ভারত
আজ গুঁড়িয়ে দেয়া হবে নয়ডার টুইন টাওয়ার
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে নয়ডা শহরে নয় বছর আগে স্থাপিত দুটি আকাশচুম্বী ভবন আজ (রবিবার) দুপুরে নিয়ন্ত্রিত এক বিস্ফোরকের সহায়তায় গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের আগস্টে ৪০ তলা বিশিষ্ট জোড়া এই বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একটি বেসরকারি ডেভেলপার সুপারটেকের তৈরি ‘অ্যাপেক্স’ ও ‘সিয়ানে’ নামের এই বহুতল ভবন দুটিতে স্থাপনার নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে এ আদেশ দেয়া হয়েছিল।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে জোড়া বহুতল ভবন দুটি ভেঙে ফেলা হবে। ভারতে এই প্রথম এতো উঁচু ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে ভেঙে ফেলার কাজে নিয়োজিত কোম্পানি এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উৎকর্ষ মেহতা বলেন, ‘আমার লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমি কিছুটা নার্ভাস, সেইসাথে আত্মবিশ্বাসী।’
মেহতা আরও বলেন, বিস্ফোরণের সময় ৩০-৪০ মিটার ব্যাসার্ধে স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভূত হতে পারে।
ধুলাবালি ঠিক হতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগতে পারে। তবে পুরো ভবনের ধ্বংসাবশেষ সড়াতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যেতে পারে। নয়ডার আকাশ পরিষ্কার করতে ‘অ্যান্টি স্মোক’ বন্দুক প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় নাগরিক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে যমজ বহুতল ভবনের আশেপাশের সমস্ত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে। বিপথগামী কুকুরদেরও পশু আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নগরীর বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ভেঙে ফেলার সময় কাছাকাছি নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ থাকবে। শহরের হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য ৮-১০টি অ্যাম্বুলেন্স পাশেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভারতে বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার ঘটনা বিরল। দুই বছর আগে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কর্তৃপক্ষ পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমুদ্রের কাছে দুটি বিলাসবহুল আকাশচুম্বী ভবন ভেঙ্গে ফেলে।
আরও পড়ুন: নদীর মাঝখানে সরকারি বহুতল ভবন!
নেপাল থেকে বিদ্যু কিনতে ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর কারনালি হাইড্রোপাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভাইপার নিগাম (এনভিভিএন) এর সঙ্গে পাওয়ার পার্সেজ অ্যাগ্রিমেন্ট(পিপিএ) চুক্তি করবে।
কাঠমান্ডুভিত্তিক নিউজ পোর্টাল উর্জা খবর নেপালের বিদ্যুৎ, পানি ও সেচ মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এক খবরে জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে একটি জয়েন্ট স্টিয়ারিং মিটিং হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে পিপিএ সাক্ষর করার অঙ্গীকার করা হয়।
আশা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় এই চুক্তি সাক্ষর হবে।
পিপিএ চুক্তি বাংলাদেশ-নেপালের আন্তঃসীমান্ত শক্তি বাণিজ্য পরিচালনার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার আগ্রহ দেখিয়ে আসছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্প পর্যবেক্ষকরা বলেন, ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি দেশের বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ২৫০০০ মেগাওয়াটের সঙ্গে যুক্ত হবে, যার ৪০ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে। যখন জ্বালানি সংকটের কারণে দৈনিক রেশনিং করে ২০০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
তারা আরও বলছে, বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে, পিপিএ চুক্তির আওতায় ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর নেপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এনভিভিএন ভারতীয় এলাকার মধ্যদিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে সরবরাহ করবে।
তারা বলেছে, ঢাকা ও দিল্লির দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ যদি নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় তাহলে তা ভারতীয় এলাকা দিয়ে নিতে হবে। আর এটি ভারতীয় কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে হবে।
দিল্লিভিত্তিক জিএমআর গ্রুপের ভর্তুকিভিত্তিক জিএমআর কারনিল হাইড্রোপাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড আর ভারত সরকারের রাষ্ট্রমালিকানাধীন এনটিপিসি লিমিটেড কর্তৃক ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত
এনভিভিএন দেশটির একটি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ী কোম্পানি।
এতে উল্লেখ করা হয় যে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেপাল থেকে ভারতীয় কোম্পানির ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিতে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়।
ভারতীয় রেগুলেটরি কমিশনের শর্তাবলী মেনে ভারতীয় কোম্পানি এনভিভিএন –এর মাধ্যমে ওই বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২৫ বছরের জন্য প্রতি কিলোওয়াট মার্কিন ৭.৭ ডলার মূল্য দিয়ে ভারতীয় জিএমআর এর উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, এই আমদানি খরচ বাবদ সর্বমোট ৪০ হাজার কোটি ডলার এনভিভিএন –এর মাধ্যমে জিএমআরকে আমদানিকালীন সময়ে পরিশোধ করতে হবে।
২০১৮ সালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন অনুযায়ী এনভিভিএন এর মাধ্যমে জিএমআর থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সাক্ষর করবে বিপিডিবি।
নেপালের নিউজ পোর্টালটি প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার জ্বালানি সহযোগিতার আওতায় দ্বিপক্ষীয় পাঁচ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় দেশ দুটি।
আলোচনায় সম্ভাব্যতার কথা বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ প্রাথমিক পর্যায়ে নেপাল থেকে ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভেড়ামারা পাওয়ার প্ল্যান্টে তার উচ্চ ভোল্টেজ সরাসরি বর্তমান কাঠামোর অপ্রয়োজনীয় ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে।
এই সম্ভাব্যতার জায়গায় দু’দেশের জ্বালানি কর্তৃপক্ষ নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ভারতীয়
এনভিভিএন-কে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সাক্ষরের অনুরোধ করবে।
একইভাবে নেপাল ৬৮৩ এমডব্লিউ সানকোসি-৩ হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টের পরিবেশ মূল্যায়নের প্রতিবেদন বাংলাদেশকে দিবে। এই বিষয়ে, বাংলাদেশ প্রকল্পের নির্মাণকাজ এগিয়ে নিতে একটি যৌথ দল গঠন ত্বরান্বিত করার জন্য শিগগিরই প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় মন্তব্য করতে সম্মত হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে উর্জা জানায়, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দুই দেশের সম্মতিতে নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের ভূমিতে একটি ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সোলার হোম সিস্টেমসহ সহযোগিতার জন্য একটি চুক্তির খসড়া প্রস্তুত, প্রশিক্ষণ প্রদানে সহযোগিতা এবং দ্বিপক্ষীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি ভবিষ্যত নির্দেশিকা
তৈরি করতে ভারতের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে চায়।
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে বিদ্যু কিনতে ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে বাংলাদেশ
ফিলিপাইনে ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষ উদ্ধার
এফবিআই: ম্যাগাজিন ও অন্যান্য নথির সঙ্গে ‘টপ সিক্রেট’ নথি মিশিয়ে রেখেছিল ট্রাম্প
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
২০০২ সালে ভারতের গুজরাটের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় এক মুসলিম নারীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১১ আসামির মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শনিবার শত শত মানুষ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে।
দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয় এবং গুজরাট সরকারের কাছে এই মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গানও গায় বিক্ষোভকারীরা।
অন্যান্য রাজ্যেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পড়ুন: নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
১৫ আগস্ট যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করে, তখন সাজা স্থগিত করে এই ১১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়। ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি সমাবেশের জন্য ২০০৮ সালে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
ভুক্তভোগী, যার বয়স এখন ৪০, তিনিও আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুজরাট রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত তাকে অসাড় করেছে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি তার বিশ্বাসকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নির্মমভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সময় ওই ভুক্তভোগী গর্ভবতী ছিলেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ছিল এই গুজরাট দাঙ্গা। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই মুসলমান ছিল। এই সহিংসতায় ভুগভোগী নারীর তিন বছরের মেয়েসহ পুরো পরিবারও নিহত হয়েছে।
সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণান বলেন, ‘পুরো দেশের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি উত্তর চাওয়া।’
গুজরাটের কর্মকর্তারা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)ক্ষমতায় রয়েছে, তারা বলেছে যে অপরাধীদের ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। কারণ তারা ১৪ বছরেরও বেশি জেল খেটেছে। ১৯৯২ সালের ক্ষমা নীতির অধীনে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ফেডারেল সরকার কর্তৃক ২০১৪ সালে গৃহীত নীতির একটি নতুন সংস্করণে ধর্ষণ এবং হত্যাসহ কিছু অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাজা মওকুফ ও মুক্তি দেয়ার বিধান বাতিল করা হয়েছে।
এই দাঙ্গার জন্য গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই দাঙ্গার অনুমতি দিয়েছেন এবং এমনকি উস্কানি দিয়েছেন। কিন্তু মোদি বারবার এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ বলে আসছেন। তিনি দাঙ্গায় ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টও বলেছে যে তার বিরুদ্ধে মামলা করার কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নয়াদিল্লির তরুণ বিক্ষোভকারী আছিয়া কুরেশি জানান, তিনি ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচারের নিশ্চিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মোদি ১৫ আগস্ট ভারতের নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন এবং একই দিনে তারা ধর্ষকদের মুক্তি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে নিরাপদ?’
আরও পড়ুন: ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৩
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্কের তুলনা হয়না: তথ্যমন্ত্রী
প্রথমবার ঝুট নিয়ে ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশি জাহাজ
মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর নদীবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো গার্মেন্টসের অপ্রয়োজনীয় ১১১ মেট্রিকটন ঝুট নিয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেছে বাংলাদেশি পাতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি রাজ্জাকু’। শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় ঝুটের প্রথম চালান নিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি।
এই উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে এমভি রাজ্জাকু নামে জাহাজটিকে রং বেরংয়ের বেলুন, পতাকা দিয়ে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। তার আগেই জাহাজ ভর্তি করা হয় রপ্তানি পণ্য।
বাংলাদেশের মোক্তার হোসেন ট্রেডার্স রপ্তানিকৃত এই পণ্য নিচ্ছে ভারতের ভানসালি ইন্টারন্যাশনাল।গার্মেন্টেসের অপ্রয়োজনীয় ১১১ মেট্রিক টন রপ্তানিকৃত জুট থেকে আসবে ২৬ হাজার ৮৫ মার্কিন ড্লার।
আরও পড়ুন: প্রথমবার জাপান থেকে ১২৮০টি গাড়ি নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের আগে নৌপথে এই রপ্তানি বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের সহ ব্যবস্থাপক মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘গার্মেন্টেসের অপ্রয়োজনীয় ১১২ মেট্রিক টন ঝুট নিয়ে মুন্সীগঞ্জের নদী বন্দর থেকে প্রথমবারের মত রওনা হচ্ছে এমভি রাজ্জাকু। এই রপ্তানি সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে যাচ্ছে। এছাড়া রপ্তানিকৃত পণ্য ভারতে পৌছতে সময় লাগবে ছয় দিন।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ মেট্রিকটন গার্মেন্স পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এই ঝুট যাবে ভারতের আসাম, মহারাষ্ট্র, হারিয়ানা, তামিলনাড় ও রাজস্থানে।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (বন্দর) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক শর্মিলা বেগম, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার মো আব্দুল হাকিম, রাজস্ব কর্মকর্তা আবুল কালাম আজদ ও সজল চক্রবর্তী এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মের্সাস মোক্তার ট্রেডাসের মালিক মো. মোক্তার হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের প্রথম ট্রায়াল জাহাজ মোংলা বন্দরে
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণসামগ্রী নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে প্রথম জাহাজ
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই: প্রতিমন্ত্রী
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শুক্রবার বলেছেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে।
তিনি বলেন, এর আগে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সমঝোতা স্মারকের সম্মত খসড়াটি ভারতীয় মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) প্রতিমন্ত্রী নয়াদিল্লি থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফর করবেন তখন সমঝোতা স্মারক সই হবে।’
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ১২ বছর বিরতির পর জেআরসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জাহিদ জানান, ভারত বাংলাদেশকে কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক পানি দিতে সম্মত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি বণ্টনের চুক্তি প্রস্তুত ছিল কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির কারণে তা স্বাক্ষরে বিলম্ব হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের কথা উল্লেখ করে প্রতমিন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের চাপে রেখেছিলাম। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে শিগগিরই এর একটি সমাধান দেখতে পাব।’
৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের জেআরসি বৈঠকে দুই দেশ তিস্তা ও গঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর ‘পানি-বন্টন চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যা’ নিয়ে আলোচনা করেছে।
পড়ুন: যৌথ নদী কমিশন: ঢাকা, দিল্লি পানি-বন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা
রোহিঙ্গা সংকট: তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন বিবেচনা করছে জাপান
প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ: শ্রিংলা
কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গোলাম নবি আজাদ। তার এই পদত্যাগ প্রধান বিরোধী দলটির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) পাঁচ পৃষ্ঠার পদত্যাগ পত্র দলটির অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী বরারবর লেখেন তিনি।
আজাদ গান্ধী পুত্র রাহুলকে ‘শিশুসুলভ’, ‘চকচকে অপরিপক্ক’ এবং দলকে পরিচালনায় ‘অনভিজ্ঞ মানসিক রোগী’ বলে আক্রমণ করেছেন।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য রাহুলকে দায়ী করে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক দাবি করেন, ‘দল এখন এমন জায়গায়, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।’
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও চরমভাবে একটি ‘দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ ধারণায়’ চলছিলেন, যার মাধ্যমে দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধন্ত নেয়া হতো ‘রাহুল গান্ধীর মাধ্যমে কিংবা তার খারাপ নিরাপত্তারক্ষী কিংবা সহকারী ব্যক্তিদের দ্বারা।’
বিগত তিন বছরে দলটির অনেক নেতা চলে যাওয়ার পর দলটি যখন অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি তখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে, সেসময়ই আকস্মিক বের হয়ে গেলেন আজাদ।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন আজাদ। এছাড়া তিনি ২০০৫ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মহমোহন সিং-এর সংসদীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০২২ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মভূষণ’ খেতাবপ্রাপ্ত হন।
আরও পড়ুন: আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
রাহুলের বিকল্প না পেয়ে সোনিয়ার কাঁধেই কংগ্রেসের ভার
করোনা জটিলতায় হাসপাতালে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী
রেলের ৪৩৩ মিলিয়ন ডলারের দুটি উন্নয়ন প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ রেলওয়ের নুতন দুটি প্রকল্পের কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রকল্প দুটি হলো-‘খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনের মধ্যে ডাবল লাইন রেল ট্র্যাক নির্মাণ’ ও ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর-কাউনিয়া সেকশনে মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ লাইনে রূপান্তর’।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেলভবনে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
উভয় প্রকল্পই ভারত সরকারের দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি)-এর অধীনে বাংলাদেশ সরকারকে প্রদত্ত দুই বিলিয়ন ডলার রেয়াতি ঋণের সহায়তায় সূচিত হতে যাচ্ছে। ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিট পোর্টফোলিও’র প্রায় এক-চতুর্থাংশ নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার।
এছাড়া খুলনা-দর্শনা রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে মোট ৩১২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই রেললাইনের মোট দৈর্ঘ্য হল ১২৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার (ডাবল লাইন) যার মাঝে রয়েছে ১৪ দশমিক ৪০ কিলোমিটার লুপ লাইন এবং ১৪৭টি গার্ডার ব্রিজ ও কালভার্ট। এই প্রকল্পটি খুলনা-ঢাকা, খুলনা-চিলাহাটি, খুলনা-রাজশাহী রুটে এবং মোংলা বন্দর ও দর্শনা-গেদের মধ্যে যোগাযোগকে উন্নত করার পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
এটি হরিয়ান, ভেড়ামারা, সান্তাহার, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশন, আমানুরা, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও এবং রংপুরে প্রস্তাবিত জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহে জ্বালানি পরিবহনকে সহজ করে দেবে।
কনসালটেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে এসটিইউপি কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড, এএআরভিইই অ্যাসোসিয়েটস্ আর্কিটেক্টস্ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টস্ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে (বাংলাদেশি অংশীদার)।
পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে মোট ১২০.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল পার্বতীপুর এবং কাউনিয়া জংশনের মধ্যে ৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা যার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট-কাউনিয়া-রংপুর-পার্বতীপুর-কাঞ্চন-পঞ্চগড় সেকশন, কাঞ্চন-বিরল সীমান্ত সেকশন এবং শান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-রংপুর-পার্বতীপুর-কাঞ্চন-পঞ্চগড় করিডোর অংশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও লাইনের পরিবহন ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটবে। এটি বিরল সীমান্ত দিয়ে আন্তসীমান্ত যাতায়াত সহজ করতেও সহায়তা করবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে খুলনা অঞ্চল থেকে সরাসরি রংপুর বিভাগে জ্বালানি পরিবহন করা যাবে। কনসালটেন্সি সার্ভিসের জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে এসটিইউপি কনসালট্যান্ট প্রাইভেট লিমিটেড, এএআরভিইই অ্যাসোসিয়েটস্ আর্কিটেক্টস্ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালট্যান্টস্ প্রাইভেট লিমিটেড এবং ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে (বাংলাদেশি অংশীদার)।
ভারত সরকারের রেয়াতযোগ্য লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে পরিচালিত এই গুরুত্বপূর্ণ রেল সংযোগ প্রকল্পসমূহের জন্য কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সমগ্র অঞ্চলের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ, এক ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ
ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু জুনে: রেলমন্ত্রী
যৌথ নদী কমিশন: ঢাকা, দিল্লি পানি-বন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশ ও ভারত তিস্তা ও গঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর ‘পানি বণ্টন চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যা’- নিয়ে আলোচনা করেছে।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকে দুই দেশ পানি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে।
জেআরসি সভায় বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের জলশক্তি (পানি সম্পদ) মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
এর আগে চলতি বছর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম রাউন্ডের বৈঠকে, বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটিতে শনিবার নদী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোমেন ও জয়শঙ্কর
বরিশালে সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে নিখোঁজ তরুণের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর স্থাপন করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ: শ্রিংলা
ভারতের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ক সমন্বয়ক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা মঙ্গলবার বলেছেন, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি গত এক দশকে দুই দেশের অর্জন এবং দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ওপর আলোচনা করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, ‘ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই বিশেষ এবং চিরন্তন।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর যে অতন্ত ইতিবাচক ফল আনবে তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ওপর বিশেষ বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে সাবেক দুই পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইসিডব্লিউএর ডিজি বিজয় ঠাকুর সিং স্বগত বক্তব্য দেন।
শ্রিংলা সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা করেন যা উভয় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রয়োজন বলে ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, এটি দুই দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রিংলা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই ঘনিষ্ঠ ও অনন্য সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি উভয় দেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক নীতির সাথে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।
পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানে ভুল করে একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দায়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তদন্ত আদালত কর্তৃক অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ার পর মঙ্গলবার তাদের বরখাস্ত করা হলো।
গত ৯ মার্চ ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্য পাঞ্জাবের বিমান ঘাঁটি থেকে দুর্ঘটনাজনিতভাবে একটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অভ্যন্তরে পতিত হয়েছিল।
এরপর ১১ মার্চ ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলে, ‘৯ মার্চে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হয়। ভারত সরকার বিষয়টি কঠোরভাবে দেখছে এবং উচ্চ পর্যায়ের আদালতের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।’
সূত্র বলছে, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য বিমানবাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং বরখাস্ত করে।
এই দুর্ঘটনার পরদিন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার বলেছিলেন, ‘৯ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে ভারতের অভ্যন্তর থেকে একটি উচ্চ গতিসম্পন্ন বস্তু উড়ে এসেছে পাকিস্তানে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিক গতিপথ বিচ্যুত হয়ে এটি পাকিস্তান সীমায় প্রবেশ করে পাকিস্তানেই আছড়ে পড়ে। ফলে কোনো মানুষ হতাহত না হলেও সাধারণ মানুষের কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিতর্কিত কাশ্মীর এলাকাকে ঘিরে ১৯৪৭ সাল থেকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত কমপক্ষে তিনবার বড় ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
আমি নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারকে কিছু বলিনি: ড. মোমেন