চমেক
চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার থেকে চমেক কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে পূর্ব নির্ধারিত ফি বহাল রাখার দাবিতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
আরও পড়ুন: চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
এসময় বেসরকারি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেন্ডর কর্মচারীরা রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এর আগে একই দাবিতে শনিবার হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসানকে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল সাধারণ রোগীরা।
আন্দোলনরত রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, প্রতিমাসে একজন রোগীকে আট বার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়। এরমধ্যে দুইবার ২ হাজার ৭৯৫ টাকা করে পরিশোধ করলেও বাকি ছয় বারই ৫১০ টাকা করে পরিশোধ করতে হতো একজন রোগীকে।
কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে এসে দু’বারের পরিবর্তে তা চারবার করা হয়। তাও আবার ফি বাড়িয়ে ২ হাজার ৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। আর বাকি চারবার ৫৩৫ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রতি রোগীর ডায়ালাইসিস ফি প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, মেডিকেলে ডায়ালাইসিস করার সক্ষমতা সাড়ে ছয় হাজার। কিন্তু এই সীমা অতিক্রম করার কারণে ফি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সাড়ে ছয় হাজার জন ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে। সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই আমাদের। তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি এ বিষয়ে শিগগিরই একটি সমাধান পাবো।
তবে পূর্বের ফি না নিলে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালের রোগী ও স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পিপিপি’র আওতায় পরিচালিত চমেক হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারটি চালু হয়। বর্তমানে ৩১টি মেশিন নিয়ে চলছে এ সেন্টার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডোর এই সেন্টারে তাদের কার্যক্রম ১০ বছর চালিয়ে যাবে। এর জন্য সরকারি জায়গা ব্যবহার করবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিটি কিডনি ডায়ালাইসিসের বিপরীতে প্রায় তিন হাজার টাকা (বর্তমানে) দিতে হয় রোগীকে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালের সেবা নিয়ে গণশুনানী করবে দুদক
চমেক হাসপাতালে কারাবন্দির মৃত্যু
চমেক হাসপাতালে কারাবন্দির মৃত্যু
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক কারাবন্দীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত শরীফুল ইসলাম কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হিসেবে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘আজ দুপুরে একজন হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি কক্সবাজার কারাগারের বন্দি ছিল।’
আরও পড়ুন: ঢামেকে কারাবন্দি হাজতির মৃত্যু
লকডউনে ৮ কার্যদিবসে ১৬৭ কারাবন্দি শিশুর জামিন
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মাসুদ রানা নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিইউর চিকিৎসক ডা.হারুনুর রশিদ।
নিহত মাসুদ রানা (৩৬) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা এবং ওই কনটেইনার ডিপোর শ্রমিক বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই )মো. আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, ওই শ্রমিক কনটেইনার ডিপোতে মাল লোড-আনলোডের কাজ করতেন। পরবর্তী নিয়ম অনুসরণ করে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন,বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে টানা ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১৩০ জন সিএমএইচের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে। ফলে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হয়।
মঙ্গলবার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রাতে ডিপো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাওয়ায় আগুন নেভানোর জন্য দমকলকর্মীরা এখনও ডিপোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: নিহতদের পরিচয় শনাক্তে চলছে ডিএনএ টেস্ট
চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রধান গেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীও আহত হন।
বর্তমানে আহত জোনায়েদ সাকি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে শহরে এসে নেতা-কর্মীদের নিয়ে আমি চমেক হাসপাতালে রোগীদের দেখেছি। রোগীদের দেখে আমরা গাড়িতে উঠতে যাব এমন সময় ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা করেছে তারা। আমাদের সাতটি রাজনৈতিক দলের ২০ জন নেতা-কর্মী এ সময় হামলার শিকার হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলায় নিহত ১, আহত ৩
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র অধিকারের দপ্তর সম্পাদক তানজিম হাসান জানান, হামলার সময় জোনায়েদ সাকির সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, কেন্দ্র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, কার্যকারী সদস্য কামরুন নাহার ডলি, যুব অধিকার পরিষদের বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ডা. রাসেল, মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের নাহিন ইসলাম সৌরভ, চট্টগ্রাম মহানগর নেতা হাসান মারুফ রুমি, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ জামান জনি ও ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ উদ্দীন ছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়।
চট্টগ্রামে বাসের সঙ্গে পুলিশভ্যানের ধাক্কা, ১৩ শিল্প পুলিশ আহত
চট্টগ্রামের সাগরিকা এলাকায় শিল্প পুলিশের গাড়িতে বাসের ধাক্কায় ১৩ শিল্প পুলিশ আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন- শামীম হোসেন (২২), জসিম (২৩), রিমি (২২), মানিক (২৪), সালাউদ্দিন (২২), সৈকত (২২), মাহাবুল (২৬), সজীব (২১), জসিম (২৩), জান্নাত (২২), রুম্পা (২১), মাসুদ (২৩) এবং উইনপ্রে (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিল্প পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে করে পুলিশ সদস্যরা কাট্টলী থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় খুলশীতে যাচ্ছিলেন। পথে সাগরিকা মোড় এলাকায় ১১ নম্বর রোডে চলাচলকারী একটি বাস পুলিশের পিকআপটিকে ধাক্কা দেয়। এতে শিল্প পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পরই বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
পুলিশের কব্জি কেটে নেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
আ’লীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন: সাবেক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করার মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী লিওকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে নগরীর কোতোয়ালি থানার আসকারদিঘীর পাড় এলাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের পর বিকালে লিওকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আনসার ও নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
উল্লেখ্য, ইফতার পার্টিতে দাওয়াত না দেয়া এবং ব্যানারে নাম না থাকায় গত ২৯ এপ্রিল পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম জসিম ও তার অনুসারীরা।
এতে মাথায় আঘাত এবং হাত ভেঙে যায় তার।
পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই তাপস গুহ বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলার তিন নম্বর আসামি সাবেক ইউপি সদস্য ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী লিও।
এ মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলেকে পুলিশ ঘটনার পরদিন গ্রেপ্তার করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সস্ত্রীক সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুদকের আরও মামলা
চট্টগ্রামে কার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ২
চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানাধীন বাংলাবাজারে অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছে।
রবিবার (১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সীতাকুণ্ড-পতেঙ্গা সংযোগ সড়কের বাংলাবাজারের কালুশাহ বাইপাসে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।এতে ঘটনাস্থলেই রিকশাচালক রাজু দাশ (৪০) নিহত হয়। অন্যদিকে প্রাইভেটকারের যাত্রী জোসনা আরা বেগম (৭৫) আহত হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নিহত রাজু দাশ হালিশহর আনন্দবাজার মধ্যম জেলে পাড়ার টুটুল দাশের ছেলে।
আরও পড়ুন: পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ কিশোর নিহতরাজু দাশের কাকাতো ভাই বিকাশ দাশ জানান, অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজু দাশ মারা যায়। তিনি অটোরিকশার চালক ছিলেন।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মীরসরাই থেকে শহরে আসার পথে দ্রুতগামী প্রাইভেটকার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে রিকশা চালক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অন্যদিকে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায়। এ অবস্থায় কারে থাকা যাত্রী জ্যোৎস্না আরাও গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে জ্যোৎস্নার ছেলে মারুফ তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, রিকশা ও কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক বৃদ্ধা এবং এক রিকশাচালক নিহত হয়। প্রাইভেট কারে থাকা চালক ও ছেলের কিছু হয়নি। চালককে ধরা যায়নি। সে এখন পলাতক। তবে কারটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে বাগেরহাটে নিহত ৩
চমেকের সেই আলোচিত ছাত্র আকিবের মাথার হাড় প্রতিস্থাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত কলেজটির শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবের মাথার হাড় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এ অপারেশন চলে। সফলভাবে অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী।
অস্ত্রোপচার শেষে ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সফলভাবে অপারেশন শেষ করেছি। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে। আকিব ভালো আছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
আরও পড়ুন: চমেকের আলোচিত সেই আকিব হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন
এর আগে গতকাল রবিবার বিকালে চমেক এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তির করা হয়।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। এতে তার মাথার হাড় ও ব্রেইনে মারাত্মক জখম হয়। থেঁতলে দেয়া হয় তার মাথার হাড়। সে সময় পুরো মাথায় লাগানো সাদা ব্যান্ডেজে চিকিৎসকরা লিখে দেন ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না।’
পরে জটিল অস্ত্রোপচারের পর প্রায় ১৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আকিব। কিন্তু সেই সময়ে তার মাথায় খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়নি। প্রথম অস্ত্রোপচারের পর মাথার হাড়ের একটি অংশ খুলে পেটের ভেতর রাখা হয়েছিল। ওই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল আকিবের মাথার ডান পাশ।
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে চমেক ছাত্র আকিবের
চমেক হাসপাতালে দুদকের অভিযান
ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুছ সাদাতের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের হটলাইন নম্বরে ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চলছে। দুদকের অভিযানিক দল প্রথমে প্রশাসনিক ভবনে যায়ি। এরপর হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত সরকারি ওষুধের দোকানে অভিযান চালায়।
দুদক উপ-পরিচালক মো. নাজমুছ সাদাত বলেন,‘দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬-এ অভিযোগ পেয়ে অভিযানে আসি। আমরা এখনও চমেক হাসপাতালে আছি। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: ওষুধ পাচারের অভিযোগে চমেক হাসপাতাল কর্মচারী বরখাস্ত
অভিযানিক দলে আরও রয়েছেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ, সহকারী পরিচালক এনামুল হক ও কনস্টেবল মো. ইমরান হোসেন।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওষুধ চুরির অপরাধে চমেক হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মরদেহের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ: চমেক মর্গের ডোম আটক
পতেঙ্গায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা স্টিল মিল বাজার এলাকার একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে পতেঙ্গা থানার সামনে মকবুল হাউজিং সোসাইটির মান্নান ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন- আকতার হোসেন (২৬) ও সালমা আকতার। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভবনের ছয়তলায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগে। ওই বাসা থেকে দুজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক জানান, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। বাসায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
পড়ুন: ময়মনসিংহে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩ শিশু নিহত
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি ২১ থেকে ২৪ মার্চ