ইসি
হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
হিরো আলমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের ঘটনা অন্যায়। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে নির্বাচন-পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
তিনি বলেন, আজকের উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। ‘ আমি এখন পর্যন্ত অশান্তির কোনো ঘটনা দেখিনি। ঢাকায় ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে…একটি কেন্দ্র কিছু একটা ঘটেছে, তার মানে এই নয় যে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট।
নির্বাচন কমিশন ‘রাজনৈতিক দলের অংশ’ হয়ে গেছে এমন মন্তব্যের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের কথা বলার অধিকার সবার আছে। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আমরা দলের অঙ্গ হয়েছি কি না।
আরও পড়ুন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব: হিরো আলম
উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম, তবে অনিয়মের অভিযোগ নেই: পর্যবেক্ষক দল
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ও যশোরের বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন ঢাকার কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্র বলছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকা-১৭ আসনে ৮৫৩টিসহ ১ হাজার ৫৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুর আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, এনআইডি মহাপরিচালক এ.কে.এম হুমায়ুন কবীর এবং আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো. সায়েম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দু’টি করে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন ও ৭ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ইসি’র নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন ২টি রাজনৈতিক দল
নির্বাচন কমিশন (ইসি) রবিবার নতুন দুটি রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদসহ দশটি দল নিবন্ধনের দৌড় থেকে বাদ পড়েছিল। নিবন্ধন চাওয়া ১২টি দলের মধ্যে মাত্র দুজনই পরবর্তী রাউন্ডের বাছাইয়ে অংশ নিয়েছেন।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিশন সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
তিনি বলেন, ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধন নিয়ে কারো কোনো আপত্তি আছে কিনা তা জানতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিবন্ধনের আবেদন করা দুই পক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিযোগিতায় বাদ পড়া রাজনৈতিক দলগুলো হলো- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট (বিএইচপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে নির্বাচনী পরিবেশ অনুসন্ধান মিশনের (ইএক্সএম) সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে’ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন।
মঙ্গলবার সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসি তাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছে।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতা চেলেরি রিকার্ডো, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মিশনের একটি কারিগরি দল আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই ইসির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কেউ আলোচনা করলে হস্তক্ষেপ মনে করে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতা রিকার্ডো বলেছেন, নির্বাচনের পূর্ববর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে তারা ঢাকায় রয়েছেন। ইইউ উচ্চ প্রতিনিধির জন্য একটি বিশ্লেষণ প্রস্তুত করা হচ্ছে। ওই বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাংলাদেশে একটি পূর্ণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন মোতায়েন করা হবে কি না।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রথম দিনেই বৈঠক করল ইইউ টিম
সিইসি বলেছেন, তার মতামত ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতার সঙ্গে তিনি একমত। এ ছাড়া তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ইইউ মিশন আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
ইইউ মিশনের প্রতিনিধিরা জানান, নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি মূল্যায়ণ মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের ‘পরামর্শযোগ্যতা, উপযোগিতা ও সম্ভাব্যতা ‘ মূল্যায়ন করা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে: ইএমএফ
নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশ ইসির অধীনে কাজ করবে: আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কাজ করবে।
তিনি বলেন, কমিশন যে রকম আদেশ দেবে সে অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি
শুক্রবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ শহরের ওয়েজখালীর পুলিশ লাইনে অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
আইজিপি বলেন, পুলিশের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। একটা সময় ছিল যখন দেশে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের হলি খেলা চলছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থা মিলেমিশে কাজ করছে। নির্বাচনকালেও সেভাবে পালনের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে পুলিশের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছে। একসময় দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও সুন্দরবন জলদস্যু ও সন্ত্রাসীদের আখড়া ছিল।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের এখন লজিস্টিক সাপোর্ট বেড়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গবাদিপশু বহনকারী যানবাহন থামানোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন আইজিপি
এনআইডি নিবন্ধন ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের খসড়া বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগে স্থানান্তর করতে মন্ত্রিসভা সোমবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সভা শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অধীনে হবে।’
তিনি বলেন, জন্মের পরপরই যে কোনো নাগরিকের জন্ম সনদ বা একটি অনন্য নম্বর পাওয়ার অধিকার থাকবে, যা অপরিবর্তিত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্টে হবে একই নম্বর: মন্ত্রীপরিষদ সচিব
তবে প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পরপরই কার্যকর হবে না। বরং সরকার এর কার্যকারিতার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
ইসি বর্তমানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী ২০০৭ সাল থেকে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর আইন-২০২৩, ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৩, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-২০২৩ এবং সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৩-এর খসড়াও মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
সভায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (২য় সংশোধন) আইন-২০২৩ এবং ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অব ডিসএবলড পারসনস অ্যাক্ট-২০২৩-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯- অনুমোদনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: এনআইডি অনুবিভাগ ইসি’র অধীনে রাখাসহ দাবি আদায়ে সময় বেঁধে দিলেন কর্মকর্তারা
স্মার্ট এনআইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করার উপায়
বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে অকল্পনীয় ভোটার উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিইসিকে দিয়ে প্রতিটি সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করছি। সকাল থেকে এমন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের উপস্থিতি কল্পনার বাইরে। এটি আমাদের স্বস্তি দিয়েছে যে কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ভোটারদের আশ্বস্ত করেছে এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত করেছে।’
তিনি রাজধানীর আগারগাঁও ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের অসহযোগিতা পাইনি। ভোটাররা কোনো বাধা ছাড়াই কেন্দ্রে আসেন। প্রার্থীরা সহযোগিতা করছেন এবং কোনও বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হয়নি।’
দুই সিটিতে সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে ভোটার থাকলে বিকাল ৪টার পরও ভোট চলবে।
এই প্রথম ঢাকার ইসি মিলনায়তনের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে দুই সিটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।
আহসান বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব মনিটরিং টিমের কাছ থেকে মাঠপর্যায় থেকে রিপোর্ট পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বরিশাল গেছেন, যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান দশজন কর্মকর্তাসহ খুলনায় গেছেন। আমি তাদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা খুবই ইতিবাচক, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন।’
ভোটে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সমস্যামুক্ত হয়েছে। আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি।’
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
বরিশাল সিটি নির্বাচন: এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, ধীরগতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ
ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষমতা না থাকায় নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
তবে বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি।
বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে তাদের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আমন্ত্রণ জানিয়ে দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যে-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মূল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়। এমনকি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইলেও সেই ক্ষমতা তাদের নেই।
ফখরুল বলেন, আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব (অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য) গ্রহণ করতে পারছে না।কারণ কমিশনের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে মূল রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই।
২৩ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ফখরুলকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়ে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানান।
বর্তমান ইসি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও বিএনপি ও জোটের শরিকরা কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসিকে কোনো চিঠি পাঠাবেন না। তিনি আরও বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে (সিইসি) আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি। আমি আশা করি তিনি আমাদের মতামত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইসি ক্ষমতাহীন
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমার দেশ ও জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই এমন ইসির সঙ্গে বসে কোনও লাভ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সিইসি কোনও ডাকঘর নন যে আমরা সরকারকে দেওয়ার জন্য তাকে চিঠি দেব। এটা একেবারেই সরকারের ব্যাপার। যেহেতু সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই এটা করতে পারে, অন্য কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
তিনি বরেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বসতে পারে বিএনপি। এছাড়া তারা বারবার বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন থাকায় ইসি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এবং সরকারকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি (নির্বাচনকালীন সরকার) ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনায় আমাদের আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকার আলোচনার কোনো প্রস্তাব দিলে তাদের দল বিবেচনা করবে।
এছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যু ছাড়া আর কোনো আলোচনা হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
সরকারের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসির চিঠি প্রত্যাখান ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার বলেছেন, বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠি জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরেকটি নির্বাচন করার সরকারের সর্বশেষ কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, অতীতে কেউ কি ভোট দিতে পারতেন? তারা (সরকার) আবার সেই কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এবার অনেক চাপ আছে, কারণ বিদেশিরা বলছে আগের মতো ভোট এবার গ্রহণযোগ্য হবে না...তাই তারা নতুন কৌশল নিচ্ছে। সর্বশেষ কৌশলের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন আমাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছে।’
শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সোমবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক করে ইসির চিঠির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রমজানে কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে বিএনপি মহাসচিবকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠান।
আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান ইসি গত বছর গঠনের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ করেছে। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ নেয়নি।
একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ইসি) কেন এমন চিঠি পাঠিয়ে অস্থির হচ্ছেন? আপনারা ভদ্র মানুষের মতো জীবনযাপন করেন এবং বেতন নেন।’
পূর্ববর্তী কমিশন শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বর্তমান ইসিকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চিন্তা না করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ খুঁজতে পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অযথা এসব কথা বলে নিজেদের ছোট করবেন না।
তিনি আরও বলেন, ভোটের সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে না।
ফখরুল বলেন, ‘শুধু জাতীয় নির্বাচনে নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তাই অযথা এই চর্চা (আলোচনা করা) না করে আসল কথায় আসুন। আসল কথা হলো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন: এতিম ও ইসলামিক স্কলারদের ইফতারের আয়োজন করেছে বিএনপি
বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমবে: ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যাবে।
শনিবার (২৫ মার্চ) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিকভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
আহসান হাবিব খান বলেন, ‘বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) মনে করে, বিএনপির মতো নিবন্ধিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হতেই পারে।’
আহসান হাবিব খান বলেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় এবং আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার