পিটিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নুর নবী বকুল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বকুল একই এলাকার আলী রাজা পাটওয়ারী বাড়ির মৃত অজি উল্যা মাস্টারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, স্থানীয় আব্দুর রউফ গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার নুর নবী বকুলদের। সকালে বিরোধের জমি থেকে সুপারি পাড়তে যায় প্রতিপক্ষ আব্দুর রউফ মাস্টার, আসরাফ ইসলাম বাবুল, জাফর আহমেদ পলাশ গংরা।
আরও পড়ুন: যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
তারা আরও জানান, বকুল এতে বাধা দেওয়ায় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বকুলকে ঘুষি দেয় ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে তার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা
যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর চাটখিলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সাখাওয়াত উল্ল্যাহ (৫৫) নামে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সাখাওয়াত উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাইক বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আটককৃতরা হলো- উপজেলার হালিমা দিঘীর পাড় এলাকার ল্যাংটা বাড়ির মৃত মো. নবীর ছেলে মো. রাজু (২২) ও একই এলাকার সুইপার আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৪)।
স্থানীয়রা জানায়, সাখাওয়াত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে নিজের সিএনজি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। যাত্রাপথে তিনি চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেট এলাকায় পৌঁছলে দেখেন কয়েকটা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। এ কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক সিএনজি থামিয়ে তিনি এলোমেলোভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে অটোরিকশাচালক রাজুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাজু ও তার বন্ধু সিএনজিচালক জাহাঙ্গীর, মুন্না একসঙ্গে সিএনজিচালক সাখাওয়াতকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষিসহ বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর বলেন, আটক আসামিরা রাস্তার মধ্যে এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নিহত সাখাওয়াত সিএনজি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে গাড়ি পার করতে না পেরে, সিএনজি থেকে নেমে এভাবে গাড়ি রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেন।
তিনি আরও বলেন, এ কথা জিজ্ঞেস করায় আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২ আসামিকে আটক করা হয়েছে। ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মসজিদপাড়া থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার পুলিশ।
নিহত যুবক আকরাম শাহ্ (২১) মসজিদপাড়া গ্রামের লালন শাহর ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার (৭ আগস্ট) উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার মৃত হেদায়েত আলীর বাড়িতে চুরি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ১০ জন যুবক দুপুরের দিকে আকরামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গরু চুরির সালিশে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ
এরপর হেদায়েত আলীর আম বাগানের একটি গাছে বেঁধে আকরামকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে বিকাল ৪টার দিকে আকরামকে তার এক আত্মীয়র হাতে তুলে দেয়।
বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ১১টার দিকে আকরামের মৃত্যু হয়। এরপর পুলিশকে খবর দিলে রাত ১টার দিকে পুলিশ নিহত আকরামের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলতক রয়েছে। এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডির মেট্রো শপিংমল থেকে ২ কোটি টাকার হীরার গয়না চুরি
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
বাগেরহাটে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে আনারুল শেখ (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৭ জুন) বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আনারুল শেখ বাগেরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল গণি শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদরের বৈটপুর এলাকার মাছের ঘের থেকে ফেরার পথে পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কের বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে হামলার শিকার হন আনারুল।
হামালাকারিরা লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আনারুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন বিকালে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মাছের ঘের নিয়ে বাচ্চু শেখের সঙ্গে কালাম বয়াতির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে আনারুল শেখকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, পরিবারের কাছে আনারুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছে তার কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
তবে রবিবার সন্ধ্যায় এরিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত থানায় এজাহার পাওয়া যায়নি বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো ‘জল্লাদ’ শাহজাহান
সাংবাদিক রব্বানীর খুনিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: এমএসএফ
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হুইলচেয়ারে বসা ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ!
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হুইলচেয়ারে বসে থাকা ভাইকে কোদাল দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আরেক ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) ভোরে উপজেলার টামটায়েএ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাছিমসহ আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আমির হোসেন ৯ (৬৫) টামটা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওসমান গনি ওরফে নাছিম (৫৫) ওই গ্রামের শহিদুল্লাহ মাস্টারের ছেলে এবং পেশায় একজন একজন পল্লী চিকিৎসক। সর্ম্পকে তারা আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
গ্রেপ্তারেরা হলেন- ওই গ্রামের শামীম ওসমান (৪৮), মো. শাহাদাত (৩৫), বিএম ওসমান গনির ছেলে মো. সিয়াম (২৭) এবং মো. সিহাব (২৯)।
অন্যদিকে, এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকালে আমির হোসেন বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার উপর হুইলচেয়ারে বসে আছেন। এ সময় নাছিম পেছন থেকে এসে তার মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করেন। এতে আমির হোসেন হুইলচেয়ার থেকে মাটিতে পড়ে যান। এরপর আরও একাধিকবার কোদাল দিয়ে পেটাতে থাকেন নাছিম। পরে সেখান থেকে নিজের বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আমির হোসেনকে উদ্ধারের কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমিরের সঙ্গে নাছিরের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে কিশোরীসহ ৩ জনের ‘আত্মহত্যা’
ফতুল্লায় ফল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সিলেটে নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৪
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় এক নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ জুন) সকালে হাসপাতাল এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া আরও এক নির্মাণ শ্রমিককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত শ্রমিক নয়ন মিয়া (২০)। তার বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলায়।
আটক চারজন হলো, দিনাজপুরের রুবেল, কুড়িগ্রামের আমিনুল ইসলাম, আয়নাল ও সাবান আলী। তারা সকলেই ওসমানী হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল এন্ড কোং-এ কর্মরত এবং মালিকপক্ষের আত্মীয় বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সাজেকে ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু, মুমূর্ষু আরও অর্ধশতাধিক
জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা শ্রমিকদের থাকার রুমে হাত পা বেঁধে প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী পেটায় দুই নির্মাণ শ্রমিককে। এক পর্যায়ে নয়ন নামের নির্মাণ শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে পড়লে কর্মকর্তারা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে অন্যান্য সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক ফজলুল হক জানান, অর্থসংকটের কথা বলে গতকাল বৃহস্পতিবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে শ্রমিকের কাজ নিয়েছিলেন বিশ্বনাথের যুবক নয়ন।
শুক্রবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নির্মাণ শ্রমিক নয়ন ও আইয়ুব আলীকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল চুরির অভিযোগে একটি রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের হাত পা বেঁধে লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে নির্মম নির্যাতন চালান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ঠিকাদার ও ম্যানেজারের লোকজন।
নির্যাতনকালে নয়ন চিৎকার করে পানি খাওয়ার অনুরোধ জানালে তাকে প্রস্রাব খাওয়ানো হবে বলা হয়। দীর্ঘ প্রায় ২ ঘন্টা চলে নির্যাতন।
একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নয়নকে ফেলে রেখে ঠিকাদার ও ম্যানেজারের লোকজন চলে যায়। পরে কাল সোয়া ৯টার দিকে নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যান্য শ্রমিকের দেওয়া তথ্যমতে পরবর্তীতে আইয়ুব আলী নামে আরও এক শ্রমিককে পুলিশ হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, শ্রমিক হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চুরির কোন নিদর্শন পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে, অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল এন্ড কোং এর বিরুদ্ধে রয়েছে শ্রমিক নির্যাতনসহ আরও নানা অভিযোগ। একাধিক নির্মাণ শ্রমিক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নির্যাতন ও নিয়মিত মজুরি না দেওয়ার অভিযোগ করেন।
এছাড়া গেল ৩ জুন ওই প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে লোহার পাইপ পড়ে মারা যান দেলোয়ার হোসেন নামের এক সেনাসদস্য। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩৪
কেরাণীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল ৯টার দিকে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় লিচু মিয়া মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আহসান উল্লাহ (৫০) মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান চর খাসকান্দীর হাসান আলীর চেলে। তিনি গরুর ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: ভাঙ্গায় ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
মূল অভিযুক্তের নাম কসাই ভুট্টো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টায় ভুট্টো কসাইয়ের মাংসের দোকানে গরু ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ গরু বিক্রির পাওয়া টাকা চাইতে গেলে কসাই ভুট্টো ও তার কর্মাচারীরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাসান উল্লাহকে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, এলাকাবাসীরা আহতকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল নিলে দুপুরে আহসন উল্লাহ মারা যান। ঘটনার পরপর কসাই ভুট্টো ও তার কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার
তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে রাতের আধারে রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার মধ্য রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত যুবকের নাম মো. সাকিব মিয়া (২৫)। তিনি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া টেকেরগাঁও গ্রামের খাটো মজিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মোশারফ হোসনের সঙ্গে একই গ্রামের খাটো মজিবুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দন্ধ চলে আসছিল। ইতোপূর্বে দুই পক্ষের মধ্যে আরও কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে নিহত সাকিব বাড়ি থেকে চক বাজারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আসে। রাত ১টার দিকে সাকিবের পিতা খাটো মজিবুর রহমানের কাছে ফোন আসে সাকিবকে মোশারফের বাড়িতে মারপিট করছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
এ সংবাদ পেয়ে খাটো মজিবুর রহমান গ্রামের তৃতীয় পক্ষের দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে মোশারফ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে ফেরত চান।
মোশারফের লোকজন সাকিবকে তার পিতার কাছে না দিয়ে উল্টো খাটো মজিবুরকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে গেইট বন্ধ করে দেন।
পরে সংবাদ পেয়ে রাত দুইটার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মোশারফ ও মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাকিবকে উদ্ধার করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মোশারফের লোকজন তাকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করে। পরে এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার অবস্থা মমূর্ষ দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠান।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পর মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিব মৃত্যু হয়।
নিহতের মা তেরাবজুন বেগম বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে চক বাজারে যাওয়ার কথা বলে সাকিব বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলেকে মোশারফের লোকজন রাস্তা থেকে ধরে বাড়িতে নিয়ে মারপিট করে হাত পা ভেঙ্গে মেরে ফেলেছে।
মোশারফ গংরা গত বছর আমার ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল এবং আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের খুনিদের বিচার চাই।
নিহতের বাবা খাটো মজিবুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে নিয়ে পিটিয়ে দুই হাত-পা ভেঙে ফেলে। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে মোশারফের বাড়িতে গিয়ে তাদের হা পা ধরে আকুতি মিনতি করেছি ছেলেকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু তারা আমার ছেলেকে ফেরত না দিয়ে উল্টো আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাটায়। সকালে শুনি আমার ছেলে মারা গেছে।
মোশারফ হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গত কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাই মোশাহিদের সরীলে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সাকিব।
পরে বিষয়টি তার বাবাকে জানালে তিনি বলেন, আমার ছেলে মানসিক রোগী। গতরাত ১ টার দিকে আমার বাড়ির গেইটের বাহিরে এসে ঘরের বেড়া এবং গেইটে লাথি মারতে থাকে এবং পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিবে বলে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে।
পরে আমরা গেইটের ভিতর থেকে চিৎকার দিলে আশ পাশের মানুষ ডাকাত ডাকাত বলে তাকে মারপিট করে।
এক পর্যায়ে তার বাবা এসে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে হাসপাতালে যান।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, সাকিব নামে একজনকে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দরদামকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহত
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
মাদারীপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মাদারীপুর সদর উপজেলার এওজ গ্রামে যৌতুক দিতে না পাড়ায় শশুর বাড়ির লোকেরা এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকালে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহদত লিয়া (২০) সদর উপজেলার এওজ গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার এওজ গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের সঙ্গে দুই বছর আগে লিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শশুর বাড়ির লোকেরা চাপ দিয়ে আসছিলো। এছাড়া যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী মাসুদ ও অন্যান্যরা লিয়াকে নির্যাতন করে। এক পর্যায় লিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এসময় তারা লিয়ার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ঘরের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
বাড়ির অন্যান্য লোকেরা জানালার ফাঁক দিয়ে লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশ খবর দেয়। বিকালে পুলিশ ঘটনাস্হল থেকে লিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
লিয়ার পিতা সোবাহান কবিরাজ বলেন, যৌতুক দিতে না পাড়ায় আমার মেয়েকে বেদম প্রহার করে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
এছাড়া লিয়ার সাত মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
রাজশাহীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
রাজশাহীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
রাজশাহী নগরীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর সপুরা বিসিক এলাকার মডার্ন ফুড কারখানা সংলগ্ন একটি বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁর মান্দা উপজেলার সগুনা গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে রেজাউল করিম (৪৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতান্নপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৩৫)। তারা দু’জন রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার তেরোখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, মডার্ন ফুড কারখানা সংলগ্ন বাড়িটিতে তাদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ নির্যাতনের শিকার দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, নগরীর সপুরা এলাকার বিশাল বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে আবদুল মালেক হাজির ছেলে মডার্ন ফুড কারখানার মালিক মোহাম্মদ আব্দুল্লার (৩৮) বাড়িতে গত কয়েকদিন ধরে রাকিবুল ও রেজাউল রাজমিস্ত্রির কাজ করছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগে তাদের দুইজনকে বেঁধে নির্যাতন শুরু করে। রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের নির্যাতন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যা
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে রেজাউলকে জরুরি বিভাগে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাকিবুল ইসলাম।
ওসি মাজহারুল বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন, বাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ (৩৮), তার শ্বশুর মাসুম রেজা (৫০), চাচাতো শ্যালক মঈন উদ্দিন রিয়াল (১৯) ও মডার্ন ফুডের ম্যানেজার ইমরান হোসেন (২১)। এদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
মাজহারুল আরও বলেন, স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য দুই শ্রমিককে খুঁটিতে বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করা হয়। এই নির্যাতনের তারা ভিডিও ধারণ করে। এই ধরণের দুটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গৌরীপুরে জমির বিরোধে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ৪ দিনেও হয়নি মামলা