অপরাধ
তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানীতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের পাশে দোয়ানী এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মালেক (৪২) গড্ডিমারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দোয়ানী এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।
আরও পড়ুন:শাহরাস্তিতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
লালমনিরহাট সিনিয়ন সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকার জানান, আব্দুল মালেক বাড়ির সামনে একটু অন্ধকারে একা বসেছিলেন। এ সময় পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে আব্দুল মালেকের পরিবারের সাথে কথা বলে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
মাগুরায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাগুরা সদর উপজেলায় ৪০ বছর বয়সী এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পাশের বাড়ির ফরিদ মোল্লা (৪০) ওষুধ আনার কথা বলে শিশুটিকে নিজের বাড়ির একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ব্যক্তি এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। পরে শুক্রবার শিশুটি তার মা-বাবাকে ওই ঘটনাটি জানায়।
আরও পড়ুন: ১১ দিন আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, শুক্রবার ওই ছাত্রীকে তার বাবা মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
ওসি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার তিন, ৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
দেশে অভিন্ন ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সাজার চর্চা নিশ্চিতে একটি সাজা প্রদান নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এই রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির রিট আবেদনকারী। রিটে গত বছরের ১ ডিসেম্বর যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাদণ্ড সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ে সাজাপ্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনার প্রসঙ্গ রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিটি আইনের মামলায় বিএনপিপন্থি ১১ আইনজীবীর আগাম জামিন
রিটে বলা হয়, নির্দেশিকার অনুপস্থিতিতে বিস্তৃত এখতিয়ারের কারণে বিচারককে অনিশ্চিত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ সাজা প্রদানে পরিচালিত করে, যা সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। রিটে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের নীতিমালা রয়েছে। এটি নিশ্চিত হলে অপরাধের গুরুত্ব ও গভীরতা অনুসারে সাজা প্রদানের বিষয়টি নীতিমালায় ওঠে আসবে।
শাহরাস্তিতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের আহাম্মদ নগর ছোটপোদ্দার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নওরোজ আফরিন প্রিয়া (২১) ওই এলাকার প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের একমাত্র মেয়ে ও কুমিল্লার হৃদয় চৌধুরীর স্ত্রী। অহনা নামে তাদের দুই বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নিহতের মা রুমি আক্তার বলেন, ‘প্রিয়ার মেয়ে আহনা অসুস্থ। তার জন্য ওষুধ আনতে পাশের বাড়িতে স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে যাই। সেখান থেকে ফিরে এসে দেখি আমার মা নেই। পুরো রুমে রক্ত আর রক্ত। পড়ে আছে তার নিথর দেহটা।’
তিনি বলেন, ‘কে বা কারা এঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই। এতো বড় শত্রু আছে বলে জানি না।’
নিহতের ভাই পরশ জানান, ওই সময় আমি বাসায় ছিলাম না। কি হয়েছে আমি জানি না। আপুকে কুমিল্লায় বিয়ে দেয়া হয়েছে। দুলাভাই হৃদয় চৌধুরী আমাদের এখানে পাঁচ দিন বেড়ানোর পর আপুকে রেখে কুমিল্লায় চলে যান।
আরও পড়ুন: ‘ডাব পড়ায় কাজ না হওয়ায়’ নারীকে কুপিয়ে হত্যা
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘প্রিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, তদন্ত চলমান। এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’
সেই মা মারা গেলেন
ছেলের বাড়ি থেকে বের হয়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী মায়ের কাছে না আসলেও অবশেষে নিথর দেহ নিতে আসলেন সিলেট নগরের সেই ধনাঢ্য ছেলে।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ (এসওএমসি) হাসপাতালের মর্গ থেকে বৃদ্ধা শুকুরা বেগমের (৭৫) লাশ গ্রহণ করেন ছেলে সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী। নিহত শুকুরা বেগম কানাইঘাট উপজেলার চাপনগর এলাকার মৃত জোয়াহিদ আলীর স্ত্রী।এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এসওএমসি হাসপাতালে ভর্তি হন শুকুরা বেগম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে মারা যান তিনি। পরে ময়না তদন্ত শেষে বুধবার তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, গুলিবিদ্ধ ৫
আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুকুরা বেগম অভিযোগ করেছিলেন, ছেলে সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী তাকে নগরীর জালালাবাদ এলাকার বাসা থেকে রাতের আঁধারে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাকে এক কক্ষে বন্দি করে রাখা হয়। তাই তিনি আর ছেলের বাসায় ফিরতে চান না।তবে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুকুরা বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নেননি ছেলে সিরাজ উদ্দিন। তখন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামের নির্দেশে ওই নারীর দেখভালের দায়িত্ব নেন এসওএমসি হাসপাতালে সিলেট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা পুলিশ সদস্য মো. জনি।এদিকে ঘটনার পরপরই বৃদ্ধা শুকুরা বেগমের মেয়ের ঘরের নাতনী সানজিদা সুলতানা জানিয়েছিলেন, তাঁর নানীকে গ্রামের বাড়ি থেকে এনে নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসায় মামা সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী বন্দি করে রাখেন। এক বছর ধরে তিনি বন্দি ছিলেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হয়ে পাশের ঘরে যাওয়ার অপরাধে রাত ১০ টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন ছেলের স্ত্রী। তাই নগরীর পথে পথে হেঁটে ভিক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করে রাত কাটিয়ে পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কানাইঘাট এলাকায় নিজের বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পান এবং বাম পা ভেঙ্গে যায়। সেখান থেকে খবর পেয়ে নানীর ভাইয়ের ছেলে তাজুল ইসলাম তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে এসওএমসি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ঘটনার খবর পেয়েও মামা সিরাজ উদ্দিন কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ শুকুরা বেগমের কাছে আসেননি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশুর অবস্থা সংকটাপন্নএ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন সানজিদা সুলতানা।অপরদিকে ওই নারীর দেখভালের দায়িত্ব নেয়া পুলিশ সদস্য মো. জনি বুধবার লাশ হস্তান্তরের পর বলেন, প্রথমে সিরাজ উদ্দিন মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব না নিলেও মৃত্যুর আগে শেষ তিনদিন মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করেন। দেখভালের জন্য একজন নারীকেও হাসপাতালে নিযুক্ত করেন তিনি। তবে সিরাজ উদ্দিন নিজে মায়ের কাছে উপস্থিত হননি। কিন্তু শুরু থেকেই মেয়ের ঘরের নাতনী সানজিদা সুলতানা নানীর পাশে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ নারীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ডএদিকে তাঁর মাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে দাবি করেছেন সিরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ছেলে হিসেবে যা করার আমি তা করেছি। এটা আমার কর্তব্য। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত করা হয়েছিল। যা প্রশাসন বুঝতে পেরেছে। তাই আমার মায়ের লাশ আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোনারগাঁয়ে ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে ৪ জনের জরিমানা
ঢাকার সোনারগাঁয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে অননুমোদিত ও ভেজাল ভেষজ ওষুধ তৈরির অপরাধে চার জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাব-১১ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মনির হোসেন (২৯), মো. ফজল খান (৬৫), মো. নজরুল ইসলাম (৪৪) ও মো. ইয়াছিন (১৯)।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক ১: র্যাব
শুক্রবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত র্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন চেঙ্গাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভেজাল ভেষজ ওষুধ তৈরির অপরাধে চারজনকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে প্রত্যেককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এ সময় ‘সেফটি হেলথ ইউনানী ল্যাবটরেটি’ ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ ভেজাল ভেষজ ওষুধ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। পরবর্তীতে ‘সেফটি হেলথ ইউনানী ল্যাবরেটারি’সিলগালা করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে গাঁজাসহ আটক ২ : র্যাব
অননুমোদিত ও ভেজাল ভেষজ ওষুধ উৎপাদন এবং বাজারজাত করণের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
টিকা নিয়ে অপপ্রচার শাস্তিযোগ্য অপরাধ : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনার টিকা নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার জনস্বার্থবিরোধী এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে টিকা নিয়ে শুরু থেকে বিএনপির সমালোচনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টিকা নেয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই করোনা মোকাবিলার এখন পর্যন্ত একমাত্র পথ। একারণে জনস্বার্থে টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই টিকার বিরুদ্ধে যখন অপপ্রচার হয় সেটা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, জনস্বার্থের বিরোধী। অর্থাৎ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবসহ এই টিকার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা জনস্বার্থবিরোধী কাজ করছেন এবং জনস্বার্থবিরোধী অপপ্রচার যদি কেউ চালায় সেটা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুনঃ সমালোচনাকারী বিএনপি নেতারা এখন টিকা নিয়েই স্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
টিকা দলীয়করণের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে একটা ব্রত এবং জনগণের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি। তবে বিএনপির রাজনীতির ব্রত হচ্ছে ভিন্ন। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস বাংলাদেশে দেখা দেয়ার পর থেকে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যে আহবান জানিয়েছিলেন তাতে আওয়ামী লীগের জাতীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে একেবারে ওয়ার্ড লেভেলের নেতাকর্মীরাও জনগণের পাশে থেকেছে। দলের পক্ষ থেকে ২ কোটির বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৫জন সদস্যসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আওয়ামী লীগের ১৩০ জনের বেশি সংসদ সদস্য, মন্ত্রিসভার এক তৃতীয়াংশের বেশি সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এগুলো জনগণের পাশে থাকতে গিয়েই হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্টের মধ্যে আসছে আরও ৫৪ লাখ টিকা
ড. হাছান আরও বলেন, এখন জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই টিকা নেয়া যাবে। কিন্তু আগে নিবন্ধন করতে হতো। গ্রামের মানুষ নিবন্ধন করতে জানে না। সেক্ষেত্রে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নির্দেশ মাফিক জনগণকে নিবন্ধন কার্যক্রমে সহায়তা করছে। এখানে কী দোষ দেখল বিএনপি! তারাও তো এই কাজটি করতে পারতো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা সর্বজনীনভাবে দেয়া হচ্ছে। এখানে কে কোন দল বা মতের সেটি দেখা হচ্ছে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য, যাতে তারা টিকা নেয়। মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন, এটি কি গর্হিত কাজ? তারা তো জনগণকে উদ্বুদ্ধ না করে বরং জনগণ যাতে টিকা না নেয়, সেই অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যেটি জনস্বার্থের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ টিকা পেতে ভোগান্তি, বিশৃঙ্খলা
লকডাউন তুলে দেয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ক্রমাগতভাবে লকডাউন কখনই সমাধান নয়। আমাদের খেটে খাওয়া মানুষের এই দেশে জীবন এবং জীবিকার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এখন যেটি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, সেটি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক পরা এবং মাস্ক না পরলে যাতে সহজে জরিমানা করা যায় সেটিও সরকার ভাবছে। স্কুল-কলেজ এখনই খুলছে না এবং এর পাশাপাশি গণটিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইউরোপ- আমেরিকাতেও করোনা আছে কিন্তু এরপরও জীবন স্বাভাবিক করার জন্য সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে।
মাগুরায় মায়ের হাতে ছেলের গলা কেটে আহত
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় নিজ ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠেছে মলিনা বেগম নামে এক মায়ের বিরুদ্ধে।
উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামে বুধবার এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সাভারে বাসচালককে গলাকেটে হত্যা, ভ্যানচালক আটক
শ্রীপুর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব রায় জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী বুধবার ভোরে তার ছোট ছেলে সাকিনকে (১৪) ঘুমান্ত অবস্থায় বটি দিয়ে গলা কেটে গুরতর জখম করেন। আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গির জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে। তার নাম মলিনা বেগমের। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন বলে মনে হচ্ছে পুলিশের।
আরও পড়ুন: নিজের মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে মা আটক
বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় চতুর্থ ঢাকা
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বার্ষিক জরিপ অনুসারে বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
রাজনীতি, অর্থনীতি, অপরাধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ১৪০টি দেশকে নিয়ে এই তালিকা করা হয়েছে।
১৪০টি দেশের মধ্যে ৩৩.৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় ১৩৭ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তালিকায় ঢাকা স্থিতিশীলতায় ৫৫ পয়েন্ট, স্বাস্থ্যসেবায় ১৬ দশমিক ৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩০ দশমিক ৮, শিক্ষায় ৩৩ দশমিক ৩ এবং অবকাঠামোতে ২৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু দূষণ: হাইকোর্টের আরও ৩ দফা নির্দেশনা
২০১৯ সালের তালিকায় তৃতীয় বাস অযোগ্য শহর ছিল ঢাকা এবং ২০১৮ সালে এই তালিকায় ঢাকা ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
যদিও বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার মান কমেছে কিন্তু এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো এই বছর তালিকায় শীর্ষ দশে রাজত্ব্য করছে।
বাসযোগ্য শহরের তালিকায় অকল্যান্ড শহরের পর যথাক্রমে জাপানের ওসাকা, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড, নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন ও জাপানের টোকিও,অস্ট্রেলিয়ার পার্থ, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ও জেনেভা, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও ব্রিসবেন শহর শীর্ষ দশে রয়েছে।
করোনা মহামারীর কারণে ইআইইউ এবার স্বাস্থ্যসেবা বিষয়টির উপরও নজর দিয়েছে।
ইআইইউ’র বৈশ্বিক অর্থনীতিক প্রধান সাইমন বাপিস্ট এর মতে, এই র্যাংকিংয়ে করোনা সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলেছে।
বাপিস্টের মতে জরিপ চলাকালে বিভিন দেশে করোনার ঢেউ এবং লকডাউন থাকার কারণে ইউরোপীয় দেশগুলো এই তালিকায় পিছিয়ে পরেছে।
এর মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে থাকা ভিয়েনা এবার ১২ ধাপ নিচে নেমেছে।
সিরিয়ার দামেস্ক শহর বাস অযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
খুলনায় এপ্রিলে ২৯৯টি অপরাধ সংগঠিত
খুলনায় গত এপ্রিল মাসে ২৯৯টি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।
রবিবার খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মে মাসের সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষ থেকে এই সভা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকসহ ২২ স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টাইনে
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী সভার শুরুতে বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত এপ্রিল মাসে ১৪৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার সংখ্যা বিগত মার্চ মাসে দায়ের হওয়া মামলা থেকে ১৬টি কম। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে ১৫২টি মামলা হয়েছে যা বিগত মার্চ হতে ২৫টি কম।
আরও পড়ুন: করোনা উপেক্ষা করে খুলনায় জমজমাট ঈদ কেনাকাটা
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মামুন অর রশিদ জানান, আসন্ন ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সক্রিয় থাকবে। চিহ্নিত অপরাধীরা কোন অবস্থায় যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ বাহিনী সজাগ আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফৌজদারি অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আসন্ন ঈদের জামাত কোনভাবে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজন করা যাবে না। ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি এবং মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদেরকে অধিকতর সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা হাসপাতাল: খুলনায় আরও ২০টি আইসিইউ বেড সংযোজন হচ্ছে
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত হন।