ঋণ
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের ২য় কিস্তি: আলোচনার জন্য ফের ঢাকায় আসছে আইএমএফ দল
বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ব্যবহার এবং দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের পরামর্শে নতুন ভিত্তি বছরে মার্চ থেকে মুদ্রাস্ফীতি গণনা করবে বিবিএস
সূত্র জানায়, ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে সফরকালীন আইএমএফ দলটি মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফ এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ তিন থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট দলের নেতৃত্ব দেবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক জানান, সফরকালে সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফ টিমের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবে।
গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ কর্তৃক অনুমোদিত ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের মধ্যে ৪৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম ধাপ পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো পরিমাণ পরিশোধ করা হবে। এইভাবে, আরও ছয়টি কিস্তি বাকি আছে।
আরও পড়ুন: ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে আলোচনা করতে ২৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আইএমএফ সাধারণত প্রতিটি ধাপ বিতরণের আগে সম্মতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। এ অনুযায়ী, আইএমএফ’র একটি দল আগামী সেপ্টেম্বরে আসবে দ্বিতীয় ধাপ বিতরণের আগে ঋণের শর্ত পূরণের পর্যালোচনা করতে।
সাধারণত প্রতিটি বাজেট ঘোষণার আগে, একটি আইএমএফ মিশন বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসে। এখন যেহেতু ঋণ কার্যক্রম চলছে, বাজেট সহায়তার পাশাপাশি ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়গুলোও আলোচনায় আসবে বলে সূত্র জানায়।
বৈশ্বিক ঋণদাতা এই প্রতিষ্ঠানটি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণের প্রথম কিস্তি দেওয়ার পর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট হ্রাস পেয়েছে।
আইএমএফ এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর অধীনে প্রায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রেজিলেন্স এন্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি ফর বাংলাদেশ’র অধীনে প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফ থেকে ৪৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম কিস্তি পায়।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ দল
প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে কার্যকর ঋণ ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব যে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রতিক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি ঝুঁকি-অবহিত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে যা বহুমাত্রিক দুর্বলতাকে বিবেচনা করে, লিঙ্গ সমতাকে উন্নীত করে, সামাজিক সুরক্ষাকে শক্তিশালী করে এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এমডিবি’স) মাধ্যমে রেয়াতি ঋণের প্রসার ঘটায়।’
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে (ইকোসক) ‘উন্নয়ন সহযোগিতা: দীর্ঘমেয়াদী সহনশীলতা এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের ভূমিকা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তার পূর্ব-রেকর্ড করা মূল বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন যে একত্রে কাজ করে এবং এমডিবি-এর সম্পদ ও দক্ষতার ব্যবহার করে, আগামী প্রজন্মের জন্য আরও সহনশীল এবং সমৃদ্ধ বিশ্ব তৈরির দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা এমডিবি-এর মাধ্যমে দরিদ্র জনগণকে সহায়তা করে একটি সমৃদ্ধ এবং দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে একসঙ্গে কাজ করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি এখন একাধিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে - প্রথমে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবং পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্ময়কর প্রভাবের কারণে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই জটিল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব সম্প্রদায়ের দুর্বল অংশের সহনশীলতা তৈরি করতে এবং বহুমাত্রিক সংকট মোকাবিলায় উন্নয়ন সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে এটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা হয় যে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি’র) গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন যে এমডিবি’র থেকে অর্থায়ন বৈশ্বিক সমস্যাগুলো এবং অগ্রিম নীতিগুলো মোকাবিলা করার জন্য বহু-দলীয় সংলাপকে উৎসাহিত করবে যা ২০১৫ এর আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডায় নির্দিষ্ট করা ম্যান্ডেট অনুসারে এসডিজি অর্জনে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করবে৷
তিনি বলেন, ‘এমডিবিগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য, যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং প্রযুক্তির প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এগুলো টেকসই উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও জ্ঞান প্রদানের জন্য এবং তাদের সক্ষমতা তৈরিতে এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য এমডিবিগুলো অনন্যভাবে অবস্থান করছে।
‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সহনশীলতা তৈরির দিকে কাজ করার সময়, আমাদের অবশ্যই তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা অন্বেষণ করার ক্ষমতা স্বীকার করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে আর্থিক বৈষম্য, ডিজিটাল বিভাজন এবং উন্নয়ন বিভাজন। টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত উন্নয়নের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সহনশীলতা তৈরিতে ফোকাস করা উচিত।’
তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে এমডিবি’র সুদের হার ও সার্ভিস চার্জ বাড়ছে। এ ধরনের পদক্ষেপ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও শক্ত অবস্থানে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি এমডিবি’কে একটি ঋণ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ঠিক করার আহ্বান জানান যা আর্থিকভাবে কার্যকর এবং দুর্বল দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতাও রয়েছে।
‘আমাদের লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করা। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চূড়ান্ত রূপকল্প নিয়ে ।’
কিন্তু, তিনি বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের উন্নয়ন যাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতো দেশগুলোকে সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা উচিত।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণ চায় বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে আলোচনা করতে ২৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ কর্মসূচির প্রথম কিস্তির ব্যবহার এবং দ্বিতীয় কিস্তি বিতরণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল ২৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বুধবার ইউএনবিকে জানায়, ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত মিশনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ তিন থেকে চার সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ দল
গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ কর্তৃক অনুমোদিত চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণের মধ্যে ৪৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ পরিশোধ করা হবে। সে হিসাবে আরও ছয়টি কিস্তি বাকি রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আইএমএফ সাধারণত প্রতিটি কিস্তি বিতরণের আগে সম্মতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় কিস্তি বিতরণের আগে ঋণের শর্ত পূরণ পর্যালোচনা করতে আগামী সেপ্টেম্বরে আইএমএফের একটি দল আসবে।
সাধারণত প্রতিটি বাজেট ঘোষণার আগে আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে। সূত্র থেকে আরও জানা যায়, এখন যেহেতু তাদের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি চলছে, তাই বাজেট সহায়তার পাশাপাশি ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে।
আরও পড়ুন: ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ: আইএমএফ অনুমোদন করতে পারে সোমবার
কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার অভিযোগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ঋণের চাপ নিতে না পেরে এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ভোলাগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী কামাল মিয়া (৪০) সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নিজগাঁও গ্রামের মন্নান মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ভালাগঞ্জ উত্তর পাড়া গ্রামে বসবাস করতেন।
নিহতের স্ত্রী জানান, সকালে স্বামীকে বাড়িতে রেখে তিনি তার বাবার বাড়ি যান। আসরের নামাজের পর বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পান। দরজা খুলে তিনি দেখেন তার স্বামী ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে নার্সের আত্মহত্যা!
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কামাল মিয়া ভোলাগঞ্জে এলসি কমিশন ব্যবসা করে আসছেন। তিনি তার এক নিকট আত্মীয়কে এলসির ভারতীয় চুনা পাথরের জন্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা দেন। প্রায় দুই বছর আগে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঋণ করে কামাল এই টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা আটকা পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে পাওনাদাররা তাকে টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। তাদের চাপের কারণে নিকট আত্মীয়ের ওপর অভিমান থেকে তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিতে পারে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায়।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা ও উপস্থিত লোকজন কামাল মিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
জাতীয় বাজেটে বৈদেশিক সহায়তা কমেছে: অর্থমন্ত্রী
জাতীয় বাজেটের জন্য বৈদেশিক সহায়তা কমে এসেছে। গত অর্থবছরে (২০২১-২২) ছিল তিন দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা চলতি অর্থবছরে এক দশমিক ০৩ কমে দুই দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের (নোয়াখালী-২) এক প্রশ্নের জবাবে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
লিখিত উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সরকার গত অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রায় তিন দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সহায়তা পেয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে দুই দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির তালিকা দিলেন অর্থমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের (ময়মনসিংহ-১১) প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সংশোধন করা হতে পারে।
মামুনুর রশীদ কিরনের (নোয়াখালী-৩) প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে।
তিনি বলেন, এনবিআর আশা করছে অর্থবছরের শেষ নাগাদ লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল অংশীদার: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পেল বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বৃহস্পতিবার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের তিন দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থ পেয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন যে আইএমএফ থেকে প্রথম কিস্তি দেয়ার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার যা তিন হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর আওতায় বাংলাদেশ প্রায় ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় প্রায় ১৪০ কোটি ডলার পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিল আইএমএফ
রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য তৈরি তহবিল থেকে ঋণ গ্রহণকারী বাংলাদেশ এশিয়ায় প্রথম।
বাংলাদেশ সাতটি কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পাবে এবং দুই শতাংশ সুদে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাই মাসে আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল। তখন আইএমএফ আশ্বস্ত করে যে বৈশ্বিক ঋণদাতা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে গত বছরের জুলাইয়ে বোর্ড সভার সময় এক ফাঁকে আইএমএফ আলোচনা করে।
আলোচনা অনুযায়ী, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে আইএমএফের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা সফর করেন।
পরে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ চলতি বছরের ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ: আইএমএফ অনুমোদন করতে পারে সোমবার
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ: আইএমএফ অনুমোদন করতে পারে সোমবার
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত পেয়েছেন যে, বহুপক্ষীয় ঋণদাতার বোর্ড দেশটির ঋণের অনুরোধ অনুমোদন করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ঋণ অনুমোদন করবে।
রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি আইএমএফ দল প্রোগ্রামের বিশদ বিবরণ বের করতে গত ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর ঢাকা সফর করেছেন।
এরপর আইএমএফ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহ ১৪-১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন এবং তার সফরের সময় তিনি যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতির প্রত্যক্ষ করেছেন তার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খাকে সমর্থন দেবে আইএমএফ: ডিএমডি
তিনি বলেন, এটি সারা বিশ্বে একটি প্রভাব ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন সায়েহ।
আইএমএফ এর সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং অন্যদের সঙ্গে যে পরিদর্শন ও আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়।
এছাড়া বৈশ্বিক ঋণদাতা দেশটিকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায় রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এর আগে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে ঋণ পাচ্ছি। বাংলাদেশের জন্য মোট ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া হবে।’
২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি কিস্তিতে এই পরিমাণ অর্থ বিতরণ করা হবে।
এছাড়া ৪৪৭.৭৮ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে দেয়া হবে। অবশিষ্ট পরিমাণ ৬৫৯.১৮ মিলিয়ন ডলার ছয়টি সমান কিস্তিতে দেয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, ঋণের সুদের হার ম্যাচুরিটির সময় বাজারের হারের ওপর নির্ভর করবে। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয় হিসাব করেছে যে এই হার প্রায় ২.২ শতাংশ হবে।
আইএমএফ এর আগে বলেছিল যে, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে তার প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা (ইসিএফ) এবং বর্ধিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) এর অধীনে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলারের ৪২ মাসের ব্যবস্থা সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে সমর্থন করার একটি কর্মসূচিতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধা আরএসএফ এর অধীনে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
আইএমএফের ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ থেকে ঋণ নেয়ায় এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ
পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনে সহজ শর্তে ঋণ দিবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশ ও বন রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তারা এ বিষয়ে অবহিত আছেন। বন সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় ডিসিদের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের দায়িত্বের ব্যাপারে অবহিত করে সহযোগিতা চেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন যে টিলা কাটা, বন উজাড় করা, অবৈধ ইটভাটা ও মাটি কাটাসহ পরিবেশের ক্ষতিকর কার্যক্রম বন্ধে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আইন অনুসারে তারা যাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সে বিষয়ে তাদের বলে দেয়া হয়েছে। ডিসিরাও সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী জানান, ডিসিরা কথা দিয়েছেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারি দায়িত্ব তারা পুরোপুরি পালন করবেন।
তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের আজ হচ্ছে দ্বিতীয় দিন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডিসিদের কাছ থেকে কোনো প্রস্তবা এসেছে কি না, জানতে চাইলে শাহাব উদ্দিন বলেন, তারা অনেক কিছু জানতে চেয়েছেন। প্রশ্ন পূর্বে দেয়া হয়েছে, পরিবেশ সচিব সেগুলোর জবাব দিয়েছেন।
পরিবেশবান্ধব ইটভাটা নিয়ে ডিসিদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা পরিবেশবান্ধব ইট যারা বানাবেন, তাদের সহযোগিতা করব। তারা যাতে সহজে ব্যাংক ঋণ পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’
এ সংক্রান্ত বাজেটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যত বেশি মানুষকে পরিবেশবান্ধব ইট দিতে পারব, তত বেশি দূষণকারী ইটভাটা বন্ধ করতে পারবো। কারণ ইটের চাহিদা আছে, যা মেটাতে হবে। পরিবেশবান্ধব ব্লক ইটে যদি আমরা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হই, তাহলে পুরানো অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের ঋণ অনুমোদন বিবেচনা করতে পারে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী বোর্ড আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ এ কথা জানিয়েছেন। আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে পাঁচদিনের সফরে রবিবার বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।
আন্তোয়েনেট বলেন, ‘গত দশকে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। যা দারিদ্র্য নিরসনে ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং জীবনমানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে স্থিতিশীল রাখতে, ঋণ থেকে জিডিপি অনুপাত কম এবং বাহ্যিক বাফারগুলোকে পর্যাপ্ত রাখতে সাহায্য করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের আশা আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি আগামী মাসের মধ্যে আসবে: মুখপাত্র
সারা বিশ্বের দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক ধাক্কাগুলোর প্রভাব মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কাগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমি এই কঠিন সময়ে দুর্বলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর তাদের ফোকাসসহ এসব সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেয়া বিস্তৃত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।’
কর্তৃপক্ষের স্বদেশি সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ ও আইএমএফ সম্প্রতি বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং আইএমএফ এর নতুন স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই সুবিধা (আরএসএফ) এর অধীনে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের আলোচনায় আমরা কর রাজস্ব বাড়ানো এবং আরও দক্ষ আর্থিক খাত গড়ে তোলার দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জসহ এই প্রোগ্রামের মূল উপাদানগুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছি।
আরও পড়ুন: ’মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশকে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার নেই: এফবিসিসিআই
বেসরকারি বিনিয়োগ এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণের সুবিধার্থে পদক্ষেপের সঙ্গে এইসব ক্ষেত্রে সংস্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও স্থিতিস্থাপক করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার শর্ত তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি। যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেয়ায় জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ, বিশেষ করে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রতি জাপানি সহায়তা এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: পায়ে হেঁটে ১৫ হাজার কি.মি. পাড়ি দিয়ে রোহান এখন হিলিতে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাপানের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জাপান তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং তার দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস: দূতাবাস