ভারত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোমবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও জয়শঙ্করের মধ্যে (আইটিসি মৌর্যে) বৈঠক চলছে।
আরও পড়ুন: গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর পরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিট) দেশটির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশন করে।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনা একটি আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রায় আইটিসি মৌর্যের উদ্দেশে যাত্রা করেন, যেখানে তিনি সফরকালে অবস্থান করবেন। রাস্তাগুলোর দুই পাশ বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে। পথে বসানো হয়েছে শেখ হাসিনা ও মোদির প্রতিকৃতিও।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ দুই দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশি এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকালে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে) পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশন করে।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে যাত্রা করেন।
৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিন হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: ৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ, খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ এবং ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমির (আজমির শরীফ দরগা) পরিদর্শন করবেন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সফরে যাচ্ছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অসুস্থতা বোধ করায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে যাচ্ছেন না।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে (৫-৮ সেপ্টেম্বর) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিন বছর পর শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। এর আগে করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছিলেন তিনি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার বলছে, এবারের সফরটি বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, এই সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া সহ বহুমাত্রিক সম্পর্ককে গভীর করবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোন শরণার্থী নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার সকালে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিন হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি পৃথকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন। ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ, খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ এবং ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমির (আজমির শরীফ দরগা) পরিদর্শন করবেন।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামে যোগ দেবেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে রবিবার রাতে দুবাইয়ে ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ভারতে দেয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এক বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানের হয়ে ওপেনার রিজওয়ান ৫১ বলে ৭১ এবং নওয়াজ ২০ বলে ৪২ রান করেন।
ভারতের পাঁচ বোলারই একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮১ রান করে রোহত শর্মার দল। দলের পক্ষে সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন। এছাড়া দুই ওপেনার রোহিত ১৬ বলে ২৮ এবং রাহুল ২০ বলে ২৮ রান করে করেন।
পাকিস্তানের হয়ে শাদাব ৩০ রানে দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
এর আগে ২৮ আগস্ট গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত।
পড়ুন: এশিয়া কাপ ২০২২: পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারাল ভারত
এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোর-এর ম্যাচে ভারতকে ভরসা দিল বিরাটের ব্যাট। বিরাট কোহলির অর্ধশতকের ওপর নির্ভর করে ভারতের সংগ্রহ ১৮১/৭।
দুবাইয়ে রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫.১ ওভারে ৫৪ রান করে।
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২৮ রান করেন ১৬ বলে এবং তার সঙ্গী লোকেশ রাহুল ২০ বলে করেন ২৮ রান।
রোহিতকে সরিয়ে দেন শাদাব খান এবং লোকেশকে আউট করেন হারিস রউফ।
ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬০ রান করেন বিরাট কোহলি।
চলমান এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের প্রথম জয়ের নায়ক হার্দিক পান্ডিয়া আউট হন শূন্য রানে।
পাকিস্তানের হয়ে শাদাব ৩০ রানে দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা উচিত, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ভারত ঠিক সেটাই করছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশকে ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত প্রয়োজনের সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, প্রথমে ১৯৭১ সালে এবং তারপরে পরবর্তী সময়েও।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান আমরা সবসময় স্মরণ করি। ১৯৭৫ সালে যখন আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছিলাম, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন... আমরা প্রতিবেশী, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং আমি সবসময় আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বকে অগ্রাধিকার দেই।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ঢাকা-দিল্লির বহুমাত্রিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রত্যাশা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় পূর্ব ইউরোপে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের প্রশংসা করেন হাসিনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এএনআইকে দেয়া সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ এর অধীনে প্রতিবেশী দেশগুলোতে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের মোদি সরকারের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে (মোদি) ধন্যবাদ জানাতে চাই… রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এই যুদ্ধের সময় আমাদের অনেক ছাত্র আটকা পড়েছিল এবং তারা আশ্রয়ের জন্য পোল্যান্ডে গিয়েছিল। যখন তারা ভারতীয় ছাত্রদের সরিয়ে নিয়েছিল, তখন তারা আমাদের ছাত্রদেরও দেশে ফিরিয়ে আনে... আপনি স্পষ্টভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। এই উদ্যোগের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ভারতের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
হাসিনা তার দেশের টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানান। বাংলাদেশ তার জনসংখ্যার ৯০ শতাংশকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের দেশের লোকেরা, বিশেষ করে গ্রাম পর্যায়ে, এমনকি কিছু শহরেও, আমি অনেক লোককে ভ্যাকসিন নিতে খুব অনিচ্ছুক দেখেছি। তারা নিতে চায় না... আপনি জানেন... সুচের ছিদ্র, তাই... আমাদের বুঝাতে দিতে হবে। আমরা তাদের বলেছিলাম যে এটি কিছুই নয়, এটি আপনার জীবন বাঁচাবে… এই ভ্যাকসিন মৈত্রী... খুব ভালো উদ্যোগ।’
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তাদের নাগরিকদের উন্নতির জন্য হওয়া উচিত।
হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ এর সময়কালেও ভারতীয় নেতৃত্ব তাদের ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিল। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয়েই স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় বাংলাদেশ সফর করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আপনার রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে তারা দুজনই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ভারতের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করছে।
ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের আগে তিনি মাল্টিমিডিয়া নিউজ এজেন্সি-এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) কে বলেছেন, ‘এটি (তিস্তা) একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। তাই এর সমাধান করা উচিত। তবে এটা মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করে।
শনিবার এএনআই’র টুইটার অ্যাকাউন্টে ৩৭ সেকেন্ডে একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি এই সব কথ বলেন।
আরও পড়ুন: হামলা হলে পুলিশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
রবিবার সকালে পুরো সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হবে।
পূর্বের আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের সময় তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের অর্থ পরিশোধে টান পড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
তিনি তিস্তা নদীর অববাহিকায় নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জীবিকা বাঁচাতে জোর দিয়েছিলেন, ২০১১ সালের যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ বাংলাদেশ পেতে পারে, ২০২১ যার খসড়া চুক্তিটি ইতোমধ্যে উভয় সরকার সম্মত হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী ৫-৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
‘সেপা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য লাভজনক’
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেছেন, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশদারিত্ব চুক্তিটি(সেপা) বর্তমানে আলোচনাধীন, যার মাধ্যমে উভয় দেশের লাভ হবে।
এটিতে উভয় পক্ষের লাভ হবে উল্লেখ করে শনিবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, এরূপ একটি কাঠামোগত চুক্তি ভবিষ্যতের বাণিজ্যকে এগিয়ে নিবে। বাংলাদেশ ও ভারত সেপা সমঝোতা সাক্ষরের জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনা শুরু করতে চায়।
এ সপ্তাহে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এই বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা থাকবেন।
আরও পড়ুন: ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বন্ধনের অপার সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়।
গতবছরের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদি বাংলাদেশ সফরকালে উভয় পক্ষই সেপা’য় প্রবেশের বিষয়ে আলোচনা করেছিল।
দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে উভয় প্রধানমন্ত্রী অশুল্ক প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই -এর সাবেক সভাপতি মাতলুব বলেন, বাংলাদেশ যদি কোন সংকটের মুখোমুখি হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন গম, পেঁয়াজ, চিনি, তুলা ইত্যাদি তাৎক্ষণিক সরবরাহের বিষয়ে উভয় পক্ষেরই আলোচনা করা উচিৎ।
‘এটি পারস্পরিক হতে পারে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত যদি প্রয়োজনীয় কোন পণ্য সংকটের মুখোমুখি হয় এবং বাংলাদেশে তা সহজলভ্য থাকে তাহলে বাংলাদেশও সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাত এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে পারে সেক্ষেত্রে দু’দেশের সরকারকে সেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।
আরও পড়ুন: অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যম: বৈধভাবে টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
ভারতে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২৪
ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছে।
শনিবার সকালে রাজ্যটির রাজধানী লখনৌ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বারাবাঙ্কি জেলার মাহুঙ্গুপুর গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘নেপাল থেকে পশ্চিম ভারতের গোয়া রাজ্যে ৬০ জন অভিবাসী শ্রমিককে নিয়ে যাচ্ছিল ডাবল ডেকার বাসটি। টায়ার পাংচার হওয়ায় মহাসড়কের পাশে বাসটি থেমে দাঁড়িয়েছিল। এসময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক এসে পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়।’
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এসময় ঘটনাস্থলেই বাসচালক ও তিন যাত্রী মারা যান। চালক সেসময় বাসটির চাকা পরিবর্তন করছিলেন। ‘বাসের বাকি ২৪ জন আহত যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, আহত যাত্রীদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে বারাবাঙ্কি জেলা হাসপাতাল থেকে লখনৌয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
ভারতে সাধারণত প্রতি চার মিনিটে একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাঙাচোরা রাস্তা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং চালক ও যাত্রীদের ট্রাফিক আইন না মেনে চলার প্রবণতাকে দায়ী করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে প্রতিবছর এক লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১০