স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৯০ রোগী হাসপাতালে
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৩ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১৭ জন দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৬৪ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ২৯০ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৭৪ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৯২ রোগী হাসপাতালে
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১১ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট তিন হাজার ৪৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৯৩২ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে তিন হাজার ১১৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে দুই হাজার ৬৩৬ জন ঢাকার বাসিন্দা এবং বাকি ৪৮২ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৬ জন প্রাণ হারান।
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৯২ রোগী হাসপাতালে
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৩ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১৯ দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৬৯ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ২৯৭ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৭২ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট তিন হাজার ৪০৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৮৫৯ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৫৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে তিন হাজার ২৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে দুই হাজার ৫৫৭ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪৬৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৫ জন প্রাণ হারান।
পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৫৩ রোগী শনাক্ত
দেশে করোনায় আরও ২ মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ২৫৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩০২ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৬ হাজার ৮৯৯ জনে পৌঁছেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার দুই জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশ।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৮ কোটি ৬৯ লাখেরও বেশি
ডেঙ্গু: আরও ৪০ জন হাসপাতালে
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা ঢাকার ৪৭টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৬৩ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ২৮৭ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৭৬ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট তিন হাজার ২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৫২৭ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে দুই হাজার ৬৪৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে দুই হাজার ২৩৫ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪০৮ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু: আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৮৫
বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সারাদেশে বন্যায় বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
১৭ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মৃত্যুর এ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে সিলেটে ৭৭ জন, ময়মনসিংহে ৪৩ জন, রংপুরে ১৬ জন ও ঢাকা বিভাগে একজন।
তাদের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ১০৭ জন, বজ্রপাতে ১৮ জন, সাপের কামড়ে দুজন, ডায়রিয়ায় একজন এবং অন্যান্য কারণে ৯ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া এ সময়ে প্রায় ২৮ হাজার ৫৪০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যায় সিলেটের ৩৩টি, রংপুরের তিনটি, ময়মনসিংহের সাতটি ও চট্টগ্রাম বিভাগের একটিসহ ৪৪টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও মৌলভীবাজার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা যেখানে যথাক্রমে ১৩, ১১, ৭ ও ৫টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে।
ডেঙ্গু: আরও ৭৭ জন হাসপাতালে
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৩৩ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ২৫৮ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৭৫ জন রোগী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট দুই হাজার ৮৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৪২০ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে দুই হাজার ৫৪৪ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে দুই হাজার ১৫৮ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৮৬ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৮০
ডেঙ্গু: আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৮৫
দেশে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৩৭৫
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৩৭৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৯৮ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৬ হাজার ৩৬৮ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৭৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় এক মাসে ১৪২ জনের মৃত্যু
দেশে পৌঁছেছে শিশুদের করোনার টিকা
করোনায় এক মাসে ১৪২ জনের মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসে শুধু জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের। যা এ বছরের মার্চ থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, মৃতদের মধ্যে ৫৭ জনকে টিকা নেন নি, ৭ জন প্রথম ডোজ, ৫২ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ২৬ জন তৃতীয় ডোজ পেয়েছিলেন। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ৩৪ হাজার ৯০১ রোগী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন।
দেশে মার্চ মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার জন, মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। এপ্রিল মাসে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ১১৪ জন, মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। মে মাসে ৮১৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আর জুন মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ২৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, সোমবার করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৯ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে মোট সনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৫ হাজার ৬০৬ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ২৯২।
এদিকে মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং সোমবার সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৯০ শতাংশে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে মহামারি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ প্রথমবার করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন ছিল ২০ নভেম্বর।
গত বছরের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়। সেদিন ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা সনাক্ত হয় এবং একই বছরের ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
দেশে পৌঁছেছে শিশুদের করোনার টিকা
দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৩৮৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৯৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৫ হাজার ৯৯৩ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ১১৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৮ কোটি ২৯ লাখ ছাড়াল
রাজধানীতে কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু বুধবার
রাজধানীর পাঁচ এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আগামী ৩ আগস্ট থেকে কলেরা মুখে খাওয়ার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু করবে আন্তর্জাতিক উদরাময় কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)।
আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত। তবে শুক্রবার (৫ আগস্ট) এবং আশুরার দিন (৯ আগস্ট) কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
টিকা কার্যক্রম পরিচালনার সময় ঢাকা শহরের যাত্রাবাড়ি, দক্ষিণ খান, সবুজবাগ, মোহাম্মাদপুর এবং মিরপুর এলাকার প্রায় ২০ লাখ ৩৬ হাজার এলাকাবাসীকে কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। ঢাকার উক্ত পাঁচ এলাকার প্রায় ৭০০টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। টিকা গ্রহণকারীদের কোভিড-১৯ এর যাবতীয় সুরক্ষাব্যবস্থা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।
২৬ জুন থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন শুধু তারাই নিজ এলাকার টিকাকেন্দ্রে টিকাকার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
এ উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, তারা ঢাকার ঐ পাঁচ এলাকার অধিবাসীদের কাছ থেকে আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ টিকা দিতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, যারা প্রথম ডোজ কলেরার টিকা নিয়েছেন তারা দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিজেদের রোগ থেকে সুরক্ষিত করবেন।’
আইসিডিডিআর,বির জ্যৈষ্ঠ বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী সবার প্রতি মুখে খাওয়ার কলেরা টিকাটি গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নিরাপদ পানি ব্যবহার, নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবহার এবং নিজের স্বাস্থ্যবিধির মত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মেনে চলার প্রতিও জোর দেন যাতে ডায়ারিয়াসহ নানা সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচা যায়।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ইউভিকল প্লাসের দুটি ডোজ দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলজিস কোম্পানি লিমিডেট তৈরি করেছে। যা ১৪ দিনের ব্যবধানে এক বছরের বেশি বয়সী শিশুদের দেয়া হবে।
এই টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। এটি গর্ভবতী মহিলা ছাড়া যে কেউ নিতে পারবে, এমনকি ১৪ দিনের মধ্যে অন্য টিকা নিয়ে থাকলেও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আইসিডিডিআর,বি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহায়তায় বিশাল এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এই কার্যক্রম পরিচালনায় জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং এমএসএফ ও সহায়তা করছে। পুরো বিষয়ে অর্থ সহায়তা করছেন দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, জিএভিআই।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মে মাস থেকে দেয়া হবে কলেরার টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী