জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর শেখ সাদিক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, জয়পুরহাট সদর থানায় গত ২৯ অক্টোবরের দায়েরকৃত একটি নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ওই মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অবরোধ: সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির জানান, র্যাব সদস্যরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর থানায় সোপর্দ (হস্তান্তর) করে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট চারটি নাশকতার মামলা রয়েছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে জানতে চাইলে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত পঞ্চম দফা ৪৮ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে সোমবার একটি মিছিল বের করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ওই মিছিলে যাওয়ার সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিএনপির প্রথম মিছিল
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিনের অবরোধ চলছে
জয়পুরহাটে ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
জয়পুরহাটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ছাওয়ালপাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে জনি আহমেদ ও পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আসলাম হোসেনের ছেলে ছামিউল।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২
জনি আহমেদ দুর্গাদহ বাজারের ভাদসা এলাকা মোটরসাইকেল মেরামতের ওয়ার্কশপে কাজ করতেন।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে দজানান, জনি ওয়ার্কশপের দোকানে ফিরছিলেন। আর ছামিউল মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে দুটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন জনি ও ছামিউল।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ছামিউলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছামিউল মারা যান।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
বাগেরহাটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পাঁচবিবির ভোলা মণ্ডল হত্যা মামলার ২০ বছর পর ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
এ রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ জন আসামির মধ্যে একজন পলাতক ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- আব্দুল মান্নান, সানোয়ার হোসেন শাহাজ হোসেন ওরফে ইদা, রমজান আলী, ফারুক হোসেন, দুলু মিয়া, শাহাজাহান আলী, সফিকুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব , আনোয়ার হোসেন, আব্দুল খালেক, আনিসুর ওরফে আনিসুর রহমান, দেলোয়ার, রিয়াজ ওরফে রিয়াজ উদ্দিন মণ্ডল ওরফে রেয়াজ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
এদের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা ও কুয়াতপুর এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা হাকিমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে ভোলা মণ্ডল টাকার বিনিময়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে দিতেন। গত ২০০৩ সালে ৫ জুলাই ভোলা তার চালক মির শহিদকে নিয়ে মাঠে জমি চাষ করতে যান। সেদিন রাতে আরও জমি চাষ করতে হবে বাসায় জানালে, তার অপর তিন ভাই খাবার নিয়ে মাঠে যান। এসময় পাওয়ার টিলার চালাতে দিয়ে ভোলা খাবার খাওয়ার পর চার ভাই পাশের ভিটার উপর বিছানা বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
সে রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। আসামিদের মারধরে ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ভোলা গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই দোলা মণ্ডল বাদি হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে ৮ বছরের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বাবা নজরুল ইসলাম লিটনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলার রাজনগর আদর্শগ্রামের নিজাম উদ্দীনের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সকালে নজরুল ইসলাম লিটন তার ৮ বছরের ছেলে রানাকে কাজ করতে বললে সে অপারগতা স্বীকার করে। এসময় লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এরপর রানাকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করালে তার অবস্থা আরও অবনতি হয়। এরপর ১৩ নভেম্বর তাকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বুলি আরা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পারিবারিক কলহের জের ধরে আব্দুল আলীম নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় দুই ভাইসহ ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার কড়ই-কাদিরপুর গ্রামের আমিনুর ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস ও আব্দুল হান্নান, আনোয়ার, দুদু এবং ঘুটু আলম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৭ মার্চ সদর উপজেলার হিচমী ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীম (৬২) রাতে পার্শ্ববর্তী কড়ই কাদিরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মৌলভীর পুকুর পাহারা দিতে যান। পরদিন সকালে পুকুর পাড়ের পাশে ধানখেতের ভেতরে হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসলেমা বেগম ২০০৯ সালের ৮মার্চ বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক খলিল তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের সালের ২২ জুলাই আদালতে ছয়জনের নামে অভিযোগপত্র দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে একই শাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত স্ত্রী পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী ডলি বেগম, মৃত নিগমা উড়াওয়ের ছেলে সুরেন উড়াও, ধলু মণ্ডলের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এবং দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফিরাজ উদ্দীনের ছেলে কাফা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার মঠপাড়া গ্রামের ফয়েজের ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ডলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবুল হোসেন তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। সেসময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল।
অন্যদিকে, ডলি মামলার তিন আসামির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই অবৈধ সম্পর্ক দেখে পরিকল্পনা মোতাবেক ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আসামীরা শ্বাসরোধে আবুলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরের দিন তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় (২৯ সেপ্টেম্বর) নিহতের বাবা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলার পর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে একই শাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক শাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আলাদীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরের জেল পুলিশের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- স্বামী দিনমজুর সোহেল মন্ডল (৪২) ও তার স্ত্রী পারুল বিবি (৩৭)। তাদের বাড়ি ওই একই গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত পারুল বিবি তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর বাবার বাড়িতে একাই থাকতেন। এ সময় একই গ্রামের বিবাহিত সোহেল রানার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
একপর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন। পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে আয়শা সিদ্দিকা নামে স্থানীয় একজন ওই বাড়িতে দুধ দিতে গেলে ঘরের মধ্যে বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় শাড়ি প্যাঁচানো স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ওই গ্রামে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। তবে পূর্ণ তদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিয়ের ১ দিন পর বরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে পাথর ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল উপজেলার আলম খাঁ হত্যা মামলায় শাহিন নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপোষের নামে আসামিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও সেই তথ্য আদালতে গোপন করার দায়ে মামলার বাদি আনজুয়ারাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিন ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে। আর আনজুয়ারা একই গ্রামের আলম খাঁর স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের আলম খাঁর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেন শাহিন। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে আলমকে বাড়ি থেকে ডেকে শাহিন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য আসামিদের মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ধানখেতে পড়ে ট্রলির হেলপার নিহত হয়েছেন এবং এতে ট্রলির চালক আহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কৃষ্ণকোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিঠুন হোসেন দয়াল (২৯) আক্কেলপুর উপজেলার নওজোর গ্রামের বাবু হোসেনের ছেলে। আহত হাসান নিহতের ভাই।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে জেলার আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর থেকে ট্রলিতে ইট নিয়ে রায়কালীর দিকে যাচ্ছিলেন মিঠুন ও তার ভাই হাসান। মিঠুন ট্রলির হেলপার এবং তার বড়ভাই হাসান গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
পথে কৃষ্ণকোলা এলাকায় ট্রলিটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের ধানখেতে পড়ে গেলে তারা দুজন গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মিঠুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
জয়পুরহাটে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ২৯ যাত্রী আহত
জয়পুরহাটের সদর উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে নারী ও শিশুসহ বাসের ২৯জন যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (আজ) ভোরে উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের গতন শহর এলাকার পাঁচবিবি-জয়পুরহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত যাত্রীদের সকলেই পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার যাত্রী বলে জানা গেছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটি শেষে ‘আনাছ পরিবহন’ নামের যাত্রীবাহী বাসটি পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে জয়পুরহাট সদর উপজেলার গতন শহর এলাকায় এসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপরে উল্টে গেলে এর ২৯জন যাত্রী আহত হন।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুর্ঘটনায় এখনও কারো মৃত্যু হয়নি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
জয়পুরহাটের ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দাদা ও নাতির মৃত্যু
জয়পুরহাটে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪