বিএসএফ
ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশিদের বাড়িতে বিএসএফ’র হামলার অভিযোগ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশিদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর কুটিচন্দ্রখানা নাখারজান গ্রামে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিএসএফ সদস্যরা টানা হেচড়া করে বাড়ির মালিকসহ আরও তিন জনকে লাঞ্ছিত করেছে। এ নিয়ে বিজিবি বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে চোরাকারবারীদের ধাওয়া করতে গিয়ে ভুলবশত বাংলাদেশে রাতের অন্ধকারে প্রবেশ করেছেন বলে বিজিবিকে তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
স্থানীয় জায়দুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীমান্তে আন্তর্জাতিক ৯৪১ নং মেইন পিলারের সন্নিকটে দু’দেশের মাদক চোরাকারবারীরা মালামাল পার করার সময় ভারতীয় ১৯২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন সেউটি-২ ছাবরী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করে। মাদক চোরাকারবারীরা তাদের ধাওয়া খেয়ে বাংলাদেশের নাখারজান গ্রামে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের পিছু নেন। পরে ওই গ্রামের নিরহ রফিকুল ইসলাম বাড়িতে সন্দেহ করে গেট খোলার জন্য চাপ দেয় বিএসএফের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
হামলার শিকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিএসএফকে বলেছি মাদক চোরাকারবারীরা আমার বাড়িতে প্রবেশ করেনি। তারপর আমার ঘরের বেড়ার টিন গেট ভাঙচুর করেছে। পরিবারের সদস্যকে লাঞ্ছিত করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তারা দ্রুত ভারতে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম তৌহিদুল আলম জানান, ভুলবশত বিএসএফ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আমরা প্রতিবাদ জানানোর কারণে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা ভুল স্বীকার করেছেন। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে তারা জানিয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কাউনিয়ার চর গ্রামের ১০৫৪ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সহিবর রহমান (৪০) একই ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের এরাজ আলীর ছেলে। তিনি কাউনিয়রচরে শশুর বাড়িতে থাকতেন।
কুড়িগ্রাম-৩৫ বিজিবি’র জামালপুর জিএস শাখা’র (আইসি) হাবিলদার সহকারি মুকিত জানান, রাত ১২টার সময় ৩-৪ রাউন্ড গুলির শব্দ পেয়ে দাঁতভাঙ্গা বিজিবি টহলদল সেখানে যায়। কিন্ত তারা সেখানে কাউকে দেখতে পায়নি। পরে স্থানীয় লোকজন জানায় সহিবর রহমান নামে এক ব্যক্তি সীমান্তে গেছে। রাত ১টার দিকে সহিবর রহমান মারা গেছে খবরটি স্থানীয়রা জানালে বিষয়টি রৌমারী থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে এখনো গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, মাঝরাতে গরু পারাপারের সময় ভারতীয় দ্বীপচর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে সহিবর রহমান নামে স্থানীয় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তার লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে।
দাঁতভাঙ্গা বিওপি’র কমান্ডার জয়েন উদ্দিন জানান, সহিবর রহমান নামে একজনকে তার বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়ার খবর শুনে পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছির বিল্লাহ জানান, ধারণা করা হচ্ছে বিএসএফের গুলিতে সহিবর রহমান নিহত হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠনো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
গুলিতে নিহত দুই যুবকের লাশ ৪ দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ
গুলিতে নিহত দুই যুবকের লাশ ৪ দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ
লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের লাশ চারদিনেও ফেরত দেয়া হয়নি।
লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় নিহত ইউনুস আলীর বাবা বুলবুল মিয়া, মা রাবেয়া বেগম, স্ত্রী আন্জু বেগম ও বোন বুলি খাতুন চার দিন ধরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে যাচ্ছে। কিন্তু কবে বা কখন তারা লাশ ফেরত পাবেন এ নিয়ে কিছুই বলছেন না বিজিবি, এমন অভিযোগ তাদের।
এদিকে লাশ ফেরতের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা বন্দরের আমাদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন।
এর আগে গত রোববার ভোররাতে ওই উপজেলার বুড়িমারী বান্ধেরমাথা সীমান্তের ৮৪৩ নং মেইন পিলারের কাছে বিএসএফ’র গুলিতে সাগর ও ইউনুছ নামে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ওই সীমান্ত দিয়ে রোববার ভোরে ভারতীয় গরু পারাপার করতে যায় বাংলাদেশি কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহলদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। সাগর এবং ইউনুস গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিএসএফ তাদের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। চার দিন অতিবাহিত হলেও বুধবার বিকাল পর্যন্ত লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
নিহত ইউনুসের বাবা বুলবুল মিয়া বলেন, আমার ছেলে যত বড়ই অপরাধী হোক তার লাশ পাওয়ার অধিকার তো আমাদের আছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের চার দিনেও আমি আমার ছেলের লাশ পাচ্ছি না।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ইউনুসের বোন বুলি খাতুন বলেন, চার দিন ধরে বিজিবি’র কাছে যাচ্ছি। তারা আমাদের কিছুই বলছে না। আমার কোনো কথাই শুনছে না।
বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘লাশ ফেতর নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার পর বোঝা যাবে কবে বা কখন লাশ ফেরত পাওয়া যাবে। লাশ ফেরত পেলে আমরা তাদের পরিবারকে দিয়ে দেবো।’
আরও পড়ুন: শেরপুরে ‘বিএসএফের গুলিতে’ বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৯ আগস্ট) সকালে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব পিলার এলাকার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় গ্রামের বুলবুল হোসেনের ছেলে ইউনুস আলী (২৯) ও নীলফামারী জেলার জলঢাকা এলাকার সাগর (২৬)।
৬১ বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজনের একটি দল সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে গরু আনতে যান। সেখান থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ থানার চ্যাংড়াবান্ধা এলাকার ১৪৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে সাগর ও ইউনুস গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ভারতীয় সীমান্তবাসী মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ছবি তুলে বাংলাদেশি সীমান্তবাসীদের পাঠালে নিহতদের পরিচয় জানা যায়।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ভারতের দুইশ’ গজ অভ্যন্তরে দুই বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে বলে সীমান্তবাসীর মাধ্যমে জেনেছি।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা তিনবিঘা করিডোর গেটে দুই বাংলাদেশি যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকালে জয়নাল আবেদিন (৩২) ও আল মামুন (৪০) নামে দুই বাংলাদেশি যুবক করিডোর গেট দিয়ে ভুলবশত ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে গেলে তাদের রাইফেল দিয়ে মারধর করে ভারতীয় ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের তিনবিঘা ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ ঘটনার জের ধরে বিজিবি এবং বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের কারণে প্রায় ২ ঘণ্টা তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, তিনবিঘা করিডোরের ভিতরে দুই বাংলাদেশি যুবক ভুলবশত ভারতের অভ্যান্তরে ঢুকে পরে। এ সময় ভারতীয় ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের তিনবিঘা ক্যাম্পের সদস্যরা ওই দুই যুবককে রাইফেল দিয়ে মারধর করে। বিএসএফ’র নির্যাতনে আহত ওই দুই যুবক স্থানীয় বিজিবি’র কাছে অভিযোগ করেন। বিজিবি’র সদস্যরা তাৎক্ষণিক এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। পরে তিনবিঘা গেট সম্মুক্ষে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকে। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র দুজন কোম্পানী কমান্ডার বাংলাদেশিকে মারধরের ঘটনায় বিজিবি’র কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
৫১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। বৈঠকে বাংলাদেশি দুই যুবককে মারধরের ঘটনায় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশসহ এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএসএফের ধাওয়ায় নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার
বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বিএসএফ কর্তৃক ভারতীয় ট্রাক চালকদের হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় পেট্রাপোল বন্দরে কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। ফলে সৃষ্টি হয়ে়ছে ভয়াবহ যানজট।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় ট্রাক চালকররা যখন পণ্য নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরের দিকে আসে তখন ভারতের জয়ন্তিপুর বিএসএফ ক্যাম্পর সদস্যরা তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করে থাকে।
বিএসএফের এ ধরনের হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পন্য রপ্তানি করবে না বলে জানিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। যার অধিকাংশই শিল্প কল কারখানাসহ শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতে সমস্যার সমাধান হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল দিয়ে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দেশে পৌঁছেছে
ফুলবাড়ি সীমান্তে আটক ৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্ত থেকে আটক পাঁচ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শনিবার এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে আটক ওই নারী ও শিশুদের হস্তান্তর করা হয়। ভারতের ইটভাটায় কাজ করে বাড়ি ফেরার সময় সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে তাদের আটক করে বিএসএফ।
আটকদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে বিনা পাসপোর্টে দেশে আসার অপরাধে মামলা করে থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। আর দুই শিশুকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটক ওই তিন জনকে রবিবার জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার কামালপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আবুল কালাম (২৫), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২২) ও তার ছেলে শাহজালাল (০৫), একই উপজেলার জকারহাট আমতলা গ্রামের ওমেদ আলীর স্ত্রী নুর জাহান বেগম (৩৫), তার ছেলে নুর ইসাম (০৭)।
আরও পড়ুন: ভারত সীমান্তে সীমান্তরক্ষীদের মিষ্টি এবং ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
আটকের স্বজন বেলাল হোসেন জানান ,দালালদের মাধ্যমে তারা সীমান্ত পার হয়ে ভারতের দিল্লিতে ইটভাটার কাজে যুক্ত হয়। সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ শেষে দালালদের মাধ্যমে কয়েক দিন ধরে দেশে ফেরার জন্য সীমান্তের কাছে অবস্থান করছিলেন । তারা পার হওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় ভারতীয় ধাপড়াহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের হাতে আটক হয়।
শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক ৯৪২নং মেইন পিলারের কাছে উভয়ের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে ভারতের ধাপড়াহাট ১৯২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের ইন্সপেক্টর বিবেক মিলা পাঁচ বাংলাদেশিকে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রমজান আলীর কাছে হস্তান্তর করে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, পাঁচ বাংলাদেশিদের মধ্যে দুই শিশুকে অভিভাবকদের জিম্মায় দেয়া হয়। অপর তিন জনকে রবিবার কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে চার ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সুভল চন্দ্র (৩৪) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিসতলী সীমান্তের মেইন পিলার ৯২০ এর সাব পিলার ৮ এর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় লাশ আটকে রেখে টাকা দাবি, মর্গের সামনে বাবার আহাজারি
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, সুভল চন্দ্র ভেলাবাড়ী দুলালী সীমান্ত দিয়ে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দলের সঙ্গে ভারতের হিজলতলা গ্রাম দিয়ে গরু আনতে যান। ভোরে সবাই মিলে গরু নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করলে বিএসএফ ৭৫ ব্যাটালিয়নের রানীনগর ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় সবাই পালিয়ে আসে। তবে ঘটনাস্থলে সুভল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার রজব আলী বলেন, ঘটনার পর থেকে বিএসএফ বাংলাদেশ থেকে চার গজ দূরে ভারতের ভেতরে লাশটি ঘিরে রেখেছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল আলম বলেন, সীমান্তের তিনশ’ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি লাশ পড়ে রয়েছে বলে জেনেছি।বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদসহ পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পাটখেতে নারীর গলাকাটা লাশ, ধর্ষণের অভিযোগ
বিএসএফের ধাওয়ায় নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের লাশ ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত যুবক সোহেল মিয়া (২৮) উপজেলার আসামপাড়া আর্দশগ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুনঃ ভোগাই নদীতে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে ভারতীয় সীমান্তের রংহংকং এলাকায় সোহেলের লাশ ভেসে উঠে।জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান ও এলাকাবাসী জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় সোহেল বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ ছিল।
আরও পড়ুনঃ বংশী নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধারউল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই বুধবার গরুর সন্ধান করতে শ্রীপুর সীমান্তে ভারতের কাছাকাছি চলে যায় সোহেল। বিএসএফ সোহেলকে দেখে ধাওয়া করে। তখন সোহেল আত্মরক্ষার জন্য পানিতে ঝাঁপ দেয়। আর তখন থেকে সোহেল নিখোঁজ ছিল।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোহেলের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় বিজিবিও ছিল।
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রিফাত হোসেন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরনগর কানিরবাড়ী সীমান্তের ৮৬২ নম্বর মেইন পিলারে এ ঘটনা ঘটে।
রিফাত হোসেন উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের মুন্সিরহাট নাজিরগোমানী এলাকার ইসলাম হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকবে আরও ১৪ দিন
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরনগর কানিরবাড়ী সীমান্তের ৮৬২ নম্বর মেইন পিলারে সীমান্ত রেখা এলাকায় ৭-৮ জন গরু চোরাকারবারি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে রিফাত হোসেন নিহত হন। রিফাতের মরদেহ বিএসএফ ও মাথাভাঙা থানা পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জগতবেড় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহ আলম রিফাত হোসেনের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, নিহত রিফাতের গলায় ও মাথার পেছনে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফ'র বাধায় সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ
এ বিষয়ে রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানি কমান্ডার বেলাল হোসেন বলেন, ‘মরদেহ ফেরত নিয়ে আসার জন্য কোচ বিহার ১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করা হবে। সেখানে প্রতিবাদ জানানো হবে।’