রাজনীতি
‘নেত্রী বললেন, ক্ষমতার জন্য দেশে আসিনি’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে ফিরে নেত্রী বললেন, ক্ষমতার জন্য আসিনি। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে এসেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভোলা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে: তোফায়েল আহমেদ
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘বাংলাদশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বাংলাদেশে পা রাখেন। ওই দিনটি এখনও স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে। এক পাশে আমি, অপর পাশে রাজ্জাক ভাই। নেত্রী বললেন, ক্ষমতার জন্য আসিনি। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে এসেছি।’
তোফায়েল বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তায়িত হচ্ছে। এটাই আমাদের বড় পাওয়া।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত: তোফায়েল
জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি দোস্ত মাহামুদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- ভোলা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.মোশারেফ হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন লাভুসহ দলে নেতাকর্মীরা।
প্রায় ৩ বছর পর নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদের
প্রায় তিন বছর পর নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে নির্বাচনী এলাকায় গেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসভবনে পৌঁছে প্রথমেই তিনি বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করেন। সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে মা ও বাবার আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময়ে করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে আ’লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই: কাদের
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পথে নিজ বাড়ি যাওয়া পথে ফেনীর দাগনভূঁইয়া থেকে বাসভবন পর্যন্ত সড়কপথে বিপুল সংখ্যক মানুষের ফুলের ভালোবাসায় সিক্ত হন।
বিএনপির কাজই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপির কাজই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা।
তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে জঙ্গিদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আর এই হামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছিল বিএনপি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হানিফ।
আরও পড়ুন: বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠন বন্ধ হবে না: হানিফ
এ সময় বিএনপি নেতাদেরকে উদ্দেশে করে সরকার দলের এই নেতা বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে ক্রীড়ানক (খেলনা) হিসেবে ব্যবহার করেছে। বর্তমান সরকারের সময় দেশের সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক কাজ করলেও বিএনপি মনে করে তারা সরকারের পক্ষে কাজ করছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করায় এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোট যেন নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পারে সেটিই লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না:হানিফ
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা বিএনপির
দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রথম মেয়র এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মান্নানের কফিন বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসা হলে সেটি দলীয় পতাকায় মুড়িয়ে দেয়া হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা দলের পক্ষ থেকে গাজীপুরের সাবেক মেয়রের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারাও মান্নানের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মান্নান আর নেই
সেখানে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ও দেশে মান্নানের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, মান্নানের মৃত্যুতে দলের যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
এসময় ফখরুল মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান মান্নান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। এশার নামাজের পর বারিধারা ডিওএইচএস মসজিদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বাদ আসর গাজীপুরের সালনা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এম এ মান্নান ১৯৭৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন, ১৯৯১ সালে গাজীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে ধর্ম বিষয়ক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন হলে প্রথম নির্বাচনে ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হন মান্নান।
আ’লীগ একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ এখন দেশে একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে এখন স্বৈরতন্ত্র কায়েম করছে। পত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন দেশ আওয়ামী লীগকে এবং এ সরকারকে স্বৈরাচারী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সুনির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের ওপরে।’
মঙ্গলবার শহরের হাজীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
এসময় ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ নিজেরাই টের পাচ্ছেন তারা এখন সম্পূর্ণ একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে রয়েছে। সুতরাং এটা নতুন করে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে কথা বলার মতো না। আমরা কখনোই কোনো রাষ্ট্রদূতকে ডাকি না। রাষ্ট্রদূতরা আমাদের অফিসে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এটি নিয়মিতভাবে আগে যেমন করছেন এখনও তেমনই করছেন। সেখানে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার কিছুই নাই। আপনাদের পত্র পত্রিকায় যেসব খবর প্রকাশিত হয় সেগুলো যথেষ্ট প্রমাণ যে বাংলাদেশের এখন কী অবস্থা চলছে।
তিনি বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার আওয়ামী লীগ সরকার পুরোপুরিভাবে আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কারণ জনগণ থেকে তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন মূলত তারা সম্পূর্ণ সামরিক-বেসমারিক আমলাতন্ত্রের ওপরেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যার ফলে তারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন আমাদের কাছে হাস্যকর মনে হয় এবং জনগণের কাছেও হাস্যকর মনে হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকার কলাবাগানের খেলার মাঠ রক্ষার বিষয়ে একজন নারী ও তার কিশোর ছেলে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রমাণ করে তারা কতটা স্বৈরাচারি ও পাওয়ারফুল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’: মির্জা ফখরুল
সম্প্রতি নিউমার্কেটের ঘটনা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ঢাকা কলেজের ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছে তার প্রত্যেকটি সংবাদমাধ্যমে পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে যে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণগুলোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা সংঘর্ষে জড়িত ছিল তারাও আওয়ামী লীগের অনুসারী। অযথা কাকে নিয়ে গেলো, বিএনপির নেতাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গেলো। তিনদিনের রিমান্ডও দিলো। এই যে একটা পুরোপুরি দলীয়করণ প্রশাসনকে, বিচার বিভাগকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে এ সব ঘটনা নতুন করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় না। প্রতিনিয়ত ঘটছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠের নেতারা।
বিএনপির অপপ্রচারের রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে দিচ্ছে: বক্তারা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য, নিজেদের অপরাধকে ঢাকার জন্য এবং যেকোনও উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য বিএনপি ক্রমাগত মিথ্যাচারের রাজনীতি করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন একটি আলোচনাসভার বক্তারা।
বিএনপির মিথ্যাচার শুধু দেশের গণ্ডির মধ্যেই নয়, দেশের বাইরেও ছড়িয়েছে এবং বিদেশি দূতাবাস এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের নিয়ে মিথ্যাচার করতেও ছাড়ছে না তারা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়েই শুধু মিথ্যাচার নয়, বিএনপি নামক দলের উত্থান, জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতি হওয়া এমনকি পরবর্তীতে বিএনপির গঠণতন্ত্র পযন্ত সংশোধনেও অজস্র মিথ্যাচার লুকিয়ে রয়েছে বলে আলোচনা সভায় উঠে আসে।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘রাজনীতির সাতকাহন: বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাচারের পর্ব-১’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব মন্তব্য করেন বক্তারা।
আওয়ামী লীগের ভেরাফায়েড ফেসবুক থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এই ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক অজয় দাশগুপ্ত এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক শ.ম রেজাউল করিম।
সঞ্চালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারের হত্যার পর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশনে যে দল জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং যার জন্মদাতা ছিলেন স্বৈরাচারি জিয়াউর রহমান। সেই বিএনপিই মিথ্যাচারের রাজনীতি এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন যে, আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, মিথ্যাচারের রাজনীতির জনক গোয়েবলসও হয়তো আজকে লজ্জা পেতেন বিএনপির এই মিথ্যাচারের সামনে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক অজয় দাশগুপ্ত ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর সাঁজোয়া যান চলে আসছে। চারিদিকে গুলি হচ্ছে। সেইসময় বঙ্গবন্ধু ধীরস্থিরভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবার কাছে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণার খবর পাঠিয়ে দিলেন ওই রাতে যেসময় ট্যাংকের গোলাবর্ষণ হচ্ছে, তার বাড়ির দোড়গোড়ায় পাকিস্তানি বাহিনী পৌঁছে গেছে। সেই রাতে চট্টগ্রামে খবর পৌঁছে গেছে, সেই রাতে গোটা বিশ্বে খবর চলে গেছে। সেই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা দপ্তর বলছে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের পত্রিকায় পরেরদিন খবর ছাপা হয়ে গেছে। সেই স্বাধীনতার ঘোষণায় মানুষ কিন্তু প্রতিরোধে নেমে গেলো।’
অজয় দাশগুপ্ত বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যে দল পরবর্তীতে মিথ্যাচার করতে পারে, সেই মিথ্যাচার তারা করে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার জন্যে। সেই মিথ্যাচার তারা করে, বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়ার জন্যে।
তিনি বলেন, ‘সেই পাকিস্তানি অপশক্তি, ৫১ বছর ধরেই কিন্তু তারা যে ভুল করেছে, তারা যে অপরাধ করেছে, শুধু যে বাংলাদেশের মানুষের সাথে নয় গোটা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে, সেটাকেই আড়াল করতে চায়। সেই মিথ্যাচারের রাজনীতি কিন্তু এখনো চলছে।’
সম্প্রতি জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের ব্রিফিং নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে জার্মান দূতাবাসের পক্ষ থেকে। এর আগে ভারতের বিজেপি প্রধান অমিত শাহের সঙ্গে টেলিফোন আলাপ নিয়ে নিয়েও মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। শুধু বাংলাদেশ না দেশের বাইরে এসব মিথ্যাচারের প্রসঙ্গ তোলেন উপস্থাপক।
বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ, ছয়জন কংগ্রেসম্যানের সাক্ষর জাল করা, নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধ এবং বিএনপির নেতার সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের কথা উল্লেখ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, বিএনপি চায় যেনতেন উপায়ে ক্ষমতায় যেতে, যেমনটা তারা গিয়েছিল। এই যেনতেনটা হলো অসাংবিধানিক উপায়ে। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার যে প্রক্রিয়া, এই বাইরে কীভাবে যাওয়া যায় এটাই বিএনপির মূলমন্ত্র। জিয়াউর রহমান যে প্রক্রিয়ার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করলেন সেটাও বেআইনি ছিলো। সে কারনে পঞ্চম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জিয়াউর রহমান ও তার সহযোগীদের বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহী, তস্কর, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী। এবং ক্ষমতা দখলের দিন থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের সকল কৃতকর্মকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: অপরাজনীতির চর্চার কারণে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যত প্রশ্নবিদ্ধ: কাদের
দেশে খাদ্য সংকটের বিএনপির আশা পূরণ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে খাদ্য সংকট হোক’-বিএনপির এই আশা পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে চায় দেশে খাদ্য নিয়ে হাহাকার হোক, দুর্ভিক্ষ হোক। তারা মনে করে-দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, রাস্তাঘাটে মানুষ না খেয়ে মরে পড়ে থাকবে, আর তা নিয়ে আন্দোলন করে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাবে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শুক্রবার রাজধানীর শ্যামপুর মডেল স্কুল মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি ও কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করোনাকালেও দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে আছেন। কাজেই, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশে কখনও খাদ্য সংকট হবে না, কোন দুর্ভিক্ষও হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জোট, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবীরা করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বাংলাদশের ব্যর্থতা দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে তাদের এই চাওয়াকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন। এখন জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল। বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, করোনা মোকাবিলায়ও রোল মডেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
দেশের মানুষের বিপদে আপদে আওয়ামী লীগ সব সময়ই পাঁশে থাকে, বিএনপি কখনও থাকে না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশটাকে লুটপাট করে অর্থবিত্ত উপার্জন করেছেন, নিজেদের ভোগবিলাসে ব্যয় করেছেন আর বিদেশে পাচার করেছেন। প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াননি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীরা সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, মানুষকে সহযোগিতা করেছে।
বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
‘বিএনপির জাতীয় সরকার হবে-রাজাকার, আলবদর, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী ও বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার’ মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম, সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং ৬০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। এই আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার করবে বিএনপি, সেটি কী জাতীয় সরকার হবে? এটি হবে রাজাকার, আলবদর, বিএনপি, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী ও বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার।’
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘আপনাদেরকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দূরে ঠেলে দিয়েছে। জাতীয় সরকার, রাজাকার-আলবদরের সরকার, বিএনপি-জামায়াতের সরকার বাংলাদেশে হবে না। জনগণের ভোটে যারা সংসদে বেশি আসন পাবে, তারাই দেশে সরকার গঠন করবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৃথিবীর কোনো দেশে জাতীয় সরকার হয় না। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জরুরি পরিস্থিতিতে এটি গঠিত হয়। কাজেই বাংলাদেশে কোনদিন জাতীয় সরকার হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, জঙ্গি সৃষ্টি, অর্থনীতিকে ধ্বংস ও মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। এছাড়া গত ১৬ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে। সব মিলিয়ে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই ও একদম জনবিচ্ছিন্ন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন মানে না, নির্বাচনে আসে না। বার বার শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আমাদের সংবিধানে নেই, পৃথিবীর কোন সংবিধানেও নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
বাম জোটের হরতাল: খুলনায় মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক ৬
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় হরতালের সমর্থনে বাম জোট মিছিলের প্রস্তুতিকালে ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর গোলকমনি শিশু পার্ক ও ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, আটক ১
তবে বাম জোটের ডাকা অর্ধদিবসের হরতাল খুলনায় তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। সকাল ৯টার দিকে নগরীতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস চলছে। এমনকি অফিস আদালতও স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নসৃষ্টি করে মিছিল করার প্রস্তুতিকালে কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৩ মোবাইল চোর আটক
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ বামজোটের পক্ষ থেকে ২৮ মার্চ সারাদেশে অর্ধদিবস হরতাল ডাকা হয়। এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকেও ২৮ মার্চ হরতাল ও তা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। সিপিবি বলেছে এ হরতাল কোন দলের নয় এ হরতাল সবার। এ হরতাল দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে হরতাল।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে যে আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেগুলো এ আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
তিনি বলেন, যদি সত্য ঘটনাগুলো সামনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। আজকে যদি মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে বইয়ে লেখা হয়, তাহলে তারা জানে তারা যে মিথ্যাচার করছে, তা সকল ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু এটাই সত্য যে ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস বিকৃতি থেকে দেশটাকে মুক্ত করার জন্য সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার নিজেদের সুবিধামতো নির্বাচন পদ্ধতি বানিয়ে নিয়েছে: খসরু
আমীর খসরু বলেন, সব দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, সবাই সব সময় তা সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধকে বেচাবিক্রি করার কালচার নেই। আর এটা ক্ষমতাসীনরা যখন করে তখন সেটা ইতিহাস তো হই না, এটা প্রোপাগান্ডা হতে পারে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মাইলফলক উন্মোচন করার জন্য ২৭ মার্চ সভা করছি। বিএনপির নীতি নির্ধারকরা অনেক আলাপ আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। জাতির ক্রান্তিকালে ইতিহাস বিকৃতি থেকে মুক্ত করার জন্য এই কর্মসূচি। যেহেতু মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস, সেহেতু এই মাসে শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে। একটি দল যখন আত্মসমর্পণ করেছে, সেখানে শহীদ জিয়ার আবির্ভাব ঘটেছে, তিনি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে কাজটি করেছিলেন সেটি জাতিকে জানাতে হবে।
এই সময় তিনি আগামী ২৭ মার্চ রবিবার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচি সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ধানের শীষে ভোট দিতে জনগণ মুখিয়ে আছে: খসরু
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুনের পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার বক্তব্য রাখেন।