রাজনীতি
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘দেশে লুণ্ঠনের রাজনীতি তৈরি হয়েছে। যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত।’
মঙ্গলবার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কৃষক সম্প্রদায় নিয়ে জাপা'র সহযোগী সংগঠন জাতীয় কৃষক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির মধ্যে বিরাজমান বাস্তবতাকে তুলে ধরার আগে মৌলিক গণতান্ত্রিক আদর্শ তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, দেশ সঠিকভাবে না চললে দেশের জনগণ আবারও নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি বদল করবে।
তিনি বলেন, জনগণই দেশের সম্মিলিত মালিক এবং তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কে শাসন করবে এবং কীভাবে তাদের ভোটাধিকার চর্চা করবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারও দয়ায় নয়, আমরা জনগণের ভালোবাসায় ক্ষমতায় আসতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণই দেশের মালিক এবং তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কার দ্বারা এবং কীভাবে দেশ পরিচালনা করা হবে।’
আড়ও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে যারা দেশের জন্য ভাল কাজ করতে চায় তারা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান তার ভাইয়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দলের সভাপতি হিসাবে তার কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন।
সব খালি জমি কৃষির আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘পুলিশ সামান্য টাকার জন্য কৃষকদের হয়রানি করছে। কৃষকদের বাঁচাতে সরকারকে যে পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া দরকার তা দেয়া উচিত।’
জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি সহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক পার্টির অন্যান্য নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ফখরুল
চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ভোরে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ফখরুল ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
শায়রুল জানান, ফখরুল ও তার স্ত্রী স্বাস্থ্যগত জটিলতার জন্য সিঙ্গাপুরের দুটি পৃথক হাসপাতালে চিকিৎসা নিবেন।
এক সপ্তাহ পর বিএনপি মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
১১ ফেব্রুয়ারি সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য বিভাগেও সমাবেশ করেছে দলটি।
এর আগে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবিতে যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে।
আরও পড়ুন: ৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
বিএনপি ছাড়াও সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ তাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য পাতাল রেল প্রকল্প শুরু করেছে: বিএনপি
দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার, এই সরকারের পদত্যাগ, একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর দাবিসহ আমাদের ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট যারা যুগপৎ আন্দোলনে আছে তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাইফুল।
ঢাকায় তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ সকাল ১০টায় মিরপুর-১২ থেকে ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন হয়ে মতিঝিল অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করবে।
একই সঙ্গে সারাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের জোট একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান সাইফুল।
তিনি বলেন, জনগণ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে এবং সরকার উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবে না।
যুগপৎ আন্দোলনের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশ শেষে জোটের নেতাকর্মীরা কাকরাইল অভিমুখে মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
এদিকে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি।
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর থেকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গণতন্ত্র মঞ্চের মতো ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে দেশের অন্য সব বিভাগেও সমাবেশ করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী নতুন প্লাটফর্ম 'সমমনা গণতান্ত্রিক জোট' এর আত্মপ্রকাশ
বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী দলগুলো তার সরকারের কোনও ব্যর্থতা জানতে পারলে তা সংশোধনের জন্য প্রস্তুত তিনি।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ সফলতা এবং ব্যর্থতার বিচার করবে। এটা বিচার করার দায়িত্ব আমার নয়। জনগণের কল্যাণে সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করলে কেন ব্যর্থ হবো? আমার সফলতা বা সাফল্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।’
তিনি জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যেহেতু আপনি খুব আগ্রহী, অনুগ্রহ করে আমার ব্যর্থতাগুলো খুঁজে বের করুন, আমি সেগুলো সংশোধন করব।’
তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর তৃণমূলের মানুষ ভালো থাকবেন সেই আকাঙ্খা নিয়ে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন সুবিধা পাচ্ছে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা প্রবীণরা বুঝতে পারবেন’
কিন্তু, তিনি বলেছিলেন যে আজকের প্রজন্ম তা বুঝতে পারবে না।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের জন্য কমলাপুর স্টেশন ভাঙার প্রস্তাব আমি মেনে নেইনি: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রয়াত জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে পুনর্বাসন করেন।
সংবিধানের দু’টি ধারা পরিবর্তন করে জিয়া তাদের রাজনীতি করতে দেন এবং ভোটের অধিকার দেন।
‘গোলাম আযমসহ অনেক যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের উপদেষ্টা ও মন্ত্রী বানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন।
‘এভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা একটি জাতির জন্য লজ্জাজনক। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জিয়ার সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়। জিয়া অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় তারা অপমানিত হন। তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে চায়নি।
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
‘বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। অন্যান্য সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি, এটি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার মূল্যকে প্রভাবিত করেছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে, কিন্তু সেখানে কারিগরি ব্যক্তি খুঁজে পেতে অসুবিধা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে অনেককে এনে চাকরি দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার এ খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বিসিএসে নতুন কোনো ক্যাডার তৈরির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। ‘তবে ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দল ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
আয়োজকরা জানান, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক একদলীয় বাকশাল শাসন প্রবর্তন, বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
দুপুর থেকেই দলীয় শত শত নেতাকর্মী ছোট ছোট মিছিল নিযে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থল ও আশপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: ‘বাকশালের গণতন্ত্র’ জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
বিএনপি ছাড়াও অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলোও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণতান্ত্রিক বম ঐক্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৃথক সমাবেশ করেছে এবং ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সমাবেশ থেকে একই দিনে একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বিএনপি।
এছাড়া বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং এফডিসি ক্রসিংয়ে সামনে সমাবেশ করছে এলডিপি।
৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬ জানুয়ারি সমাবেশ ও মিছিলের পর এটি যুগপৎ আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন:জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
বুধবার দেশব্যাপী সমাবেশ করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে সমাবেশ করবে।
আয়োজকরা জানান, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক একদলীয় বাকশাল শাসন প্রবর্তন, বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এবং ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া সমাবেশে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র নেতারা।
সমাবেশ থেকে তাদের যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী হিসেবে মির্জা ফখরুল ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬ জানুয়ারি সমাবেশ ও মিছিলের পর এটি হবে যুগপৎ আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি।
বিএনপি ছাড়াও সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিকাল ৩টায় বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, দুপুর ২টায় ক্রসিং এফডিসিতে এলডিপি এবং সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি ও অন্যান্য দলের সঙ্গে গণমিছিল কর্মসূচিতে যোগ দিলেও কিছু রাজনৈতিক ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ইসলামী দলটি যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
জামায়াতের সূত্র জানায়, জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার এবং ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীতে দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার বিষয়ে কোনো বিবৃতি না দেয়ায় দলটি বিএনপির ওপর অসন্তুষ্ট।
বুধবার বিভিন্ন বিভাগে সমাবেশ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী বরিশাল বিভাগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নেতৃত্ব দেবেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু রাজশাহীতে, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু গাজীপুরে, এম শাহজাহান কুমিল্লায়। জাহিদ হোসেন সিলেটে, শামসুজ্জামান দুদু ময়মনসিংহে, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান রংপুরে, নিতাই রায় চৌধুরী খুলনায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রংপুরে ও হাবিবুন নবী সোহেল ফরিদপুরে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকো ছিলেন প্রধান নায়ক: ফখরুল
আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না। কারণ আমরা রাজনীতিকে তাদের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি, আকর্ষণীয় করতে পারিনি।
তিনি বলেন, নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
রবিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের জাতীয় পার্টির (জেপি) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ছাত্র রাজনীতির সুনামের ধারা হারিয়ে গেছে বলে ওবায়দুল কাদের বলেন, খারাপ লোকদের হাতে রাজনীতি থাকলে দেশটি খারাপ হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ভালো, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে।
এছাড়া তিনি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে শক্তিশালী বিরোধীদলের প্রয়োজনীয়তাকে জোর দেন তার বক্তব্যে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। চার নেতার হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক দেয়াল তৈরি হওয়া শুরু হলো, রাজনীতিতে সে দুরত্ব ঘোচাতে সেতু নির্মাণ করতে ব্যর্থ।
তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তার বক্তব্যে।
জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা বিএনপি নেতাদের বিচার ও রাজনীতি থেকে বিদায়ই আজ জনগণের দাবি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতির নামে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যাকারীদের রাজনীতি থেকে বিদায় দেয়া এবং অগ্নিসন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের হুকুমদাতাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই আজ দেশের মানুষের একদফা দাবি।
তিনি বলেন, 'আজকে এই পোড়া মানুষগুলোর, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃতদের স্বজনদের অসহনীয় জীবনের জন্য দায়ী বিএনপি-জামাতের নেতারা। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্দেশে এবং ফখরুল-রিজভী-আব্বাস-খন্দকার মোশাররফ সাহেব যারা বড়গলায় কথা বলেন, তাদের পরিচালনায় ও অর্থায়নে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়েছে।'
শনিবার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে 'অগ্নি-সন্ত্রাসের আর্তনাদ' সংগঠন আয়োজিত 'বিএনপি-জামাত কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানুষ পোড়ানো, অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন' শীর্ষক পোড়া মানুষের আহাজারিপূর্ণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসের ভয়াবহতা তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, 'পাঁচ শতাধিক নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, ৫০ জনের বেশি পরিবহন চালক-শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে, তিন হাজারের বেশি মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে, সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে আগুন দেয়া হয়েছে। তাদের এই প্রতিহিংসার আগুন থেকে পশুপাখি-গাছপালাও রক্ষা পায়নি।'
এছাড়া বিএনপি-জামাত তাই মানুষের শত্রু, পশুপাখির শত্রু, প্রকৃতির শত্রু, এরা অগ্নিসন্ত্রাসী, এরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী।
১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্দেশ্যে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'তারা আজ মানবাধিকারের কথা বলে অথচ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া এবং আজকের মির্জা ফখরুল সাহেবরাই বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লংঘন ঘটিয়েছে।
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল এবং সেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে শতশত সেনা অফিসার ও জওয়ানকে হত্যা করেছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আর খালেদা জিয়া, তারেক রহমান অবৈধ পথে ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সায় হাজার হাজার মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হতাহত করেছে।
এ সবই আমরা বিশ্ব অঙ্গনে নিয়ে যাবো।
এসময় পেট্রোলবোমায় চৌদ্দগ্রামে দগ্ধমৃত মোহাম্মদ ইউসুফের সন্তান জাহেদুল ইসলাম, গাজীপুর চৌরাস্তায় দগ্ধমৃত কাভার্ড ভ্যান চালকের বাবা মো. রমজান, শাহবাগে দগ্ধমৃত নাহিদের মা রুনি বেগম, ঠাকুরগাঁওয়ে অগ্নিদগ্ধ রফিকুল ইসলাম, রাজশাহীতে কর্মরত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর, যাত্রাবাড়ীতে সম্পূর্ণ মুখমন্ডল ও শরীর ঝলসে যাওয়া সালাহউদ্দিন ভূঁইয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পেট্রোলবোমার শিকার ও তাদের স্বজনরা বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাদের বিলাপ ও আহাজারিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
'অগ্নি-সন্ত্রাসের আর্তনাদ' আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ব্যারিস্টার সাঈদুল হক সুমন, মোটরচালক শ্রমিক লীগ নেতা আলী হোসেন, সংস্কৃতিব্যক্তিত্ব অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, 'মানুষ আর অগ্নিসন্ত্রাস চায় না। রাজাকার-আলবদর নিয়ে জাতীয় সরকার করতে চাওয়া বিএনপিকে শুধু প্রতিহত করলেই হবে না, দেশের রাজনীতি থেকে তাদেরকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।'
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ
রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ