ভারত
ভোগাই নদীর পাহাড়ী ঢলে যুবক নিখোঁজ
শেরপুরে ভারত থেকে নেমে আসা ভোগাই নদীতে পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসা গাছের গুড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন এক যুবক। জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাকুমা গ্রামে রবিবার সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যুবক বুরহান উদ্দিন (২১) ওই গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) তার সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ঢলের পানিতে তলিয়ে বোরহানের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় রামচন্দ্রকুড়া মন্ডালিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, রবিবার ভোরে পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে পাহাড়ি ঢল নামে। ঢলের সাথে ভেসে আসে পাহাড়ি গাছের গুড়ি ও লাকড়ি। সকাল থেকে ভোগাই নদীর তীর সংলগ্ন কালাকুমা ও পানিহাতাসহ বিভিন্ন স্থানে ঢলের সাথে ভেসে আসা গাছ এবং লাকড়ি ধরছিলেন স্থানীয়রা। বোরহানও সকালে ঢলের পানিতে ভেসে আসা একটি গাছ ধরতে নদীতে নামে। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ঢলের পানিতে তলিয়ে বোরহান মারা গেছে।
আরও পড়ুন: সন্ধান মেলেনি পদ্মায় নিখোঁজ চীনা প্রকৌশলীর
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস বেইজিংয়ের
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের চাওয়া পূরণে চীন সব সময় দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের সেতু হিসেবে কাজ করে যাবে।’
কসমস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ আমরা পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি এবং দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীকে সহায়তার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা কখনই বদলাবে না।’
মূল বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ’এই বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে মিয়ানমারে হঠাৎ করে সেনা অভ্যুত্থান সবাইকে অবাক করে দিয়েছে এবং যে কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, চীন মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, আশা করছি শিগগিরই দেশটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
বৃহস্পতিবার রাতে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষৎতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
এতে আলোচক প্যানেলে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী, ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী গবেষক ড. জু ইওংমেং, চীনা ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সহকারী গবেষণা ফেলো ড. নিং শেংনান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম বলেন, ‘বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও উপ আঞ্চলিক ইস্যুতে সহযোগিতা বাড়াতে আমি চীনকে অনুরোধ করব, বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে চীন সহায়তা করার ক্ষমতা রাখে।’
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশটিতে বর্তমানে যে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে তার প্রভাব চীন, বাংলাদেশ, ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর ওপরও পড়তে পারে।
তারিক এ করিম বলেন, ‘তাই, আমি এই ইস্যুটিকে নতুন করে দেখার এবং তাদের প্রভাব ব্যবহার করে দ্রুত সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কখনও ঋণের ফাঁদে পড়বে না: চীনা রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত লি’র মন্তব্যের বিষয়ে শমসের মুবিন বলেন, এই ইস্যুর সন্তোষজনক সমাধানের জন্য বাংলাদেশ অনেক প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি মানবিক সমস্যা, এই সম্প্রদায়ের সম্মানের কথা মাথায় রেখে এর সন্তোষজনক সমাধান না হলে এটি নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাবেক এই কূটনীতিক মনে করেন, এই ইস্যুর সমাধান যে দেশগুলো সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারে তাদের আর দেরি না করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সন্ধান করা উচিত।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, রোহিঙ্গরা কি আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি এবং ভূ-তাত্ত্বিক স্বার্থের শিকার? আমি মনে করি এ প্রশ্নটিই এই অঞ্চলের প্রভাবশালী রাষ্ট্রদের খুব খোলামেলা ও আন্তরিকতার সাথে জিজ্ঞাসা করা দরকার। এটি অনেক বেশি মানবিক সমস্যা এবং আমি মনে করি এর কার্যকর এবং সময়োপযোগী সমাধান হওয়া উচিত।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সার্বজনীন প্রশংসা পেয়েছে বলেও সাবেক এই কূটনীতিক উল্লেখ করেন।
রাখাইন রাজ্যের সঙ্কটকে একটি জটিল ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, চীন মিয়ানমার সরকারকে রক্ষা করছে।
এই বিশ্লেষক বলেন, ভারতও মিয়ানমারে প্রভাবের জন্য প্রতিযোগিতা করছে এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) সমালোচনা করছে।
বাংলাদেশ কখনও ঋণের ফাঁদে পড়বে না: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন যে, বাংলাদেশকে কখনও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঋণ বা কথিত ঋণের ফাঁদে পড়ার চিন্তা করতে হবে না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতায় ‘ঋণ’ কখনও কূটনৈতিক নিয়ন্ত্রণের চাবি-কাঠি হয়ে উঠবে না বলে আশ্বস্ত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ খুব দক্ষতার সাথেই বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা করে আসছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘আমি অবশ্যই বলবো যে, আপনারা খুবই দক্ষতার সাথে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা করেছেন এবং আপনাদের কোনও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঋণ নেই। আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধ ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বেশ সুনাম অর্জন করেছে। তাই, কথিত ঋণের ফাঁদ নিয়ে চিন্তা করবেন না।’
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
বৃহস্পতিবার কসমস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় (ওয়েবিনার) এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানটি কসমস ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
উক্ত আলোচনায় উদ্বোধনী ও সমাপনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান এবং সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।এছাড়া সভায় আলোচক প্যানেলে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের এম চৌধুরী, ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী গবেষক ড. জু ইওংমেং, চীনা ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সহকারী গবেষণা ফেলো ড. নিং শেংনান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। ওয়েবিনারে মূল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
আরও পড়ুন: দ্রুতই টিকা রপ্তানি শুরু করতে পারে সেরাম
আলোচনার এক পর্যায়ে চীনের অর্থায়নে সরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার ঋণের ফাঁদে পড়ার বিষয়টি উঠে আসে। ঋণের ফাঁদ বর্তমান বিশ্বে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারের এক অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আর এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ অঞ্চলে চীনের ব্যাপক ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলার অভিযোগ করে আসছে বিভিন্ন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংস্থা।
এরই প্রেক্ষিতে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর কোনও দেশেই ঋণের ফাঁদ তৈরির চেষ্টা করেনি চীন। তিনি দাবি করেন এমন কোনও কার্যক্রমের প্রমাণ নেই।লি বলেন, ‘আপনাদের দেশে সুপরিকল্পিত নীতিগত কাঠামো এবং দক্ষ কর্মকর্তা ও মন্ত্রী রয়েছেন। তাই আপনাদের এই ব্যাপারে চিন্তিত হবার কিছু নেই।’এসময় চীনা রাষ্টদূত জানান, সম্প্রতি এক নিবন্ধ পড়ে তিনি জানতে পারেন, শ্রীলঙ্কার বর্তমান মোট ঋণের মাত্র ৮ শতাংশ চীনের কাছ থেকে নেয়া। তাছাড়া, এই ৮ শতাংশ ঋণের অধিকাংশই বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে রয়েছে।
আলোচনায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, চীন বাংলাদেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে পরিণত হচ্ছে। দেশের বড়-বড় প্রকল্পগুলোতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ছে। তার মতে, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে চীনের এমন অর্থনৈতিক কাযক্রমকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ঋণের ফাঁদ হিসেবে উল্লেখ করছে। আর এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
তবে এই অর্থনীতিবীদ বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে এবং দেশের মোট ঋণের বড় অংশই আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া।’কিন্তু ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক শুধুমাত্র ঋণের কারণেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে, বলে মনে করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মোদির চিঠি: মানবজাতি শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে উঠবে
ওয়েবিনারে ঋণ বিষয়ক আলোচনার জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বর্তমান চলমান সম্পর্ক ও বাংলাদেশের প্রতি চীন সরকার ও জনগণের সমর্থনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি দুই দেশের সুসম্পর্ক বাংলাদেশকে আরও লাভবান করবে বলে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশের সুতোয় বাঁধবে চীন-ভারত সম্পর্ক
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশ চীনের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় চীনা রাষ্ট্রদূত বেশ হৃদ্যতা প্রকাশ করেন। তার মতে, ভারতকে কখনও নিজেদের কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেনি চীন।তিনি বলেন, ‘চীন কখনও ভারতকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে না। আমরা মনে করি আমাদের (চীন-ভারত) সম্পর্ক আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। তাই এটা কখনও ভাববেন না যে, ভারতের প্রতি চীনের বিদ্বেষমূলক মনোভাব রয়েছে। এমন কিছুই নেই।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশ
ভারতের মানুষ ও এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে লি বলেন, ‘আমরা এখনও অনেক বিষয়ে একসাথে কাজ করে যাচ্ছি। আর ঐতিহাসিক ভাবে গত দুই থেকে তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দুই অঞ্চলের মানুষের মাঝে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আছে। যেকোনও শিক্ষিত চীনা নাগরিকের ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আলাদা একটি শ্রদ্ধার জায়গা রয়েছে, যা কখনও জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়নি।’
ভারত সম্পর্কে চীনা রাষ্ট্রদূতের আলোচনার আলোকে কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান ২০০৪ সালে চীনের বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-এর (তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) সাক্ষাৎকার নেয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ‘আমি তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম ভারত-চীন সম্পর্কে মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? তিনি তাৎক্ষণিকভাবেই উত্তর দিয়েছিলেন- ভারত এবং চীনের মাঝে সেতু বন্ধন করতে পারে বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান বাংলাদেশের
প্রযুক্তির আদান-প্রদান
প্রযুক্তির আদান-প্রদান বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত লি জানান, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে ব্যাপক হারে প্রযুক্তির আদান-প্রদান চলছে।এসময় উদাহরণ হিসেবে লি আরও জানান, বেশ কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের কাছ থেকে পোশাক আমদানি করতো না চীন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের এক নম্বর রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক শিল্প খাত চীনেও জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এখন চীনে পোশাক আমদানি করছে।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনাদের তৈরি পোশাক শিল্প খাত এখন এতটাই উন্নতি করেছে যে, বাংলাদেশের কাছ থেকে চীন গারমেন্টস পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় যে, দুই দেশের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির আদান-প্রদান ঘটছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা দেবে জার্মানি
‘কোয়াড’ প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের ভাবনা
আলোচনার এক পর্যায়ে একজন আলোচক চীন বিরোধী আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারতের জোট- কোয়াড প্রসঙ্গ তুলে আনেন। এ বিষয়ে গত মে মাসে লি জিমিং এর মন্তব্য চীন-বাংলাদেশের মাঝে বেশ অস্বস্তির তৈরি করে।কোয়াড প্রসঙ্গ উঠে আসায় চৈনিক এই কূটনীতিক নিজের সাফাই দেয়ার সুযোগটি লুফে নিয়ে জানান, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি শুধু এই জোটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো সম্ভাবনার কথা আলোচনা করতে চেয়েছিলেন।এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হবার পর এদেশের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে প্রথম যা জানতে পেরেছি, তা হলো বাংলাদেশ সকলের সাথে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করে এবং কারো সাথে বৈরিতায় জড়াতে চায় না। তাই আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ কোনও ক্ষুদ্র চক্রান্তকারী গোষ্ঠির সাথে জড়াবে না, বিশেষ করে কোনও যুদ্ধবাজ সামরিক জোটে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের জন্য চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিস্তা প্রকল্প
চীনের অর্থায়নে তিস্তার গভীরতা বাড়ানো প্রকল্পের ব্যাপারে লি জিমিং কে প্রশ্ন করা হয়।তিনি জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা প্রকল্পের ব্যাপারে যে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত সাধারণ মানের।চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রস্তাবনার ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা প্রথমে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাই এর প্রতিবেদন তৈরি করুন। এর পরে আমরা এই প্রকল্প মূল্যায়নের কাজ শুরু করবো। এই প্রকল্পের অর্থনৈতিক, প্রকৃতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটগুলোও আমাদের যাচাই-বাছাই করতে হবে।’
বেনাপোলে ভায়াগ্রার চালান আটক
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ২৬ কেজি ভায়াগ্রার একটি চালান আটক করেছেন কাস্টমস সদস্যরা।
বুধবার রাতে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার ভায়াগ্রা চালান আটকের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কাস্টমস এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়ে পণ্য চালানটি নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তারা ।বেনাপোল বন্দরের ৪২ নম্বর গুদাম থেকে ভায়াগ্রার চালানটি জব্দ করেন কাস্টমস সদস্যরা। কাস্টমসের ল্যাবে পরীক্ষা শেষে প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি ভায়াগ্রা বলে নিশ্চিত হন তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে আজ থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভায়াগ্রা আমদানি করে যশোরের মামনি এন্টারপ্রাইজ। পণ্যটি বন্দর থেকে ছাড় করানোর চেষ্টা করছিলেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমিন ইমপোর্টস অ্যান্ড এক্সপোর্টস।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপকমিশনার অনুপম চাকমা জানান, গত ৩১ মে আমদানিকারক মোটর পার্টস অ্যান্ড আদার্স এক ঘোষণায় ভারত থেকে ৩০১ প্যাকেজ পণ্য আমদানি করে বেনাপোল বন্দরের ৪২ নম্বর পণ্যাগারে রাখে। পরবর্তীতে পরীক্ষায় দেখা যায়, ৩০১ প্যাকেজের মধ্যে ১১৪ নম্বর প্যাকেজে পাউডার জাতীয় ২৬.২১ কেজি পণ্য রয়েছে। পরে সেটি কাস্টম হাউজের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ভায়াগ্রা শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন আরও ১০৫ জন
তিনি জানান, আমদানিকৃত পণ্যটি আমদানি নিষিদ্ধ, সেজন্য জনস্বার্থে নিরাপত্তার জন্য ৪২ নম্বর পণ্যাগার থেকে কাস্টমসের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই ২০০ কেজি ও একই সালের ৭ আগস্ট ২৫০০ কেজি ভায়াগ্রার আরও একটি চালান আটক করে বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তারা।
করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু প্রায় ৩৯ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হলেও, বেশকিছু দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৯০ হাজার ১৫২ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ৫৯২ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রুতই টিকা রপ্তানি শুরু করতে পারে সেরাম
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ২ হাজার ৮৩৩ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭ হাজার ১০৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮১ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়েছে। একই সাথে মৃত্যু সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার সাথে সারাদেশের যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ বন্ধ!
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১৩ হাজার ৭৮৭ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৭২৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান বাংলাদেশের
এর আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৭৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৪ হাজার ৮৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬ টি। শনাক্তের হার ২০.২৭ শতাংশ।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯১.৩১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
দ্রুতই টিকা রপ্তানি শুরু করতে পারে সেরাম
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট খুব শিগগিরই করোনার টিকা রপ্তানি শুরু করতে পারে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক ভাবে জুলাইয়ের শেষ নাগাদ অথবা আগস্ট মাস থেকে পূর্বেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের ক্রয়কৃত টিকা সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম দি প্রিন্ট তাদের প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: ধৈর্য ধরুন, দেখেন কী করতে পারি: টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
এদিকে গতকালই (বুধবার) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক বসেন তিনি।
তবে বৈঠক শেষে কোনও পক্ষই কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: বাইডেন রাজত্বের ১৫০ দিনে ৩০ কোটি টিকার মাইলফলক
বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্টজেনেকার উদ্ভাবিত ৩ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা ছিল ভারতীয় সেরাম ইনস্টিটিউটের। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ টিকার ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের ওপর নির্ভর রোহিঙ্গাদের টিকাদান
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ টিকা সরবরাহ করার কথা থাকলেও, হঠাৎ করেই ভারতের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ছাড়াল
তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যে ভারতে প্রাণঘাতি মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজারে। বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোন বিশ্বের ২০ কোটির বেশি মানুষকে প্রভাবিত করেছে: ডব্লিউএইচও
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ হাজার ৮৪৮ নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৫৮ জনের। এ নিয়ে ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৮ হাজার ৭০৯ এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৬০ জনে।
আরও পড়ুনঃ ভারতে নতুন প্রায় ৮১ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত
গত ২৪ ঘন্টায় ৬৮ হাজার ৮১৭ জন করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছে। এই নিয়ে ভারতে এ অবধি সুস্থতার সংখ্যা দুই কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৫।
করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি ৯১ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হলেও, বেশকিছু দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনায় মারা গেছেন ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ৮৭৫ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় দেড় মাসের শিশু করোনা আক্রান্ত
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ২ হাজার ৪৫৫ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৭১৭ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার সাথে সারাদেশের যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ বন্ধ!
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৬ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১৩ হাজার ৭০২ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৮৪৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৭৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৪ হাজার ৬৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ২৮ টি। শনাক্তের হার ১৯.৩৬ শতাংশ।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯০৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৫ জন। সুস্থতার হার ৯১.৫৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৮১ লাখের বেশি
একদিকে বিশ্বজুড়ে কয়েকটি দেশে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমে যাওয়া, অপরদিকে করোনা টিকা কার্যক্রম পরিচালনার পরও দিন-দিন বিভিন্ন দেশেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। সেই সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ।ইতোমধ্যেই বিশ্বে করোনায় একদিকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৮১ লাখ ছাড়িয়েছে, অন্যদিকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৩৮ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে। বিশ্বে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫৬ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ৪২ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে সিনোফার্মের টিকা দেয়া শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৮১ লাখ ২৩ হাজার ১৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৬ জন।করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১ হাজার ৭৪৮ জন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৭ প্রাণহানি, শনাক্ত ১৮.০২ শতাংশ
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮০০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫০ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার তাণ্ডবে এখন শনিবার পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৬ জন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় ৩ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০২
বাংলাদেশ পরিস্থিতিশনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৬৭ জন মারা গেছেন, যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ ২ মে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১৩ হাজার ৪৬৬ জনে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৭ জনে পৌঁছেছে।এর আগে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৫৪ জন মারা গেছেন এবং ৩ হাজার ৮৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান বাংলাদেশের
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৬৪ টি। শনাক্তের হার ১৮.০২ শতাংশ।নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭২৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮০ হাজার ১৪৬ জন।
স্ত্রীর পর চলে গেলেন কিংবদন্তী মিলখা সিং
দিল্লি, ১৯ জুন (ইউএনবি)- বিশ্ব ইতিহাসের কিংবদন্তী দৌড়বিদ ভারতের মিলখা সিং আর নেই। করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগে ৯১ বছর বয়সে মারা গেলেন বহুল পরিচিত এই ‘ফ্লায়িং শিখ’।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় শুক্রবার ভারতের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান বিশ্বখ্যাত এই দৌড়বিদ। এর আগে গত ১৩ জুন করোনা পরবর্তী জটিলতা মারা গিয়েছিলেন তার স্ত্রী নির্মল কৌর।
আরও পড়ুন: সৌমিত্রের মৃত্যুর ৫ মাসের মধ্যে মারা গেলেন তার স্ত্রী দীপা
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার স্মরণে টুইটার হ্যান্ডেলে নিজের স্মৃতি কথা তুলে ধরেন মোদি।
মিলখা সিং তার অসামান্য জীবনে, এশিয়ান গেমসে চার বার গোল্ড মেডেল, ১৯৬০ এর রোম অলিম্পিকে ৪০০ মিটার দৌড়ে চতুর্থ হন। এছাড়া ১৯৫৮ সালে ভারতের প্রথম কমনওয়েলথ গোল্ড মেডেল অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন কবরী
মিলখা সিং অবিভক্ত ভারতের মুলতানে (বর্তমানে পাকিস্তানে) পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় দাঙ্গায় তার পরিবারের করুণ মৃত্যুর পর থেকেই ছুটতে থাকা এক কিশোর ছুটতে ছুটতে ইতিহাসকে পিছে ফেলে দেন।
আরও পড়ুন: করোনায় চলে গেলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান
তার জীবনের ঘটনা নিয়েই ২০১৩ সালে নির্মিত হয় ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ চলচ্চিত্র।