হত্যা মামলা
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
গোপনে বিয়ে করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামে আমিনুল ইসলাম আরিফ (২৩) নামে যুবককে হত্যায় দায়ের করা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: শার্শায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
রায়ের সময় আসামি ওমর শরীফ পলাতক ছিলেন। বাকী তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. ইউনুছের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪০), ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামের হাজী আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ওমর শরীফ (২০), একই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের গাজী বাড়ীর ইমান হকের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫) ও মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার হাসাইল এলাকার মো. হাফিজ উদ্দিন শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।
হত্যার শিকার আমিনুল ইসলাম আরিফ লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের মহাদেবপুর গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম আরিফ লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা হলেও রাজধানীর খিলগাঁও থানার উত্তর গোরান সিপাহীবাগে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাকার বাসিন্দা জনৈক ইউনুছের মেয়ে পিংকিকে গোপনে আদালতে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই ঘটনা উভয় পরিবারে জানাজানি হলে পিংকির মা সাহিদা বেগম স্থানীয় ভাড়া করার লোকজন দিয়ে আরিফকে তুলে নিয়ে গোপন আস্তানায় রাখেন। আরিফ বিষয়টি তার আপন খালা নিলা বেগমকে জানায়।
নিলা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাহিদা বেগমকে পান। সাহিদা বেগমকে বুঝিয়ে সেখান থেকে আরিফকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে উভয় পরিবারে শত্রুতা চলতে থাকে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিংকির পরিবার অর্থাৎ সাহিদা বেগম, নাছিমা বেগম ও নাছির পরামর্শ করে পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালের ৪ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ওমর শরীফ, কামরুল ও সাইফুল আরিফদের বাসায় গিয়ে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাবে বলে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
কিন্তু চট্টগ্রাম না নিয়ে তারা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামে ওমর শরীফের বাড়িতে এনে আরিফের গলায়, বুকে, তলপেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করেন এবং বাড়ির পুকুরে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করেন।
আরিফকে পরিকল্পিত হত্যার পরের দিন ৫ মে ভোর আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে আসামি ওমর শরীফ আরিফের মা মনোয়ারা বেগমকে জানায় আরিফ মারা গেছে।
এই ঘটনার সত্যতা জানতে আরিফের মা ওমর শরীফের গোরানস্থ বাসায় তার পিতার মোবাইল দিয়ে শরীফকে ফোন দেয়। শরীফ জানায় সে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।
বিষয়টি জানতে পেরে আরিফের আপন চাচা মো. তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী আত্মীয় স্বজন নিয়ে ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে আসেন এবং তার ভাতিজার লাশ দেখতে পান।
এই ঘটনায় ওইদিনই তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী বাদী হয়ে পিংকির মা সাহিদা বেগম, ওমর শরীফ, কামরুল হাসান, সাইফুল ইসলাম, নাছিমা বেগম ও নাছিরকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হোসেন সরকারকে।
তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি ওমর শরীফ পলাতক ছিলেন। বাকী তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসির আদেশ
কুমিল্লার হোমনায় ২০১০ সালে আবদুল করিম হত্যা মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে যুবকের ফাঁসির আদেশ
তবে এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মজনু মিয়া ও কবির মিয়া দুই জনের বাড়ি কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বাগমারা পশিচমপাড়া গ্রামে।
কুমিল্লার আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া মামলার বিবরণে জানায়, ২০১০ সালের ২৮ জুলাই বাগমারা পশিচমপাড়া গ্রামের আবদুল করিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।
চারদিন পর ২ আগস্ট দুপুরে হোমনার বালুর মাঠের পশ্চিমে তিতাস নদীতে থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৯ জনের ফাঁসি
নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল উপজেলার আলম খাঁ হত্যা মামলায় শাহিন নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপোষের নামে আসামিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও সেই তথ্য আদালতে গোপন করার দায়ে মামলার বাদি আনজুয়ারাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিন ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে। আর আনজুয়ারা একই গ্রামের আলম খাঁর স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের আলম খাঁর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেন শাহিন। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে আলমকে বাড়ি থেকে ডেকে শাহিন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য আসামিদের মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর আহসান সাকিব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে পিরোজপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের খলিল মোল্লার ছেলে দুলাল মোল্লা (৪০), একই এলাকার ওহাব আলী শেখের ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে সায়েদ শেখ (৩৩), শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ শেখ (৩৬) এবং আলম শেখের ছেলে বেল্লাল শেখ (৩০)।
নিহত তানভীর আহসান সাকিব (১৭) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবীর বাদল।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও পিপি অ্যাডভোকেট ফারুক সরদার জানান, ২০১৭ সালের ৬ মে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের একপাই জজুভোলা এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর আহসান সাকিবের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবিক মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত সাকিবের মা দেলোয়ারা বেগম বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকতা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামি আনিস শেখ ও হাফিজুল শেখকে খালাস দেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তজিমদ্দিন হত্যা মামলার ২৬ বছর পর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দীর্ঘ ২৬ বছর পর দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি হলো- চিরিরবন্দরের দক্ষিণ শুকদেবপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের দুই ছেলে আফজাল হোসেন ও আব্দুল লতিফ এবং উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের কাচুয়া শাহের ছেলে শামসুল হক।
এদিকে কাফী নামে আরেক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল জানান, ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই বিকালে তজিমউদ্দিন বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের দুইদিন পর চিরিরবন্দরের দামুয়া পুকুরের কাচুরিপানার ভিতর থেকে তজিমুদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনার পর চিরিরবন্দর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী আরজিনা। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।
২৬ বছল ধরে মামলা চলাকালে তথ্য প্রমাণাদি এবং ১৯ জনের স্বাক্ষ্য বিবেচনায় দোষী প্রমাণিত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
৯৮ বারের মতো পিছিয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন।
অপর আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে এক যুবককে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-শৈলকূপার দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের ছানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম পাভেল; ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা শেখপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আলো; খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়ার জয়নাল আবেদিনের ছেলে আসলাম;আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে ইমরান; হাবিবুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম এবং পবহাটি এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে রাসেল।
এ মামলার অপর আসামি মাসুম, রিহাদ ও জামানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে পাভেল, আলো ও রাসেল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া ফিরোজ নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামের যুবক রহমত উল্যাহ ওরফে খোকনকে জনৈক ব্যক্তি মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরদিন সকালে ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের চাচা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় পরিবহন নেতাকে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে পরিবহন নেতাকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দক্ষিণ সতানন্দি গ্রামের শান্তি রঞ্জন শীলের ছেলে তাপস চন্দ্র শীল (২৫), একই গ্রামের আউয়াল কমিশনারের বাড়ির মৃত রেজাউল করিম রাজা মিয়ার স্ত্রী মোসা. আলো আক্তার (৩০) এবং একই জেলার চান্দিনা উপজেলার বশিকপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া জয়নাল মেম্বার বাড়ির আ. সামাদ ওরফে সামাদ সরকারের ছেলে মো. রাসেদ (২৮)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিহত রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়া মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার পুরাতন চরচাষি ছায়েদ আলী মুন্সী বাড়ির মৃত ছোয়াব আলী বেপারীর ছেলে।
জানা গেছে, তিনি দাউদকান্দি বাসস্ট্যান্ডে গজারিয়া পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৩ জুন আ. আউয়াল কমিশনারের বসত ঘরের পাশ থেকে তার ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর তার ভাই মো. খাজা মিয়া (৪৮) বাদী হয়ে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে রাজা মিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সন্ধেহভাজন মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী আলো আক্তারকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং অপর দুই আসামি তাপস চন্দ্র শীল ও রাসেদ এর নাম বলেন। পুলিশ অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করলে সবাই আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করে।
আদালত ২০১৫ সালের ২৭ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। পরে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি রাসেদ উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি মোসা. আলো আক্তার ও তাপস চন্দ্র শীল পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলার এজাহারকারী এবং রাষ্ট্রপক্ষ শিগগিরই রায় কার্যকর করার জন্য জোর দাবি জানান।
অপরদিকে, আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা রায়ের কপি হাতে পেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনার তেরখাদা আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে খুলনার একটি আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বিকালে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক ছিলেন। অপরদিকে এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
নিহত পলাশ ওরফে সবুজ ওই গ্রামের জনৈক লুৎফর রহমানের ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- উপজেলার বারাসাত গ্রামের তকুব্বর ফকিরের ছেলে রোমান ফকির ও একই গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিলু।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুরাদ শরীফ ও খসরু মোল্লা। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলমঙ্গীর হোসেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলার ৩ নং আসামি মিলু মোল্লার বাড়িতে পলাশের প্রায়ই যাতায়াত ছিল। এ কারণে মিলু মোল্লা পলাশ এবং তার স্ত্রী রিক্তা বেগমকে সন্দেহ করত। এ অবস্থায় মিলু মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর রাত ৯ টায় বাড়ি থেকে পলাশকে ডেকে নেয়।
তারপর থেকে অনেক খোঁজ নেওয়ার পর পলাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পলাশের পরিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আসামি মিলু মোল্লা তার স্ত্রীর অবৈধ প্রেমকে ঠেকানোর জন্য অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বারাসাত গ্রামের উত্তর পাশে বিলের ভেতর নিয়ে গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর আসামি রোমান মোল্লা তার শশুর বাড়ি রাজাপুর এসে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে পলাশ হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন নিহত পলাশের মা বেগম বিবি বাদী হয়ে চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে এ হত্যা মামলার আসামি রোমান ফকির গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলার আসামি রোমান ফকিরের দেখানো স্থান থেকে পলাশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা উপজেলার পাতলা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই বাবর আলী খান চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২২ জন আদালতে সাক্ষী দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমেরিকা ফেরত আকবর হোসেন বাবুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিচারক নাসরিন জাহান এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লিপি আক্তার, রহমত উল্লাহ রনি, কামাল হোসেন, তাজুল ইসলাম ও সজিব। তারা সবাই নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার উলুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নিহতের ছোট ভাইয়ের বউ লিপি আক্তার। অন্যরা হত্যাকাণ্ডে সহযোগী।
রায়ের সময় লিপি আক্তার ও সজিব পলাতক ছিলেন। বাকি তিন আসামির সামনেই রায় পড়ে শোনান বিচারক।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহিদ হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ আগস্ট নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জ এলাকায় একটি ডোবার মধ্যে থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে জানা যায় যে উদ্ধার লাশ নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার উলুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমেরিকা ফেরত আকবর হোসেন বাবুলের। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম।
এ ঘটনায় কুমিল্লা লাকসাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ মিল্টন রহমান বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে একটি হত্যা দায়ের করেন।
এতে ১৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামিদের মধ্যে তাজুল ইসলাম রুবেল ছাড়া বাকি চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট