অপরাধ
বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রণয়নের চেষ্টা হচ্ছে। এই আইনের খসড়া পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে শিগগিরই সংসদে প্রেরণ করা হবে। এই আইন প্রণীত হলে মানুষ অনেক কষ্ট থেকে বাঁচবে এবং ভূমি খাতে আসবে পরিচ্ছন্নতা।
শনিবার চট্টগ্রামের জিমনেশিয়াম হলে ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এক ভূমি বিষয়ক জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, এনডিসি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় সরকারের একটি কর্মসম্পাদনকারী দক্ষ মন্ত্রণালয়। জনগণকে সেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের শতভাগ সফল ব্যবহারকারী এই মন্ত্রণালয়। আমাদের মৌলিক সেবাগুলোর প্রায় সবগুলো টেকসই করে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর শতভাগ ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের মাধ্যমে গত ৪৩ দিনে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা, যা বছরে দুই হাজার কোটি টাকা হবে বলে আমরা আশা করছি।
আরও পড়ুন: ওয়ান স্টপ সার্ভিস শিল্প স্থাপনে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত জটিলতা দূর করবে: ভূমিমন্ত্রী
একই সঙ্গে চলমান ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত জমির মালিকদের দুর্দশা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিমন্ত্রী এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে স্মার্ট ভূমিসেবার ওপর একটি সচিত্র উপস্থাপনা করেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ভূমিমন্ত্রী প্রত্যাশী সংস্থার অনুকূলে অধিগৃহীত জমির খতিয়ান ও ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণ চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভূমি সেবা গ্রহীতা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের ভূমি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন অংশীজনসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ মে থেকে শুরু হওয়া ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৩ রবিবার ২৮ মে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'সাংবাদিকরা সমাজের অনুন্মোচিত বিষয় তুলে আনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে মেলাবেন না।'
দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে একটি ১০ বছরের ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সারাবিশ্বে যে সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেগুলোরও পরিপন্থী।'
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'এখানে স্পষ্টত জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লংঘিত হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এ সব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর অনুরোধ জানাই। তবে কারও কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।'
মন্ত্রী বলেন, 'দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সরকারের সমালোচনা করে প্রায় প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রচার হয়। এ নিয়ে কোনো মামলা তো দূরের কথা, কোনোদিন কাউকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নও করা হয়নি। অথচ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পত্রিকা থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাদের সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বলে তাদেরকে উস্কানি দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এই অসত্য অপপ্রচার আসলে দেশবিরোধিতা।'
ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল সভায় শুভেচছা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সহসভাপতি দীপু সারোয়ারসহ বর্তমান ও অতীত নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএফপি’র সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়তে পারে অপরাধ, উগ্রপন্থা: এআরএসপিএইচ
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল ঘাটতির কারণে তার সাধারণ খাদ্য সহায়তা ভাউচারের মূল্য প্রতিমাসে ১২ থেকে কমিয়ে ১০ মার্কিন ডলার করার সাম্প্রতিক ঘোষণার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ভিত্তিক আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস(এআরএসপিএইচ)।
তারা বলেছে, ‘শিবিরে বসবাসকারী শরণার্থী হিসাবে, আমরা প্রথম থেকে জানি যে প্রতি মাসে ১২ মার্কিন ডলারেও বেঁচে থাকা কতটা কঠিন, এবং এই হ্রাস আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর ইতোমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতির বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার এআরএসপিএইচ-এর ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুর রহিমের সই করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, আমরা কীভাবে প্রতি মাসে ১০ ডলারে বেঁচে থাকব তা বোঝা কঠিন, যখন প্রতি মাসে ১২ ডলার দিয়েও মানুষ চাহিদা পূরণে লড়াই করছে।
খাদ্য সহায়তা হ্রাসের ফলে চাঁদাবাজি, পতিতাবৃত্তি, মানব পাচার, মাদক পাচার এবং মৌলবাদীকরণসহ অনেকগুলো নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে ‘আমাদের জনগণের হতাশা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে এই কার্যকলাপগুলো আমাদের সম্প্রদায়ের সবচেয়ে দুর্বল সদস্যদেরকে বড় ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: দূতরা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা দেখে অভিভূত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দলটি রেশনের পরিমাণ না কাটা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘এটা অগ্রহণযোগ্য যে আমরা, উদ্বাস্তু হিসাবে, অর্থায়নের ঘাটতির বোঝা বহন করতে বাধ্য হচ্ছি যা আমাদের তৈরি নয়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে সহায়তা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে।’
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তারা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার কাছে ঘাটতি পূরণের জন্য তহবিলের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে যে ‘রোহিঙ্গা সংকটে তাদের অবদান বাড়াতে আমরা দাতা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই। আমাদের জীবন এটির ওপর নির্ভর করে এবং আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের দুর্দশা থেকে চোখ না ফেরানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে সহায়তা করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানাকে (৮৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অপরদিকে র্যাব-৩ ঢাকা এর এএসপি মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের দিক নির্দেশনায় র্যাব-৩ এর সিনিয়র এএসপি অভিজিত দাসকে নিয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদারীপুরের একটি কওমী মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
নেত্রকোণার পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, মজিদ মাওলানাসহ পূর্বধলা উপজেলার সাত আসামি ১৯৭১ সালের দুপুর ১টায় রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যা করে তার মৃতদেহ কংস নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলা করেন শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের। ওই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছিলেন আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানা।
একাত্তরে মজিদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, নির্যাতন, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ ছিল। মজিদ মাওলানা মুক্তিযুদ্ধের সময় নেজামে ইসলামীর নেতা হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে চিন্তিত নয় পুলিশ। তবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের নামে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন,‘রাজনৈতিক কর্মসূচি পুলিশের মাথাব্যথা নয়। আমাদের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। মিটিং বা মিছিল করা দলগুলোর রাজনৈতিক অধিকার।’
সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন। গত ২৯ অক্টোবর কমিশনার দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই ছিল প্রথম অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ঈদগাহে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছু আনবেন না: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ গাড়ি ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করলে বা সড়ক অবরোধ করলে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
ডিএমপি প্রধান আরও বলেন, যতদিন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনও ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত না হবে,ততদিন পুলিশ সহযোগিতা করবে।
ঢাকা মহানগরীর যানজট প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন,পরিকল্পিতভাবে ঢাকার উন্নয়ন হয়নি এবং রাজধানীতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে, যা যানজটের কারণ।
তিনি বলেন,আমরা যানজট কমাতে কাজ করছি।
এছাড়া সড়কে অবৈধ পার্কিং রোধে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুধু সরবরাহ কমিয়ে এটা বন্ধ করা যাবে না,চাহিদাও কমতে হবে।
নতুন পুলিশ কমিশনার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং দরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কিশোর গ্যাংদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কাজ করতে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
শনিবার রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং দিবস-২০২২ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তরুণদের হাতে কোনও কাজ ছিল না। সেই সুযোগে কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,এই ধরনের কিশোর গ্যাংয়ের কর্মকাণ্ড সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা দরকার।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ হচ্ছে সমাজে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা। অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ফলে সমাজে বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং অনেক কমে গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ মোকাবিলায় কমিউনিটি পুলিশিং করা উচিত
তিনি বলেন,‘অবৈধ মাদকের মতো কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো আছে...মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের আরও কিছু করতে হবে।’
দেশে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় তারা সফল হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান... সেই সময়ে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য দেখেছি।’
তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষ যেখান থাকে সেখানে কিছুই অসম্ভব নয়’।
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য এ.এম.এস. আরেফিন সিদ্দিক, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আখতার ও মিরপুর মডেল পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি দেওয়ান আবদুল মান্নান।
আরও পড়ুন: বাস মালিকদের ধর্মঘট কেন তা আমাদের জানার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাগুরায় শিশুর লাশ উদ্ধার
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় তিন বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত হিরা খাতুন উপজেলার হিরু মোল্যার মেয়ে।
আরও পড়ুন: ছোটমনি নিবাসে বালিশচাপা দিয়ে শিশু হত্যা, আয়া আটক
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. কলিমুল্লাহ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেথুলিয়া গ্রামের বাড়ির পাশে হিরার বাবা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
বাবার সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জের ধরে শিশুটিকে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত,আটক ৪
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহম্মদপুর থানার ওসি।
সাইবার অপরাধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম একটি বড় সমস্যা, এর কোনো শেষ নেই। সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিত অনেক কিছু যেমন সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ এখানে বিস্তার লাভ করে এবং অন্যান্য নানা বিষয়ও ঘটে। সেটা মাথায় রেখে, (সাইবার) নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করতে হবে যে সাইবার অপরাধ সমাজ, ব্যক্তিগত জীবন থেকে পারিবারিক জীবন ও দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বকে কাছাকাছি এনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ভালো ও মন্দ উভয় দিকই রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেন তাদের বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানতে হবে।
তিনি দেশের নিরাপত্তা ডিজিটালভাবে নিশ্চিত করার সর্বোত্তম সম্ভাব্য উপায়গুলো খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘এই বৈঠকটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্ব একটি অত্যন্ত সংকটময় সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এর প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়ছে। তাই আপনারা সুচিন্তিত মতামত দিন, যাতে আমরা দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি এবং দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কী করতে পারে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং অন্যদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।
বৈঠকে জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শুধু অপরাধ নয়, শাস্তির কথাও বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
কোনো ধর্মের পরিপন্থী কোনো ঘটনাকে বড় করে না দেখাতে, বরং সরকারের নেয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে সকলকে নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো এলাকায় (দেশের) ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাকে বড় করে দেখাবেন না, বরং সেই ঘটনার বিরুদ্ধে সরকারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করব।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটিতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ‘ফেসবুকে অসম্মানজনক স্ট্যাটাস’, যুবক আটক
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হিন্দুসহ সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাইব এবং আশা করি আপনারা সহযোগিতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সর্বদা দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বা ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে এবং তা বজায় রেখে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আবারও সুস্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কাউকে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু (অপমানজনক) কাউকে বলতে দেয়া হবে না। এটি যে কোনও ধর্মের জন্য প্রযোজ্য’।
তিনি বলেন, ধর্ম মানেই বিশ্বাস। ‘আল্লাহ বা স্রষ্টার প্রতি মানুষের বিশ্বাস, সেই বিশ্বাস নিয়েই চলতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলাম একটি অত্যন্ত মুক্ত ও উদার ধর্ম এবং ইসলামে অন্য সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ রয়েছে।
সূরা কাফিরুনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে বলা হয়েছে যে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে এবং সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। ‘আমরা এটি আমাদের হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি’।
আরও পড়ুন: লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধাপরাধী গিয়াস উদ্দিন খান আর নেই
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি মো. গিয়াস উদ্দিন খান (৮০) মারা গেছেন। সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত গিয়াস উদ্দিন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার মাইসুদ্দিন গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুত ঢাকা মেডিকেল হাসাপাতাল: উপাচার্য
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সুত্রে জানা গেছে, এই বন্দিকে ২০১৯ সালের ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা আদালত থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
গিয়াস উদ্দিনের ব্লাড পেশার লো হওয়ার কারণে কারা কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালের সহকারী সার্জনের পরামর্শে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢামেক হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পুনরায় ফেরত আনা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৯ টায় বন্দির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পুনরায় জরুরি ভিত্তিতে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেখানে সোমবার সকাল ১০ টায় তিনি মারা যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত্যুর কারণ হিসাবে বন্দির নিম্ন রক্তচাপ উল্লেখ করা হয়েছে।
বাচ্চু মিয়া জানান, পোস্ট মর্টেম শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা মেডিকেলে কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেলে হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা মেশিন দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী