বন্দর
ধ্বংস করা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পচনশীল ৭৩ কনটেইনার পণ্য
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন যাবত পড়ে থাকা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা নানা পচনশীল পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকাল থেকে নগরীর আউটার রিং রোড-সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে।
এবার ৭৩ কনটেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের পরিকল্পনা রয়েছে কাস্টমসের।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মুহাম্মদ মাহফুজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বন্দরে থাকা ৭৩টি কনটেইনারে থাকা পচনশীল পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পরিবেশসম্মত উপায়ে পণ্য ধ্বংস করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি কনটেইনার ধ্বংস করার পরিকল্পনা আছে।
তিনি জানান, এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও একদফা পচনশীল পণ্য ধ্বংস করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ৭৩টি কনটেইনারের মধ্যে বন্দরের ভেতর ১২টি রেফার্ড ও ড্রাই কনটেইনার ও অফডকে ৬১টি ড্রাই কনটেইনার রয়েছে।
এসব কনটেইনারে আদা, সুপারি, খেঁজুর, বীজ ও মাছ জাতীয় পণ্য রয়েছে।
আমদানিকারকরা এসব পণ্য খালাস না করায় কন্টেইনার ভর্তি এসব নষ্ট পণ্য এতোদিন বন্দরে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু
লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে।
ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকদের’ ব্যানারে এক সমাবেশে লাইটার জাহাজের শ্রমিকরা কাজ বন্ধের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পৌঁছেছে ইউক্রেনের সাড়ে ৫২ হাজার টন গম
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের ওঠা–নামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার (ওসি) অপসারণ, সাঙ্গু নদের মুখ খনন করে লাইটার জাহাজের নিরাপদ পোতাশ্রয় করা।
লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ৩ নভেম্বর চরপাড়া ঘাটের কয়েকজন ইজারাদারের লোকজন ৮-৯ শ্রমিককে মারধর করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা সব লাইটার জাহাজ পারকির চরে নিয়ে যায় এবং চীনা ঘাট ব্যবহার করে জাহাজ ওঠা-নামা শুরু করে কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই ঘাটটিও উচ্ছেদ করে।
জসিম উদ্দিন বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাম্পিং এ ফেলে দেয়া মিট অ্যান্ড বোন মিল পণ্য পাচার কালে ১০ ট্রাক জব্দ
চট্টগ্রামে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ইতোমধ্যে রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে এবং হবে। রবিবার রাজধানীতে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কিভাবে রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হবে’ বিষয়ক রাউন্ড টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা এই রাউন্ড টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের ‘মাল্টিপারপাস টার্মিনাল’ চট্টগ্রাম বন্দর নিজেরা পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে সরকার দেশের স্বার্থ বিবেচনায় রেখেছে। বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে সরকার অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশের করাপটেড অর্থনীতি ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটাসে যাবে চিন্তা করা যায়না।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন বিষয়ে সরকার নজরদারি রাখছে। ডে বাই ডে সেগুলোর উন্নয়ন হচ্ছে। যন্ত্রপাতি ও ইয়ার্ড এর পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের দায়িত্ব বিজনেসম্যানদের জন্য পথ তৈরি করা। বিজনেসম্যানরা সে পথ ধরে এগিয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে ঝুঁকি নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন। দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারিরা মেরিটাইম সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন: নৌপথ আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন চট্টগ্রাম বন্দর প্রাতিষ্ঠানিক বন্দর হিসেবে ১৩৪ বছর অতিক্রম করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর মাস্টারপ্লান নিয়ে তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। অনেক সমস্যার কথা বলা হচ্ছে। সেগুলো একদিনের সমস্যা না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি- সেটি বড় বিষয়। কাস্টমসের জবাবদিহিতা নাই; একথাটি ঠিক নয়। ডে বাই ডে আপগ্রেড করছি। সবকিছু অটোমেশন ও ডিজিটাল করা হচ্ছে। ডিজিটাল শব্দটি আওয়ামী লীগ সরকারই নিয়ে এসেছে। পৃথিবীর সবাইকে নিয়ে আমরা যুক্ত আছি। বিদেশি বিনিয়োগকে ভয় পেলে হবেনা। বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে এলে দেশের স্বার্থকে আগে দেখা হবে। কোন ক্ষতি হবেনা।
তিনি বলেন, আমরা ইস্ট-ওয়েস্টের মাঝখানে আছি। কক্সবাজার এয়ারপোর্ট রিজিওনাল হাব-এ পরিণত হবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর এমনিই রিজিওনাল হাব হয়ে যাবে। অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ তিনটি বন্দর আছে। লজিস্টিক্স বিষয়ে কিছু দুর্বলতা আছে। সেগুলো দূর করছি। সেজন্য অনেক ডেভেলাপমেন্টের প্রয়োজন। এজন্য বিদেশিদের সাথে কথা বলছি। কারিগরি ও দক্ষ লোকের অভাব দূর করতে কাজ করা হচ্ছে। কাস্টম্সকে দক্ষ করা হচ্ছে। একটি বিরাট শক্তি চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্যানার বসাতে দেয় না। বসালেও কিছুদিন পর নষ্ট হয়ে যায়। এ মানসিকতা চ্যাঞ্জ করতে হবে।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কবিরুল আলম সুজন মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সম্পাদক ইনাম আহমেদের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের পরিচালক ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম মজুমদার, সিকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ খান মাহমুদ তিতুমীর, এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, সিসিসিআই’র পরিচালক অঞ্জন শেখর দাস এবং সিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌচলাচল নিশ্চিতে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
ট্রানজিট: চূড়ান্ত পর্যায়ে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর হয়ে ভারতীয় পণ্যের নিয়মিত চলাচল
ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তিটি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তিটি সই হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ট্রায়াল রান সমাপ্ত হওয়ার পর এই চুক্তির অধীনে পণ্য পরিচালনা ও নিয়মিত চলাচলের জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থায়ী আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয় তা বাস্তবায়নে এটি এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।
আরও পড়ুন: বিকিরণ প্রযুক্তির বিনিময় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ভারত
মেট্রোরেলের আরেকটি চালান পৌঁছাল মোংলা বন্দরে
দেশের প্রথম মেট্রো রেল সার্ভিসের জন্য আটটি কোচ ও চারটি লোকোমোটিভের আরেকটি চালান জাপান থেকে মোংলা বন্দরে এসেছে। শনিবার বিকালে চালানটি বন্দরে পৌঁছেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসা বলেন, ‘এমভি ভেনাস ট্রায়াম্ফ’ জাহাজটি, আটটি কোচ, চারটি লোকোমোটিভ এবং ৪৪০ মেট্রিক টন ওজনের অন্যান্য যন্ত্রপাতি নিয়ে শনিবার বিকালে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চালান মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে
তিনি বলেন, এটি জাপান থেকে মেট্রোরেলের ১২তম চালান।
ভেনাস ট্রায়াম্ফের প্রাচীন স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, রবিবার সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের পণ্য খালাসের কাজ শুরু করেছে। পণ্য খালাসের পর উত্তরা দিয়াবাড়ি ডিপোতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
‘এমভি ভেনাস ট্রায়াম্ফ’ জাহাজটি ৮ সেপ্টেম্বর মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।
এর আগে ২২ আগস্ট জাপান থেকে ‘হোসেই ক্রাউন’ নামের আরেকটি জাহাজ আটটি কোচ, চারটি লোকোমোটিভ এবং ৩৪টি প্যাকেজ মেশিনারি নিয়ে বন্দরে আসে।
এ পর্যন্ত ১১৬টি কোচ ও লোকোমোটিভ আমদানি করা হয়েছে এবং বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে।
ছয় লাখ ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম মেট্রো রেল ব্যবস্থা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মোংলা বন্দর জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়েছে
মোংলা বন্দর এলাকায় সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ দু’টি এলপিজি প্লান্টের কার্যক্রম ঝুঁকিতে ফেলবে
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে নিলামযোগ্য কনটেইনার খুলে পাওয়া গেছে মনোকুলার (এক চোখে দেখার যন্ত্রাংশ) সহ তিনটি এয়ারগান। এ গুলো আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের গুপ্তখালের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে (অকশন ইয়ার্ড) ইনভেন্ট্রির সময় এয়ারগান গুলো পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া নির্গমনে আতঙ্ক
জানা যায়, দেশের নতুন অধ্যাদেশে এয়ারকুলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনারের ইনভেন্ট্রির সময় তিনটি এয়ারগান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো পাখি শিকারের কাজে ব্যবহৃত এয়ারগান। তবে চালানটি কার নামে এসেছে, কে পাঠিয়েছেন, কবে এসেছে এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে ২ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু!
চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন খালাস না নেয়ার কারণে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুর থেকেস চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে।
প্রথম দিন ধ্বংস করা হয়েছে ৩০টি কন্টেইনার পণ্য। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
তিনি বলেন, রবিবার থেকে পণ্য ধ্বংস করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩৮২টি কনটেইনার আছে, যেগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও পচনশীল পণ্য রয়েছে। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়েছিলো। আমদানিকারকরা বিভিন্ন কারণে বন্দর থেকে এগুলো খালাস করেননি। আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করার। কাস্টমসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পণ্য আনন্দ বাজার ডাম্পিং ডিপোতে ধ্বংস করা হবে। তবে কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য সিলেটে ধ্বংস হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
তিনি বলেন, এর আগেও কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর আগে গত ৮ তারিখেও ৬৩টি কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংসযোগ্য কন্টেইনারের মধ্যে রয়েছে ১৩৬টি রেফার্ড কন্টেইনার, ৩২টি ড্রাই কন্টেইনার। বাকি ২১৪টি বিভিন্ন অফডকে থাকা ড্রাই কন্টেইনার।
মেয়াদোত্তীর্ণ এসব পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। এ কারণে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাটিচাপা দেয়া হবে। এ কারণে কোনো দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে আনা এসব কন্টেইনারভর্তি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস নেয়নি আমদানিকারকরা। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিস দেয়া হয়। নোটিস দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে সেসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। যেসব পণ্যের মেয়াদ থাকে না এবং পচে যায় সেগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক অফিসার ফারুক হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের মোট কনটেইনার ধারণক্ষমতার প্রায় ১৫ শতাংশ ধ্বংসযোগ্য ও নিলামযোগ্য। এগুলো যখন বন্দরে ছিল, তখন এগুলোর পিছনে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যয়ও হয়েছে। এখন এ পণ্যগুলো ধ্বংস করায় নতুন জায়গা খালি হবে। নতুন যে কনটেইনারগুলো সে জায়গা দখল করবে আমরা সেখান থেকে চার্জ পাব। এতে করে আমাদের বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। অর্থাৎ সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
মোংলা বন্দর এলাকায় সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ দু’টি এলপিজি প্লান্টের কার্যক্রম ঝুঁকিতে ফেলবে
মোংলা বন্দর শিল্প এলাকায় দুটি এলপিজি প্ল্যান্টের মাঝখানে একটি ফেরি ঘাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ স্পর্শকাতর স্থাপনা দুটি জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) বৃহত্তম দু’টি বেসরকারি অপারেটর - ওমেরা এলপিজি এবং যমুনা এলপিজি মোংলা বন্দর এলাকায় তাদের প্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে রাস্তা এবং লাউডোবা ফেরিঘাট নির্মাণের বিরোধিতা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিদেশি এলপিজি পরিবহনের জন্য তাদের প্ল্যান্টে চলাচল যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য বিকল্প স্থানে সড়ক ও ফেরি ঘাট নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
এলপিজি অপারেটররা দাবি করছে যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) ভূমি নীতি লঙ্ঘন করে সড়কটি নির্মাণ করছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, এ ধরনের নির্মাণের ফলে মোংলা বন্দরের নৌ চলাচল এবং সড়কের দুই পাশে স্থাপিত দু‘টি প্ল্যান্টে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষও পশুর চ্যানেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বন্দরের শিল্পাঞ্চল হয়ে এ সড়ক নির্মাণ করা দেখে খুশি নন।
যমুনা ও ওমেরা এলপিজি প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এই সড়ক নির্মাণের বিরোধিতা করে মোংলা বন্দরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে।
দাকোপ উপজেলা থেকে খুলনা পর্যন্ত স্থানীয় জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এক কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মৌখিক অনুমতির নিয়ে আবারও নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এদিকে, এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলওএবি) সভাপতি ও ওমেরা পেট্রোলিয়ামের মালিক আজম জে চৌধুরী বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসার সঙ্গে দেখা করে বন্দর শিল্প এলাকায় ওমেরা ও যমুনা এলপিজি প্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে প্রস্তাবিত সড়ক ও ফেরি ঘাট নির্মাণের অনুমতি না দেয়ার জন্য চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, বাগেরহাটে বন্দর শিল্প এলাকা দিয়ে কোন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেননি তারা।
তারা বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক ও ফেরিঘাট নির্মাণ করা হলে বন্দরের পশুর নদী চ্যানেলের নৌ চলাচল ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে এবং সেখানকার নাব্যতা কমে যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা আমদানিকৃত, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিলাম অযোগ্য ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হবে।
এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
ইতোমধ্যে ৬৩ কনটেইনার নষ্ট খাদ্যপণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্ধেকের মত কনটেইনারে থাকা পণ্য মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাকিটা শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৭ হাজার নিলাম অযোগ্য পণ্য রয়েছে। এরমধ্যে ২৭৩ কনটেইনারে বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে। তবে প্রথম ধাপে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ৬৩ কনটেইনার পণ্য মাটিচাপা দেয়া হবে। পাশাপাশি রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে ৩৮৫ কনটেইনার পণ্য মাটি চাপা দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ৩৮৫ কনটেইনার পণ্য খালি করতে সময় লাগতে পারে ১৫-২০ দিন। কাজটি শেষ হলে বন্দরে কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ কনটেইনার রাখার জায়গা খালি হবে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে পণ্য ধ্বংস কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন বলেন, পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। তাই প্রতিবার পণ্য ধ্বংসের আগে জায়গা নির্বাচন করতে হয়। এজন্য পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে। প্রায় পাঁচ একর জায়গায় ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রেন, স্কেভেটর, ট্রেলার, ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নষ্ট হওয়া পণ্যগুলো মাটিচাপা দেয়া হবে। যার ফলে কোনপ্রকার দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগও থাকবে না। আমরা যথাসময়ে কাজ শেষ করব।
উল্লেখ্য, জাহাজ থেকে নামার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে হয় আমদানিকারককে। এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস না হলে কাস্টমস থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যে ওইসব পণ্য খালাস না করলে নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস।
এর আগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৯৪ কনটেইনারের চার হাজার ৮০৭ টন ব্যবহার অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
ভারতের নির্দিস্ট স্থল, বিমান ও নৌবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে পণ্য রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
এজন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতীয় বন্দরের অবকাঠামো পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে নয়াদিল্লির হায়দারাবাদে নরেন্দ্র মুদির সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকালে ভারতীয় পক্ষ এই প্রস্তাব দেন।
বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা দিবে ভারত।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নতুন করে উদ্বোধন করা হলদিবাড়ি রুট দিয়ে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভারতীয় পক্ষ কার্যক্ষমতা ও সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে অনুরোধটি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেপা চুক্তির জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর নির্দেশ হাসিনা-মোদির
এটি করতে আন্তসীমান্ত রেল সংযোগ কার্যকর করতে ভারতীয় পক্ষ বাংলাদেশকে চিলাহাটি হলটিবাড়ি বন্দর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ করে।
দুই নেতা বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল চুক্তির দ্রুত কার্যকরের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় এবং উপ-আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন।
ভারত পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত একটি মহাসড়কসহ নতুন উপ-আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প শুরু করতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। এবং এই বিষয়ে একটি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।
একইভাবে, বাংলাদেশ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে প্রকল্পের চলমান উদ্যোগে অংশীদার হওয়ার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক এবং উপ-আঞ্চলিক রেল, সড়ক এবং অন্যান্য সংযোগ উদ্যোগ বাস্তবায়নের গুরুত্বারোপ করেন।
চলমান দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ টঙ্গী-আখাউড়া লাইনের ডুয়েল-গেজে রূপান্তর, রেলওয়ে রোলিং স্টক সরবরাহ, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নত পরিষেবার জন্য আইটি সমাধান ভাগাভাগি করাকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
এছাড়া সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ সহ কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলঘাট-নতুন গীতালদহ সংযোগ, হিলি ও বিরামপুরের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন, বেনাপোল-যশোর লাইন বরাবর ট্র্যাক এবং সিগন্যালিং সিস্টেম এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলির উন্নীতকরণ, বুড়িমারী ও চ্যাংরাবান্ধার মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপনের মতো নতুন উদ্যোগকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।
এবং উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার অধীনে বিভিন্ন আর্থিক উপকরণের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন অন্বেষণ করতে সম্মত হয়েছে।
২০টি ব্রড-গেজ ডিজেল লোকোমোটিভ অনুমোদনে ভারতের ইঙ্গিতকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
দুই নেতা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর (এসিএমপি) ব্যবহারের চুক্তির অধীনে ট্রায়াল রানের সফল সমাপ্তিকে স্বাগত জানান এবং শিগগির এটি সম্পূর্ণরূপে চালুর অপেক্ষায়।
ভারতীয় পক্ষ তৃতীয় দেশের এক্সিম কার্গো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২০১৫ সালের দ্বিপক্ষীয় উপকূলীয় শিপিং চুক্তি সম্প্রসারণ কাজের জন্য তার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে সরাসরি শিপিং কার্যক্রম চালু করতে সম্মত হয়েছে।
তারা অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য (পিআইডব্লিউটিটি) রুটে ৫ ও ৬ (ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী-আরিচা পর্যন্ত সম্প্রসারণ) এবং ৯ ও ১০ (দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া) রুটে প্রটোকলের অধীনে নদী পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে।
ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্তকারী ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতুর কার্যক্রম চালু করতে অবশিষ্ট অবকাঠামো, অভিবাসন এবং শুল্ক সুবিধা দ্রুত সম্পন্ন করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে সরকারি সফর করছেন।
সফরকালে, তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: জনসমর্থনহীন সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ: ফখরুল