ই-কমার্স
আইন বিভাগের মতামতের পর ই-কমার্স গ্রাহকদের গেটওয়ের টাকা ফেরত
গেটওয়েতে আটকে থাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের টাকা ফেরত ইস্যুতে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত চেয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গঠিত কমিটি। মতামত পাওয়ার পর টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির সমন্বয়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ই-কমার্স ইস্যুতে গঠিত ১৫ সদস্যের কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বা সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন,‘এসক্রো সার্ভিসে (গেটওয়ে) ২১৪ কোটি টাকা আছে। সেই টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সিআইডিকে চিঠি দিয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতে মাঝখানে আরও একটি মিটিং হয়েছে। কেবিনেট সেক্রেটারি (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) টাকাটা কীভাবে ফেরত দেবে, সে বিষয়ে একটা মিটিং করেছে। সেখানে সিআইডিসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে যেটা আলোচনা হয়েছে,এই টাকার একটি বড় অংশ মামলা মোকাদ্দমার মধ্যে আটকে আছে। সে বিষয়ে একটি লিগ্যাল ওপেনিয়ন (মতামত) দরকার। তার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের আইন বিভাগে লিগ্যাল ওপেনিয়ন চেয়েছি। সোমবারও এটি নিয়ে কথা বলেছি। এটি পেলে মামলা মোকাদ্দমার বাইরে যে টাকা রয়েছে, সেটি আমরা ফেরত দেবো।’
আটকে থাকা টাকা কবে নাগাদ ফেরত দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকা ফ্রিজ করে রেখেছে সিআইডি। এই কারণেই টাকা আটকে আছে। নইলে টাকা বের হয়ে যেতো।’
আরও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এটার সাথে যেহেতু মামলা জড়িত আছে তাই আমরা সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ একটা গ্রুপ কাজ করেছি, এ টাকা কীভাবে ফেরত দেয়া যায়। এটার জন্য দুই একদিনের মধ্যে হয়তো লিগ্যাল ওপেনিয়ন পেলে আমরা টাকা ছাড় করার ব্যবস্থা করব।’
দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
দারাজ, প্রিয় শপসহ ২৩টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২৯ জন নির্বাহী কর্মকর্তার হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত শাখা বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিএফআইইউ এ নির্দেশনা জারি করেছে এবং এই নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন ও অর্থ পাচারের বিষয়টি সিআইডি ও অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করছে।
বিএফআইইউ এমন সময় এ নির্দেশনা জারি করলো যখন সরকার ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জসহ বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করে না। বর্তমানে ইভ্যালি ও ই-কমার্সের প্রধান কর্মকর্তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
ই-কমার্স নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের ব্যবস্থাপক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা শাখার (ডব্লিউটিওটিও) মহাপরিচালক, বিকাশ, নগদ, এসএসএল কমার্স, ফস্টার পেমেন্টস ও সূর্য পের প্রধান নির্বাহীকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে ২১ অক্টোবর এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)’।
আরও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
সাবরিনা জেরিন বলেন, ‘ই-কমার্স ব্যবসায় অনেক গ্রাহক বা ক্রেতা অনলাইনে অর্ডার বা বিনিয়োগ করেছেন। পণ্য না পেলে সেসব গ্রাহকের টাকা ফেরত পাওয়ার কথা। কিন্তু এ টাকাটা ফেরত আসেনি। ফলে গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও যেন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। যে কারণে নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।’
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা বিকাশ, নগদ ও পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল কমার্স, ফস্টার পেমেন্টস ও সূর্য পে- এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে গত ২১ অক্টোবর কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংগঠন সিসিএস’র পক্ষে ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন এ রিট দায়ের করেন।
ই-কমার্সে কোনো গ্রাহক পণ্যের অর্ডার দিলে তার টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে থাকে। পণ্য ডেলিভারি হওয়ার পর প্রমাণ জমা দিয়ে সেই টাকা ছাড় পায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় এ পদ্ধতি চালু করা হয়। কিন্তু গ্রাহক পণ্য না পেলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া টাকা ফেরত পান না। ফলে গ্রাহকের টাকা আটকে থাকছে। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে এরই মধ্যে গ্রাহকের কয়েকশ কোটি টাকা গেটওয়েগুলোতে আটকে রয়েছে।
পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া ও তার স্বামীসহ ৩ জন একদিনের রিমান্ডে
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
একই দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সুব্রত দেবনাথ তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
গত ৭ অক্টোবর সাজ্জাদ ইসলাম নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী হাতিরঝিল থানায় মামলাটি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ই-অরেঞ্জের চমকপ্রদ অফার দেখে তিনি, তার ভাই এবং এক বন্ধু গৃহস্থালি পণ্য ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু ই-অরেঞ্জ পণ্য সরবরাহ না করে তাদের অর্থ আত্মসাৎ করে।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন মো. তাহেরুল ইসলাম নামের আরেক গ্রাহক। ওই দিনই সোনিয়া মেহজাবিন এবং তার স্বামী মাসুকুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৮ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় আমান উল্যাহকে।
২৩ আগস্ট এ তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। কয়েকটি মামলায় বেশ কয়েক দফা তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক বিথিসহ ৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলা
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
মন্ত্রিপরিষদের একটি নির্দেশনা অনুসারে, সমস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত হতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরাও বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশনা জারি করেছে যে আগামী দুই মাসের মধ্যে সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সিকিউরিটি মানি জমা দিতে হবে ।
এছাড়া বৈঠকে ই-কমার্স কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রিসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার নিয়ে সকল ই- কমার্স কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধন নিতে হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। এ সময়ে যারা ই-কমার্সের নিবন্ধন করতে পারবে না তারা ব্যবসা করতে পারবে না । তারা আউট অব দ্যা বিজনেস।
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই- কমার্স নিয়ে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম- উদ্দীন, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্তমর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে সেটা হলো ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিটিফিকেশন নাম্বার নিতে হবে সকল ই-কমার্স ব্যবসাসীদের। এর মাধ্যমে সকলকে একটি নিবন্ধনের মধ্যে নিয়ে আসা। এজন্য তাদের অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না। আমরা ই-কমার্সকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে চাই। এ বিষয়ে ফুল সার্পোট দেবে আইসিটি ডিভিশন। আর একটি হচ্ছে সেন্টাল লজিস্টিক ট্রাকিং প্লাটফর্ম (সিএলটিপি) আইনগতভাবে ট্রেক করার জন্য।এটা অনেক টেকনিক্যাল বিষয় মূল উদ্দেশ্যের সাথে আমাদের এ ব্যবস্থাও করতে হবে। তৃতীয়ত হচ্ছে, সেন্টার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যদি কোথাও কোন অভিযোগ থাকে বা কারো কোন বিষয় থাকে এ সব বিষয় আইসিটি ডিভিশন এগুলো করে দেবে।
তিনি বলেন, মোটামুটি তিন মাসের মধ্যে এ কাজগুলো করা যাবে। তারপরও আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে একটি ফলোআপ দেবে।
আরও পড়ুন: কৃষি খাতের লাভজনক বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউনিক আইডেন্টিটিফিকেশন নাম্বারের জন্য তিন মাস সময় লাগবে কোম্পানিগুলোর, এরপর গ্রাহকদের সেবা পেতে কতদিন সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় তৈরি করে দেয়ার সাথে সাথেই শুরু করে দেবো। যতো তাড়াতাড়ি আমরা পারব ততো তাড়াতাড়ি আমরা শুরু করবো। এজন্য নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। আর যারা নিবন্ধন করবে না তারা আউট। আউট অব দ্যা বিজনেস।
ইভ্যালি ছাড়াও আরও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের বিষয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, একটা নির্দেশনা এসেছে, ইভ্যালির ব্যাপারে। এটা একটা গাইডলাইন, এটা দিয়ে আমরা শুরু করতে পারি।
যুবক ও ডেসটিনির গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুবক ও ডেসটিনির স্থাবর সম্পত্তি আছে, সেই সম্পত্তি তারা নিয়ে যেতে পারেনি, কিছু ক্যাশ তারা নিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় সেই সম্পত্তি রিলিজ করা গেলে, সেটার দাম পাওয়া গেলে, আদালত নির্দেশ দিলে দেয়া যেতে পারে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রোপার্টি বেদখল হয়ে আছে ।
ই-কমার্স নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-কমার্সে নারীদের অংশগ্রহণ নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স আজকের বাংলাদেশের প্রসারমান অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল ই-কমার্সে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।’
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে 'জয়ী অ্যাওয়ার্ড ২০২১' প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের কোন অভাব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে নারীবান্ধব সরকার। আজকের বাংলাদেশে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভাসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দৃশ্যমান। বর্তমান সরকারের নারীবান্ধব নীতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসেই প্রাতিষ্ঠানিক ও অর্থনৈতিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণের এজেন্ডা গ্রহণ করেছিলেন। শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের সময়ে জাতীয় মহিলা উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন ও দ্বিতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নির্দেশনায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জয়ীতা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনগুলোতেও বর্তমানে আমাদের নারীদের নিযুক্ত করা হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীদের বিরুদ্ধে সবধরনের বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ক কনভেনশন ও বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইভ্যালির গ্রাহকরা ৬ মাস পাওনার জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
ঢাকা, ২১ অক্টোবর (ইউএনবি)-ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি লিমিটেডের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য পাচঁ সদস্যের বোর্ড গঠন করে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, ইভ্যালির গ্রাহকরা আগামী ছয় মাস তাদের পাওনা আদায়ের জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না। তবে কোনো গ্রাহক চাইলে পাওনার কথা বোর্ডের কাছে বা আদালতে জানাতে পারবেন। এছাড়া রায়ে গঠিত বোর্ড সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশ প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। লিখিত আদেশে আদালত আরও বলেছেন, লিখিত আদেশ পাওয়ার পরপরই তারা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা। অডিট লাগবে, বোর্ড অন্য কাজগুলোও দেখবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া) করবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি পরিচালনায় বিচারপতি মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, বোর্ড শুরুতেই ইভ্যালির অবস্থা সম্পর্কে অডিট করবে। তাদের কাছে দায়-দেনার পরিমাণ হিসাব, কত অর্থ তাদের কাছে ভোক্তাদের পাওনা, তাদের কত সম্পদ আছে এই পুরো বিষয়টা অর্থাৎ কোম্পানিটি কী অবস্থায় আছে সেটার একটা খতিয়ান করতে হবে। এজন্য শুরুতেই অডিট করবেন তারা।
তিনি বলেন, কোম্পানিটির যে দেনা রয়েছে, তা কীভাবে পরিশোধ করা যাবে, কোম্পানিটি আদৌ আর পরিচালনা করা সম্ভব, নাকি বন্ধ ঘোষণা করা উচিত, এসব বিষয়ে অডিটের পর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। যদি কোম্পানিটি পরিচালনা করা সম্ভব হয়, তাহলে বোর্ড সেটি পরিচালনা করবে। পরিচালনা করা সম্ভব না হলে কোম্পানিটি অবসায়ন করে দেয়া হবে। এক মাস পর আগামী ২৩ নভেম্বর সার্বিক বিষয়ে এ বোর্ড আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির জন্য বোর্ড: হাইকোর্টে সাবেক তিন সচিবের নাম দাখিল
ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না- এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দু’জনই কারাগারে। এরই মধ্যে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পরিষদ গঠনেরও আবেদন জানান। এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ জন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র ১১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার এ নথি গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বোর্ড গঠনের আদেশ দেয়া হয়।
দেশীয় ই-কমার্সের ‘১০-১০’ উৎসব শুরু হচ্ছে আজ
দেশীয় ২০টি ই-কমার্স, লজিস্টিক ও পেমেন্ট প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ২০ দিনব্যাপী দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং উৎসব ‘১০-১০’ শুরু হতে যাচ্ছে আজ।
শনিবার ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম শোভনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এই বছর গ্রাহকদের সচেতনতার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এবারের উৎসবের স্লোগান হলো ‘জেনে, শুনে, বুঝে-শপিং করুন অনলাইনে’।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
আয়োজকরা জানান, এই উৎসবে সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকেই অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে যারা সুনামের সাথে বেশ কয়েক বছর সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে এবং যাদের ব্যাপারে কোনো ধরনের বিতর্ক নেই। চালডাল, রকমারি, আজকের ডিল, ডায়াবেটিস স্টোর, পিকাবু, বাংলা শপার, দ্যা মল বিডি, সেবা এক্সওয়াইজেড, পাঠাও ফুডস, প্রথমা, গেজেট অ্যান্ড গিয়ার, একশপ, যাচাই, আইফেরী, প্রোটিন মার্কেট, বেবি কেয়ার, আদি, স্টারটেকসহ ২০ ই-কমার্স সাইট ও লজিস্টিক কোম্পানিগুলো উৎসবে অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
২০ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রতিটি কোম্পানি নানা ধরনের গিফট, ডিসকাউন্ট, অফার ছাড়াও সারাদেশে ফ্রি ডেলিভারি দিচ্ছে।
এই আয়োজনের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে www.TenTen.com.bd এই ওয়েবসাইটে।
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলা
প্রতারণার আভিযোগে এবার চট্টগ্রামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাত জনের নামে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে নুরুল আবছার পারভেজ নামে এক গ্রাহক মামলাটি করেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেল।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবি গোলাম মাওলা মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ই-অরেঞ্জ সারাদেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কয়েকদিন আগে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এবং প্রতারিতদের অর্থ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাবো।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ মে এর পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন গ্রাহক নুরুল আবছার পারভেজ। নির্দিষ্ট সময়ের পরও এমনকি এখন পর্যন্ত গ্রাহককে কোনও পণ্য সরবরাহ করেনি। অর্ডার নেয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়, কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান নামের তিনজন ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ ৩ জন কারাগারে
একই অভিযাগে এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত ও কুমিল্লার আদালতেও সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, কর্মকর্তা আমান উল্লাহ ও সাবেক কর্মকর্তা নাজমুল আলম রাসেল অন্য এক প্রতারণা মামলায় ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে আটক আছেন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে