দাবি
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ডিএসএ বাতিলের দাবি টিআইবি’র
বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আবারও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সুশীল সমাজের পর্যবেক্ষণ সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সরকারকে গণমাধ্যমকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা সহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সংগঠনটির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মঞ্জুর ই আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের উচিত গণমাধ্যমের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে তারা দেশের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কোনো বাধা ছাড়াই তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসকে মুক্তি দিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন: টিআইবি
তিনি বলেন, দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও অন্যদিকে নির্ভীক সাংবাদিকতাও কমেছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ব্যবহার করে হয়রানি, হামলা ও মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ ‘২০২২ ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স’-এ ১০টি স্থান পিছিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬২তম স্থানে রয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর ২০২৩ সূচক এই সপ্তাহে প্রকাশের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, এটির ফরাসি সংক্ষিপ্ত আরএসএফ (রিপোর্টার্স সানস ফ্রন্টিয়ার্স ) নামেও পরিচিত৷
ইফতেখারুজ্জামান অভিযোগ করেন যে ডিএসএ আইনের অধীনে দায়ের করা প্রতি চারটি মামলার মধ্যে একটিতে সাংবাদিকদের জড়িত করার জন্য দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি যোগ করেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, ন্যায়বিচারের অভাব এবং ডিএস এ’র ভয়ের কারণে সাংবাদিকরা এখন সেলফ সেন্সরশিপে জড়িত।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন সমাধান নয়, অবিলম্বে বাতিল করুন: টিআইবি
অবিলম্বে ডিএসএ বাতিল ও এই আইনের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) ‘কুখ্যাত আইন’ উল্লেখ করে এটিকে বাংলাদেশের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় প্রধান বাধা বলে মনে করে অবিলম্বে তা বাতিল এবং এর অধীনে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করেন, সরকার এই আইনের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে এবং এই পশ্চাদপসরণমূলক আইনকে 'ফ্যাসিবাদী' শাসনকে দীর্ঘায়িত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে কিডনী রোগে আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খাদিজাতুল কুবরার মুক্তি দাবি করা হয়। যিনি ডিএসএ মামলায় গত আট মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন।
এতে বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ বাংলাদেশের (ইউএনবি) বিশেষ প্রতিবেদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে দমনমূলক আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা সকলের মুক্তি দাবি করা হয়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল ২০২৩ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যা সম্প্রতি সংসদে পেশ করা হয়েছে যাতে এটি শিগগিরিই আইনে পরিণত হয়।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করেন, সরকার আইনের বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেয়নি এবং বিল অনুযায়ী সরকার চাইলে যে কোনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান, পেশা ও সেবাকে এ আইনের আওতায় এনে এই সংস্থাগুলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে তা বন্ধ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
'অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা' বিলে ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া যৌথ দর কষাকষির অধিকারও কেড়ে নেয়, তারা যোগ করে যে এটি সরকারের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারেরও একটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মালিকপক্ষের নিপীড়ন, বঞ্চনা ও শোষণ থেকে রক্ষার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন এবং আন্দোলনকে অবৈধ করার একটি হাতিয়ার।
বিএনপি মনে করে, প্রস্তাবিত আইন শুধু শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ ও অধিকার ক্ষুণ্ন করবে না, এটা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জনগণের প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা বিল ২০২৩’ প্রত্যাহারের জোরালো দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দাবি মেনে নিন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকারকে সহিংসতা ও সংঘাত এড়াতে হলে বিরোধী দলগুলোর দাবি মানতে হবে।
শনিবার গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেনে।
গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে উন্নয়ন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এমন মন্তব্যের প্রশংসাও করেন ফখরুল।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার যদি সংঘাত এড়াতে চায় এবং এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে প্রথমেই বিরোধী দলগুলোর দাবি পূরণ করতে হবে। অন্য কথায়, পদত্যাগ করতে হবে, আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে তারা সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে, কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, তাদের দল সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে ২০১৮ সালের নির্বাচনে যোগ দিয়েছিল, কিন্তু তারা ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স থেকে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আটক
বিএনপি নেতা বলেন, দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দল ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসবে না। ‘তাদের (সরকার) বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না। প্রথমে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে এবং তারপর সংলাপের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
জাতীয় আইনসভার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংসদে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্মারক ভাষণের প্রতি প্রতিবেদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় ফখরুল বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে তার তেমন ক্ষমতা নেই। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না।’
তিনি স্মরণ করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাদের দল যখন বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন, তখন রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আমাদের কোনো প্রস্তাবই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তার সেই ক্ষমতা নেই।’
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের ঐতিহ্যগতভাবে লিখিত ভাষণ পড়ে শোনান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলি যে ব্যক্তিগতভাবে আমি একটি জিনিস পছন্দ করি, কারণ তিনি বলেছিলেন যে গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সর্বজনীন নয়। এটা আরেকটি ভালো কথা তিনি বলেছেন, সংঘাত ও প্রতিহিংসার মাধ্যমে কখনও গণতন্ত্র চর্চা করা যায় না। এই শব্দগুলো ভাল।’
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের চর্চা না করে ধ্বংসের চেষ্টা করছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
সহিংসতা এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সুসংহত করার কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সংসদ সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং সেখানে গুরুত্বপূর্ণ জনসমস্যার আলোচনা হয় না। ‘একজন ব্যক্তি সেখানে সর্বেসর্বা। এটি একটি অনির্বাচিত সংসদ।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেট নিয়ে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে: ফখরুল
সাম্প্রতিক বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফখরুল বলেন, সরকার ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সেবা করার উপযোগী নয়। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় তারা অনিয়মে লিপ্ত হয়।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন, সরকারের পদত্যাগসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন জোরদার করার কৌশল নিয়ে তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইন জব্দ, আটক ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক কেজি ৩৭০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় একজনকে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার সকালে উপজেলার দোভাগী গ্রামে এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক আরিফ হোসেন(৪৫) দোভাগী গ্রামের মানারুল ইসলামের ছেলে।
দুপুরে র্যাব-৫ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ রাজশাহীর সদর কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনজয় কুমার সরকারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল শনিবার দোভাগী গ্রামে আরিফ হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। এ সময় এক কেজি ৩৭০ গ্রাম হেরোইনসহ গৃহকর্তা আরিফ হোসেনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে ১০ হাজার ৮০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
বেনাপোলে যাত্রীর পেট থেকে ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
কুড়িগ্রামে সাড়ে ২২ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে একজনের বাড়ির একটি সিন্দুক থেকে ২২ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক যুবককে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রৌমারী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. রকিব হাসান রফিক (৩৪) একই জেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের চর নতুন বন্দর এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সরকারি গমের চালানে বালু-কংক্রিট: চুয়াডাঙ্গায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে রফিকের বসত ঘরের সিন্ধুকের ভেতর থেকে এসব ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রৌমারী থানা পুলিশ ভোর রাতে রৌমারী সদর ইউনিয়নের চর নতুন বন্দর পোর্ট গ্রামের মো. রকিব হাসান রফিকের বাড়ির একটি ঘর ও সিন্দুকের ভেতর থেকে ২২ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।
কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমীন বলেন, গ্রেপ্তার রফিকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে নকল প্রবেশপত্র তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় সুযোগের দাবিতে আন্দোলন, আটক ২
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় সুযোগের দাবিতে আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী দুইজন হলেন- নটরডেম কলেজের আলভী মাহমুদ ও মাইলস্টোন কলেজের মোহাম্মদ সানি।
শনিবার বিকালে আলভী ও সানিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান।
তারা জানান, বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন আলভী মাহমুদ ও মোহাম্মদ সানি। পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের ডেকে নিয়ে গেলেও আটক করা হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে ২৩ মে
মেট্রোরেলের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানোর দাবি আইপিডি’র
মেট্রোরেলকে গণপরিবহন হিসেবে কার্যকর করতে এবং পর্যাপ্ত যাত্রী নিশ্চিত করতে ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। এছাড়া মেট্রোস্টেশনের সঙ্গে বহু মাধ্যমভিত্তিক পরিবহন গড়ে তোলার ব্যাপারে মত দিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আইপিডি আয়োজিত ‘রাজধানীর টেকসই পরিকল্পনায় মেট্রোরেল: প্রেক্ষিত ও করণীয়' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানিয়ে আলোচকরা মতামত পেশ করেন।
আলোচকরা বলেন, ঢাকার যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় মেট্রোরেল এর সংযোজন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যদি সাধারণ গণমানুষের জন্য এটার ভাড়া সাশ্রয়ী এবং মেট্রো স্টেশনে আসা যাওয়ার পথকে সুগম করা হয়। মধ্যবিত্তরাই এই গণপরিবহন বেশি ব্যবহার করবে। ফলে মেট্রোরেলের পর্যাপ্ত যাত্রীসংখ্যা নিশ্চিত করতে মেট্রোরেলের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানো দরকার এবং মেট্রোলাইনকে কেন্দ্র করে বহুমাধ্যমভিত্তিক সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, মেট্রো স্টেশনগুলোর আশেপাশে পথচারী চলাচল, বাস-প্যারা টানজিট-কমিউনিটি ভিত্তিক সার্ভিস, সিএনজি-রিকশা-ব্যক্তিগত গাড়ি প্রভৃতি বাহনগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কিভাবে মেট্রো স্টেশনে আসবে বা স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে সে ব্যাপারে কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে মেট্রোরেলের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
‘আইপিডি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পর্যালোচনা’ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ বছর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হলেও আগামী বছর উত্তরা থেকে আগারগাঁও হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি ছয় লাইনের পুরোটা চালু হয়ে গেলে বিপুলসংখ্যক যাত্রীকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে দ্রুত পরিবহন করা যাবে, যা নগরের পরিবহন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি মেট্রোরেলকে সাধারণ জনগণের পরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে নিম্ন মধ্যবিত্ত, ন্যূনতম আয় শ্রেণি ও ছাত্রদের জন্য ৫০ ভাগ ভাড়ার ব্যবস্থা করা এবং পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়সীদের জন্য বিনা ভাড়ায় মেট্রো পরিবহনের ব্যবস্থা করবার দাবি করা হয় আইপিডি’র পক্ষ থেকে।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে আইপিডি’র পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড.আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের পাশাপাশি মেট্রোরেল ভূমি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে।
মেট্রোরেলের কারণে স্টেশনের আশেপাশের এলাকার ভূমি ব্যবহারের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে, যার আলামত ইতোমধ্যেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও এলাকায় চোখে পড়ছে। মেট্রোরেলের কারণে এই এলাকার ভূমির মূল্য বেড়ে গেছে এবং নতুন নতুন আবাসন প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে। বৈশ্বিকভাবেই এই ধরনের রূপান্তর প্রক্রিয়ায় মেট্রোরেল হওয়ার আগে যে ধরনের এবং যে আয়শ্রেণির লোকেরা এই সকল এলাকায় ইতোপূর্বে বসবাস করত, তারা নতুন ও তুলনামূলক উঁচু আয় শ্রেণির মানুষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, নগর পরিকল্পনার ভাষায় যাকে বলে হয় ‘জেনট্রিফিকেশন’ বা বসবাসকারী জনসংখ্যার শ্রেণি পরিবর্তন। ফলে নগর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় সঠিক নীতি কৌশল প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও যথাযথ উন্নয়ন নজরাদারি প্রয়োজন, যেন এই জেনিট্রিফিকেশন তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং মেট্রোরেলের সুফল সকল আয়-শ্রেণির মানুষ পেতে পারে ও সার্বিক জনকল্যাণ নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি ‘বেটারমেন্ট ফি বা ভূমির উন্নয়ন ফি’ আরোপের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় পুনরুদ্ধার, স্টেশন প্লাজা নির্মাণের মাধ্যমে মেট্রো স্টেশনকে কার্যকর করা, মেট্রো করিডোরের দুই পাশে ‘ইন্টিগ্রেটেড করিডোর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি করা, মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার এর মধ্যে টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ‘ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ তৈরির প্রস্তাব করা হয় আইপিডি’র পক্ষ থেকে।
পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, উপদেষ্টা, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) ও অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বলেন, মেট্রোরেল ঢাকাবাসীকে সুশৃংখল গণপরিবহনের নতুন স্বাদ এনে দিবে। মেট্রোরেলের আশেপাশের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ছোট ছোট প্লট একত্রীকরণ বা ল্যান্ডকনসোলিডেশন করবার উদ্যোগ নেয়া দরকার।
মেট্রোরেল চালু হলে যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ করা, স্টেশন অপরিচ্ছন্ন করা এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য মেট্রোব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: টিকিট কাটা থেকে শুরু করে আসনব্যবস্থা: ঢাকা মেট্রোরেলে প্রথম ভ্রমণের আগে যা জানা দরকার
রাজউক এর নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঢাকার শহরের অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে মেট্রো ব্যবস্থা অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। তবে মেট্রোরেলকে কার্যকর করতে মেট্রোর পাশাপাশি সমন্বিত উপায়ে বাস সার্ভিস চালু করা এবং স্টেশনগুলোতে পর্যাপ্ত পদচারী সুবিধা ও গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ করতে ঢাকার সঙ্গে কাছাকাছি দূরত্বের আঞ্চলিক শহরগুলোর দ্রুতযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলতে হবে। টিওডি ডেভেলপমেন্ট ও স্টেশন প্লাজার কার্যকর উন্নয়ন ও ব্যবহার নিশ্চিত করেমেট্রোরেলের ব্যয় পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম – পরিচালক, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) বলেন, মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার এর মধ্যে ভবনের আকার-আয়তন-ব্যবহার সুনির্দিষ্টকরণ করা দরকার, যেন এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যা, উন্নয়নের মাত্রা এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট এলাকার জন্য টেকসই ও এলাকার ভারবহন ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার প্রভাব বলয়ে বেসরকারি এপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পে বাধ্যতামূলক সাশ্রয়ী আবাসনের মাধ্যমে নিম্নবিত্তদের জন্য আবাসনের সুযোগ বৃদ্ধি করা দরকার।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং মেট্রোরেল সংশ্লিষ্ট ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি) প্রকল্পের পরামর্শক ড. আফসানা হক বলেন, মেট্রোরেলের আশেপাশের ভূমি ব্যবহার এবং স্টেশনপ্লাজাকেন্দ্রিক পরিকল্পনার যে উদ্যোগ এখন নেয়া হচ্ছে, তাকয়েক বছর আগেই শুরু করা প্রয়োজন ছিল। এক্ষেত্রে সন্নিহিত নেইবারহুড বা পাড়া-মহল্লার বৈশিষ্ট্য ও ধরন অনুযায়ী স্টেশনগুলোর ডিজাইনে বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা আনা দরকার।
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মো. রেদওয়ানুর রহমান বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মেট্রোরেল চালাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি দেয়া লাগে। বাংলাদেশে মেট্রোরেলে ভর্তুকীর পরিমাণ কমাতে এবং যাত্রীদের জন্য ভাড়া সহনীয় ও সাশ্রয়ী করতে মেট্রো স্টেশনে বিজ্ঞাপন এলাকা ও বাণিজ্যিক এলাকা সুনির্দিষ্ট করে লিজ দেয়াসহ বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মসূচি নেয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০% কমানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
মেট্রোরেলকে কার্যকর করতে ও ঢাকার টেকসই পরিকল্পনায় আইপিডি’র পক্ষ থেকে নিম্নের আরও কয়েকটি প্রস্তাব দেয়া হয়:
- টিওডি নীতিমালা তৈরি করবার ক্ষেত্রে ‘লো ইমপ্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট’ নীতি অনুসরণ করা যেন নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে ট্রানজিট স্টেশনের আশেপাশে ধরে রাখা যায় এবং জেনট্রিফিকেশন প্রভাব সীমিত মাত্রায় রাখা যায়- মেট্রো করিডোর এ মাঝারি ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করা
- টিওডি ডিজাইন করার সময় সাশ্রয়ী আবাসন ও সামাজিক আবাসনকে অন্তর্ভূক্ত করা
- আরএসটিপি রিভিশন প্রকল্পে ঢাকার জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী, অর্থনৈতিক ও পরিকল্পনাগতভাবে উপযোগিতার নির্মোহ বিচার বিশ্লেষণপূর্বক ঢাকার ভবিষ্যত যোগাযোগ পরিকল্পনার পথনকশা তৈরি করা
- মেট্রো রেল নির্মাণে অন্য দেশের তূলনায় আমাদের ব্যয় কেন কয়েকগুণ বেশি হল, সেটা বিশ্লেষণপূর্বক ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয়ী নীতিমালা গ্রহণ করা
- যোগাযোগ পরিকল্পনায় বিদেশি পরামর্শক নির্ভর প্রকল্প ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প থেকে সরে এসে দেশীয় বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন
- ঢাকার যোগাযোগ পরিকল্পনার সঙ্গে ভূমি ব্যবহার ও নির্মিত এলাকার ভৌত বৃদ্ধি ও ব্যবহারের ধরনকে সমন্বয় করে সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে আন্তঃসংস্থা সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
- টঙ্গী-এয়ারপোর্ট-বনানী-তেজগাঁও-কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ এই রেল করিডোরে কমিউটার সার্ভিস চালু করে বিশালসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করা
- ঢাকার আশেপাশে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো হিসেবে ব্যয়সাশ্রয়ী লাইট র্যাপিড ট্রানজিট (এলআরটি)কে বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ
- বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং ঢাকার পরিবেশগত দূর্যোগপূর্ণ অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ‘ধীরে চলো নীতি’ অনুসরণ ও বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সাহস, আন্তরিকতা, দৃঢ় ইচ্ছা মেট্রোরেল বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প নেয়ার আগে পেশাজীবী, অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মতামত নেয়া
- মেট্রোরেল নির্মাণসহ যেকোন ধরনের যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ঢাকার পরিবেশগত প্রভাব, জনভোগান্তি, ঢাকার ভারবহন ক্ষমতা, নির্মাণ কাজের জনস্বাস্থ্যগত প্রভাব এবং সার্বিক অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও পরিকল্পনাগত উপযোগিতার নির্মোহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকল্প নির্ধারণ করা।
আইপিডি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মো. মিজানুর রহমান, ডেপুটি আরবান প্ল্যানার, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, (ডিটিসিএ); পরিকল্পনাবিদ এটিএম শাহজাহান, সহকারী অধ্যাপক, চটগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; মো. আসাদুজ্জামান, যোগাযোগ ও ভূমি ব্যবহার বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ উত্তরা ও মিরপুর এলাকার নাগরিকরা।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেল: বিশেষায়িত ইউনিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
কালীগঞ্জে স্ত্রী হিসেবে পারিবারিক স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে তরুণী
দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেম পরিণয়ে প্রেমিক যুগলের গোপনে করা বিয়ের পারিবারিক স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে পাঁচদিন ধরে অনশন করছেন জেরিন সীমা সোহেলী (১৯)নামে এক তরুণী।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজগেট এলাকার পলাশ মিয়ার ছেলে নাঈম ইসলাম (২৫)এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও মেয়েটির পরিবার জানায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে নাঈম একই এলাকার কাঞ্চনশ্বর গ্রামের হতদরিদ্র গাড়িচালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে জেরিন সীমা সোহেলীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর সাত মাস আগে লালমনিরহাট নোটারী পাবলিকের এফিডেভিট মূলে গোপনে বিয়ে করেন তারা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বারের মত প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী!
পারিবারিক ও সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে ঘরে তুলতে সোহেলী চাপ দিলে আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপণ করতো থাকেন স্বামী নাঈম। এরই মাঝে বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী নাঈম তার পরিবারের চাপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অবশেষে বাধ্য হয়ে নোটারী পাবলিকের বিয়ের কাগজসহ স্ত্রীর দাবি নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর স্বামী নাঈমের বাড়িতে ওঠেন স্ত্রী জেরিন সীমা।
নাঈমের পরিবারের সদস্যরা এ বিয়ে প্রত্যাখ্যান করে সীমার ওপর মানসিক নির্যাতন করে বাড়ির উঠানে আটকে রাখেন। বাহিরের গেটে তালা দিয়ে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি তারা। সেখানেই স্ত্রীর দাবিতে গত পাঁচদিন ধরে অনশন করছেন সীমা।
জেরিন সীমার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় নাঈম। আমার মেয়ে শুক্রবার থেকে নাঈমের বাড়িতে অনশন করছে। আমি এ ঘটনার সুবিচার কামনা করছি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল বলেন, দুই পরিবারের সঙ্গে কথা হচ্ছে। মেয়েটির দাবিও যৌক্তিক। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুই পরিবারকে নিয়ে আপস করতে চেয়েছেন। তারা চেষ্টাও করছেন। তবে বিষয়টি পুলিশের নজরে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
বিয়ের দাবিতে ছাত্রীর অনশন, ছেলে বলছে ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে সাইবার নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্তির দাবি টেলিযোগমন্ত্রীর
প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের পাঠ্যক্রমে ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়টিকে অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বৃহস্পতিবার বিটিআরসি সম্মেলন কেন্দ্রে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট যুব কর্মশালা ২০২২’- ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এখন যুদ্ধের হাতিয়ার হয়ে গেছে ডিজিটাল ডিভাইস। তাই ডিজিটাল সংযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এছাড়া ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি দরকার। মাথা ব্যথা হলেই মাথা কেটে ফেলবো না। ওষুধ খেতে হবে। সেক্ষেত্রে সচেতনতা প্রধান হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
ডিজিটাল অপরাধের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অপরাধের চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক থানায় একটি সাইবার বা ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট করা দরকার। সেখানে কর্মরতদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কেপিআই’ এর মতো ‘সিআইএ’ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ডিজিটাল রূপান্তরে সমস্যার চেয়ে সুবিধাই বেশি এমন ইঙ্গিত করে মোস্তাফা জব্বার বলেন,‘ই-নথি’ আমাদের দেশে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
এসময় আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, সাবাইর সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (ডিএসএ) পরিচালক তারেক বরকতুল্লাহ,পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি
মজুরি বৃদ্ধি ও সপ্তাহে ছয় কর্মদিবসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে এ দাবিতে তারা এক সমাবেশের আয়োজন করেন।
সমাবেশে তাদের দাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্যরা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও লোকমান হাকিম, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন ও প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমুখ।
বিড়ি শিল্পে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন প্রণয়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
শ্রমিকদের বেঁচে থাকা ও শিল্পটিকে বাঁচানোর জন্য সদস্যরা ২০২২-২৩ বাজেটে বিড়ির ওপর বিদ্যমান শুল্ক হ্রাসের পাশাপাশি ১০ শতাংশ আগাম ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি করেন।
বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা বলেন, বিড়ি শ্রমিকেরা এখনো তাদের অধিকার ও ন্যায্য মজুরির জন্য লড়াই করছেন।
তারা বলেন, ‘বিড়ি শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন সময়ের প্রয়োজন।’
বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিগুলো এদেশের মানুষের ফুসফুস পোড়াচ্ছে। আর কিছু সরকারি কর্মকর্তা তাদের (বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিগুলোর) একচেটিয়া আধিপত্য তৈরিতে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ফেডারেশনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: তেঁতুলতলা খেলার মাঠ: মা-ছেলেকে আটকের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
তামাকপণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি