টিকা
করোনায় আরও ২৩ মৃত্যু, শনাক্ত ২.৭২ শতাংশ
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৬১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯৪ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫২ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৪৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭০৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২০ হাজার ২৯৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমকি ৪৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩৪৩ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৮ লাখ আট হাজার ৮৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ২৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ তিন হাজার ২৭৮ জন।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ১৫২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৬ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে সোমবার পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৭০২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৭ জনে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা
অরাজকতা সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন: ওবায়দুল কাদের
খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ফুল ও ব্যানার টানিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্নাতকোত্তর ও স্নাতক শেষ বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে এক ডোজ করোনার টিকা নেয়ার প্রমাণপত্র ও বৈধ কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে হলে উঠতে পারবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রফুল্ল মনে লাইনে দাঁড়িয়ে এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে হলে প্রবেশ করেন। এছাড়া হলের ভেতরে প্রাধ্যক্ষরা তাদের এক জায়গায় জড়ো হওয়া থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা
বাংলাদেশকে আরও ২৫ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা উপহার হিসেবে প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নাগরিকদের উপহার স্বরূপ এই টিকা হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার।
মঙ্গলবার রাজধানীর সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার ও ইউএসএইড’র মিশন পরিচালক ক্যাথরিন স্টিভেন্স স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাশার খুরশীদ আলমের কাছে এ টিকা হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা আসছে
এ সময় মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশকে জীবন রক্ষাকারী ২৫ লাখ ফাইজার টিকা দিতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র খুশি এবং জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। কোভ্যাক্স সুবিধায় সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত। এর মাধ্যমে ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ ও টিকাদান নিরাপদ ও কার্যকর করতে যথাযথ অবকাঠামো নিশ্চিত করা হবে।’
এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তারা ইপিআইয়ের করোনার টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম এবং মহামারিতে সরকারের সাড়া প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত দেশটি নিরাপদ ও কার্যকরভাবে টিকাদান করতে ও বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ছয় হাজারের বেশি সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে প্রথম দফায় এক লাখ ৬২০ ডোজ ও দ্বিতীয় দফায় ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ এবং তৃতীয় দফায় আরও ২৫ লাখ ডোজসহ ফাইজারের মোট ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।
আরও পড়ুন: ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে কাজ করছে ফাইজারের টিকা!
দেশে করোনায় আরও ১৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৯
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে তাদের প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রত্যাবাসনে দেরি হওয়ায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরে ক্রমবর্ধমান হতাশায় গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেছেন, জরুরি পদক্ষেপ এখন সময়ের প্রয়োজন।
সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত তৃতীয় কমিটির সাধারণ বিতর্কে তার বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ভয়াবহ অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্রুত উদ্যোগ চান শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের টিকা নিশ্চিত করাসহ মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে তবে এই দীর্ঘ সংকটের চূড়ান্ত সমাধান তাদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের মধ্যে নিহিত আছে।’
কূটনীতিক আরও বলেন, আমরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এই কমিটির বার্ষিক রেজুলেশনে ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কাজ করব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশ
বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা এ বছর তৃতীয় কমিটিতে বাংলাদেশের মূল অগ্রাধিকারগুলিও তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন,‘রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান ছাড়াও, বাংলাদেশের প্রধান অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে রয়েছে ভ্যাকসিন সমতা নিশ্চিত করা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা করা, শিক্ষাসহ শিশুদের সকল অধিকার নিশ্চিত করা, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ রক্ষা করা এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক স্তরে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা।’
এসময় রাষ্ট্রদূত সমাজে মহামারির অসম প্রভাবের উপর আলোকপাত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারের জন্য বৃহত্তর সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
৯ অক্টোবর খুলছে ইবির হল
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে খুলছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল। সোমবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমরা ৯ অক্টোবর সকাল ১০ টা থেকে শিক্ষার্থীদের হলে উঠাবো। শুধু আবাসিক কার্ডধারী ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। আপাতত গণরুম থাকছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সুবিধাসমূহও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২ নভেম্বর
সভায় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে প্রো-ভিসি ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্যরা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১ টায় আবাসিক হলগুলো খোলা ও ক্লাস যথারীতি চালু করার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২১ তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ভিসি হলগুলো পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের হল খুলছে ২২ অক্টোবর
এর আগে গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সাথে আবাসিক হলগুলো খোলার আগে এক প্রস্ততিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে তোলা, হলে কোনভাবেই গণরুম না রাখা, যাদের শিক্ষা জীবন শেষ তারা কোনভাবেই যেন হলে থাকতে না পারে ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থী নিশ্চিত করে হলে তোলার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া হল খোলার আগে ও পরে সার্বক্ষণিক হলে প্রভোস্টসহ হাউস টিউটরদের অবস্থানের ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৭ অক্টোবর
সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই শহীদ বুদ্ধিজীবী ডক্টর মুহাম্মদ মুর্তজা মেডিকেল সেন্টারকে একটি অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্যাম্পেইনটি উদ্বোধন করা হবে এবং ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিন দিয়ে টিকা কার্যক্রম চালানো হবে।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি
টিকা কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য টিকা প্রার্থীদের অবশ্যই তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা বিশ্ববিদ্যালয় আইডি সঙ্গে আনতে হবে।
দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম ১৯ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
যারা ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অধীনে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন তারা যদি কোন ডোজ সেখানে নিয়ে থাকেন তবে তারা এখানে পরবর্তী ডোজ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৫ অক্টোবর খুলবে ঢাবির আবাসিক হল
তবে যারা অন্য কোন ভ্যাকসিন সেন্টারে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের অবশ্যই সেই সেন্টারে টিকা নিতে হবে।
ডিএসসিসি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে ইতোমধ্যে যে শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে তারা এসএমএস পাওয়ার পর অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে একই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।
করোনা মহামারির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ সালের ৩০ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাস্টার্স এবং অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ৫ অক্টোবর আবাসিক হলগুলি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের তথ্য দেয়ার আহ্বান
১২ বছরের অধিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
সারাদেশে নয়, শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২ বছরের অধিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার বিকেলে চাঁদপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এ মুহূর্তে ক্লাসে নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। যাদের বয়স ১২ বছরের অধিক, তাদেরকে একটি টিকা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। সেটিও যে কোনো জায়গায় দেয়া যাবে না। সেক্ষেত্রেও কিছু কারিগরি সহায়তার বিষয় রয়েছে। হয়তো শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষার্থীদের সেই টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা কখন, কীভাবে দেয়া শুরু করতে পারব, তা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে কথাবার্তা চলছে।’
আরও পড়ুন: নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাজন আর থাকছে না: শিক্ষামন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা আসছে শনিবার
জার্মানি থেকে আগামীকাল শনিবার ৭ লাখ ৯০ হাজার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে আসবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাতার এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইট টিকার ডোজ নিয়ে শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৬৬ লাখেরও বেশি টিকা প্রদান
ঢাকায় পৌঁছেছে ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা
করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে
দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ৮৪৭ জন। নতুন মৃত্যুসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৭ হাজার ৫৩১ জনে। আর এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৮ জনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর জানিয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনের মৃত্যু এবং ৮৬০ জন শনাক্ত হয়েছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৬৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসময় শনাক্তের হার ৩.৪৩ শতাংশ। দেশে মৃত্যুর হার ১.৭৭ শতাংশ। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৯০১ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৯ জন, রাজশাহীতে একজন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন,বরিশাল ও সিলেটে একজন করে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ৪৭ লাখ ৮১ হাজার ছাড়াল
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ১৫৯ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৭ লাখ ৮১ হাজার ৮৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৮৩২ জন।
অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৭৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৩৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৮ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪৮ হাজার ৩৭২ জনে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৬৬ লাখেরও বেশি টিকা প্রদান
দেশব্যাপী একযোগে গণ টিকাদান কর্মসূচি পালিত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
আগামী ১৮ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১৫তম (জরুরি) সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসহ সার্বিক অন্যান্য প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরে ১ অক্টোবর থেকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
সভা শেষে সিন্ডিকেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। এদিন থেকে মাস্টার্স ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এবং ২৬ অক্টোবর থেকে অন্যান্য বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে হলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
তিনি বলেন, হলে ওঠার আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, টিকা গ্রহণের সনদ/রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি স্ব স্ব হলে জমা দিতে হবে।