স্পিকার
সংসদ অধিবেশন চলবে ৪ জুলাই পর্যন্ত
রবিবার বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া বর্তমান জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশন ৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
রবিবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির (বিএসি) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির সভাপতি ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিটি কার্যদিবসে আসরের নামাজের পর অধিবেশন শুরু হবে।
স্পিকার চলতি অধিবেশনের কার্যদিবস বাড়াতে বা কমাতে পারেন বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, জিএম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং ড. আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ৮ জুন পদ্মা সেতু নিয়ে সাধারণ আলোচনার সিদ্ধান্ত হয় এবং ৯ জুন বিকাল ৩টায় প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
১২ জুন সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি ১৩ জুন পাস হবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য অর্থ বিল ২৯ জুন পাস হবে এবং বরাদ্দ বিল ৩০ জুন পাস হবে।
পড়ুন: সংসদের ১৮তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ার ঘোষণা
সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
সংসদের ১৮তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ার ঘোষণা
একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনের জন্য রবিবার পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল অব চেয়ার মনোনীত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্যানেল সদস্যরা হলেন-শামসুল হক টুকু, এ বি তাজুল ইসলাম, মুহিবুর রহমান মানিক, মুজিবুল হক চুন্নু ও হামীমা আখতার খানম।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতে তাদের নাম ঘোষণা করেন।
স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে তারা পর্যায়ক্রমে সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
আরও পড়ুন: সংসদের ১৭তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ার ঘোষণা
সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
পরিচয়হীনদের পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণ যুগোপযোগী উদ্যোগ: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সকলের ব্যক্তি পরিচয়ের অধিকার রয়েছে। পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণের প্রয়োজনীয়তা এখানেই। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা এবং মৌলিক মানবাধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশন বিষয়টি অনুধাবন করেছেন, যা যুগোপযোগী, ভিন্নধর্মী এবং গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে 'ভোটার তালিকায় পরিচয়হীনদের পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণে জটিলতা নিরসন' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বকতব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে যা দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এই ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
আরও পড়ুন: পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে ডিআরইউ: স্পিকার
স্পিকার বলেন, কোভিডকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজ ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুঃস্থ মানুষের কাছে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তথ্য উপস্থাপন ও সংরক্ষণের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজভিত্তিক। প্রতিবন্ধী, হিজড়া, চা-শ্রমিকসহ সকল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে এই ডাটাবেজ আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। সকল কাজেই এখন জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। পিতা-মাতার পরিচয় লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জটিলতা নিরসন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য: স্পিকার
মাছ, মাংস, ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা খামারিদের অনন্য অর্জন: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা খামারিদের অনন্য অর্জন। খামারিদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই দেশ আজ মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং দুধেও শিগগিরই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত গরুপ্রেমিদের মিলনমেলায় স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, স্বকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দুগ্ধ ও মাংস শিল্পকে উজ্জীবিত করা সম্ভব। খামারিদের প্রণোদনা দিলে তারা অনুপ্রাণিত হবে এবং এরই ধারাবাহিকতায় দেশের পুষ্টি চাহিদাও মিটবে।
আরও পড়ুন: খামারিরা বিপদে, খুলনায় ১০ লাখ মুরগি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে সমৃদ্ধ জনশক্তি দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। তাই বাজারজাতকরণ অসুবিধা দূরীকরণ, দুধ সংরক্ষণে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং খামারিদের করোনার ক্ষতিজনিত সরকারি প্রণোদনা যথাযথভাবে বণ্টন করে এই শিল্পে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গরুপ্রেমিদের মিলনমেলায় ছোট বড় সকল ধরনের খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: শখের বসে গৃহিণী থেকে সফল খামারি
পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে ডিআরইউ: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে ডিআরইউ।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে বস্তুনিষ্ঠ-গঠনমূলক সাংবাদিকতার বিকাশ, সাংবাদিকদের কল্যাণ, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও পেশাদারিত্বের মানোন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে ডিআরইউ। সংগঠনটির নেতারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে কাজ করে আসছেন।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য: স্পিকার
স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনসহ সাংবাদিকদের অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করেছে। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল সুবিধার কারণে কোভিডকালীন সময়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়া সম্ভব হয়েছে।’
এই সময় দেশের চলমান উন্নয়নকে টেকসই করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘ডিআরইউ পুরুষ সাংবাদিকদের পাশাপাশি সমভাবে নারী সাংবাদিকদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে যা প্রশংসনীয়। গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে সমগ্র বিশ্ব একীভূত।’
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন পোর্টাল, প্রিন্ট মিডিয়ায় সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
আরও পড়ুন: পীরগঞ্জে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্পিকার
ডিআরইউ-র সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শাহজাহান সরদার, রফিকুল ইসলাম আজাদ,মাহফুজুর রহমান, শফিকুর রহমান সাবু, শুক্কুর আলী শুভ, ইলিয়াস হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমুখ সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে রফিকুল ইসলাম রতন, ওসমান কবির বাবুল, কবির আহমেদ খান, মাইদুর রহমান রুবেলসহ ডিআরইউ সাংবাদিক নেতারা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ নভেম্বর সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামী ২৪ নভেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে স্মারক ভাষণ দিবেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর সংসদে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদের আমন্ত্রণে ২৪ নভেম্বর বিকাল ৩টায় স্মারক ভাষণ দেয়ার জন্য তার সদয় সম্মতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বছরজুড়ে জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শিরীন শারমিন বলেন, উদযাপনের অংশ হিসেবে সংসদে দুই দিনব্যাপী বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৪ নভেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত সংসদের ১৫তম অধিবেশন মুলতবি করেছেন স্পিকার।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরবেন বৃহস্পতিবার
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধান দীর্ঘ চব্বিশ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিফলন। শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য। জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ৫০তম সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষাকবচ '৭২এর সংবিধান' সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন: স্পিকার
স্পিকার বলেন, গণপরিষদের ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই সংবিধান। শাসনতন্ত্র ব্যতীত কোন দেশ পাল ও মাঝিবিহীন নৌকার সমান বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। শাসনতন্ত্রে মানুষের অধিকার ও কর্তব্য সংবলিত থাকবে, যার প্রতিফলন আমরা তার ৪ নভেম্বর গণপরিষদে প্রদত্ত ভাষণে দেখতে পাই।
বাহাত্তরের সংবিধানকে বঙ্গবন্ধু 'জনগণের শাসনতন্ত্র' বলে অভিহিত করেছেন। ৪৮-৪৯ থেকে শুরু করে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৬এর ৬দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে রচিত হয়েছে বাহাত্তরের সংবিধানের ভীত ও চারটি মৌলিক স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি : স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ৭৫এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সমগ্র প্রেক্ষাপটকে পাল্টে দেয়া হয়। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে এবং সংবিধানকে নানাভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ ও মানুষের আর্থসামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যে সংগ্রাম করেছেন, তার ভিত্তিতে রচিত বাহাত্তরের সংবিধানের লক্ষ্য অর্জনে সকলের অব্যাহত প্রচেষ্টা জরুরি।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাশেদ খান মেনন এমপি, হাসানুল হক ইনু এমপি ও আরমা দত্ত এমপি বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যরিস্টার তুরিন আফরোজ, রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীনদের মাঝে ছড়াতে হবে: স্পিকার
পীরগঞ্জে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্পিকার
রংপুরের পীরগঞ্জে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের শনাক্তকরণ করা হবে।
মঙ্গলবার নিজ নির্বাচনী এলাকা ২৪ রংপুর-৬ এর অন্তর্গত রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ও বড় করিমপুরে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্পিকার এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ প্রশাসন তাদের পাশে আছে ও থাকবে বলে আশ্বস্ত করে স্পিকার ক্ষতিগ্রস্তদের ভীতসন্ত্রস্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।
এরপর পীরগঞ্জ উপজেলার বটের হাট আর ডি এস দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার বলেন, কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অপরাধী যে-ই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ পরিবারকে দশ হাজার করে টাকা, ১০০ বান্ডেল করে টিন দেন। ইতোমধ্যে প্রশাসন থেকে তাদের প্রতিবেলা খাবার ব্যবস্থাসহ শাড়ি, কম্বল ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির সংস্কারসহ পুনঃনির্মাণ এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন স্পিকার। বিপদগ্রস্তের পাশে আছেন এবং থাকবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রংপুর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, ডিসি, এসপিসহ স্থানীয় ও জেলাপর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতারা, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: আটক ৪২
নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারির কারণে একটি নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতার মুখোমুখি। প্রতিটি ক্ষেত্র বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে এই মহামারি। লকডাউন পরিস্থিতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতা, নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীস্বাস্থ্য ও নারীর মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী নেতিবাচক প্রভাব ও নারী সহিংসতা মোকাবিলায় সামাজিক ও বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
স্পিকার বুধবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে 'থার্ড ইউরেশিয়ান উইমেন্স ফোরাম' অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে 'উইমেন: এ গ্লোবাল মিশন ইন এ নিউ রিয়েলিটি' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগদান করে এসব কথা বলেন। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার ভেলেন্টিনা মাতভিয়েনকো অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ থেকে প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করায় এসময় আয়োজকরা ধন্যবাদ জানান স্পিকার।
তিনি বলেন, ঘরে বসে ভার্চুয়ালি কাজ করার পাশাপাশি সংসার ও সন্তানের পরিচর্যা করতে গিয়ে নারীদের দ্বিমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। নারীর সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও সমতা ও সাম্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যত বিনির্মাণে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি সম্ভব। কর্মক্ষেত্রে তাদের সমান বেতন নিশ্চিতকরণে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবসম্পদ ও নারীদের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনে গৃহীত পদক্ষেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ব্যবস্থা, দরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচিসহ আরও কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার ভেলেন্টিনা মাতভিয়েনকো ও ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার আব্রামসেনকো ভিক্টোরিয়া অনুষ্ঠানে কী-প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে ভাইস রেক্টর মারিয়া আফোনিনা, মোজাম্বিক এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট এসপেরানকা লরিন্ডা ফ্রান্সিসকো বায়াস, আজারবাইজানের স্পিকার সাহিবা গাফারোভা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রিসাস, রাশিয়ান ফেডারেশনের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তামন্ত্রী এন্টন কোটিয়াকভ, গেবনিজ রিপাবলিকের সিনেট প্রেসিডেন্ট লুসি মাইলবো অবসন প্রমুখ প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, আবিদা আনজুম মিতা এমপি ও খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি : স্পিকার
রোমের উদ্দেশে স্পিকারের ঢাকা ত্যাগ
প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীনদের মাঝে ছড়াতে হবে: স্পিকার
পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ উত্তরণে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত, জলবায়ু সহনশীল ও টেকসই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের দিকে মনোনিবেশ করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ব্যতীত অর্থনীতির এ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত বিনিয়োগ ও পদক্ষেপ চলমান উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করে পরিবেশের অবনতি ও জলবায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে। এজন্য কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।’
আরও পড়ুন: রোমের উদ্দেশে স্পিকারের ঢাকা ত্যাগ
ইতালির রাজধানী রোমে আয়োজিত 'প্রি-কপ২৬ পার্লামেন্টারি মিটিং' শীর্ষক আলোচনা সভার 'গ্রিন এপ্রোচেস টু কোভিড-১৯ রিকভারি' সেশনে স্পিকার এসব কথা বলেন। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন ও ইতালির সংসদের যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘কোভিড -১৯ হতে পুনরুদ্ধারের কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়েছে। নিম্ন-কার্বন ব্যবহার পদ্ধতির ওপর জোর দিয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীনদের মাঝে ছড়াতে হবে: স্পিকার
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় ইতোমধ্যে প্রায় ৬ দশমিক ২ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। যা ওই সকল এলাকার মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করছে। সরকার মিনি গ্রিড সৌর সেচ ও রুফটপ সোলার সিস্টেম ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছে।’
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাংসদদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
ব্রিটিশ হাউজ অফ লর্ডসের স্পিকার জন ফ্রান্সিস ম্যাকফেলের সভাপতিত্বে, ইতালিয়ান চেম্বার অফ ডেপুটিজের প্রেসিডেন্ট রবার্তো ফিকো এবং ইতালিয়ান সিনেটের প্রেসিডেন্ট মারিয়া এলিসাবেতা কেসিলাতির সঞ্চালনায় সভায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কিনোট-স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন।