জঙ্গি
এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। তাদের কারণেই জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের যে অপতৎপরতা দেখতে পাচ্ছি, এটির সঙ্গেও বিএনপির অপতৎপরতা একই সূত্রে গাঁথা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে বিএনপির হাত ধরে। বাংলা ভাইকে মাঠেই নামিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলা ভাইকে পুলিশ প্রটেকশন দেয়া হয়েছিল। অপারেশন কিলিং কমান্ডার বাংলা ভাইয়ের নেপথ্যে গডফাদার ছিলেন রুহুল কুদ্দুস দুলু, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিনু, আলমগীর কবীর, নাদিম মোস্তফা, ব্যারিস্টার আমিনুল হকসহ আরও অনেকেই।
আরও পড়ুন: দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
এভাবেই জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান ও বিস্তৃতি ঘটিয়েছিল বিএনপি। তাদের সময়েই ৫শ’জায়গায় বোমা ফাটিয়ে জঙ্গিরা তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে, যেটির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তারা।
তিনি বলেন, ঢাকায় বিএনপির নির্বিঘ্ন সমাবেশের সুবিধার্থে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা এবং সেখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ এগিয়ে আনা সত্ত্বেও তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ তারিখের পরিবর্তে এগিয়ে এনে ৬ তারিখ করেছেন। যাতে সেই মঞ্চ, প্যান্ডেল গুটিয়ে ফেলার পর বিএনপি সময় নিয়ে মঞ্চ এবং তাদের প্যান্ডেল নির্মাণ করতে পারে। কোনো সম্মেলন পিছিয়ে দেয়া সহজ কিন্তু এগিয়ে আনা সহজ নয়। তারপরও বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগ সেটি করেছে।
মন্ত্রী বলেন, তাদেরকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা যখন সমাবেশ করতাম আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দু’পাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া ছিলো, সহজে আমাদের সমাবেশ করতে দেয়া হতো না। রাসেল স্কোয়ারে আমরা ২০ জন নিয়ে দাঁড়ালে পুলিশ লাঠিপেটা করতো। সেই ছবিগুলো আপনারাই সংগ্রহ করেছেন এবং এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে। তাদের আমলে যেভাবে আমাদের প্রয়াত নেতা মো. নাসিমকে পুলিশ লাঠিপেটা করেছিল, আমাদের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা মতিয়া চৌধুরীকে টানাহেঁচড়া করেছিল, আমিও পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছি, এভাবে তাদের কোনো নেতা আমাদের ১৪ বছরের আমলে এসবের শিকার হতে হয়নি।
সরকার তাদেরকে সহায়তা করছে বিধায় তারা নির্বিঘ্নে সারাদেশে সমাবেশ করতে পারছে, যা তাদের সময় আমরা করতে পারিনি।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে জঙ্গিরাও আগের তুলনায় তৎপর হচ্ছে। এ দেশের জঙ্গিগোষ্ঠী, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি।
তাদের যে ২২ দলীয় জোট যে কত দলীয় জোট সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপার তবে যাই হোক সেই জোটের মধ্যে সেই সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতারা আছে যারা আফগানিস্তানের তালেবানি নীতি বিশ্বাস ও লালন করে এবং মনে মনে দেশটাকে আফগানিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে পেপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় টিএসর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেন। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাড়ি সিলেটে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যার মিশনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন।
গত রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত
হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর মূল পরিকল্পনাকারী শনাক্ত: সিটিটিসি প্রধান
আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
আদালত চত্বরে পুলিশের হেফাজত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪)। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার আসামি রাফি।
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি- মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব এবং মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্যও।
আরও পড়ুন: পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেয়া সেই মাদক কারবারীসহ গ্রেপ্তার ২
সোমবার ঢাকার আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার পর পুলিশ যখন সোহেল ও শামীমকে লক-আপে নিয়ে যাচ্ছিল তখন কয়েকজন কোথাও থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশের ওপর পেপার স্প্রে করে তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটিটিসি ইউনিটের একটি দল মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে আটক করে। তিনি আনসার আল-ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন জানান, গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল।
তবে কোথা থেকে এবং কবে তাকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
ব্রাজিলের পতাকাবাহী অটোরিকশায় ৫৭ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ২
আদালত থেকে জঙ্গির পলায়ন: রেড অ্যালার্ট জারি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, রবিবার দুপুরে ঢাকার একটি নিম্ন আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ধরতে সরকার দেশের সব প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ সর্বত্র তাদের খুঁজছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সীমান্ত এলাকায় তাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি যাতে তারা (দণ্ডপ্রাপ্তরা) দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হবে: সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘পুলিশের হাত থেকে জঙ্গিদের পলায়ন একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: তুমব্রুতে ডিজিএফআই অফিসারকে মাদককারবারীদের গুলির সত্যতা প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েটের ফারদিন হত্যার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব: মহাপরিচালক
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী হয়ে র্যাব অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব-৯ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১টায় র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে র্যাব ডিজি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে র্যাব-৯। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব-৯ এর যেসকল সদস্য দেশের তরে কাজ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কমনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র্যাব-৯ সকল দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়াসহ নানা সহায়তা প্রদান করেছে র্যাব-৯। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফুটানোসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড র্যাব-৯ পরিচালনা করছে। আগামীতেও এসকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে র্যাব-৯।
আরও পড়ুন: জঙ্গিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে: র্যাব মহাপরিচালক
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞায় র্যাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার দায়িত্ব সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সব অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সংস্থার কেউ আইনবিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
র্যাব তার নীতিতে অবিচল উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞায় নাম থাকা ৭৬ জনের তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বান্দরবনের গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। গহীন অরণ্যে শুধু নয়;জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই অভিযান চালাবে র্যাব। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে র্যাব হবে আতঙ্কের নাম।’
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্রগ্রামে র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আটক ১০
র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
জঙ্গিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে: র্যাব মহাপরিচালক
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, অনেক তরুণ বাড়ি থেকে পালিয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়ে কেউ কেউ বান্দরবানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে জঙ্গিরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গভীর দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী নগর র্যাব -১১ প্রধান কার্যালয়ে মাদকদ্রব্য ধ্বংস কার্যক্রমে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সমাজের সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান: ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদমে নিষেধাজ্ঞা
তিনি আরও বলেন, সমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সমাজের সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পরিবার, শিক্ষক, গণপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব।
তাই মাদক নির্মূলে সমাজের সকল স্টেক হোল্ডারদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
বুধবার দুপুরে সময় সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধভাবে আমদানি করা ৩৭ কোটি টাকার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশি মদ আদালতের নির্দেশে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম বেগম ফারহানা ফেরদৌস, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন), র্যাব-১১ অধিনায়ক (সিইও) কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউটর) শাওন শায়লাসহ র্যাব ও বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
র্যাব মহাপরিচালক জানান, এই অবৈধ বিদেশি মদের চালান আমদানি কারবারের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে মো. নাজমুল মোল্লা (২৩) ও মো. সাইফুল ইসলাম সাইফুল (৩৪) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় পরদিন ২৪ জুলাই সকালে বিমানবন্দর এলাকা থেকে এ চক্রের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা মাদক আমাদানি ও বিক্রির সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: আটক জঙ্গি ও কুকি-চিনের ১০ সদস্যকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত
পার্বত্য চট্রগ্রামে র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আটক ১০
সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার ১৭ বছর
২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ১৭ তম বার্ষিকী আজ বুধবার। এ হামলায় দুজন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।
দিনটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল দেশ থেকে চরমপন্থা নির্মূল করার জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়ে ওই হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
২০০৫ সালের এই দিনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) দেশের ৬৩টি জেলার ৪৩৪টি স্থানে প্রায় ৫০০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত ১৭ বছরে ৯৪টি মামলার বিচার ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে এবং ৫৫টি মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
আরও জানা যায়, সিরিজ বিস্ফোরণে ২৭ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়। এদের মধ্যে আটজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
এই বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে জেএমবি জাতির সামনে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশের অপচেষ্টা করে। কিন্তু ২০০৭ সালে জেএমবির শীর্ষ ছয় নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে।
২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার দায়ে সংগঠনটির ছয় নেতা- শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাহউদ্দিনকে ফাঁসি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় জেএমবির ২ সদস্যের ২০ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড
বুরকিনা ফাসোতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৫৫
উত্তর বুরকিনা ফাসোতে সপ্তাহান্তে বন্দুকধারীরা অন্তত ৫৫ জনকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ইসলামিক চরমপন্থীদের একটি দল এসকল হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সোমবার কর্তৃপক্ষ ৫৫ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সরকারের মুখপাত্র ওয়েন্ডকৌনি জোয়েল লিওনেল বিলগো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনো প্রদেশের সেতেঙ্গায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
গত দুই বছরে বুরকিনা ফাসোতে ইসলামিক চরমপন্থীদের দায়ী করা সহিংসতায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মারা গেছে। আরও দুই মিলিয়ন মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারের অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে তলব
ভেনেজুয়েলায় বিরোধীদলীয় নেতার ওপর হামলা
ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে আইএস’র ৯ জঙ্গি নিহত
ইরাকি সেনাবাহিনীর অভিযানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। বুধবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক প্রদেশে এই অভিযান চালানো হয়। ইরাকি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরাকি জয়েন্ট অপারেশন কমান্ডের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাকি সৈন্যরা বাগদাদ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তরে ক্রাউ মাউন্টেনে একটি সুড়ঙ্গে লুকিয়ে থাকা নয় জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে, বোমা হামলা করে এবং ভিতরে থাকা সমস্ত জঙ্গিকে হত্যা করে।
চরমপন্থী জঙ্গিদের দমনে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে।
২০১৭ সাল থেকে ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। যাই হোক, আইএসের অবশিষ্টাংশ নগর, মরুভূমি এবং দুর্গম এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিকদের বিরুদ্ধে প্রায়ই গেরিলা আক্রমণ চালাচ্ছে।ি
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আলজাজিরার সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
খুলনায় জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার ১০ ব্যক্তি পাঁচ দিনের রিমান্ডে
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার ১০ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার খুলনা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- আনোয়ার কবির মিলন ওরফে মিদ্দাত হোসেন, সোহেল রানা, আমিনুল, কামরুল ইসলাম, রিফাত রহমান, আব্দুর রউফ, মো. শেখ ফরিদ, আব্দুল আলীম, মো. রফিকুল ইসলাম ও তালহা ইসলাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিমাই চন্দ্র জানান, ১৮ মার্চ রাতে খালিশপুর বিআইডিসি রোডের কাশিপুর এলাকার আলম শেখের মালিকানাধীন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব ওই ১০ জনকে আটক করে। পরে র্যাব বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করে।
তিনি জানান, মামলাটির অধিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরের দিন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। মঙ্গলবার আদালত তাদের ১০ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সন্দেহে খুলনায় আটক ১১
মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী