ধর্ষণের অভিযোগ
৯৯৯ এ কল: অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার
বাগেরহাট সদরে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল পেয়ে একই দিন বিকালে ফকিরহাট উপজেলার গণ সোমপুর বাঁশবাড়ি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মাহামুদুল হাসান (২৩) একই গ্রামের বজলুর ছেলে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯’এ কল: রাস্তায় ফেলে যাওয়া নবজাতক উদ্ধার
সোমবার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফকিরহাট থানার উপপরিদর্শ (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, খুলনায় স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামীর ফোন পেয়ে বাগেরহাট থেকে শুক্রবার রাতে রওনা দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এই সময় তাকে একা পেয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক সুযোগ বুঝে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে ধর্ষণ করে। এ ধরনের অভিযোগ জানিয়ে ওই নারী রবিবার বিকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।
তিনি জানান তিনি দু’দিন আগে অর্থাৎ শুক্রবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এবং স্বামীও অসুস্থ থাকায়, সেই সঙ্গে লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এই ঘটনা কাউকে জানান নি। পরে স্বামীকে ঘটনাটি জানালে স্বামীর পরামর্শে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন এবং এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর সঙ্গে ৯৯৯’এ কথা বলিয়ে দেন।
আারও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: রাজধানীতে বন্ধ ঘরে আটকে পড়া শিশু উদ্ধার
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল কে এম মাহফুজুর তাৎক্ষণিকভাবে বাগেরহাট সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। এরপর সদর থানার চুলকাঠি তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের একটি দল ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্য এবং বর্ণনা অনুযায়ী অটোরিকশা চালক মাহামুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
পরে অভিযুক্তকে ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং এ সংক্রান্তে উক্ত থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
নড়াইলে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নড়াইলের কালিয়ায় চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মোস্তফা শেখ (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত মোস্তফা শেখকে গ্রেপ্তার করে কালিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার মোস্তফা শেখ উপজেলার শীতলবাটি গ্রামের মৃত নূরুল শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুটিকে শীতলবাটি সুইস গেটের পাশের একটি দোকান থেকে খাবার কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোস্তফা শেখ খাল পাড়ের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে পড়ে থাকা একটি ইট দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এক নারী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত মোস্তফা শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণের বার আত্মসাতের অভিযোগে ৩ পুলিশ গ্রেপ্তার
তিনি আরও জনান, এই ঘটনায় শিশুটির বাবা বৃহস্পতিবার কালিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি জানান, মোস্তফা শেখকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার নড়াইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীতে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালীতে পুলিশের মেসে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল (মুন্সি) সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে নোয়াখালী জেলার সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে তার টাকা পয়সার সংকট দেখা দিলে তার পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সাথে দেখা করে।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ৫ দালাল গ্রেপ্তার
তিনি জানান, এক পর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভুক্তভোগীকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এসময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ওই তরেুণীকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী তরুণী পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় যুবক গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
তিনি জানান, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ১১ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) উপজেলায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, শনিবার বিকালে উপজেলার দিনমজুরের ওই মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু কন্যা বাড়ির পাশে বসে খেলা করছিল। এসময় আবু তালেব নামে প্রতিবেশি এক ব্যক্তি শিশুটিকে পাশের মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার মাকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করে। বিয়টি আঁচ করতে পেরে তারা স্থানীয় গ্রাম প্রধানদের পরামর্শে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করে।
ওসি আরও জানান, আসামি পালাতক থাকায় তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরে এনজিওকর্মী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
জেলার গোবিন্দগঞ্জে এক নারী রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহারুল ইসলাম নামের এক পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গন্ধববাড়ী গ্রামের এক নারী অসুস্থ জনিত কারণে বালুয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক শাহারুলের চেম্বারে আসে। এ সময় কেউ না থাকার সুযোগে পল্লী চিকিৎসক শাহারুল চেম্বারের দরজা বন্ধ জোরপূর্বক ওই নারী রোগীকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: কবরের কঙ্কাল চুরি করতে গিয়ে গাজীপুরে যুবক আটক
ওই রোগী চেম্বার থেকে বের হয়ে বিষয়টি আশেপাশের লোকজনকে জানালে উপস্থিত লোকজন ওই চিকিৎসকের চেম্বার ঘেরাও করে চিকিৎসককে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল চেম্বার থেকে শাহারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তাজুল ইসলাম জানান, রাতেই ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে পল্লী চিকিসক শাহারুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইলে মামলা দায়ের করেছেন।
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে নড়াইলে পালিত পিতা কারাগারে
নড়াইলে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পালিত পিতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটক লিজন খন্দকার (৪০) বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার সাধুখালী গ্রামে।
পুলিশকে ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, তার মা স্বপ্না বেগম আগের স্বামী ইউনুস শেখের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে লিজন খন্দকারকে বিয়ে করে একসাথে বসবাস করে। সেই সুবাদে লিজান তার পালিত মেয়েকে প্রায়ই ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। সর্বশেষ গত ২৫ মে তাকে (ওই কিশোরীকে) তার পালিত পিতা ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হাত-পা বেঁধে ৯ বছরের শিশু ‘ধর্ষণ’, আটক ১
এ ব্যাপরে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী নড়াইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার নং-৪১, তাং-৩১/০৫/২১। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভেযোগে আটক ২
আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ ও ফোনে ধর্ষণের ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওমর ফারুক সোহান (২২) আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলায়।
ওই কিশোরীর মা ওমর ফারুককে একমাত্র আসামি করে বুধবার বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, ধর্ষক গ্রেপ্তার
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওমর ফারুক বেশ কিছুদিন ধরে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে তার সাথে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে গত ২ জানুয়ারি সকাল পৌনে ৯টায় নিজের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ফারুক।
এ সময় ছবি তুলে রাখে ফারুক। ওই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তিনি আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি আর সাড়া না দেয়ায় ওমর ফারুক তার মুঠোফোনে থাকা আপত্তিকর ছবি এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। পরে মেয়েটির মা বাদী হয়ে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ধারায় ওমর ফারুককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে শিশু ও রংপুরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
ওমর ফারুক পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার মা জানান, যে তারিখের কথা বলা হচ্ছে ওই সময় তিনি চট্টগ্রামে তার স্বামীর কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে জানতে পেরেছেন, ওই তরুণী তার বাড়িতে মাঝে মধ্যে এসে থাকত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন জানান, ওই তরুণীর ২২ ধারায় জবানবন্দি ও মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে `সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগ
পটুয়াখালী বাউফল উপজেলায় ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি তিন সন্তানের জননী।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত ৯টার দিকে ইউপি সদস্য নিলুফা বেগমের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে তিন ব্যক্তি ওই নারীর মুখ চেপে ধরে নির্জন বিলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে ওই গৃহবরধূকে বিলের মধ্যে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার দুলাল সিকদার ও নিলুফা বেগম ওই গৃহবধূকে থানায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এছাড়াও আইনানুগ সহায়তার জন্য থানায় যেতে বলেছি।’
বাউফল থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) আল মামুন বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দেশের ধর্ষণ পরিস্থিতি
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস্) সম্প্রতি জানিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত হওয়া বছরে সারাদেশে ১২ জন গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ২০২০ সালে মোট ৪৪ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনকে হত্যা এবং ১২ জনের রহস্যজনক মৃত্য, ধর্ষণের শিকার ১২ জন, শারীরিক আঘাত ও নিপীড়নের শিকার ১২ জন এবং নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চারজন আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
এদিকে করোনাকালে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও শিশুদের জনসমাগমের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০’ শিরোনামে এ চিত্র তুলে ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদের আধেয় বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন এমজেএফের শিশু সুরক্ষা বিভাগের সমন্বয়ক রাফেজা শাহীন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
পাঁচটি জাতীয় বাংলা দৈনিক এবং তিনটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদ পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত বছর ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনাকালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২৬ শিশু এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩৭ শিশুকে।
মাগুরায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
মাগুরার শালিখা উপজেলায় সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিলেটে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ থানার এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।