টিকা
দেশে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ শুরু
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাজধানীসহ সারাদেশের সীমিত পরিসরে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শামসুল হক বলেন, শুরুতে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএস ছাড়া কাউকে টিকা দেয়া হবে না। এসএমএস পাওয়া ব্যক্তিরা কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ সহায়ক হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে নিরাপদ ও কার্যকর টিকার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে: জাপান
জাপান বলেছে, বাংলাদেশে নিরাপদ ও কার্যকর টিকার ‘ন্যায্য ও ব্যাপক’ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে। বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন,‘আমি আবারও বলতে চাই, জাপান করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশকে প্রায় ১৫ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার জাপান বাংলাদেশকে আরও সাত লাখ চার হাজার ১০ ডোজ টিকা দিয়েছে।
এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জুলাই ও আগস্ট মাসে জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৩০ লাখেরও বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহ করে। সে সময় জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অপেক্ষায় ছিল।
এখনও বাংলাদেশি নাগরিকদের অনেকের টিকা প্রয়োজন; এই বিষয়টি বিবেচনা করে এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আলোকে, জাপান সরকার বাংলাদেশের জনগণকে আরও ১৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কানাডা থেকে এলো ২২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা
বাংলাদেশকে আরও ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান
কোভ্যাক্সের আওতায় ১২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেলো বাংলাদেশ
কানাডা থেকে এলো ২২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা
কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় কানাডা থেকে করোনার অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২২ লাখ ডোজ টিকার একটি চালান রবিবার বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোইট প্রিফন্টেইন বলেন, ‘কানাডার প্রতিশ্রুতি হলো এই মহামারি শেষ করতে জীবন রক্ষাকারী এই টিকা সর্বত্র সব মানুষের জন্য নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, টিকা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য
বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু রবিবার
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ট্রায়াল হিসেবে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে এবং পরবর্তীতে বয়স্কদের দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো.মঈনুল আহসান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে খুব বড় করে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হবে না। যেকোন টিকার ক্ষেত্রেই আমরা শুরুতে সতর্কতামূলকভাবে কিছু জনগোষ্ঠীকে দিয়ে শুরু করি। এরপর কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর বড় আকারে শুরু করি। বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে কোভিড বুস্টার ডোজ
মঈনুল আহসান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যারা সক্ষম, তাদের দিয়ে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করবো। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা অবশ্যই বয়স্কদের আনবো। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে কোমরবিড কন্ডিশন আমরা বিবেচনায় রাখব।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামীকাল থেকে দেশে করোনার বুস্টার ডোজ শুরু হবে। উনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এটি নিয়ে কাজ করছিলাম।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্ব ও সম্মুখ যোদ্ধাদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সুপারিশ
প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে বুষ্টার ডোজ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি আছে। প্রাথমিক ভাবে খুব সীমিত আকারে এটা শুরু করা হবে। তবে, সীমিত পর্যায়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে ব্যাপক আকারে শুরু হয়ে যাবে। আমরা আশা করি টিকার যে সরবরাহ রয়েছে, এতে কোনো ঘাটতি হবে না।
ঢাকা সিভিল সার্জন বলেন, বুস্টার ডোজের ঘোষণা তিনটা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। একটি হলো সক্ষমতা এবং আমাদের টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ। আমরা প্রথমে একটি ডোজ দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, এরপর আমরা সরবরাহ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কাজ করেছি। এখন আমাদের সরবরাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে বলে তাই সরকার বুস্টার ডোজ দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা বয়স্ক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারীর যোদ্ধা আছেন, তাদেরকে মন্ত্রীর নির্দেশনা মতো কাল থেকে দেয়া শুরু করব।
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে কোভিড বুস্টার ডোজ
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কোভিড বুস্টার ডোজ কতটা কার্যকর প্রভাব রাখতে পারে তা বিশ্লষণ করে যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলেছেন, করোনার নতুন এ ধরন থেকে সৃষ্ট গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে বুস্টার ডোজ প্রায় ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, টিকা করোনার আগের ধরনের বিরুদ্ধে যে সুরক্ষা দিয়েছে এ এ ধরনে কিছুটা কম দেবে।
আর এ তথ্য এমন সময়ে জানা গেলো যে দিন, বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে রেকর্ড ৮ লাখ ৬১ হাজার ৩০৬ জনকে করোনার বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। করোনার ওমিক্রন ধরন নিয়ে সীমিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর
গবেষকরা বলছেন, দ্রুত সংক্রমক করোনার এ নতুন ধরন সম্পর্কে আরও বাস্তব তথ্য জানা না পর্যন্ত উচ্চ মাত্রার অনিশ্চিয়তা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষণায় ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কিছুটা কমবে। এমনকি বুস্টার ডোজ দিয়েও ওমিক্রন থেকে সৃষ্ট গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫.৯ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যাবে। যা করোনার ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে ছিল প্রায় ৯৭ শতাংশ।
ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষক অধ্যাপক আজরা গনি বলেন, করোনার ওমিক্রন ধরন থেকে সৃষ্ট রোগ আগের ধরন থেকে সৃষ্ট রোগের তুলনায় কতটা গুরুতর হবে সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদিও এটি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে সম্ভাব্য প্রভাব কীভাবে প্রশমিত করা হবে সে বিষয়ে সরকারকে এখনই পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু যুক্তরাজ্যে
যুক্তরাজ্য ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউয়ের মুখোমুখি: বরিস জনসন
বাংলাদেশকে আরও ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান
জাপানে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সাত লাখ চার হাজার ১০ ডোজের একটি চালান আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর জাপান বাংলাদেশকে সাত লাখ ৮৮ হাজার ২০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দেয়।
শুক্রবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আমরা আগামী সপ্তাহে আরও সাত লাখ চার হাজার ১০ ডোজ করোনা টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে জাপান বাংলাদেশকে প্রায় ১৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা উপহার দিলো।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে দেয়া। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই টিকা সহায়তা করোনার বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য
ইতো নাওকি বলেন, জাপান আশা প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশে নিরাপদ ও কার্যকর টিকার ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত এবং ব্যাপক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে। আমি আবারও বলতে চাই যে করোনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং করোনা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় গত জুলাই ও আগস্ট মাসে জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৩০ লাখেরও বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের আওতায় ১২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে সাড়ে ৫ লাখ ডোজ অ্যাস্টাজেনেকা টিকা দিল মালয়েশিয়া
বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য। সোমবার বিকালে যুক্তরাজ্য থেকে এই টিকার প্রথম চালান দেশে এসেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন,‘যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৪ মিলিয়ন আর্থাৎ ৪০ লাখ ডোজ আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ অতিমারির কারণে কঠিন সময় পার করেছে। এই অতিমারি থেকে আরও উত্তম, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধবভাবে উত্তরণে আমরা উভয়ই এক সঙ্গে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
করোনাভাইরাস অতিমারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রস্তুতে সহায়তা করার জন্য ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বব্যাপী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অর্ধ বিলিয়নের বেশি ডোজ অলাভজনক মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে, যার দুই-তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে যাচ্ছে।
২০২০ সালে কোভ্যাক্স প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু করে যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে মোট ৫৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করে। এই কোভ্যাক্স স্কিমটি ৮৩ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশসহ ১৩৭টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ১৫২ মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করেছে। প্রাথমিক ভ্যাকসিনের শতকরা ৬৫ ভাগ ডোজ অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। কোভ্যাক্সের লক্ষ্য ২০২২ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এক দশমিক আট বিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশ কার্যকর
প্রসঙ্গত, এই বছর জি-৭ এ যুক্তরাজ্য জুন ২০২২ এর মধ্যে বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ডোজ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশকে প্রদানকৃত এই ভ্যাকসিন অনুদানটি জি-৭ সম্মেলনের প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপ এসেছে। যুক্তরাজ্যের অনুদানের ভ্যাকসিন ডোজগুলির শতকরা ৮০ ভাগ কোভ্যাক্স সুবিধার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
কোভ্যাক্সের আওতায় ১২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেলো বাংলাদেশ
কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বাংলাদেশকে করোনার অ্যাস্ট্রেজেনেকা টিকার ১২ লাখের বেশি ডোজ অনুদান হিসেবে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে। রবিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানে তিন দেশের রাষ্ট্রদূত প্রতীকীভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ টিকা হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এ টিকা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ বিবৃতিতে সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতরা বৈশ্বিক মহামারিতে কার্যকর বহুপাক্ষিক সাড়াদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং নিরাপদ ও কার্যকর করোনার টিকায় দ্রুত সমান প্রবেশাধিকারের জন্য তাদের দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
দেশ তিনটি ‘অ্যাক্সেস টু কোভিড-১৯ টুলস অ্যাক্সিলারেটর’ উদ্যোগে তাদের সংযুক্ততা বজায় রেখে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং কোভ্যাক্স সুবিধায় টিকা দান করেছে।
মহামারির শুরুর পর থেকে তারা বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনের উদ্যোগে দ্বিপাক্ষিকভাবে অবদান রেখেছে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রত্যন্ত সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে করোনার অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ১২ লাখের বেশি ডোজ বরাদ্দ ও বিতরণের জন্য কোভ্যাক্স এর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূতরা।
সুইডেন পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ২০০ ডোজ, সুইজারল্যান্ড চার লাখ ৪৬ হাজার ডোজ ও নরওয়ে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ ডোজ টিকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের কাছে টিকার চালান ও হস্তান্তরের আয়োজনের জন্য ইউনিসেফকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূতরা।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোভ্যাক্সের ওপর নির্ভর রোহিঙ্গাদের টিকাদান
বাংলাদেশকে সাড়ে ৫ লাখ ডোজ অ্যাস্টাজেনেকা টিকা দিল মালয়েশিয়া
করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংহতি ও সমর্থনের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকারাখা পাঁচ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি ডোজ দিয়েছে মালয়েশিয়া।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মো. হাশিম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে কিছু প্রতীকী টিকার ডোজ হস্তান্তর করেন।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়া হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার হাশিম বাংলাদেশ সরকারকে পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উপহার দেন। এ সময় তিনি এই উপহারকে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ, উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন।
মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার আরও জানান, মালয়েশিয়া সরকারের টিকা দেয়ার দেশের তালিকা সীমিত থাকা সত্ত্বেও, টিকা উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ নাগরিককে প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্য ভারতের
কোভিড-১৯: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ নাগরিককে প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্য ভারতের
‘হার ঘর দাস্তাক’ প্রকল্পের আওতায় দেশের শতভাগ নাগরিককে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত একডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
রবিবার এএনআই এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে দেশটির প্রাপ্তবয়সী নাগরিকের অর্ধেককে দুই ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
এক টুইটে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুক মানদাভিয়া লিখেছেন, অভিনন্দন ভারত। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয় যে আমাদের অর্ধেক প্রাপ্তবয়সী নাগরিক সম্পূর্ণ ডোজ টিকা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১
আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, চন্ডীগড়, দাদরা নগর হাভেলী এবং দামান দিউ, গোয়া, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, কেরালা, লাদাখ, মধ্যপ্রদেশ উত্তরাখণ্ড ও ত্রিপুরার ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছে।
কর্ণাটকের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক কমিশনার ড. রণদীপ বলেছেন, আমরা সম্ভবত দ্বিতীয় ডোজ টিকা কভারেজের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছি৷ আমরা আশা করি এই মাসের শেষের দিকে আমাদের অন্তত ৭৫ শতাংশ নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে পারব। আর মোট নাগরিকের ৯৫ শতাংশকে টিকা দিতে আরও অন্তত ৪৫-৬০ দিন সময় লাগবে।
গত সপ্তাহে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ‘হার ঘর দস্তক’ প্রচারাভিযানের বিষয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাথে একটি বৈঠক করেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির শতভাগ নাগরিককে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্মরণে ঢাকায় মৈত্রী সপ্তাহ উদযাপন
ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত