রাঙ্গামাটি
সাজেকে চাঁদের গাড়ি উল্টে ব্যবসায়ীসহ নিহত ২
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির পর্যটন নগরী সাজেকে চাঁদের গাড়ি উল্টে ব্যবসায়ীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট-সাজেকের নাঙ্গলমারা (২নং কালবার্ট) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বঙ্গতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতলী এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী (৪৫) এবং মাচালং এলাকার অনন্ত ত্রিপুরা (৪০), তিনি পেশায় শ্রমিক।
আরও পড়ুন: সাজেকে জিপ উল্টে নিহত ১, আহত ৫
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) নুরুল হক জানান, বুধবার সকালে একটি চাঁদের গাড়ি কলা বোঝাই করে মাচালং বাজার থেকে বাঘাইহাটে যাওয়ার পথে নাঙ্গলমারা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েপাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। এই ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি নুরুল হক।
কাপ্তাই হ্রদে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে নেমে রুবায়েত ইসলাম (২৬) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কাপ্তাই হ্রদের সদর উপজেলাধীন দারোগার পাহাড় এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। অনেক খোঁজাখুঁজি'র পর বিকাল সাড়ে ৫টার পর তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে কাপ্তাই হ্রদে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে ঘুরতে বের হন চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা চার বন্ধু। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে হ্রদে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যান রুবায়েত ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের স্টেশন অফিসার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, দুপুরে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যান ওই যুবক। পরে আমরা বিকাল ৫টা ৩৬ মিনিটের দিকে তার লাশ উদ্ধার করি। লাশ কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে ডুবে নিহত ১
হাজীগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সাজেকে সাপের কামড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী যুবকের মৃত্যু
রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাপের কামড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ২টার সময় তার সাজেক ইউনিয়নের বাইবাছড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
মৃত সুখেন চাকমা একই গ্রামের তত্ত চাকমার এক মাত্র ছেলে।
সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে তিনি ঘরের বাইরে গেলে একটি বিষাক্ত সাপ তাকে কামড় দেয়। পরে স্থানীয় কবিরাজের মাধ্যমে সুখেন চাকমাকে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা করা হলেও কোন সুফল হয়নি। শুক্রবার রাত ২টার দিকে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে ২ মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, এই ধরনের সংবাদ খুবই বেদনাদায়ক। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মাঝে এই বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালানো হবে। যাতে আগামীতে এই ধরনের আর কোনো ঘটনা যেন না ঘটে।
৯৯৯ এ কল: কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোনে কলে কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়া শিশুসহ ২০ সদস্যের একটি পর্যটক দলকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা ২০ সদস্যের পর্যটকের একটি দল রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে বেড়ানোর পর বিকালের দিকে ফেরার পথে ইঞ্জিন চালিত নৌকার তেল ফুরিয়ে গেলে তারা হ্রদের মাঝখানে আটকে পড়ে। সেখান থেকে একজন ৯৯৯ এ কল দিলে বিষয়টি রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশকে জানায়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন: সংঘর্ষে আটকে পড়া ২ চালককে উদ্ধার
তিনি জানান, খবর পেয়ে জেলা পুলিশের একটি টিম পর্যটকের দলটিকে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই লেকের পেদা টিং টিং এলাকা থেকে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের পলওয়েল পার্কে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কথিত ছিনতাইকারী দম্পতি আটক
উদ্ধার হওয়া পর্যটক মো. রাশেদ বলেন, বৃহস্পতিবার কাপ্তাই হ্রদে বেড়ানোর পর ফেরার পথে ইঞ্জিন চালিত নৌকার তেল ফুরিয়ে গেলে কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়ি। এই সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি, হ্রদে বড় বড় ঢেউ এবং বাতাসের গতিবেগে আমরা সবাই খুবই ভয় পেয়ে যাই এবং বোটে থাকা শিশুসহ সবাই প্রাণভয়ে কান্না করতে থাকে। এ সময় আমি ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের একটি টিম আমাদের এসে উদ্ধার করে।
রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ‘আষাঢ়ী পূর্নিমা’ উদযাপিত
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে রাঙ্গামাটির আনন্দ বিহার ও মৈত্রী বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টশীল গ্রহণ, সমবেত প্রার্থনা, চীবরদান, গুরু ভক্তি, ছোয়াইং প্রদান (ভান্তেদের দান), মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনসহ নানা অনুষ্ঠান পালন করেন।
এসময় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন আনন্দ বিহারের উপাধ্যক্ষ ধর্মেশ্বর ভান্তে থেরো।
বিকালে বুদ্ধ মূর্তি স্নান, ধর্মদেশনা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শেষ হয় আষাঢ়ী পূর্ণিমার আয়োজন।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ধর্মীয় উৎসব। কারণ এ তিথিতেই গৌতম বুদ্ধ মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি লাভ, রাজ প্রাসাদ, রাজত্ব ও স্ত্রী-পুত্রের মায়া ত্যাগ করে দুঃখ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণে গৃহত্যাগ এবং বুদ্ধত্ব লাভের পর তাঁর পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উদ্দেশে প্রথম ধর্মচক্র দেশনা দেন (ধর্মের বাণী প্রচার করেন)। এবং তিনি সংযম পালনের ব্রত নিয়ে এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিনমাস বর্ষাবাস শুরু করেছিলেন।
এ আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরে তিনমাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাবাস শুরু করেন। এ সময় ভিক্ষুরা জরুরি কোনো কারণ ছাড়া বিহারের বাইরে রাত্রিযাপন করতে পারেন না। এছাড়া এ তিনমাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্ম বিনয় অধ্যয়ন ও ধ্যান চর্চা করে থাকেন। তিনমাস বর্ষাবাস শেষ হওয়ার পর প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত
বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু
রাঙ্গামাটিতে স্কুলশিক্ষিকার গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রাঙ্গামাটির লংদু উপজেলায় এক স্কুলশিক্ষিকার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের উল্টাছড়ি পাহাড়ি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত স্কুল শিক্ষিকা পেনসি চাকমা (৩৫) একই এলাকার দেবদাশ চাকমার মেয়ে এবং তিনি ইউনিসেফ পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ড্রেন থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবু অজয় মিত্র চাকমা জানান, পেনসি চাকমা ইউনিসেফ পরিচালিত একটি স্কুলের স্থানীয় পাড়া কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। রবিবার সকালে ছেলে-মেয়েরা প্রাইভেট পড়তে গেলে তার এ অবস্থা দেখে তারা এলাকাবাসীকে জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, লাশ উদ্ধার করেছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি শহরে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ ১৩ দোকান ভস্মীভূত
রাঙ্গামাটি শহরের কলেজ গেইট এলাকায় আগুন লেগে দুইটি বসত ঘরসহ ১৩ দোকান পুড়ে গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বলেন, রাত ৩টার দিকে শহরের কলেজ গেইট মসজিদের সামনে একটি দোকানে আগুন লাগে। আমরা ৩টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাই এবং দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৩টি দোকান ও দুটি বসত ঘর পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর মার্কেটে আগুন লেগে পুড়ল ১২ দোকান
তিনি বলেন, কোনো কারণে আগুন নেভাতে দেরি হলে কয়েকশ বাড়ি-ঘর পুড়ে যেতো। তাছাড়া তৎক্ষণিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।
তবে স্থানীয়দের দাবি প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাঙ্গামাটিতে দু’পক্ষের ‘গুলিবিনিময়’, নিহত ১
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে আঞ্চলিক সংগঠনের দু’পক্ষের ‘গুলিবিনিময়ের’ ঘটনায় অভিষেক চাকমা নামে ৩৫ বছরের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগারীপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘গুলিবিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসাইন জানান, উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আঞ্চলিক সংগঠনের দুই দলের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। সকালে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তনু কুমার দাশ বলেন,শুক্রবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনাটি ঘটেছে। রাজস্থলী থানা পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়, নিহত ১
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা বলেন, শুক্রবার রাতে ওগাড়িপাড়া এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। শনিবার সকালে এলাকার মানুষ কাজে বের হলে রাস্তায় জলপাই রঙের পোশাক পড়া একজনের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দিলে আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দল জোরদার করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটিতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় খড়োস্রোতা কাচালং নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রুপকারী ইউনিয়নের বিজয় ঘাট ও গোলাছড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ও রুপকারী ইউনিয়নের গোলাছড়ি এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তারা।
নিহত দুই যুবক হলেন- মাচালং মন্দির পাড়া এলাকার কালাধন চাকমার ছেলে সুকর চাকমা (৩২) ও রুপকারী এলাকার গোলাছড়ি গ্রামের শ্রিবক্স চাকমার ছেলে চিরজ্যোতি চাকমা (৪২)।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, মাছ ধরতে গিয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে লোকজনকে সচেতন ও সতর্ক করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শিশু কন্যাকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে মায়ের মৃত্যু
বিলাইছড়িতে গুলিতে ৩ গ্রামবাসী নিহত, ফেসবুকে কেএনএফ এর দায় স্বীকার
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলী ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত এলাকায় ত্রিপুরা পাড়ায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে তিন গ্রামবাসী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই হামলায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় অন্য চারজন পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নে সাইজাম নতুন পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- বৃষচন্দ্র ত্রিপুরা, সুভাষ ত্রিপুরা এবং ধনরা ত্রিপুরা। এদের মধ্যে সুভাষ এবং ধনরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আতুমং মারমা।
এদিকে ‘কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ নামের সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।
হতাহতের ব্যাপারে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ইউনিয়নের সভাপতি আতুমং মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। একই দাবি করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওয়েইবার ত্রিপুরা।
তবে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আতুমং মারমার বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ‘কুকিচীন পার্টি’ নামের একটি নতুন সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীরা বড়থলি ইউনিয়নের সাইজান নতুন পাড়ায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে ঘটনার ২২ ঘণ্টা পরও বুধবার (২২ জুন) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ ঘটনাস্থলে যাননি।’ ঠিক কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, বড়থলির ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি বিলাইছড়ি থানাকে জানিয়েছি। এলাকাটি এতই দুর্গম যে সেখানে বিলাইছড়ি থেকে তিনদিন, পার্শ্ববর্তী বান্দরবান রুমা উপজেলা থেকে যেতেও দুদিন সময় লাগে। পুরো বিষয়টি রুমা জোনকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তাই আমরা এখনও নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না।