পাচার হয় তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হলে তারা সেসব তথ্য দিতে চায় না, এটা তাদের মজ্জাগত সমস্যা।’
তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য চেয়েছে। ’
মোমেন বলেন, ‘সেসময় তারা শুধু একজনের তথ্য দিয়েছিলো। আরও কয়েকবার তথ্য চাওয়া হলেও তাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তথ্য চাওয়া হয়নি।’সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের বন্ধু দেশ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে তথ্যের বিভ্রাট না করার আহ্বান জানান।এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে এক জরুরি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।ওই বৈঠকে বিমান ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, বিমাল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, ওসমানী বিমানবন্দরের ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: রাষ্ট্রদূত শুয়ার্ড
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছেন, ‘তারা (সুইজারল্যান্ড) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্ত হতে চান এবং তারা এই বহুপাক্ষিক ফোরামে শান্তি, আন্তর্জাতিক আইন, টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
তিনি বলেন, ‘তবে আমাকে এখানে পরিষ্কারভাবে বলতে দিন। কাজটা সহজ হবে না: আমরা যে অসংখ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, সেগুলো বিবেচনায় রেখে পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, সুইজারল্যান্ড একটি গুরুতর বৈশ্বিক ক্রীড়ানক এবং বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’- অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
ডিকাব সদস্যরা এবং রাষ্ট্রদূত শুয়ার্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
রাষ্ট্রদূত শুয়ার্ড বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হচ্ছে এবং অবদান রাখছে তা আসলে সুইজারল্যান্ড বিশ্বব্যাপী কিসের পক্ষে এবং কিসের প্রসার ঘটাচ্ছে তারই প্রতিফলন।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সকলের জন্য একটি উন্নত, আরও নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যত গড়ার বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষার অংশ।’
চলতি বছরের জুনে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৩-২৪ সালের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে সুইজারল্যান্ডকে নিরঙ্কুশভাবে নির্বাচিত করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে।
এ লক্ষ্যে তিনি বলেন, সুশাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা প্রচার, ক্ষমতায়ন এবং নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি, সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন এবং আমাদের কর্ম ও উন্নয়ন এই সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা নারী ও যুবকদের মতো পরিবর্তনের চালিকাশক্তির সঙ্গেও কাজ করবে এবং সুশীল সমাজের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করার এবং ভারসাম্য আনার জন্য সকলের অংশগ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করবে; যা স্থায়িত্ব ও অন্তর্ভুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এসডিজিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততাকে আরও জোরদার করতে আগ্রহী। এরমধ্যে একটি এসডিজি আমাদের হৃদয়ে বিশেষভাবে প্রিয়. সেটি হল এসডিজি-১৬ তথা শান্তি ও ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। কেননা এটি আমাদের (সুইজারল্যান্ডের) এসডিজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, শান্তি, ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তি ছাড়া দারিদ্র্যের অবসান, শিক্ষা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রসারের মতো লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন বা অসম্ভব বলে মনে হয়।
তিনি আরও বলেন,‘বহুপাক্ষিকতা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য।
আরও পড়ুন: হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বেইজিং
এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র: সিসন