হত্যা মামলা
সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি গ্রেপ্তার
ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) সদস্যরা।
বুধবার দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শালগ্রাম সীমান্ত এলাকা থেকে আসামি রাজু মুন্সীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজু মুন্সী (২৫) পটুয়াখালী জেলার নুরুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
খবর পেয়ে এটিইউ-এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় এবং সীমান্ত এলাকা থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক ইত্তেফাকের আফতাব আহমেদকে (৭৮) তার পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডের বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরে চালক হুমায়ুন, হাবিব ও বিল্লাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন যে, বাড়িতে ডাকাতি করার সময় তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ জানায়, বিল্লাল তার বাসা থেকে ৭২ হাজার টাকা লুট করে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে টাকা ভাগ করে নেয়।
এছাড়া আফতাব ২০০৬ সালে একুশে পদক পান।
এ ঘটনায় আফতাবের ছেলে মনোয়ার আহমেদ সাগর রামপুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরে পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রাজুসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।
এদিকে, হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছেন।
এছাড়া ২০১৩ সালে পুলিশ রাজুকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত থেকে জামিন পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাগেরহাটে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার (৫৩) ও আওয়ামী লীগ কর্মী শুকুর শেখকে (৪২) হত্যার দায়ে ওই ইউনিয়নের বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরসহ ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গলা কেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন-আবুয়াল ফকির, মো. হুমায়ুন হাওলাদার, মিল্টন খান, মো. মফিজ খান, মো. ফারুক, মো. আবুল হোসেন শেখ, মো. মোদাচ্ছের শেখ, সুনীল দাস, বিশ্বনাথ ওরফে বিশ্ব প্রমাণিক, মো. লিয়ন শিকদার, সুব্রত কুমার সাহা ওরফে পল্টু (পলাতক), মেহেদী ওরফে রুবেল ফকির ও মো. মহি মোল্লা।
আদালতে এ মামলার ৫০ জন আসামী উপস্থিত ছিল।
রায় ঘোষণার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহত আনসার আলী দিহিদারের ছেলে মেহেদী হাসান শাওন।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরসহ আমার বাবা-মার হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে আপিল করা হবে।
আমরা এ রায়ে মোটেও সন্তুষ্ট নই।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফকির ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী দিহিদারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের জের ধরে এ ট্রিপল হত্যাকাণ্ড ঘটে।
ওই সময় পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ফকিরের লাইসেন্স করা একটি বিদেশি শটগান, একটি রিভলবার, একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, একটি কুড়াল ও তিনটি গুলি জব্দ করে।
আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের নেতৃত্বে তার লোকজন দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে যুবলীগ নেতা শুকুর শেখকে সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে গুলি করে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে নিয়ে ফেলে রাখে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী দিহিদারের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়। হত্যাকারীদের অবস্থান বুঝে আনসার আলী তার ঘরের পাটাতনে পালান। আসামিরা ঘরের চালার টিন কেটে পাটাতনে প্রবেশ করেন। ওখান থেকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে টেনে-হিচড়ে তাকে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে নিয়ে যান। পরে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে শুকুর শেখ ও আনসার আলী দিহিদারকে বোরকা পরিয়ে নির্যাতন করেন। পরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন। একাধিক গুলি ও মারধরে ঘটনাস্থলে শুকুর শেখ মারা যান ও বাগেরহাট থেকে খুলনা নেয়ার পথে মারা যান আনসার আলী দিহিদার।
ওইদিন আনসার আলী দিহিদারের স্ত্রী মঞ্জু বেগম ও শ্রমিক নেতা বাবলু শেখকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। মারধরে মঞ্জু বেগমের দুই পা ও বুকের হাড় ভেঙে যায়।
দীর্ঘ ২২ মাস বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ৩০ জুলাই মারা যান মঞ্জু বেগম।
২০১৮ সালে আনসার ও শুকুর মৃত্যুর পর ৪ অক্টোবর রাতে মোড়েলগঞ্জ থানায় নিহত শুকুর শেখের ভাই শেখ ফারুক হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৪ জুন পুলিশ ৫৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফকির, ইউপি সদস্য আজিম, আল আমিন, সুনীল, শ্যাম ও মোদাচ্ছের, দৈবজ্ঞহাটি ইউপির গ্রাম পুলিশের সদস্য আবুয়াল হোসেন ফকির, আবুল শেখ ও জুলহাস ডাকুয়া।
এরা সবাই আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফকিরের অনুসারী, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থক।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান ফকির শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২৩টি হত্যা মামলাসহ ৭১টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রাবাসে ছাত্রীকে ধর্ষণ, শিক্ষকের যাবজ্জীবন দণ্ড
ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার জমি নিয়ে বিরোধে আবু রায়হান হত্যা মামলায় বাবা ও ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রাশেদ তালুকদার এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়ির মালিককে হত্যা: ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-মুক্তাগাছার কাসেমপুরের হরিপুরের কেরামত আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (৫৮) ও দুলাল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমেদ ফরহাদ (৩০)।
আদালতে বাবা দুলাল মিয়া উপস্থিত থাকলেও ছেলে তানভীর আহমেদ ফরহাদ পলাতক রয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি মুক্তাগাছার হরিপুর গ্রামের জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে খুন হন আবু রায়হান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মুক্তাগাছার কাসেমপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের দুলাল মিয়া ও ফয়জুর রহমানের সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি বিকালে জমির আইল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ফয়জুর রহমান ও তার ছেলে আবু রায়হানকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এসময় মারত্মক আহতাবস্থায় আবু রায়হানকে উদ্ধার করে প্রথমে মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেয়ার পথে ঐ দিনই আবু রায়হান মারা যায়।
পরদিন নিহতের বাবা ফয়জুর রহমান বাদী হয়ে ছয়জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্তে দুই জনের সম্পৃক্ততা পায়।
মামলাটিতে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন আদালত।
আদালতে সরকারি পক্ষে আইনজীবী সঞ্জীব সরকার ও আসামি পক্ষে এ এইচ এম খালেকুজ্জামান মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামির মুক্তির নির্দেশ
ভারতের শীর্ষ আদালত শুক্রবার ১৯৯১ সালে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত ছয়জনকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধী হত্যা: ৩১ বছর পর মুক্ত দোষীসাব্যস্ত পেরারিভালান
দোষীরা যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিল এবং ৩০ বছরেরও বেশি সময় তারা কারাগারে কাটিয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, ‘অন্য কোন বিষয়ে প্রয়োজন না হলে আপীলকারীদের মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এই বছরের মে মাসে, শীর্ষ আদালত তার বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে সপ্তম দোষীকে মুক্তি দেয়। বাকি আসামিদের ক্ষেত্রেও একই আদেশ প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে আদালত। ১৯৯১ সালের ২১ মে রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পিকে হালদারকে বাংলাদেশে আনতে হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী বুশরা গ্রেপ্তার
বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার বনশ্রীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে (বৃহস্পতিবার) পুলিশ বুশরার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, আজ ভোরে ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা রামপুরা থানায় ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বুশরা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ফারদিন। ফোনেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
পরে এ ব্যাপারে ফারদিনের বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ফারদিন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনি জানান, ফারদিনের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ফারদিনের বাবা বলেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এবং তিনি বিচার দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে ফারদিনের নামাজে জানাযা শেষে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে ফিরে পাবো না, কিন্তু আমি বিচার চাই। তার মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে অপরাধী ও খুনিদের শনাক্ত করা কঠিন কিছু নয়।’
আরও পড়ুন: বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ বন্ধুর রিমান্ড মঞ্জুর
নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে শাকিল হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের মৎসজীবীলীগ নেতা শাকিল হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশ।
আসামি দুজন হলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ি বাজার এলাকার মানিক আলী (২৮) ও কুব্বাত হোসেন (২৫)।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান আলী নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
তিনি জানান, আগের রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে সেপ্টেম্বরে র্যাব ঢাকা থেকে চারজনকে ও বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করার কারণে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ি বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাঈদ আলমের ভাই মৎসজীবীলীগ নেতা শাকিল আহমেদ মারা যায়।
পরে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। সেই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় এতিমখানায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৬ সালে এক নারীকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত।
মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন তিনজনকে এ সাজা দেন। মামলার আরেক আসামিকে বেকুসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মেঘনা উপজেলার শিকিরগাঁও এলাকার সুমন ও রাকিব এবং মানিকারচর এলাকার তাছির। তাদের মধ্যে তাছির পলাতক রয়েছে।
খালাস পাওয়া টিটু একই এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল ২০ জুন সন্ধ্যায় মেঘনা উপজলার মানিকারচর এলাকার গৃহিনী জামিলা বেগম নিখোঁজ হন। এর চারদিন পর বাড়ি সংলগ্ন একটি ফসলি জমি থেকে জামিলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৫ জুন জামিলার স্বামী ভ্যানচালক আবদুল হাকিম বাদী হয় মেঘনা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা, ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও অন্যায্য
এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে ওয়াজেদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আপন পাঁচ ভাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম চার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত এই মামলায় সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের মৃত বকস মন্ডলের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৬১), জানবার আলী (৬৬), আব্দুল মান্নান মন্ডল (৫৬), আব্দুল হান্নান (৫০) ও আলাউদ্দিন (৫৩)। এদের মধ্যে হান্নান পলাতক রয়েছেন।
রায় ঘোষণার পর পরই আদালতে উপস্থিত চার আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ মার্চ দিবাগত রাতে জায়গা-জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা উপজেলার সালিমপুর মাঠের জমি থেকে গম কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। সংবাদ পেয়ে জমির মালিক ওয়াজেদ আলী তার ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে গিয়ে দেখেন আসামিরা তার মাঠ থেকে গম কেটে নিচ্ছে। বাধা দিলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ওয়াজেদ আলীর ওপর আক্রমণ করেন। তারা ওয়াজেদ আলীকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
ঘটনার দিন নিহতের ছেলে বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি তদন্তককারী কর্মকর্তা এসআই ফয়সাল হোসেন ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বেনাপোলে বিজিবি-রেল পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নববধূ হত্যার মামলায় নিহতের স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামীম (২৫) রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের পাচাইখা গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে, পেশায় এমব্রয়ডারি মেশিন অপারেটর।
আরও পড়ুন: খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
নিহত শিউলি আক্তার একই ইউনিয়নের মনির হোসেনের মেয়ে এবং আসামি শামীমের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামীমের সঙ্গে শিউলি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের দু’দিন পরই নববধূ শিউলি ও তার স্বামী শামীমের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিয়ের মাত্র সাতদিনের মাথায় ৩০ আগস্ট রাতে শামীম শিউলিকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন ৩১ আগস্ট নিহত শিউলির মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে শামীমসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
পরে পুলিশ আসামি শামীমকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি শামীমকে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসামির বয়স কম হওয়ায় এবং চার বছর কারাবাস ভোগ করায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ভূমি অফিসের এক কর্মচারী হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শেরকান্দি গ্রামের ভূমি অফিসের কর্মচারী ছিলেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমরাখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দী গ্রামের মৃত আকরাম বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল বিশ্বাস(৪৭), মৃত আকবর শেখের ছেলে ছদ্দিন শেখ(৪০) ও লাচেন জোয়াদ্দারের ছেলে রাশেদ জোয়াদ্দার (৩৫)।
লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস খান জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের স্ত্রী রেবেকা খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামিরা সবাই পালিয়ে ছিল। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মেহেরপুর ও পাবনাসহ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় র্যাব-১৩ ।
কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি পলাতক কয়েকজন আসামি ঢাকায় পালিয়ে আছেন। এরপর র্যাব সদর দপ্তরের সহোযোগীতায় শনিবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, রবিবার দুপুরে প্রেপ্তার আসামিদের কুমরাখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
ডাকাতি মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২