স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস: সংক্রমণের রেড জোন ঢাকা-রাঙামাটি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া মধ্যম পর্যায়ের (হলুদ জোন) ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে যশোরসহ সীমান্তবর্তী ছয় জেলাকে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মধ্যম পর্যায়ের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো-রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোর। এসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে অবস্থান করছে। আর রেড জোনে থাকা ঢাকা ও রাঙামাটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশ।
আর সংক্রমণের গ্রিন জোন বা ক্ষীণ ঝুঁকিতে আছে ৫৪ জেলা। অন্যদিকে পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে বলে জানায় অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের কঠোর বিধিনিষেধ
ক্ষীণ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো- চট্টগ্রাম, বগুড়া, গাজীপুর, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া, নীলফামারী, বরগুনা, শেরপুর, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পিরোজপুর, বাগেরহাট, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, ঝালকাঠি, খুলনা, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, সিলেট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, খাগড়াছড়ি, ঝিনাইদাহ, পাবনা, মাদারীপুর, মাগুরা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, ভোলা, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নড়াইল।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন বা লাল, হলুদ ও সবুজ-এই তিন ভাগে ভাগ করে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩১ কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও বেড়েছে
দেশে করোনায় শনাক্ত আরও বেড়েছে
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৪৫৮ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১০৭ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে সোমবার করোনায় তিনজনের মৃত্যু ও দুই হাজার ২৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৩৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ফের কঠোর বিধিনিষেধ
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩১ কোটি ছাড়াল
ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দক্ষিণ আফ্রিকান নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন। তাদের মধ্যে কারও কোন জটিলতা নেই। অনেকেই আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
রবিবার দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন বিভিন্ন দেশেই রোগী বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। দেশেও রোগী বাড়ছে, তবে আশা করছি সকলে মিলে আমরা এটিকে প্রতিহত করতে পারবো’।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন কড়াকড়িতে বেনাপোলে যাত্রী যাতায়াত কমেছে
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এই পর্যন্ত যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিল শুনেছি তাদের সবাই প্রায় সুস্থ আছেন। এমনকি তাদের অনেকেই বাড়িও চলে গেছেন। সুতরাং ওমিক্রন নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ওমিক্রন নয়, করোনায় আক্রান্ত যে কেউ যথাসময়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ নেন। তথ্য গোপন না করে চিকিৎসা নিলে করোনা মোকাবিলা করার কাজটি সহজ হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে নারীরা বেশি ঝুঁকিতে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
রোগীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের অনেক তথ্য শেয়ার করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, সবার সক্রিয় সহযোগিতায় বাংলাদেশে আমরা গত দুই বছর যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি, চলতি ২০২২ সালেও তা অব্যাহত রাখতে পারবো। আশা করি, আমরা এই মহামারিকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।
করোনায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৪৯১ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১০২ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৯২ হাজার ২০৯ জনে পৌঁছেছে। এর আগে শনিবার করোনায় এক জনের মৃত্যু ও এক হাজার ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৯৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৮।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৯০৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভয় না পেয়ে টিকা নিন: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া একই সময়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজারের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৫ জনে ছাড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ৫ হাজার ১১৬ মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৩৭ হাজার ২৬২ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার ২৫২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: টিকা ছাড়া স্কুলে যেতে পারবে না ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা
দেশের প্রতিটি নাগরিককে টিকা গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৭ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
দেশে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও সাতজন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে চারজন ঢাকার এবং বাকি তিনজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগের। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২৮ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৭১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভয় না পেয়ে টিকা নিন: প্রধানমন্ত্রী
করোনায় বেড়েছে শনাক্তের হার
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ১১৬ জন।একদিনে শনাক্তের হার বেড়ে দাড়িঁয়েছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার করোনা শনাক্তের হার ছিলো ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৯ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৯২ হাজার ২০৯ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৫৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজার ২০৭ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার ১৩৫ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৩৬ হাজার ৬০৩ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার ২৫২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৬ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৩ হাজার ১৭৮ জনে।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনার সংক্রমণ বাড়লে লকডাউন দেয়া হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আরও ২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
দেশে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও দুইজন নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। নতুন রোগীদের মধ্যে দু’জনই ঢাকার। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২৮ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৬৪ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাস-ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন একজন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন একজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৫২ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ৩১ জন ও ঢাকার বাইরে ২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: আরও ৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ রূপে ডেঙ্গু!
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়ালো
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৫ হাজার ৪৮১ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাচঁ কোটি ৮৪ লাখ ৪৬ হাজার ১৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৩৩ হাজার ৯৫২ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার ২৫২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৫২ লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮২ হাজার ৯১১ জনে।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯১ হাজার, মৃত্যু ৩ শতাধিক
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ১৪০ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪৭ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৪৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভারতে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু
কোভিড-১৯: ঢাকায় বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু
দেশে আরও ১০ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
বাংলাদেশে আরও ১০ জনের দেহে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এ দিন জিম্বাবুয়ে ফেরত বাংলাদেশি দুই নারী ক্রিকেটার ওমিক্রনে আক্রান্ত হন।
ঢাকার ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) এর দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জিআইএসএআইডি এ ফলাফল পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে গেল এক সপ্তাহে চার হাজার ৯২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় সাতজন মারা যান এবং এক হাজার ১৪০ জন আক্রান্ত হন।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন পুরুষের চেয়ে নারীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। দেশটি থেকে সংগৃহীত গবেষণা তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা-যেখানে এ ধরন প্রথম শনাক্ত হয়- থেকে পাওয়া তথ্য একটি ভিন্ন প্রবণতা দেখাচ্ছে। এ ধরনে নারী, শিশু ও যুবকরা বেশি সংক্রামিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ওমিক্রন ঠেকাতে ১৫ নির্দেশনা
ওমিক্রনে নারীরা বেশি ঝুঁকিতে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর