ইউনিসেফ
ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
শিশুদের অধিকার নিয়ে অসামান্য প্রতিবেদনের জন্য ১১ বাংলাদেশি সাংবাদিক পেলেন ১৭ তম ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। ২০০৫ সালে ইউনিসেফের চালু করা মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস শিশুদের অধিকার নিয়ে লেখা প্রতিবেদনে শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দেয়।
ইউনিসেফ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পুরস্কার বিজয়ীরা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সকল ধরনের গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রায় ৩০০টি প্রতিবেদন জমা পড়েছিল। সেখান থেকে বিচারকদের একটি স্বাধীন প্যানেল এই ১১ সাংবাদিককে নির্বাচিত করেছে।
বিজয়ী এবং মনোনীতদের প্রতিবেদনগুলো শিশুদের জোরপূর্বক বিয়ে, শিশুশ্রম, বিশুদ্ধ পানির অভাবে ঋতুস্রাব, পথশিশু, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, নির্যাতন ও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের কথা উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'আজ আমরা শক্তিশালী যেসব প্রতিবেদনকে সম্মান জানাচ্ছি সেগুলো শিশু অধিকারের কথা সবার সামনে তুলে ধরতে এবং ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে সাংবাদিকরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তার-ই প্রতিফলন। তিক্ত বঞ্চনার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি এগুলোতে উঠে এসেছে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে প্রতিদিনের বিজয়ের গল্পগুলোও, যা আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা।'
আরও পড়ুন: ‘কপ-২৭ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অনেকেই আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে’
এছাড়াও ১৮ বছরের কম বয়সী প্রতিভাবান শিশু সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।
তাদের চলমান প্রতিবেদনগুলি শিশুদের এমন সরঞ্জাম এবং প্ল্যাটফর্ম দেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে যা তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলিতে তাদের নিজস্ব মতামত, ধারণা এবং চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে সক্ষম করে।
রয়টার্স বাংলাদেশের চিফ করেসপন্ডেন্ট এবং মীনা অ্যাওয়ার্ডসের বিচারক রুমা পাল বলেন, 'আমরা এই বছর শক্তিশালী কিছু প্রতিবেদন দেখেছি এবং আগামী দিন, সপ্তাহ ও মাসগুলোতে আমাদের নৈতিকতার সর্বোচ্চ মানদণ্ডে সমবেদনামূলক, সহানুভূতিশীল রিপোর্টিংয়ের উচ্চ মান বজায় রাখতে হবে। নৈতিকতা এবং সংবেদনশীলতা ভাল প্রতিবেদনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এবং গল্পটি যত বেশি আকর্ষক হয়, এটি কীভাবে পরিচালনা করা হয় সেদিকে আরও যত্ন নেয়া দরকার।’
ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের নামকরণ করা হয়েছে মীনার নামে, জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র যা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে জনপ্রিয়।
মীনা চরিত্রটি ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে এবং এর বাইরে শিশুদের অধিকার নিয়ে কথা বলে আসছে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
২০০৫ সালে শুরু হওয়া একটি ঐতিহ্যের ১৭তম পুরস্কার হলো ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড -২০২২।
পুরষ্কার বিরতণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ঔপন্যাসিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পাঠশালা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শামীম আখতার। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম পুরস্কারে মনোনীতদের জন্য একটি ভিডিও বার্তা পাঠান।
মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ বিজয়ীরা হলেন-
প্রিন্ট সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন কালের কণ্ঠের এমরান হাসান সোহেল ‘মানবতা শিশুদের শুধু জল আছে’, বিডিনিউজ২৪.কমের হিমু চন্দ্র শীল ‘রোহিঙ্গা শিশু আয়াত উল্লাহর জীবনে একটি দিন’, নিউজ বাংলা ২৪ এর জেসমিন আক্তার পাপড়ি ‘রাইজিং স্যানিলিটি: কিশোরী মেয়েরা পিরিয়ড বন্ধ করতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ করে’, ঢাকা ট্রিবিউনের নওয়াজ ফারহিন অন্তরা ‘প্যাড আপা': গ্রামীণ মাসিক স্বাস্থ্যবিধির জন্য একটি আশার আলো’ এবং ঢাকা পোস্টের তানভীরুল ইসলাম।
ফটো সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর মো. সাজিদ হোসেন ‘শিশু শিক্ষা’ ও জাহিদুল করিম।
‘সরকারিভাবে বাল্যবিবাহ কমেছে... কিন্তু বাস্তবতা কি?" (ভিডিও সাংবাদিকতা) এর জন্য নাগরিক টিভির শাহনাজ শারমীন, “আমরা কি ‘অটো পাস’ এবং ‘কোভিড ব্যাচ’ শব্দ ব্যবহার করে শিশুদের ক্ষতি করছি” (প্রিন্ট সাংবাদিকতা) জন্য ঢাকা পোস্টের তানভীরুল ইসলাম, ‘চালের দাম’(ফটোসাংবাদিকতা) এর জন্য দৈনিক প্রথম আলোর জাহিদুল করিম।
ইউনিসেফ চিলড্রেনস মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ এর বিজয়ীরা (অনূর্ধ্ব-১৮)
মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, জাগো নিউজ ২৪.কম, ‘শিক্ষা বঞ্চিত বেদে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে’ (প্রিন্ট সাংবাদিকতা), খালিদুল ইসলাম তানভীর, এটিএন বাংলার জন্য ‘শিক্ষা যখন মারাত্মক হয়ে ওঠে’ (ভিডিও সাংবাদিকতা), ধী অরনী পল , হ্যালো.বিডিনিউজ২৪.কম-এর জন্য ‘রাস্তায় তাদের ঠিকানা’ (ফটোসাংবাদিকতা)।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
দেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে ১৪ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু
বাংলাদেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে ১৪ হাজারের বেশি শিশু মারা যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ।
সারাদেশে হাজারো শিশুর অকাল মৃত্যু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কাজ করতে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, কমিউনিটি ও সাধারণ মানুষের প্রত্যেককে তাদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানায় সংস্থা দুটি।
বিশ্ব পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সোমবার তারা এ আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ব্যাপকভাবে স্বীকৃত না হলেও দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডোবা যা একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘প্রতি বছর এত মানুষ প্রাণ হারায় তা দুঃখজনক। আমরা জানি এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। প্রতিটি শিশুর বেঁচে থাকা ও বেড়ে উঠার অধিকার নিশ্চিতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কাজ করতে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে আমরা সাধারণ মানুষ, কমিউনিটি ও সরকারকে আহ্বান জানাই।’
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার প্রতি ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টি ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে যেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর বন্যায় দেশের বিশাল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায় এবং সচেতনতা ও সাঁতারের দক্ষতার অনুপস্থিতি জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।
গ্রামীণ এলাকার শিশু যারা জলাশয়ের কাছে বড় হয় তারাও প্রতিদিন পানিতে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
আরও পড়ুন: নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু
পানিতে ডোবা একটি উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং বিশ্বব্যাপী অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। বাংলাদেশে শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ পানিতে ডোবা।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বরদান জং রানা বলেন, ‘ডব্লিউএইচও পানিতে ডোবা রোধে কৌশল ও হস্তক্ষেপের সুপারিশ করে এবং একটি মাল্টিসেক্টরাল প্রচেষ্টার প্রচার করে। মাল্টিসেক্টরাল সহযোগিতা বৃদ্ধি, ডোবা প্রতিরোধে শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রচার এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা পানিতে ডোবার ট্র্যাজেডি প্রতিরোধ করতে পারি এবং সবার জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি।’
করোনার কারণে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি আনুমানিক ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত শুক্রবারের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার ও হুপিং কাশি (ডিটিপি৩) এর বিরুদ্ধে তিনটি ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে এমন শিশুদের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৫ শতাংশ কমে ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷
ফলস্বরূপ, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই ২৫ মিলিয়ন শিশু ডিটিপির নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির এক বা একাধিক ডোজ মিস করেছে।
২০২১ সালে টিকা মিস করা শিশুর সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ২ মিলিয়ন বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ৬ মিলিয়ন বেশি।
এই টিকাগ্রহণ ব্যাহত হওয়ার কারণ হলো- যুদ্ধাবস্থায় বসবাসকারী শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভঙ্গুর সামাজিক কাঠামো। কেননা এর ফলে টিকাদান কর্মসূচি প্রায়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
এছাড়া ভুল তথ্য, কোভিড-১৯ এর কারণে পরিষেবা ও সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, টিকার স্বল্পতা এবং অসম স্বাস্থ্য সুবিধাপ্রাপ্তি ইত্যাদিও প্রভাব রেখেছে।
আরও পড়ুন: কাউকে পেছনে না ফেলে ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী তৈরির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
এ বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘এটি শিশু স্বাস্থ্যের জন্য একটি বিপদ সঙ্কেত। আমরা একটি প্রজন্মকে শৈশবকালীন টিকাদানে সবচেয়ে বেশি ঘাটতির শিকার হতে দেখছি। এর পরিণতি জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন,‘যদিও গত বছর কোভিড-১৯ মহামারি ও লকডাউনের ফলে মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর টিকাগ্রহণের পরিমাণ প্রত্যাশিত ছিল, তবে বর্তমানে তা হ্রাস পেয়েছে।’
বছরে ২৫ মিলিয়ন শিশুর মধ্যে ১৮ মিলিয়ন পর্যন্ত ডিটিপি টিকার একটি ডোজও পায়নি। এসব শিশুদের বেশিরভাগই ভারত, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন এবং অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বাস করে।
২০১৯ ও ২০২১ সালের মধ্যে একটিও টিকা না পাওয়া শিশুদের সংখ্যা আপেক্ষিকভাবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ও মোজাম্বিক রয়েছে।
ডব্লুউএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, ‘হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো ঘাতক রোগের টিকা দেয়ার সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকাদানের পরিকল্পনা ও সমন্বয় করা উচিত।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় বহুমুখী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে: জাতিসংঘ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিপুল সংখ্যক শিশুর অপুষ্টি ঝুঁকি বাড়িয়েছে: জাতিসংঘ
ইউক্রেনের শিশুদের জন্য নিলামে রুশ সাংবাদিকের নোবেল পদক
ইউক্রেন যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত শিশুদের সাহায্য করতে রাশিয়ান সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাটভ তার নোবেল শান্তি পুরস্কারের পদক নিলামে তুলেছেন। নিলামে প্রাপ্ত অর্থ ইউনিসেফের মাধ্যমে সরাসরি ইউক্রেনের অসহায় শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
সোমবার রাতে দিমিত্রি মুরাটভ তার নোবেল শান্তি পুরস্কারের স্বর্ণপদকটি নিলামে তোলা হবে, যেটি তিনি ২০২১ সালের অক্টোবরে পেয়েছিলেন। তখন তিনি রাশিয়ান স্বাধীন সংবাদপত্র নোভায়া গাজেটার প্রধান সম্পাদক ছিলেন। পরে অবশ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের ওপর ক্রেমলিনের বাধা এবং জনগণের অসন্তোষের মধ্যে মার্চ মাসে প্রকাশনাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
তিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন নগদ পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করছেন। মুরাটভ বলেন,‘এটা শিশু শরণার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য একটি সুযোগ দেয়া।’
আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় আরও ৮ জনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে মুরাটভ বলেছেন, তিনি বিশেষত ইউক্রেনে সংঘাতের কারণে এতিম হওয়া শিশুদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ভবিষ্যত ফিরিয়ে দিতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে চিকিৎসা সংক্রান্ত মানবিক সহায়তা যেন তাদের কাছে পৌঁছাতে কোনো বাধার সৃষ্টি না করে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: লুহানস্কের ৯৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের দাবি রাশিয়ার
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলেন বিদ্যা সিনহা মিম
চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম এবার বাংলাদেশে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই তারকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মিম বলেন, ‘ইউনিসেফ সারাদেশের শিশুদের শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের জন্য ইউনিসেফের কাজে মুগ্ধ। প্রতিটি শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেই কাজের অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: ‘মুজিব’-এর ট্রেইলার নিয়ে প্রথম কান যাত্রায় আরিফিন শুভ
বাংলাদেশে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন বলে জানান মিম।
তিনি আরও বলেন, ‘শিশু ও নারীদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব ইউনিসেফের সঙ্গে একত্রে পালন করতে মুখিয়ে আছি।’
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘মিম আমাদের সঙ্গে কাজ করছে এতে আমরা বেশ আনন্দিত। তিনি আমাদের সঙ্গে অবহেলিত শিশু ও নারীদের সুরক্ষিত রাখার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করবেন।’
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করেছিলেন মিম। মহামারি থেকে বাঁচতে টিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান তুলে ধরতে বৈশ্বিক আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনন্ত-বর্ষা
টিকা নিচ্ছে ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিশুরা
ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিশুরা নিয়মিত শৈশব টিকাদান কর্মসূচির আওতায় টিকা গ্রহণ করছে।
লাখো শিশু এখনও জীবন রক্ষাকারী টিকা থেকে বঞ্চিত এই বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের ঠিক আগে এই কর্মসূচিটি শুরু হয়েছে। প্রতি বছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়।
ভাসানচরে শৈশবকালীন টিকাদানে সহায়তায় ইউনিসেফ বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানায় জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।
যদিও রোহিঙ্গা শিশুরা চরে আসার পর থেকে দুটি অ্যাডহক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে কিছু টিকা পেয়েছে তবে চরে এই সপ্তাহেই প্রথম নিয়মিত শৈশব টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জর্জ লারিয়া-আদজেই বলেছেন, ‘আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শৈশবকালীন টিকাদানের প্রয়োজন রয়েছে নতুবা এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘যতই চ্যালেঞ্জিং বা দূরবর্তী হোক না কেন, আমাদের অবশ্যই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রান্তিক ছেলে-মেয়েদের কাছে পৌঁছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। তারা যেই হোক বা যেখানেই থাকুক।’
আরও পড়ুন: দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাতৃ নবজাতক শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্য বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন, ভাসান চরে রুটিন শৈশব টিকাদান কর্মসূচি সরকারের জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) অনুসরণ করে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিপথেরিয়া, পের্টুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইটিস-বি, হিবি, পোলিও, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, হাম ও রুবেলা প্রতিরোধের টিকা।
ভাসান চরে এখন ১০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।
ইউনিসেফ, ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য অংশীদাররা চরের জনগণের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবা সরবরাহ করতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকাকরণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: জাতিসংঘ
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে স্কুল খোলা রাখুন: ইউনিসেফ
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে বিশ্বের সব সরকারের প্রতি স্কুল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংস্থাটি এ আহ্বান জানায়।
সংস্থাটি বলছে, ‘বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এটি শিশুদের শিক্ষা যেন আর ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য তাদের ক্ষমতায় যা আছে সব করার।’
‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে এবং শিশুদের শেখার পথে ফিরিয়ে আনতে ইউনিসেফ স্কুল খোলা রাখার সুপারিশ করে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে স্কুলে কর্মী নিয়োগ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, ‘স্কুল খোলা রাখুন। আংশিক বা সম্পূর্ণ স্কুল বন্ধ রাখায় আনুমানিক ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা জানি প্রশমন ব্যবস্থা স্কুল খোলা রাখতে সহায়তা করে। আমরা এও জানি, ডিজিটাল সংযুক্ততায় বিনিয়োগ কোনো শিশু যেন বাদ না পড়ে তা নিশ্চিতে আমাদের সহযোগিতা করতে পারে।’
‘প্রত্যেক শিশুকে স্কুলে ফিরে আসায় সক্ষম করতে আমাদের সাহসী পদক্ষেপের প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি সম্প্রদায়ের প্রান্তিক শিশুদের প্রতি বিশেষ নজরসসহ ব্যাপক সহায়তা প্রদান। যেমন অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহায়তা, নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রধান সেবা।’
এছাড়া স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘের সংস্থাটি। সংস্থাটি বলছে, ‘সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হলে শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের সম্পূর্ণরূপে করোনার টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
বাংলাদেশে ‘মানসম্পন্ন’ শিক্ষায় মেয়েশিশুদের সুযোগ দিতে যুক্তরাজ্যের অনুদান
মানসম্পন্ন শিক্ষায় মেয়েশিশু ও তরুণদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কিন্তু সব স্তরে সমান সুযোগ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে জটিল কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে আর অপেক্ষা নয়: ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের এই উদার অবদান ইউনিসেফকে বাংলাদেশ সরকার ও অংশীদারদের সাথে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে এবং বিশেষ করে যে সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কোভিড-১৯ মহামারির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা করতে বড় ভূমিকা রাখবে।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সকল মেয়ে শিশুর ১২ বছরব্যাপী মানসম্মত শিক্ষার অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার উন্নতি করতে, কিশোরী মেয়েদের স্কুলে থাকতে সহায়তা করতে এবং সবচেয়ে প্রান্তিক শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা ইউনিসেফ, ব্র্যাক ও বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পেরে আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে বাংলাদেশের প্রশংসা ইউনিসেফ’র
যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে ইউনিসেফের এই যৌথ উদ্যোগ স্কুল ব্যবস্থার বাইরে থাকা শিশুদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিবে। তাছাড়া এই ব্যবস্থা মেয়ে শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষাকে উন্নত করবে। এটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে শিশুদের ভর্তি, তাদের স্কুলে ধরে রাখা এবং শিক্ষা সমাপনীর হার উন্নত করার ওপরও জোর দেবে। ইউনিসেফ বরাবর বাংলাদেশ সরকার এবং শিশু ও তাদের বাবা-মাসহ সকল অংশিদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এই সহায়তার মাধ্যমে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার পাশাপাশি সকল শিশুর জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়ন ইউনিসেফকে সহায়তা করবে।
নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৩০
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের রক্তক্ষয়ী হামলায় শত শত মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সোকোটো রাজ্যের গভর্নর আমিনু তামবুয়াল সোমবার বলেন, বন্দুকধারীরা রবিবার সন্ধ্যায় গোরোনিও সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায় যা রাত পর্যন্ত চলে। এলাকাটি সোকোটো রাজ্যের রাজধানী থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে।
তিনি বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিশেষ করে গোরোনিও টাউনশিপে একটি অত্যন্ত জঘন্য আক্রমণ করা হয়েছে। যেখানে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং এখনও গণনা চলছে। আমরা পরিসংখ্যান সম্পর্কে নিশ্চিত নই। কিন্তু এটা ৩০ এর অধিক।’
সহিংসতায় শিশু ও নারীদেরও টার্গেট করা হয়েছে। ইউনিসেফের মতে, বন্দুকধারীরা প্রায়শই নারীদের অপহরণ করে এবং ১৪০০ এরও বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছে।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
ইরাক যুদ্ধের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কলিন পাওয়েলের মৃত্যু
আন্দোলনের ভয়ে সরকার স্কুল, কলেজ বন্ধ রেখেছে: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করে বলেছে, সরকার করোনা থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার পরিবর্তে একটি সম্ভাব্য আন্দোলন রোধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সরকারকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপিও জানে জিয়ার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে নেই: প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের ফলাফল নিয়েই এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় মির্জা ফখরুল সরকারকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার আওতায় আনারও দাবি করেন।
অশুভ শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় খোলার পর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তার (কাদের) মন্তব্য প্রমাণ করেছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে আন্দোলন না করার জন্য, শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার জন্য নয়।’
ইউনিসেফ কর্তৃক প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার কারণে সকল স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তরের চার কোটি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা আবোল তাবোল বলছেন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতার অভিযোগ, সরকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যাতে তাদের ব্যর্থতা ও অপকর্ম থেকে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়া যায়। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে চন্দ্রিমা উদ্যানে দাফন করা হয়েছে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে। তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ (এইচএম এরশাদ) নিজেই তাঁর (জিয়ার) লাশ বহন করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘সততা এবং ভালো রুচির অধিকারী কেউই এ ধরনের মন্তব্য করতে পারে না। তার মন্তব্য অশালীন, ঘৃণ্য এবং মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।‘
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত জিয়ার লাশ ও কবর নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। জিয়াউর রহমান জনগণের হৃদয়ে থাকায় অনেকেই তা সহজভাবে নেয়নি।’