নির্বাচন কমিশন
ইসি গঠনে দ্রুত আইন প্রণয়নের প্রস্তাব নাকচ আইনমন্ত্রীর
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, দেশের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন ‘রাতারাতি’ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওকাব) সদস্যদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, সংবিধানে প্রয়োজনে আইন করার বিধান আছে এবং আমরা তা করতেও চাই। তবে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন হওয়ায় রাতারাতি করা যাবে না।
আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ দিয়ে আনিসুল হক বলেন, সংসদে উত্থাপনের আগে এটির খসড়া প্রণয়ন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন এবং তারপর জনমত সংগ্রহের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এটি স্থাপন করতে হবে। আইনের গুরুত্ব বিবেচনা করে আমাদের এই প্রক্রিয়াগুলো মানতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতির অনুমোদিত একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার সদস্যের জন্য তাদের পছন্দের ব্যাপারে মতামত জানান। সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।
মন্ত্রী বলেন,যদিও এই প্রক্রিয়াটি কোনো আইন নয়, তবে এটিতে আইনের মতোই ক্ষমতা রয়েছে। কারণ দেশের সব রাজনৈতিক দল এর আগে এ বিষয়ে একমত ছিল এবং দুবার এটি কার্যকর হয়েছে। এর আগে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে দুটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের ফলাফল দেখার জন্য সরকারও অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং তাদের মধ্যে নয়টি বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কমিশনকে অবিচল থাকতে হবে: আইনমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে রাষ্ট্রপতির প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। আমি মনে করি, এখন যারা আপিল বিভাগে আছেন তারা সবাই এ পদের জন্য যোগ্য।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার আওতায় ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া হয়েছে তা তত্ত্ববধায়ক সরকার করেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী কিছু শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন তার মুক্তির আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে এবং আবার আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী মুক্তি পেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় তার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তার আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এবং নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তিনি সেখানে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে এসে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে অংশ নিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কেউ সংলাপে আসুক বা না আসুক নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকবে না।
ওবায়দুল কাদের বুধবার সকালে তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন এবং এই সংলাপে নাকি সংকটের সমাধান হবে না, - বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগেও নির্বাচন কমিশন গঠনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল, এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
গতবারও বিএনপি'র তালিকা থেকে একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা যাবে না, নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে বিএনপি কি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চায়, নাকি বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
সরকার নাকি দেশকে অগণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নিরলস প্রয়াসে বিএনপিই পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনপির বহুদলীয় তামাশা আর ভোটারবিহীন নির্বাচনই দেশকে গণতন্ত্র থেকে ছিটকে দিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক এবং লুটপাটের রাজনীতির জনক বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের বুলি ছাড়লেও অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা আর সুবিধাবাদ লালন করে।
তিনি বলেন, বিএনপিই এদেশকে ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে বিশ্ব-দরবারে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সরকার নাকি বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মিথ্যাচার করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন , সরকার নয়, মিথ্যাচার আর বিএনপি এখন সমার্থক শব্দ।
বিএনপি নেতাদের অবিরাম মিথ্যাচারের দাপটে এখন আর তাদের বক্তব্যে সত্যের লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না এমন দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার মামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তারা মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির উপরই ভরসা করে চলেছে।
তিনি বলেন, বন্দি বেগম জিয়া অধিকতর শক্তিশালী- এ দর্শন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা মুক্তির চেষ্টাও করেনি, আইনগত লড়াইও তেমনটা করেনি, তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপরাজনীতির দাবার গুটি হয়েছেন বেগম জিয়া।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও অতি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা চিকিৎসার চেয়ে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলকেই অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে, বরং শেখ হাসিনাই বেগম জিয়ার প্রতি উদারতা এবং মানবিকতার নজির স্থাপন করেছেন। অথচ সেই কৃতজ্ঞতাবোধও বিএনপিতে নেই।
জনগণের সম্পদ লুন্ঠনের টাকায় চলছে বিএনপি নেতাদের বিলাসী জীবন এমন মনে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তাদের মুখে জনগণের কথা লোক দেখানো বাক্য ছাড়া আর কিছু নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা এখন সাইড- লাইনে, যার বা যাদের নির্দেশে দল চলছে তারা মাঠের বাস্তবতা বুঝে না, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেন- তেন উপায়ে ক্ষমতা দখল এবং লুটপাটে লেগে যাওয়াই এখন বিএনপির একমাত্র টার্গেট।
পরে ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশনা আরা মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন হোক- তা তিনিও চান। কিন্তু এবার সে সময় নেই, আর সংসদকে পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা সঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের কেউ নেই। সরকারি দলের কেউ নেই। সার্চ কমিটি ১০ জনকে নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবেন। সকলের নাম দেয়ার অধিকার আছে, ক্ষমতা আছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো বিতর্ক করার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর ডায়ালগ (সংলাপ) শুরু করে দিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এটা রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব।
মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নেবেন। এর মাধ্যমে হবে সার্চ কমিটি। সেই সার্চ কমিটি যে সব নাম প্রস্তাব করবে, তাদের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করে দেবেন।
তিনি বলেন, এই সার্চ কমিটির সদস্য হবেন- আপিল বিভাগের একজন জ্যৈষ্ঠ বিচারপতি, হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল। এরা সবাই সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত। আর দুজন হবেন সিভিল সোসাইটির (সুশীল সমাজ) সদস্য।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ বলেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, এটি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য ডাক দিয়েছেন। এই সংলাপ অর্থহীন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
এ সময় সরকারের পদত্যাগসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচনকালীন সরকারটা কে থাকবে? সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
তিনি বলেন, এ ধরনের সংলাপ আগেও হয়েছিল এবং সরকার ২০১৪ সালে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, যখন ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের ভোটের আগের রাতে ভোট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জনগণবিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনও তিনি হাসপাতালের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম, খুন, হত্যা অপহরণ এই সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের আইন আছে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আগামী বছরের শুরুতে জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে ইসি গঠনের বিষয়ে চলমান সংলাপে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে এ প্রস্তাবসহ ছয়টি প্রস্তাব করে দলটি।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণের প্রস্তাব দেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার ব্যাপারে তারা মতামত দেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
প্রতিনিধি দলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য। রাজনীতিতে গুণগত মান নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে সঠিক জনমত গড়ে তুলতে হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং এদের মধ্যে ৯টির জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে।
এই দলগুলো হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঘরে বসে না থেকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু সদিচ্ছা ব্যক্ত করাই যথেষ্ট নয়। ঘরে বসে না থেকে মাঠে নেমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।’
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের সাথে আলোচনায় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
আলোচনায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এ ব্যাপারে কার্যকর অবদান রাখতে পারে।
খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালীকরণ, নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
তারা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেটের সংস্থান, জনশক্তি নিয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন: ৩৯০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী
রবিবার অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মোট ৩৯৬ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং ৩৯০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ৮৩৮টি ইউপিতে নির্বাচন হলেও সোমবার পর্যন্ত ৭৯৬টির ফলাফল পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ৩৯৬টিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ৪৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ৫৮ জেলার ১১৮টি উপজেলায় মোট ৩৯০ জন স্বতন্ত্র্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তবে এর মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: সোনাগাজীতে মা ও শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ১১, আটক ৭২
ইসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অন্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির ছয়জন, ইসলামী আন্দোলনের দুজন এবং জাকের পার্টির একজন রয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাদের ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচন করা থেকে বিরত রয়েছেন।
ইউপি নির্বাচনে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করতে পারেন।
গত ১০ নভেম্বর দেশব্যাপী চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩
ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: সুশীল সমাজকেও চায় তরিকত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সুশীল সমাজকেও চায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে তরিকত ফেডারেশনের নেতারা এ দাবি জানান।
বিকালে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেয়।
বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই এ আলোচনার মূল লক্ষ্য। রাষ্ট্রপতি আশা করেন পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে। রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সংলাপ: ইসি গঠনে আইন চায় ন্যাপ
আলোচনাকালে তরিকত ফেডারেশনের প্রতিনিধিদল স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। এছাড়া তারা আইন প্রণয়নের অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটি গঠন, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নির্বাচন কমিশনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী ও তাদের পরিবারবর্গের কাউকে নিয়োগ না দেয়ারও প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রহসন ছাড়া কিছুই না: বিএনপি
চতুর্থ ধাপে ৮৩৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
সারাদেশে রবিবার চতুর্থ ধাপে ৮৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং কোনো বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফ, নরসিংদীর রায়পুরা ও পাবনার আটঘরিয়ায় পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
৩৩টি ইউপি ও তিনটি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
ইউএনবির কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, জেলার তিনটি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। ভোটগ্রহণ অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ, কাহারোল ও খানসামা উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও রাঙামাটির সদর ও নানিয়ারচর উপজেলার ১০টি ইউপিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহতের ঘটনায় ভোট স্থগিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সহযোগীকে গুলি করে হত্যা
ইউপি নির্বাচন: সিরাজগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী রনি ও কাজলী