স্পিকার
রোমের উদ্দেশে স্পিকারের ঢাকা ত্যাগ
ইতালির রোমে অনুষ্ঠিতব্য প্রি-কপ২৬ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে অংশ নিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে স্পিকার রোমের উদ্দেশে রওনা দেন।
বৃহস্পতিবার সংদের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাংসদদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
এসময় কনফারেন্সে অংশ নিতে স্পিকারের স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেনসহ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদার, জাফর আলম ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম তার সফরসঙ্গী হয়ে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
স্পিকারসহ সংসদীয় প্রতিনিধিদলকে বিদায় জানাতে সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীনদের মাঝে ছড়াতে হবে: স্পিকার
আগামী ৮ ও ৯ অক্টোবর ইতালির রোমে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আগামী ১৩-১৫ অক্টোবর রাশিয়ার সেন্ট-পিটার্সবার্গে ৩য় ইউরেশিয়ান ওমেন্স ফোরামে অংশগ্রহণ শেষে আগামী ১৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। স্পিকারের নেতৃত্বে সম্মেলনে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ছাড়াও আদিবা আনজুম মিতা ও খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ প্রশংসনীয়: সুইস রাষ্ট্রদূত
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপসমূহ প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে সংসদ ভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে সুইস রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
সাক্ষাতকালে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারীর ক্ষমতায়ন, আসন্ন প্রি-কপ সম্মেলন প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাকে 'এসডিজি প্রোগেস অ্যাওয়ার্ড'-এ ভূষিত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা দেশের মানুষকে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনতে নিরলস কাজ করছে সরকার।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীনদের মাঝে ছড়াতে হবে: স্পিকার
সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বাংলাদেশের সাথে সুদৃঢ় কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্মরণ করেন।
এসময় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, তথ্য অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড 'লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন ২০২১' বাস্তবায়নের জন্য সংসদ ভবনকে ভ্যান্যু হিসেবে প্রস্তাব উপস্থাপন করলে স্পীকার সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে সার্বিক মানব উন্নয়নে ৬ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তথ্য অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় সরকার সফল হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে দেশের চলমান অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়, যার উত্তরণে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।
পড়ুন: বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাংসদদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
এসময় ইতালির রোমে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন প্রি-কপ সম্মেলনে সংসদীয় প্রতিনিধিদিলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে সুইজারল্যান্ডের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীনদের মাঝে ছড়াতে হবে: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘১৯৮৪ সালে মহান জাতীয় সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এই সংসদ জনতার সংসদ। গণতন্ত্র ও গণমানুষের সমর্থনের প্রতি অগাধ বিশ্বাসই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। তাঁর গণতান্ত্রিক দুর্গম সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।শনিবার কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানীস্থ শেরাটনে 'বাংলাদেশ: উন্নয়নের এক যুগ' নামক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাংসদদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
এ সময় কেক কাটার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের যাত্রাপথ, তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, শিক্ষা, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে তাঁর নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, বিচক্ষণ কূটনীতি নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন স্পিকার।স্পিকার বলেন, এক্ষেত্রে ছেলেবেলায় টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর শিক্ষাজীবন, বৈবাহিক জীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনীতিতে আসা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন, অনেক গবেষণালব্ধ বিষয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত প্রদর্শনীটিতে ফুটে উঠেছে, যা প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বড় সমস্যা: স্পিকার
স্পিকার বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের ইতিহাসকে ভিন্নপথে পরিচালিত ও স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। ১৭ মে ১৯৮১ স্বজনহারার বেদনা বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে নিহিত আছে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াবার বার্তা। তখন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন বাঁক। বাংলার মানুষ তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, যা থেকে তাঁর পথচলা। সেখান থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরশাসনের অবসানের সংগ্রাম, সংবিধান অনুযায়ী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সত্যি বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়। নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে আত্মশক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছিলাম, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে গেছেন স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। তিনি তাঁর পিতার মতো এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে অপূর্ণ স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সে স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রীকানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত সূচনা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাংসদদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নারীশিক্ষাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে তথা বিএপিপিডির সকল কর্মকান্ড তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।
শনিবার গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় গঠিত বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি) কর্তৃক বাল্যবিবাহ ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার পরামর্শ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন: স্পিকারস্পিকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁকে 'এসডিজি প্রগেস এওয়ার্ড'-এ ভূষিত করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের জনবান্ধব ধারণাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তার ফসল। কারণ, তিনি গ্রামে, চরে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষকে সেবা দেয়ার বিষয়টি সর্বদা প্রাধান্য দেন।
সমগ্র বাংলাদেশে ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক কাজ করছে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় বত্রিশ রকমের ঔষধ সেখানে বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে। মা ও শিশুসেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, শিশুটিকা প্রদান কার্যক্রম কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো দিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এক বিদ্যালয়ে ৮৫ শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে!ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোভিডকালীন সময়ে সমগ্র বিশ্বে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী সহিংসতা, বাল্যবিয়ের মতো উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে উত্তরণ ঘটাতে হবে। কন্যাসন্তানদের অস্বচ্ছল পিতা-মাতাদের আস্থাহীনতার কারণে করোনাকালীন সময়ে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কন্যাসন্তান তাদের জন্য বোঝা নয়। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি অভিভাবকদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে কন্যাসন্তানদের এগিয়ে নিতে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম সকলের প্রচেষ্টায় সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুড়িগ্রামে ঝরে পড়েছে ৫০ হাজার শিশু, বাল্যবিয়ের শিকার বালিকারামহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘বাল্যবিবাহ ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক উপ-কমিটি’র আহ্বায়ক বেগম মেহের আফরোজ এমপি-র সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে. এম. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, আরমা দত্ত এমপি, শিউলি আজাদ এমপি, শবনম জাহান এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি বক্তব্য রাখেন। প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব এম এ কামাল বিল্লাহ কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গনমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের স্পিকারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিরলার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ভেন্যুতে এই সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ আন্তদেশীয় সম্পর্কোন্নয়ন, দুই দেশের সংসদীয় কূটনীতি, বিরাজমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, লোকসভা টিভি ও সংসদ টিভির সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পরস্পর অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও ভারতের জনগণ বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছিল তা সত্যি হৃদয়স্পর্শী। মুক্তিযুদ্ধকালীন সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশ ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বরাবরই ব্যতিক্রমী। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসেন, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: তিন সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েনা গেলেন স্পিকার
ড. শিরীন আরও বলেন, ব্যবসা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, সংস্কৃতি ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তারা ভারতের লোকসভায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন, কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে যা ব্যাহত হয়েছে। গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্র হিসেবে দুই দেশের সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সংসদ টেলিভিশন এবং লোকসভা টেলিভিশন পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় ভবিষ্যতে যে কোন বিষয়ে একত্রে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন ভারতের স্পিকার। ভারতের সরকারি হিসাব কমিটির ১০০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওম বিরলা স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানালে স্পিকার তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই দিনে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পিস কনফারেন্স থাকায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে ভারত সফরের আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার। এসময় দুদেশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে: স্পিকার
জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল ও জোরদার করতে হবে।
তিনি বলেন, সংসদ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কল্যাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখেন। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আইনের শাসন, স্বচ্ছতা ও সুশাসন সমুন্নত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল ও জোরদার করতে হবে।
আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন: স্পিকার
বুধবার রাতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ৫ম ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অফ স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের 'পার্লামেন্টস অ্যান্ড গ্লোবাল গভার্নেন্স : দ্য আনফিনিসড অ্যাজেন্ডা' শীর্ষক আলোচনায় স্পিকার এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন দেশের সংসদসমূহের সমন্বয়ের মাধ্যমে বহুপাক্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন, অসমতা, লিঙ্গ বৈষম্য, গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দেশগুলোর মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সংসদীয় কূটনীতি ভূমিকা রাখছে এবং আইপিইউ ও জাতিসংঘ এক্ষেত্রে কাজ করছে। সংসদীয় কূটনীতি তথা আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিরাজমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: তিন সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েনা গেলেন স্পিকার
ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় আর্মেনিয়া ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান এলেন সিমোনিয়ান, ভারত লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা, বুরুন্ডির সিনেট স্পিকার ইমানুয়েল সিঞ্জোহাগেরা, মন্টেনিগ্রো সংসদের স্পিকার অ্যালেস্কা বেসিস প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি, রুমানা আলী এমপি এবং গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকার ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বড় সমস্যা: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘অসত্য তথ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বৃহত্তর সমস্যা ডেকে আনে। এই সমস্যা সমাধানে দারিদ্র, অসমতা, লিঙ্গ বৈষম্য ইত্যাদি নিরসন এবং প্রচলিত ধারণা, মানসিকতা ও চিন্তাধারার পরিবর্তন দরকার।’
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ৫ম ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব স্পিকার্স অব পার্লামেন্ট-এর ‘কাউন্টারিং মিস ইনফরমেশন এন্ড হেইট স্পিচ রিকয়ার্স স্ট্রঙ্গার রেগুলেশন্স’ শীর্ষক আলোচনায় স্পিকার এসব কথা বলেন। ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদল বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি, রুমানা আলী এমপি, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: তিন সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েনা গেলেন স্পিকার
স্পিকার বলেন, ‘প্রবীণ প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি নব প্রজন্মকে যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শক্তিশালী পারিবারিক কাঠামো যথাযথ শিক্ষার জন্য জরুরি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অসত্য তথ্য মানুষ ও সমাজকে ভুল পথে চালিত করে। অন্যদিকে, সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য গঠনমূলক মত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। বাক ও মতপ্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সত্য প্রচারে অধিকতর কার্যকর ও উদ্ভাবনী সমাধান অন্বেষণ করতে হবে। বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া না গেলে অধিকতর শক্তিশালী আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা সিনেটের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া লেদেসমা আবদালা, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের পার্লামেন্টারি এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট রিক ডিমস, নাইজেরিয়া হাউজ রিপ্রেজেনটেটিভ স্পিকার ও. হাকিম গাজাবিয়ামিলা, রোমানিয়া সিনেটের প্রেসিডেন্ট আনকা ডানা ড্রাগু প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকার এবং অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের অন্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জাগ্রত করার আহ্বান স্পিকারের
বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা: স্পিকার
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আইনের পাশাপাশি সকলক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল খুব সন্নিকটে এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে লক্ষ্যগুলো অর্জনে সময় খুব বেশি নেই। নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষ সমতা আনয়নে নারীর প্রতি সহিংসতা একটি জটিল বাধা। প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, অভ্যাস, আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার জরুরি। উদ্ভাবনী নীতি ও আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিক নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: তিন সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েনা গেলেন স্পিকার
সোমবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ‘উইমেন স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের’ ১৩তম সামিটে ‘২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ ও নারীদের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য প্রথাগুলো বিলীন হয়ে যাবে’ শীর্ষক আলোচনায় স্পিকার এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বিভিন্ন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এখনও পৌঁছাতে পারিনি। নারীর প্রতি সহিংসতা সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নারীদের জন্য উদ্ভাবনী পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি। করোনা মহামারি এই সময়ে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। যথাযথ আইন থাকা সত্ত্বেও এখনও বাল্যবিবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বাল্যবিবাহ রোধে পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো মেয়েদের জন্য শক্তিশালী করা প্রয়োজন। নারী নেতৃত্বকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ আর নেই
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জিম্বাবুয়ের সিনেট প্রেসিডেন্ট ম্যাবেল এম চিনোমনা, ওএসসিই পার্লামেন্টারি এসেম্বলির মার্গারেটা সেডারফেল্ট, স্পেনের কংগ্রেস অফ ডেপুটিজের প্রেসিডেন্ট মেরিটজেল ব্যাটেট, উরুগুয়ে জেনারেল এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট বিয়াট্রিজ আরজিমন, মোজাম্বিক এসেম্বলির স্পিকার স্পেরানকা লরিন্দা ফ্রান্সিসকো নিউয়ান বায়াসসহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ।
তিন সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েনা গেলেন স্পিকার
উইমেন স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের ১৩তম সামিট, স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের পঞ্চম কনফারেন্স ও কাউন্টার টেররিজমের প্রথম বৈশ্বিক সংসদীয় সম্মেলনে অংশ নিতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গেলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রবিবার সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার ভোরে স্পিকার ভিয়েনার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
এ সময় স্পিকারসহ সংসদীয় প্রতিনিধিদলকে বিদায় জানাতে সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ আর নেই
আরও পড়ুন: সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় ৬ ও ৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সামিট এবং কনফারেন্সসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, রুমানা আলী ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার সামিট ও কনফারেন্সসমূহে অংশ নেবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সাথে কাতারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সমতার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক অঙ্গীকার এবং অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ), ইউএনডিপি এবং হেলথ ইন্টারভেনশন অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (হিটাপ) আয়োজিত ‘ডিসকাশন টু শেয়ার নলেজ অন ইকুইটেবল কোভিড-১৯’ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠক সিরিজের প্রথম বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে স্পিকার মঙ্গলবার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সাথে কাতারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইউএনডিপি এর রিজিওনাল হেলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এ্যাডভাইজার হাকান জর্কম্যান স্বাগত বক্তব্য দেন। থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
স্পিকার বলেন, আমাদের দেশের জনগণকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সরকার কাজ করছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা: স্পিকার
বৈঠকে পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সভাপতি প্রফেসার হাবিবে মিল্লাত এমপি, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি ঘানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেলিসি মিমি ডার্কো এবং ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ ভেলোর, ভারত এর প্রফেসর গগণদ্বীপ কাং বক্তব্য দেন।