পিটিয়ে হত্যা
জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুষ্টিয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকালে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবরগাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমা আক্তার (৩৫) উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোবরগাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ জানান, শনিবার বিকালে পৈতৃক জায়গা-জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে তার ছোট ভাই শাহীন ও তুহিনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহীন ও তুহিন বাঁশ দিয়ে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী নাজমা আক্তারকে আঘাত করতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাওয়ায় লালমনিরহাটে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
ওসি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর দুই দেবর পলাতক রয়েছেন।
বাগেরহাটে মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
বাগেরহাট সদরে এক মুদি দোকানিকে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাগেরহাট সদরের খানজাহান (রহ.) মাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মুদি দোকানি মল্লিক দেলোয়ার হোসেন (৫৫) উপজেলার রনবিজয়পুর গ্রামের ইশান উদ্দিনের ছেলে। মাজার এলাকায় তার মুদি দোকান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০০ টাকার জন্য ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আটক ১
গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির (২৫) বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মোহাম্মদ রেফাতুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত পোনে ১২টার দিকে হুমায়ুন ওই মুদি দোকানে চাল, আটা, মরিচসহ বিভিন্ন পণ্য বাকিতে ক্রয় করতে যান। দোকানি বাকিতে পণ্য বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হুমায়ুন ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে থাকা লোহার রড় দিয়ে মল্লিক দোকানি দেলোয়ারের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: পাবনায় নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ১
তালাক দেয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিলমিল নুর নবীর কলোনিতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মারধরের ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু তাহের (৪৮) নগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিলমিল নুর নবীর গলিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ বাড়ির ছাদে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
অভিযুক্ত আব্দুল জলিলের (৪০) বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর কিল্লার হাটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আসামি আব্দুল জলিল নোয়াখালীতে থেকে মুড়ি-চানাচুর বিক্রি করতেন। এক মাস আগে তিনি তার স্ত্রী রওশন আরাকে তালাক দেন। কিছুদিন ধরে জলিল আবার রওশনের সঙ্গে সংসার করতে চাপ দিলেও এতে রওশন রাজি হচ্ছিল না। এ কারণে জলিল সন্দেহ করতে তার রওশন বাসার আবু তাহেরের পরকীয়া করছে।
সম্প্রতি জলিল চট্টগ্রাম এসে পতেঙ্গায় রওশনের এক মামীর বাসায় ওঠেন এবং ১৪ ডিসেম্বর রওশনের বাসায় যান। সেখানে রওশনকে না পেয়ে তার সন্দেহ হয় আবু তাহের রওশনকে অন্যত্র নিয়ে রেখেছে। এমন সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার রাতে জলিল রওশনের মামাতো ভাই ও মামাতো বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাহেরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির বলেন, ‘তালাক দেয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সর্ম্পক রয়েছে এমন সন্দেহ থেকে আব্দুল জলিল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে আবু তাহেরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা তাকে আটক করেছি। অন্য দুজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।’
পাওনা টাকা চাওয়ায় লালমনিরহাটে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় রহিমা বেগম (৫৫) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের দুরারকুটি কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রহিমা বেগম ওই গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দুরারকুটি কলোনি এলাকার আব্দুল গণির ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) বাড়ির পাশে একটি গালামালের দোকান করতেন। সেই দোকানে মালামাল কেনার সময় প্রতিবেশী নারী রহিমা বেগমের কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ করতে দেরি করেন সাইফুল। টাকার জন্য চাপ দিলে উল্টো রহিমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন সাইফুল। পুলিশ সেই মামলার তদন্তে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে সাইফুলের দোকানে গিয়ে মামলার করার কারণ ও পাওনা টাকা চাইলে রহিমার ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। একপর্যায়ে দোকানে থাকা লাঠি দিয়ে রহিমাকে বেধম মারধর করেন সাইফুল। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রহিমাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে (২২) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় বুধবার তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-জেলার পাঁচবিবি মহিপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান,পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম,ছাত্রলীগ কর্মী আনিসুর রহমান ও মুজাহিদুল ইসলাম।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)পলাশ চন্দ্র দেব জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আনিছুর রহমান শিপনের নেতৃত্বে আট থেকে দশজনের একটি দল পাঁচবিবি পৌর শহরের পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপি'র দলীয় কার্যালয়ের সামনে পার্কিং করে রাখা পাঁচবিবি থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ডালিমের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করলে মোটর সাইকেলটি পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেটে কাফনের কাপড় পড়ে ছাত্রদলের মিছিল
এই ঘটনায় পাঁচবিবি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জিয়াউল ফেরদৌস রাইটসহ পাঁচ থেকে সাতজন বিএনপি নেতাকর্মী ওই রাতেই পাঁচবিবি থানায় গেলে থানার পার্শ্ববর্তী পৌর পার্কের গেইটে পাঁচবিবি পৌর ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনসহ চার থেকে পাঁচজন বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। সে সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পৌর পার্কের গেইটে অবস্থানরত বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে এবং পাঁচবিবি পৌর ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনের উপর আক্রমণ করে। ছাত্রলীগের কর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধরে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয় মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে বুধবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদুল হক আদনান জানান, ফারুককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহতের মা বিলকিস বেগম ফেলানী বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও আট থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অস্ত্রসহ জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রাজধানীতে ছাত্রদলের শোডাউন!
ঘুম থেকে ডেকে তোলায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা!
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভোরে ঘুম থেকে ডেকে তোলায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এক ছেলে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর ৬টায় উপজেলার পূর্ববড় ভেওলার চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল কাদেরের (৫৫) বাড়ি ওই গ্রামেই।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি জানান, ফজরের নামাজ শেষ করে ছেলে শহীদুল ইসলামকে বিলে পাকা ধান কাটতে যেতে ঘুম থেকে ডেকে দেন রহুল কাদের। ভোরে ঘুম থেকে জাগানোয় রেগে যায় ছেলে শহীদ। পরে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে যান বাবা- ছেলে। একপর্যায়ে ছেলে শহীদ বৃদ্ধ বাবাকে লাঠির আঘাতে মাঠিতে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিবেশিরা এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান রুহুল কাদের।
ওসি জানান, এ ঘটনায় ছেলে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজারর সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিহত রুহুল কাদের সাবেক ইউপি মেম্বার মরহুম হাজী জামালের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা !
রংপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ: পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
রাজধানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বড় বেরাইত এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আরেক জন আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবিনা বেগম (৫০) একই এলাকার শরীফ হোসেনের স্ত্রী এবং দুই ছেলের জননী ছিলেন।
নিহতের ছেলে জানান, তাদের জমি জোর করে দখল করার সময় তার মা বাধা দিলে সহিবুল, তার দুই ছেলে বাদশাহ ও ফয়সালসহ আরও চার-পাঁচ জন তার ওপর ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেশার টাকা না পেয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্বামীকে হাতুড়ি পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক
চোর সন্দেহে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১০
লক্ষ্মীপুরে ৫০০ টাকার জন্য অটো চালককে পিটিয়ে ‘হত্যা’
লক্ষ্মীপুরে সড়ক মেরামতের অতিরিক্ত টাকা তোলা নিয়ে বিরোধে এক অটোরিকশা চালকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের আসমত আলী মসজিদের সামনে শুক্রবার বিকালে মারধরের এই ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক মোল্লা স্থানীয় মজিদ মোল্লার ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় চর রমনী মোহন গ্রামের আসমত আলী সড়ক (কাঁচা) চলমান বর্ষায় বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। সম্প্রতি তৌহিদ ও মমিনসহ কয়েকজন যুবক শ্রমিকদের দিয়ে ওই সড়ক মেরামত করে। এরপর ওই সড়কে চলাচলকৃত যানবাহন থেকে ১০০ টাকা করে তুলতে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
শুক্রবার বিকালে অটোরিকশা চালক সফিক ও মিন্টু নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী যাত্রী নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে যায়। এসময় দু’জনের কাছে ২০০ টাকা চাইলে তারা ১০০ টাকা দেন।
পরে সন্ধ্যায় সেই অটোরিকশা চালক ফেরার পথে তারা আবারও তাকে আটকিয়ে ৫০০ টাকা দাবি করেনে। টাকা না দেয়ায় তৌহিদ ও মমিনসহ আট যুবক তাকে মারধর করে বলে জানা যায়। পরে আহত সফিক মোল্লা বাড়ি ফিরে কয়েকবার বমি করে মারা যান।
ঘটনার খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান ও সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
আরও পড়ুন: সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছে পরিবার
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান জানান, সড়ক সংস্কারের টাকা তোলা নিয়ে বিরোধে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছেয়। পরে অটোরিকশা চালক সফিক মারা যান। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়ায় মোবাইল চুরির অভিযোগে দরবার শরীফে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কল্যানপুর দরবার শরীফের তাছের ফকিরের ভক্তরা রাশেদ (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।রবিবার দুপুরে মোবাইল চুরির অভিযোগে কল্যানপুর দরবার শরীফের ভেতরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত যুবক দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের হরিনগাছী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
আরও পড়ুন: শার্শায় ভাতিজার হাতে চাচা খুননিহত যুবকের পিতা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার ছেলে রাশেদ ৫-৬ মাস ধরে কল্যানপুর দরবার শরীফের মুরিদ হিসেবে ওই দরবার শরীফেই থাকতো। রবিবার সকালে দরবার শরীফের লোকজন তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দরবার শরীফের ভেতরে ফেলে রাখে। পরে রাশেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাশেদকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।রিফাইতপুর ইউপি চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু জানান, মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে কল্যানপুর দরবার শরীফের লোকজন তার ইউনিয়নের রাশেদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পরে পুলিশ নিহত যুবকের লাশ ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে চীনা নাগরিক খুনের ঘটনায় মামলাদৌলতপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মাহফুজুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, ১৪ জন আটক
যশোর শহরের রেলরোডে ফুড গোডাউনের বিপরীতে অবস্থিত বেসরকারি যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পূর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন মাহফুজুর রহমান অসুস্থ হয়ে মারা যায়নি। তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ ১৪ জন মিলে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
রবিবার দুপুরে নিহত মাহাফুজুর রহমানের পিতা কোতয়ায়ী থানায় মামলা করেন।
মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাসুদ করিম, ও আশরাফুল কবিরসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাড়ির আইসি রকিবুজ্জামান জানান, ঘটনা জানতে পেরে যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ শনিবার রাত থেকে বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয় কেন্দ্রের পরিচালকসহ ১৪ জনকে।
মামলার আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মাসুদ করিম, বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল কবির, চৌগাছা উপজেলার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে রিয়াদ, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সাবদার রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে আরিফুজ্জামান, শহরের কাজীপাড়া মসজিদের পাশের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান, মনিহার নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ মিয়াজীর ছেলে রেজাউল করিম রানা, আরবপুর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে অহিদুল ইসলাম, হুসতলা বকচর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আল শাহরিয়ার রোকন, বেনাপোল পোর্ট থানার শাখারীপোতা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন, অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের আসর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার এস এম জি মুক্তাদিরের ছেলে এস এস সাগর আজিজ, শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে নুর ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বামখালী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে সাগর।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ কারাগারে বন্দিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহতের বাবা মনিরুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, তার ছেলে মাহাফুজুর রহমান (১৯) মাদকাসক্ত হওয়ায় ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেন। তারপর থেকে মাহাফুজুর সেখানেই ছিলেন। ২২ মে দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক মাসুদ করিম তাকে মোবাইলে জানায় যে মাহফুজ অসুস্থ, তিনি যেন দ্রুত যশোর আসেন। এ খবর শুনে মনিরুজ্জামানসহ তার এলাকার সাইদুর রহমান ও আক্তার হোসেন যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিছু সময় পর পথিমধ্যে পরিচালক তাকে আবারও মোবাইল করে জানায়, তিনি যেন শক্ত হন তার ছেলে মারা গেছে। লাশ যশোর সদর হাসপাতালে রয়েছে। বাদী মনিরুজ্জামান বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে ছেলে মাহফুজুর রহমানের লাশ দেখতে পান।
মামলায় আরও উল্লেখ করেন, ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে বাদীর সন্দেহ হওয়ায় ছেলের শরীর ভাল ভাবে পরীক্ষা করেন বাদী। মাহফুজুরের শরীরের ডান হাতের কবজির উপর কামড়ানোর দাগ, পিঠের ডান ও বাম পাশে কালচে থেথলানো দাগ, বাম কাঁধের উপরে থেতলোনো দাগসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও অন্ডকোষ ফোলা দেখতে পান। পরে বাদী মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে নিরাময় কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে তারা জানতে পারেন যে মাহফুজুরকে হত্যা করা হয়েছে।
বাদী মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, ২২ মে রাত সাড়ে ১২ টায় ঘুমাতে যায় মাহফুজুর রহমান। পরে ভোর ৫টা ২০ মিনিটে মাহফুজুর রহমান প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে যান। বাহিরে যাওয়ার পরে নিরাময় কেন্দ্রের চিকিৎসাধীন কয়েকজন, পরিচালক মাসুদ করিম ও আশরাফুল কবিরের নির্দেশে মাহফুজুরকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে ও নাকে মুখে অতিমাত্রায় পানি ঢালে। আসামিদের নির্যাতনে মাহফুজুর অচেতন হয়ে পড়লে আসামিরা তাকে ভ্যানে করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বারান্দায় রেখে পালিয়ে যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাহফুজুরকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে চিকিৎসার জন্য ভিতরে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. তন্ময় বিশ্বাস দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হিসেবে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার ভোর ৫টা ২০ মিনিট থেকে একই দিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটি পর্যন্ত যেকোনো সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মাহফুজকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।