হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নববধূ হত্যার মামলায় নিহতের স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামীম (২৫) রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের পাচাইখা গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে, পেশায় এমব্রয়ডারি মেশিন অপারেটর।
আরও পড়ুন: খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
নিহত শিউলি আক্তার একই ইউনিয়নের মনির হোসেনের মেয়ে এবং আসামি শামীমের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামীমের সঙ্গে শিউলি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের দু’দিন পরই নববধূ শিউলি ও তার স্বামী শামীমের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিয়ের মাত্র সাতদিনের মাথায় ৩০ আগস্ট রাতে শামীম শিউলিকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন ৩১ আগস্ট নিহত শিউলির মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে শামীমসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
পরে পুলিশ আসামি শামীমকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি শামীমকে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসামির বয়স কম হওয়ায় এবং চার বছর কারাবাস ভোগ করায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ভূমি অফিসের এক কর্মচারী হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শেরকান্দি গ্রামের ভূমি অফিসের কর্মচারী ছিলেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমরাখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দী গ্রামের মৃত আকরাম বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল বিশ্বাস(৪৭), মৃত আকবর শেখের ছেলে ছদ্দিন শেখ(৪০) ও লাচেন জোয়াদ্দারের ছেলে রাশেদ জোয়াদ্দার (৩৫)।
লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস খান জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের স্ত্রী রেবেকা খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামিরা সবাই পালিয়ে ছিল। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মেহেরপুর ও পাবনাসহ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় র্যাব-১৩ ।
কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি পলাতক কয়েকজন আসামি ঢাকায় পালিয়ে আছেন। এরপর র্যাব সদর দপ্তরের সহোযোগীতায় শনিবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, রবিবার দুপুরে প্রেপ্তার আসামিদের কুমরাখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
ডাকাতি মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী শরীফ খাঁ (৫০) হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজের আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আখাউড়া উপজেলার চানপুর উত্তর পাড়া গ্রামের জাকির খাঁ (৪০), মাহবুব খাঁ (৩০) ও গাজী খাঁ (৬৫)।
অপর আসামি আমানত খাঁকে (৬৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
পাঁচজন আসামির মধ্যে আসামি আমির খাঁ মারা গেছে। মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট আসামিরা সীমানা বিরোধের জের ধরে শরীফ খাঁকে আখাউড়া চানপুর উত্তর পাড়া নিজ বাড়ির পাশের রাস্তার ওপরে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শরীফ খাঁর স্ত্রী মাজেদা বেগম পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ যুক্তি তর্ক শেষে রবিবার এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন:পাবনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত,অভিযুক্ত আটক
মানববন্ধনে যোগ দিতে ঢাকায় আসার পথে সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দা আটক
মাগুরায় হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন
মাগুরায় মেহেদী হাসান পাভেল হত্যা মামলার রায়ে এক আসামিকে ফাঁসি এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আজাদকে মৃত্যুদণ্ড, রুমানা পারভীন, আবির হোসেন, মোমেনা খাতুন, জাকির হোসেন, সাইদুর রহমান ও খালিদ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
মামলার আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট রোকনুজ্জামান ও বাদী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আবু বক্কর।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জোকা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান রিজুর ছেলে মেহেদী হাসান পাভেল (২২) এর সঙ্গে আসামি সেলিম আজাদের কন্যা লিমা পাবভীনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান পাভেল খুন হয়।
এ ঘটনায় একই সালের ২৭ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান রিজু বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি সাক্ষ্য প্রমাণাদি গ্রহণের পর এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
২৯ বছর পর আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
যশোরে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুর রহমান হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার এ রায় দিয়েছেন স্পেশাল দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শামছুল হক।
জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ এই নেতার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বেনাপোলের গাতিপাড়া গ্রামের ফজলে করিম ক্যানলার ছেলে রাইটার, রবিউল ইসলামের ছেলে মশিয়ার রহমান, দৌলতপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে আজগর আলী, ভারতের ২৪ পরগানা জেলার বনগ্রাম থানার ভরতপুর গ্রামের কারজেল মন্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তার মন্ডল, জিয়ালা গ্রামের কালিপদ সরকারের ছেলে সাধন সরকার, বাগদাহ থানার আমডোব গ্রামের মৃত আনু বিশ্বাসের ছেলে ইয়াকুব আলী।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ৫ মে মাগরিবের নামাজ পড়ে শামসুর রহমান বাড়িতে বসে লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে আসামিরা শামসুর রহমানকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জারিমানার আদেশ দিয়েছেন। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি টিটু মিয়াকে খালাস দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত রাইটার ছাড়া সকল আসামি পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পাবনায় হত্যা মামলার এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ধর্ষণচেষ্টার দায়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাশ গুমের দায়ে দুই বছর অনাদায়ে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডবল মার্ডার : বিশ্বনাথে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টুটুল সাঁথিয়া উপজেলার চর পাইকারহাটি গ্রামের আতাহার মুল্লিকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত আলেয়া খাতুন একই গ্রামের আরদোশ মুল্লিকের স্ত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, আলেয়া খাতুন বাড়ির পাশে লাকড়ি কুড়াতে যান। এসময় টুটুল তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তাকে শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং ধান খেতে লুকিয়ে রাখে। এই ঘটনার ছয় দিন পর সন্দেহজনকভাবে টুটুলকে আটক করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লুকানো লাশ বের করে দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় আলেয়া খাতুনের মেয়ে সাবানা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই রায় ঘোষণা করা হলো।
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৬ কিশোর গ্যাং গ্রেপ্তার
কুমিল্লা নগরীর আওয়ার লেডী অব ফাতিমা গার্লস হাইস্কুলের সামনে কিশোর গ্যাং ‘রতন’ গ্রুপের হাতে নিহত কিশোর গ্যাং ‘ঈগল’ সদস্য শাহাদাৎ হোসেন হত্যায় জড়িত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২ এর অধিনায়ক মো. সাকিব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ছয় মাস আগে ঈগল গ্রুপের সদস্যরা রতন গ্রুপের একজন সদস্যকে মারধর করে। এ নিয়ে তাদের মাঝে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন বিকাল ৪টায় ঈগল গ্রুপের সদস্যরা রতন গ্রুপের একজনকে মারধর করে। এরই জের ধরে রতন গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রসহ ওই স্কুলের সামনে ঈগল গ্রুপের সদস্যদেরকে আক্রমণ করে। এসময় ভুক্তভোগী শাহাদাৎ দৌড়ে পালাতে না পারলে কিল-ঘুষি ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে 'কিশোর গ্যাং'য়ের ৫ সদস্য আটক
আশঙ্কাকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গ্রেপ্তার আসামিদের কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও ১২ জনকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে ‘কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য’কে ছুরিকাঘাত
খুলনায় ‘কিশোর গ্যাং’র ৫ সদস্য আটক
খুলনায় স্ত্রী ও কন্যা হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনার ডুমুরিয়ায় স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি মাহবুবুর মোড়ল ডুমুরিয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া এলাকার সিরাজ মোড়লের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মাহবুবুর মোড়লের সঙ্গে রেশমা বেগমের বিয়ে হয়। এর এক বছর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। প্রায়ই মাহবুবুর স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত।
২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট পারিবারিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আসামি মাহবুবুর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্ত্রী রেশমাকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা বললে তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে রেশমা বেগম ও তাদের এক বছর বয়সী কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তাদের দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে মাহবুব পালিয়ে যায়। আসামি মাহবুবুরের বাবা সিরাজ মোড়ল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেশমার বাবাকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানান। তিনি তৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে তাদের লাশের সুরাতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মেহেরুল হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার কালু (৪৫) নয়াদিয়াড়ি এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
র্যাব-৫ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের উপ অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি দল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নয়াদিয়াড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। কালু ২০২০ সালে ২১ ডিসেম্বর গোমস্তাপুর থানায় দায়ের করা মেহেরুল হত্যা মামলার পলাতক আসামি। গ্রেপ্তারের পর তাকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
২০২০ সালে ২১ ডিসেম্বর সকালে গোমস্তাপুর বেগমনগর মহিলা মাদরাসার পেছনে একটি আম বাগান থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মেহেরুল গোমস্তাপুর উপজেলার রাজারামপুর বালুগ্রাম এলাকার মৃত কবিরুলের ছেলে।
মা-মেয়ে হত্যা: ১৫ বছর কনডেম সেলে থাকা ২ ফাঁসির আসামি খালাস
রাজশাহীতে মা ও মেয়ে হত্যার মামলায় ১৫ বছর কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- ইসমাঈল হোসেন বাবু ও সোনাদি।
একই মামলায় অন্য আসামি তরিকুল ইসলামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আপিল বিভাগ খালাস পাওয়া দুজনকে দ্রুত কনডেম সেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
এই দিন আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মিলিয়ারা খাতুন ও তার মেয়ে পারভীন খুন হন। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালে ইসমাঈল, সোনাদি ও তরিকুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলাটি ডেথরেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা পৃথক আপিল করেন। ডেথরেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে পরবর্তীতে ২০১৪ সালে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
পরে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে দুজনকে খালাস ও একজনকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেন।