বিএসএফ
বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট সীমান্তে যুবক নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত লিটন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
লিটন মিয়া আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মো. মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বুধবার(২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, বিএসএফ’র গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন। দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বাংলাদেশির লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় ভারতের জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল সদস্যদের গুলিতে লিটন মিয়া আহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নিয়ে এমজেএম নামক হাসপাতালে ভর্তি করালে বুধবার তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নাটোরে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার, ভাবি আটক
লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। পরে বিএসএফ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
সোমবার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত লিটন মিয়া (১৯) আদিতমারি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, লিটনসহ ৪ জনের একটি দল গরু আনতে দুর্গাপুর সীমান্তের সীমানা পিলার ৯২৩ অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে। অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে ভারতের ৭৫ বিএসএফ রারথার ক্যাম্পের টহলদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসলেও লিটন মিয়ার পায়ে গুলি লাগে। আহত লিটনকে বিএসএফ সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানান লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ।
আরও পড়ুন: নওগাঁর নিতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত
বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে মিছিল ও সমাবেশ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে 'প্রতীকী লাশ' নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে মিছিলটি উপজেলা পরিষদ মোড় থেকে শুরু হয়ে পাটগ্রাম উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২২ জন: বিএইচআরসি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নেন- সাদিকুল ইসলাম ও নুরুন্নবী মিয়া, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এনইউ আহমেদ, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সৌরভ হোসেন বেলাল ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আরিফ হোসেন।
শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশে হানিফ বাংলাদেশি অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে বহু বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে।
তাছাড়া মিয়ানমার ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নির্যাতনের পর বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারের মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
কেন চোরাকারবারিদের হত্যা করে ধরা হচ্ছে না এবং বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পর দেশগুলো গরু চোরাকারবারি হিসেবে চালিয়ে দেয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফে প্রতীকী লাশ নিয়ে প্রথম শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলায় এ ধরনের শোভাযাত্রা করার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আরসা কমান্ডার গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার ইছামতি নদী থেকে বিএসএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরার ইছামতী নদী থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার হাড়দ্দহা দক্ষিণপাড়াসংলগ্ন ইছামতী নদী চর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ভুট্টা খেতে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
মারা যাওয়া ওই বিএসএফ সদস্যের নাম মোহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দীন। তিনি ইছামতি নদীর বালুচরে ৮৫ ভারতীয় সোবাহাম বিএসএফ ক্যাম্পের সিপাহী ছিলেন।
সাতক্ষীরার নীলডুমুর বিজিবি’র (১৭) আওতাধীন শাখরা বিওপির ইনচার্জ নায়েক সুবেদার আনিসুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ইছামতীতে টহল দেওয়ার সময় আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে বিএসএফের একটি নৌকা ডুবে যায়। টহলে থাকা অন্য তিন সদস্য সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বিএসএফসদস্য মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন নদীতে ডুবে মারা যান।
তিনি জানান, পরে শুক্রবার লাশটি পাওয়া গেলে পরে বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে লাশ উদ্ধার করে বিএসএফস দস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় একদিনের ব্যবধানে ২ লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে মহানন্দা নদীতে মাছ ধরার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফএর গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে জেলার ভোলাহাট উপজেলার পোল্লাডাঙ্গা সীমান্তে মহানন্দা নদীতে মাছ ধরার সময় এই ঘটনা ঘটে।
আহত জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার গোহালবাড়ি ইউনিয়নের কলোনিপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস আলমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পোল্লাডাঙ্গা সীমান্তে মহানন্দা নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরছিল জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার ডান হাতে গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, জাহাঙ্গীরকে ডান হাতের কুনইয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের ধাক্কায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত: চালক-হেলপার-সুপারভাইজার গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, উপজেলার পোল্লাডাঙ্গা সীমান্তে ২০১ নম্বর সীমান্ত এলাকায় আজ ভোর সাড়ে ৪টার মহানন্দা নদীতে মাছ ধরার এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর ভারতীয় সীমানায় চলে গেলে ভারতের মনষামাথা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে সে আহত হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ২ পুলিশ আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গোরপোতা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে ঘটনাটি ঘটে। নিহত রফিউল ইসলাম টুকলু (৩৩) দহগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে ভারত-বাংলাদেশের ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল সীমান্তের ডিএমপি ১ নম্বর প্রধান পিলারের ১ নম্বর উপ-পিলারের কাছ দিয়ে প্রসাধনী সামগ্রী পারাপারের চেষ্টা করতে থাকে। এ সময় ভারতের ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অর্জুন কোম্পানি সদরের উমর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের দেখে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দহগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে রফিউল ইসলাম টুকলু গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
বিএসএফের সদস্যরা টুকলুর লাশ সীমান্ত হতে ভোরেই ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। পরে বিএসএফের সহায়তায় সকাল ১১টায় কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ তাদের হেফাজতে নেয়।
দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নিহতের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘টুকলুদের বাড়ি সীমান্তের কাছেই। তাদের বাড়িতে গিয়েছি। পরিবার বলছে চিনি আনতে গিয়েছিল। এ সময় বিএসএফের গুলিতে তার (টুকলুর) মৃত্যু হয়েছে।’
বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান বলেন, ‘ভারতের ১ থেকে দেড়শ গজ অভ্যন্তরে বাংলাদেশি যুবক টুকুলু নিহত হয়। তার লাশ বিএসএফের উমর কোম্পানি সদরে বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের জন্য কথা বলেছি। তারা (বিএসএফ) জানিয়েছে- ময়নাতদন্ত করে লাশ ফেরত দেবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
গত ২২ জানুয়ারি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর এবং ভারতের গাঙ্গুলিয়া সীমান্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
দুইদিন পর বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের(৩৫) লাশ গ্রহণ করে যশোর ৪৯-বিজিবির কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নে নেওয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাঠানো হবে।
নিহত রইস উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বিজিবি
বিজিবি জানায়, যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্তে সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আনার সময় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া দিলে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীন ঘনকুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়। এ সময় বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে যশোর ৪৯-ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নে নেয়া হবে। পরে গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে দু’দেশের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে তারা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়। এ সময় বিএসএফ দল তাদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন।
ঘটনার পরদির রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যান।
ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফের কাছে চিঠি দিলেও বিএসএফ তাতে সারা না দেওয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
এদিকে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ৮২ পিলারের কাছে কৃষ্ণনগর থানার ওসি বিপেন সরকার লাশ হস্তান্তর করলে আমি দর্শনা থানা ওসি হিসেবে লাশ দুটি গ্রহণ করি। সন্ধ্যার পর লাশ তাদের পরিবারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এর এডি মো. হায়দার ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেস নারায়ন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
মহান বিজয় দিবসেও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দৈইখাওয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার সময় উপজেলার দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গরু পারাপারের সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: অবরোধ: রাজধানীর গুলিস্তানে বাসে আগুন
গুলিবিদ্ধরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া সীমান্ত গ্রামের আজিম বাজার এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, একই উপজেলার গেন্দিকুরি এলাকার বাসিন্দা শ্রী সুজন এবং গেন্দুকুরি বিলুপ্ত সিটমহল এলাকার আসির উদ্দিনের ছেলে হাকিম মিয়া।
দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক মো. সুবেদার বশির উল্লাহ জানান, দৈখাওয়া সীমান্তে মেইন সীমান্ত পিলার ৯০১ থেকে প্রায় ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বান্নিগড়ায় ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোর সাড়ে ৪টায় ১৪-১৫ জন বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে বাংলাদেশে গরু পারাপার করছিল।
তিনি আরও বলেন, এসময় ভারতের বড়মরিচা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৫-৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দুইজনের পায়ে ও একজনের হাতে গুলি লাগে।
এসময় অন্যান্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পায়ে গুলি লাগা আহত দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অপরজন অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসাধীন বলে তিনি জানান।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, 'সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহতের খবর শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলিস্তানে আজ সকাল থেকে ২টি বাসে আগুন
রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্ত থেকে খালেক মাহমুদ (১৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিএসএফ।
খালেক উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের টংভাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে খালেকসহ কয়েকজন যুবক বাড়াইপাড়া সীমান্ত এলাকায় যায়। এসময় ভারতের নিলাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে বাকিরা পালিয়ে যেতে পারলেও খালেককে আটক করে বিএসএফ। কী কারণে তাকে বিএসএফ আটক করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে সীমান্তে সতর্কতা বাড়াবে বিজিবি-বিএসএফ
এ বিষয়ে খালেকের বাবা রমজান আলী বলেন, আমার ছেলে কেন, কার সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় গেছে আমি জানি না। শুনেছি আমার ছেলেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। পরে গরু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছি যে তাকে রাত ১২টায় ভারতের মাথা ভাঙ্গা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে বিএসএফ।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের মানসিক সমস্যা আছে। মাঝে মাঝে সে মানসিক সমস্যায় পড়ে কী করে না করে সে নিজেও জানে না। আমার ছেলে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনে খালেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিংগীমারী বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ নাসির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি-৬১ তিস্তা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে