নির্বাচন কমিশন
বুধবার সকাল থেকে এনআইডি সার্ভার ডাউন: নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
তিনি জানান, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এনআইডি সেবা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ আছে। গতকাল রাতে কিছু কাজ করা হয়েছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হবে। এরপরই এনআইডি সেবা আবার চালু হবে।
দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভাণ্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণ ব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভাণ্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও সম্প্রতি বিষয়টি উঠে আসে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। ভোটারদের তথ্যগুলো ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নির্বাচন নিয়ে খেলতে ইসি ‘অচেনা’ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মদদে নির্বাচনের নামে চক্রান্তের অংশ হিসেবে দুটি ‘অচেনা’ দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কতটা নির্লজ্জ... তারা দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। এই দলগুলোকে কেউ চেনে না। কেউ কি তাদের চেনেন? আপনারা কি জানেন কেন তাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে? তাদের দ্বারা নির্বাচন নিয়ে একটি খেলা খেলতে চায়। এই খেলা এইবার খেলতে দেওয়া হবে না।’
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার গণমিছিলের উদ্বোধনকালে এ অভিযোগ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ এখন তাদের অধিকার রক্ষা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ।
ফখরুল বলেন, ‘এবার আমাদের লড়াই জীবন রক্ষার জন্য। কোনো ভয়, কোনো জেল বা দমন-পীড়ন এবার আমাদের দমন করতে পারবে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার, ইসি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়।
বিবৃতিতে ইসি বলেছে, সর্বসম্মতিক্রমে দল দুটিকে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ফখরুল বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা বর্তমান ‘দানব’ সরকারকে পরাজিত করে শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন। ‘আমরা একটি নতুন সংগ্রাম শুরু করেছি। মিছিলের মাধ্যমে আমরা তাদের (সরকার) কাছে একটি বার্তা দিতে চাই যে তোমাদের দিন শেষ।’
ফখরুল সরকারের উদ্দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে মর্যাদার সঙ্গে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।
অন্যথায় রাজপথে বিষয়টির মিমাংসা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার বিশাল মিছিল
ইসির নিবন্ধন পেল বিএনএম ও বিএসপি
চূড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, বিএনএম ও বিএসপি-কে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। শিগগিরই তাদের সনদ দেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাব।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আবেদন জমা দিতে বলে ইসি।
এবারও তেমন আহ্বান জানালে ১৯৬টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২টি দল শর্ত পূরণ করে। তাদের দেওয়ার তথ্য অধিকতর যাচাই-বাছাই করলে তদন্তে টেকে গণঅধিকার পরিষদ, বিএনএম, বিএসপি ও এবি পার্টি। পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে তদন্তের পর সেখান থেকে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি।
আরও পড়ুন: ৬৮টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম প্রকাশ ইসির
এদিকে বিএনএম ও বিএসপির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ পড়ে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য। সেই আবেদনগুলো সম্প্রতি শুনানিতে না টিকলে নিবন্ধন পেয়েই গেল দল দুটি। এ নিয়ে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪৪টি।
মেম্বার সেক্রেটারি অব বিএনএম সেন্ট্রাল কমিটি মেজর (অব.) মো. হানিফ ইউএনবিকে বলেন, নিবন্ধনের জন্য আবশ্যকীয় সকল শর্ত আমরা পূরণ করেছি বিধায় আমারা দৃঢ়ভাবে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, একটি দল নিবন্ধন পেলেও আমরা পাব।
তিনি বলেন, অহিংস ও সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই বিএনএম এর লক্ষ্য। কোনো দলের বিপক্ষে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমরা জনগণের পক্ষে, দেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি, সহিংসতার বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে চায় ইসি
নতুন ২ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ইসির শুনানি
২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ৪২টি দলের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) ২০টি দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলেও ২২টির বেশি দল জমা দেয়নি।
অর্ধেকের বেশি দল ২০২২ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জমা দিতে তারা সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, যেসব দল সময় চেয়ে আবেদন করেছে তাদের নথি কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হলে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে সময় বাড়ানো হবে কি না।
প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে দলগুলোকে চিঠিও দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০টি দল হিসাব জমা দেয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চাইলে ইসি তা মঞ্জুর করে। তবে দলটি অতিরিক্ত সময় পেলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরে হিসাব জমা দেয়।
যে ২২ দল হিসাব জমা দেয়নি:
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, গণফোরাম, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম.এল), জাসদ, জেএসডি, বাসদ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণফ্রন্ট, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ)।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে বলে জানান নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ড্রেনে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দিল নূর
গণ অধিকার পরিষদসহ ১০টি দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল ইসি
আলোচিত গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও নাগরিক ঐক্যসহ ১০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চিঠিতে কেন তারা নিবন্ধন দেয়া হয়নি সেই কারণও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৬ জুলাই) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. আবদুল বাতেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইসির যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বলেন, প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২ দলের মধ্যে ১০টিই বাদ পড়ে উপজেলা কমিটির সঠিকতা না পাওয়ায়। তবে তাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি সঠিক আছে। তালিকায় থাকা দুটি দলের বিরুদ্ধে কয়েকটি আপত্তি জমা পড়েছে। এখন শুনানি হবে। এক্ষেত্রে শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিবন্ধন পাবে না, আর প্রমাণিত না হলে নিবন্ধন পাবে।
নির্বাচন কমিশন নতুন দলের নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করলে ৯৩টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ১২টি প্রাথমিক বাছাইয়ে টেকে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
এই ১২ দলের মধ্যে অধিকতর তদন্তে বাদ পড়ে আটটি দল।
আর গণ অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বিএনএম) ও এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় ইসি।
সেই কমিটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিলে বিএনএম ও বিএসপি দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি।
এক্ষেত্রে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে দুই দল নিয়ে আপত্তি আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তিও দেয় ইসি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
ইসি অবাধ, নিরপেক্ষ পরিচ্ছন্ন নির্বাচন করতে চায়: নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব
‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ড্রেনে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দিল নূর
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতা নুরুল হক নুর তার দলের নিবন্ধন না পাওয়ায় ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ড্রেনে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে নুর বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় কী হয়েছে তা দেখেননি? …আমাদের দেশে আপনাদেরকে ড্রেনে ফেলে দেওয়া হবে।’
তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি লাইভ ভিডিওতে নুরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায় যে, ১০০ থেকে ১৫০ জন পুলিশের বিরুদ্ধে হাজার হাজার গণঅধিকার পরিষদের কর্মী রয়েছে।
আরও পড়ুন: নুর-সমর্থকরা তালাবদ্ধ অফিসে প্রবেশের চেষ্টা
তিনি সতর্ক করে বলেন,‘এটিকে একটি ট্রায়াল হিসাবে মনে করুন, ফাইনাল ম্যাচে যে কেউ আমাদের সামনে আসলে তাদেরকে ফুটবলের মতো উড়িয়ে দেব।’
রেজা কিবরিয়াকে নূরের অনুগত দল আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর গণ অধিকার পরিষদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়।
রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে নূরের আপিলের অনুমোদন না দেওয়ার জন্য বলেছিল। কারণ তারা নূরকে তাদের নেতা বলে মনে করে না। তারা আরও বলেছে যে নূরের নেতৃত্বাধীন উপদল দলীয় নথিতে বর্ণিত শর্ত লঙ্ঘন করেছে। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন নেই।
আরও পড়ুন: রেজা কিবরিয়াকে গণঅধিকার পরিষদ থেকে অপসারণ
দলীয় তহবিল আত্মসাৎ এবং স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে দল পরিচালনার অভিযোগ ওঠার পর নূর ও রেজার মধ্যে বিরোধ বেড়ে যায়।
এদিকে, নূরের দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২১ নেতা-কর্মী ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের অনৈতিকতা ও নীতি লঙ্ঘনের’ প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
নুর অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
সম্প্রতি ‘প্রায় ১৭ মাসের ভাড়া দিতে বকেয়া থাকার’কথা উল্লেখ করে মালিক দলটির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয় দিলে নুর অফিসে জোরপূর্বক প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর, সম্পাদক রাশেদ
ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি হিরো আলমের
ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে এবং ভোট কারচুপির ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে। আমি এই নির্বাচনের শেষ দেখব।’
রবিবার (২৩ জুলাই) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে আবেদন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসক কথা বলেন।
ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।
বিজয়ী প্রার্থী আরাফাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ পাঠ না করাতে স্পিকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
ইসিতে আপিল খারিজ হলে কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘যেহেতু আমার কাছে উপনির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের প্রমাণ আছে, আমি হাইকোর্টে যাব এবং এর শেষ দেখব।’
আবেদনে হিরো আলম লিখেছেন, ‘গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আমি একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। নির্বাচনের দিন আমি ই-মেইলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছিলাম যে নির্বাচনের এক ঘণ্টার মধ্যে আমার ৮৮ জন এজেন্টকে ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোট কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিকাল ৩টায় আমি ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্রে গেলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। দেশ-বিদেশের মানুষ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে হামলা দেখেছে। এ ছাড়াও, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের তাড়িয়ে দিয়ে ভোট গণনা শুরু করেছিলেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী।’
নির্বাচনী ফলাফল বাতিল, ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না: হিরো আলম
হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
ইসি’র নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন ২টি রাজনৈতিক দল
নির্বাচন কমিশন (ইসি) রবিবার নতুন দুটি রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদসহ দশটি দল নিবন্ধনের দৌড় থেকে বাদ পড়েছিল। নিবন্ধন চাওয়া ১২টি দলের মধ্যে মাত্র দুজনই পরবর্তী রাউন্ডের বাছাইয়ে অংশ নিয়েছেন।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিশন সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
তিনি বলেন, ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধন নিয়ে কারো কোনো আপত্তি আছে কিনা তা জানতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিবন্ধনের আবেদন করা দুই পক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিযোগিতায় বাদ পড়া রাজনৈতিক দলগুলো হলো- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট (বিএইচপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
খুলনা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বসানো হচ্ছে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা
স্থানীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে প্রায় ২ হাজার ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন করা হবে, যাতে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত ৫ হাজার ৪৮৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
এ বছর ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করতে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, ইভিএমসহ (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নির্বাচনী উপকরণ পাঠানোর কাজ ১১ জুন থেকে শুরু হবে এবং ১২ জুন মধ্যরাতে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
কেসিসি নির্বাচন: ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেও পৃথক গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে ১০ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল করবে না।
এছাড়া ১১ জুন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নগরীতে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার ও ইজিবাইক চলাচল করবে না।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন
নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত ও আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত ৪ জুন কমিশন সচিবালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
কেসিসি এলাকার জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ এবং নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, প্রথম আদালত এবং খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা